মেকআপ করতে পছন্দ করুক আর না করুক, মেয়েদের কাছে বিভিন্ন রকম লিপস্টিকের কালেকশন থাকবেই! ম্যাট লিপস্টিকের ট্রেন্ড চলছে এখন। আমার তো লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক দারুণ পছন্দ, শেইডগুলো এত সুন্দর যে লিপস্টিক লাগানোর পর ওভারঅল লুকে ইনস্ট্যান্ট চেঞ্জ আসে! অনেকেই অভিযোগ করেন ম্যাট লিপস্টিকের ফর্মুলা নিয়ে- ‘অ্যাপ্লাইয়ের পর ঠোঁট ড্রাই হয়ে যাচ্ছে, কিছুক্ষণ পরই কেমন যেন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে উঠে যায়, লং লাস্টিং করে না লিপস্টিক‘ ইত্যাদি। ম্যাট লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের পর যেন এই সমস্যাগুলো না হয়, সেই টিপসগুলোই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সেই সাথে কীভাবে লিপ কেয়ার করা যায়, সেই বিষয়েও জানা হয়ে যাবে।
ম্যাট লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের আদবকেতা
লিপস্টিকের ফর্মুলা যেমনই হোক, লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের আগে লিপ এরিয়া প্রিপেয়ার করে নেওয়া জরুরি। ফিনিশিং তো ম্যাট টাইপেরই হবে, গ্লসি ভাব থাকবে না! কিন্তু ওভারড্রাই ফিল যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। ম্যাট লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের আগে ভালোমানের লিপ বাম বা ভ্যাসলিন দিয়ে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড করে নিন। কিছুক্ষণ রাখার পর একটি টিস্যু দিয়ে এক্সেস লিপ বাম বা ভ্যাসলিন মুছে ফেলুন আলতোভাবে। জাস্ট একটু চেপে মুছে নিলেই হবে। তারপর পছন্দের ম্যাট লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। চাইলে আঙ্গুল দিয়ে লিপস্টিক স্ম্যাজ করে নিন। ওভারকোটিং করবেন না, এতে লিপস্টিকের টেক্সচার আনইভেন লাগে। সেইম কালারের লিপলাইনার লাগিয়ে নিতে পারেন, এতে ঠোঁটের শেইপ সুন্দরভাবে ফুটবে।
লিপ কেয়ার টিপস
ঠোঁটে যদি ডেড স্কিন সেলস জমে যায় আর ড্রাই থাকে, তাহলে কিন্তু যতই ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করা হোক না কেন সেটা ভালোভাবে বসবে না! তাই ঠোঁট প্রোপারলি ময়েশ্চারাইজড রাখার জন্য যত্ন নেওয়া কিন্তু মাস্ট। যেভাবে আপনি স্কিন আর হেয়ারের জন্য বেসিক টেক কেয়ার করেন, ঠিক সেভাবেই লিপ এরিয়ার যত্ন নিয়েও একটু সচেতন হতে হবে। এতে লিপস সফট থাকবে, ফেটে ফেটে যাবে না, কালচে ভাব চলে যাবে আর অ্যাপ্লাইয়ের পর সুন্দরভাবে কালারটা এনহ্যান্স হবে। তাহলে জেনে নেই টিপসগুলো!
১) সপ্তাহে অন্তত ১ দিন লিপ স্ক্রাব করে নিন। লেবুর রস, মধু, সামান্য চিনি দিয়ে ঘরোয়াভাবেই এটা বানিয়ে নিতে পারেন। এখন মার্কেটে লিপ স্ক্রাব কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
২) সারাবছরই যদি আপনার ঠোঁটে শুষ্ক ভাব থাকে বা ঠোঁট ফেটে যাওয়ার সমস্যা ফেইস করেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েল দিয়ে একটু ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।
৩) ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড রাখতে রেগুলার অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করা যেতে পারে, ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এতে লিপস এর ড্রাইনেস কমে যাবে।
৪) বাইরে থেকে এসে অয়েল ক্লেনজার দিয়ে ঠোঁট ক্লিন করবেন। খুব ভালোভাবে লিপস্টিক ক্লিন করে নিবেন, যেভাবে আপনি মুখের মেকআপ ক্লিন করেন! তারপর পানি মুছে নিয়ে লিপ বাম লাগাবেন।
৫) সবসময় চেষ্টা করবেন ভালো ব্র্যান্ডের লিপ জেল বা লিপ বাম ইউজ করতে, ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে এমন প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলবেন।
তাহলে জেনে নিলেন ম্যাট লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের আগে কীভাবে ঠোঁট প্রিপেয়ার করবেন এবং ঠোঁটের যত্ন নিবেন। ঠোঁটে ডেড সেলস না থাকলে, ঠোঁট ঠিকমতো নারিশমেন্ট পেলে যেকোনো ম্যাট লিপস্টিক ভালোভাবে বসবে, ড্রাই হয়ে যাবে না। তাই ঠোঁটের যত্ন নিয়ে আলসেমি করা ঠিক না!
অনলাইনে কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি
ছবি- সাজগোজ