০১ আমের বরফি
উপকরণঃ
- আমের কাথ – ২ কাপ ( পাকা আম ব্লেনড করে কাথ বানাতে হবে )
- মাখন বা ঘি – ৪ টেবিল চামচ
- কোড়ানো নারিকেল – ১ কাপ
- মাওয়া- ১.৫ কাপ ( মাওয়ার পরিবর্তে কন্ডেন্সড মিল্ক দেওয়া যায় )
- চিনি- ৩/৪ কাপ (কন্ডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করলে চিনি স্বাদ মত দিতে হবে )
- গরম মসলা গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
- লবণ সামান্য
- অরেঞ্জ ফুড কালার – ১/৮ চা চামচ
- বাদাম সাজাবার জন্য
প্রণালীঃ
একটি কড়াই-এ মাখন বা ঘি নিয়ে হালকা আঁচে গরম করতে হবে।এবার আমের কাথ দেই এবং নাড়তে থাকি । খেয়াল রাখতে হবে যেন নিচে পুড়ে না যায় । পানি শুকিয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়ো, লবণ, চিনি এবং নারিকেল কোড়ানো যোগ করি এবং ভালো ভাবে মেশাই । মাওয়া যোগ করি । এবার অরেঞ্জ ফুড কালার দেই এবং ভালো ভাবে মেশাতে থাকি । নাড়তে নাড়তে যখন মিশ্রণটা আঠালো হবে তখনই সেটি একটি ট্রেতে ঘি লাগিয়ে ঢেলে সাথে সাথে হাত দিয়ে সমান করে ওপরে বাদামের কুঁচি ছিটিয়ে চারকোণা করে কেটে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিশে রেখে পরিবেশন করুন।
০২ ছিটা রুটি (ছিটা পিঠা)
উপকরণঃ
- চালের গুঁড়ো – ২ কাপ (এতে ১২-১৫ টি রুটি হতে পারে)
- পানি – ৩ কাপ
- ডিম – ১ টি ডিমের অর্ধেকটা ফেটানো
- লবণ পরিমাণমতো
- তেল পরিমাণমতো
প্রণালীঃ
– বাটিতে পরিমাণমতো লবণ ও ৩ কাপ পানি দিন, ভালো করে মেশান। লবণ-পানি মিশে গেলে ২ কাপ চালের গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। পাতলা মিশ্রণ তৈরী হবে।
– মিশ্রণটির সাথে ১ টি ডিমের অর্ধেকটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই অবস্থায় মিশ্রণটি ১৫ মিনিট রেখে দিন।
– ১৫ মিনিট পর একটি কড়াই-এ তেলের প্রলেপ দিয়ে মিশ্রণটির মধ্যে হাত চুবিয়ে কড়াই -এ ছিটা দিন, অর্থাৎ আঙ্গুল গুলো প্রলেপ দেয়া তেলের ওপর ঝেড়ে নিন। এভাবে প্রতি রুটির জন্য ৩/৪ বার মিশ্রণটিতে হাত চুবিয়ে পরপর কড়াই-এ ছিটা দিন। চুলার আঁচ কমানো থাকবে। রুটি যেন পুড়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। রুটি হয়ে গেলে আলতো করে তুলে নিন যেন না ভাঙ্গে। এমনিতেই রুটি খুব পাতলা হবে তাই ভেঙ্গে গেলে ভালো দেখায় না।
– এভাবে প্রতিবারে তেলের হালকা প্রলেপ দিয়ে ৩/৪ বার ছিটা দিয়ে পাতলা করে রুটি তৈরী করুন। রুটি গুলো যেন গরম থাকে এমন কিছুতে তুলে রাখুন পরিবেশনের আগে।
– মিশ্রণটি জমে যাওয়ার মতো হলে আবার ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন, প্রয়োজন হলে আরেকটু পানি (সামান্য) মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে পারেন, তরল হয়ে উঠবে।
– ছিটা রুটির সাথে গরম গরম ভূনা মাংস বা ঝোল মাংস পরিবেশন করুন, পছন্দ অনুযায়ী সালাদ হতে পারে।
০৩ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
উপকরণঃ
- ১ কেজি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই শেপ এর আলু
- ১ চা চামচ লবণ
- ১ টেবিল চামচ ভিনেগার
- ২ চা চামচ বিট লবণ
- ভাজার জন্য তেল
রান্না প্রণালীঃ
– আলু কেটে তাতে লবণ ও ভিনেগার মাখাতে হবে। পানি গরম করে তাতে আলু গুলো ছেড়ে দিতে হবে। ১০-১২ মিনিট সেদ্ধ করে ছাঁকনি পাত্রে নামিয়ে ছেঁকে পানি ফেলে দিতে হবে। আলু ঠান্ডা হতে দিয়ে যে পাত্রে ভাজবো তাতে ডুবো তেলে ভাজার পরিমাণ তেল দিয়ে গরম করতে হবে।
– এরপর তেলে সব আলু ছেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঠিক ১ মিনিট এর ভেতর নামিয়ে ফেলতে হবে। তেল ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে ফেলতে হবে। এরপর পু্রোপুরি তেল ছাঁকার জন্য আলু গুলো টিস্যুর উপর বিছিয়ে রাখতে হবে। তাতে অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে।
– এরপর আলু একটা পাত্রে নিয়ে ডিপ ফ্রিজ এ রাখতে হবে অন্তত ৩-৪ ঘন্টার জন্য।
– তারপর আবার তেল চুলোয় ordering viagra online দিয়ে আগের নিয়মে গরম করে নিতে হবে। এরপর ডিপ ফ্রিজ থেকে আলু বের করে তা গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে।
– আলু তেলে দেয়ার পর কিছুক্ষণ পর নাড়াচাড়া করতে হবে। এভাবে ৪-৫ মিনিট ভাজার পর নামিয়ে তেল ছেঁকে ফেলতে হবে।
– এরপর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এ বিট লবণ ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো সস দিয়ে।
সাবধানতাঃ গরম তেলে পানি পড়লে গরম তেল এর ছিটা চারিদিকে ছিটতে থাকে, যা গায়ে লাগলে ফোস্কা পড়তে পারে। আলু ডিপ ফ্রিজিং করায় এর গায়ে পানি লেগে থাকে। এ কারণে আলু গরম তেলে ছাড়ার সময় হাতে গ্লাভস পড়ে নিরাপদ দূরত্ব রেখে ছাড়া ভালো।
লিখেছেনঃ মীরা আরিফ