সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে মায়ের শরীরের কিছু মাংশপেশী এবং লিগামেন্ট ঢিলা হয়ে যায়, যা প্রসব পরবর্তী ব্যায়ামের মাধ্যমে দ্রুত আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা যায় এবং একইসাথে এটি মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। স্বাভাবিক প্রসবে কেগেল এক্সসারসাইজের উপকারিতা অনেকেই জেনে থাকবেন। কিন্তু সন্তান জন্মদানের পরবর্তী সময়ে যে কিছু ব্যায়াম আবশ্যক তা অনেক মা অবহেলা করে! সন্তান এর যত্ন নিতে গিয়ে তারা নিজেদের শরীরকে প্রায় ভুলতেই বসে। অথচ, সুস্থ মা ছাড়া সুস্থ সন্তান কিভাবে আশা করা যায়? তাই আজ কিছু প্রসব পরবর্তী ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করবো আপনাদের সাথে…
কখন করা যাবে প্রসব পরবর্তী ব্যায়াম?
নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী যেকোন সময় এবং সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সার্জারির দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে হালকা (আ্যাবডমিনাল ব্রিদিং, কিগেল এক্সারসাইজ ইত্যাদি) এক্সারসাইজ করা যাবে। এক্ষেত্রে ভারি এক্সারসাইজ ছয় সপ্তাহ পর থেকে তিন মাসের মধ্যে শুরু করা যাবে।
প্রসব পরবর্তী ব্যায়াম করার উপকারিতা
(১) দ্রুত প্রেগনেন্সির আগের বডি-শেপ পাওয়া যায়।
(২) পেটের মাংশপেশী সবল হবে।
(৩) প্রেগনেন্সি সময়ের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
(৪) পেরিনিয়াল মাসল (Perineal muscle) মজবুত করে, যা ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স (urinary incontinence) বা প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যা এবং জরায়ু নিচে নামা প্রতিরোধ করে।
(৫) শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার (Physical and Mental Wellbeing) কারণে অতি তাড়াতাড়ি আরোগ্যলাভ করা যায়।
কিছু সাধারণ ব্যায়ামের ছবি যুক্ত করা হল, যা সন্তান জন্মানোর পরই শুরু করা যায়।
সতর্কতা: ব্যায়ামকালীন সময়ে মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনেক বেশি রক্ত দেখা দিলে কিংবা পেটে ব্যাথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ছবি- সাটারস্টক
লিখেছেন- ডা: নুসরাত জাহান
সহযোগী অধ্যাপক (অবস গাইনী), ডেলটা মেডিকেল কলেজ।, মিরপুর ১, ঢাকা।
চেম্বার- ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টা: মেডিকেল কলেজ, শ্যামলী।