অনেক দিন হয়ে গেল সাজগোজে এফরডেবল কোন কসমেটিকের রিভিউ লেখা হচ্ছে না। তার জন্য খুবই দুঃখিত! বেশ কিছু পার্সোনাল কারণে নতুন কোন প্রোডাক্ট ট্রাই করা বা রিভিউ লেখা কিছুরই সময় হয়ে ওঠেনি… কিন্তু অবশেষে যখন লেখা শুরু করলাম তখন কিন্তু এটার পেছনে বেশ সময় দিয়েছি! ভাবছেন, কেন নিজের গুণগান করছি? কারণ আছে-
সত্যি কথা বলতে গত ২-৩ মাসে শুধু ফেসওয়াশ করা আর সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করা ছাড়া নিজের জন্য আর কিছুই করার সময় পাইনি। বাজারের নতুন প্রোডাক্ট কেনা তো দূরে থাক। তো এখন অযত্নে চুল আর ত্বক দুইয়েরই প্রায় বারোটা বেজে গেছে। তাই ভাবলাম এটাই সময় কসমেটিক প্রোডাক্টের চ্যালেঞ্জ নেয়ার… নিশ্চয়ই দেখেছেন, অনেক প্রোডাক্টই দাবি করে যে-
এত দিনের ব্যবহারে আপনার ত্বক বা চুলে কোন একটা পরিবর্তন চলে আসবে…!
কে কে বিশ্বাস করেন এই দাবিগুলো? নিশ্চয়ই অনেকেই আছেন যারা এধরনের ক্যাচি হেডলাইন দেখে প্রোডাক্ট কেনেন কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হন। তাই না?
তো দীর্ঘদিনের hiatus থেকে ফেরত আসার পথ হিসেবে আমি এমনি একটা প্রোডাক্ট টেস্ট করার ডিসিশন নিলাম। প্রোডাক্টটি হচ্ছে- “প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক গোল্ড হেয়ার অয়েল।”
সো, রিভিউ শুরু করার আগে জানিয়ে দেই অযত্নে আমি নিজের চুলের কি অবস্থা করেছি !
– গত ২ মাস ধরে চুলে তেল ছুঁইয়েও দেখিনি
– সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করেছি , এর মধ্যে ৩ মাসে মোট ২-৩ বার কন্ডিশনার ইউজ করেছি (guilty!!)
– চুলের রঙ করা অংশ ফেটে চৌচির হয়েছে
[picture]
(অ্যাডিশনাল টিপ- যাদের চুলে রঙ করা আছে, যত ব্যস্তই থাকুন না কেন মনে করে কন্ডিশনার আর তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)
– প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করার আগে গুনেছি, রোজ আমার প্রায় ৬০-৭০ টা করে চুল পড়ছিল। এর মধ্যে গোঁড়া থেকে উঠে আশা চুল যেমন আছে তেমনি কালার করা ড্যামেজড চুল যা কিনা মাঝখান থেকে ভেঙ্গে যায়, সেগুলোও আছে।(একচুয়ালি ভাঙা চুলের সংখ্যাই বেশি ) নিশ্চয়ই যাদের চুল কালার করা অথবা রিবনডিং করা তারা বুঝতে পারছেন যত্ন না নিলে চুল কীভাবে ভাঙতে থাকে?
তো, এবার চলুন দেখি এই তেলটি আমার চুলে কোন পরিবর্তন আনতে পেরেছে নাকি চুলে কোন চোখে পড়ার মত পরিবর্তন আসেইনি…
আমার অভিজ্ঞতা
অয়েল, আগেই বলে রাখি , কোন প্রোডাক্ট আমি মিনিমাম ২৮ দিন ট্রাই করি। হোক সেটা স্কিন প্রোডাক্ট অথবা হেয়ার প্রোডাক্ট
এই রুলের অনলি এক্সেপশন তখনই হয় যখন প্রোডাক্টটিতে আমার কোন reaction দেখা দেয়, সবাইকে অনুরোধ করব, যখনি দেখবেন কোন প্রোডাক্টে আপনার স্কিন react করছে সাথে সাথে সেটি ইউজ করা বন্ধ করে দেবেন সেটা যত দামিই হোক না কেন।
অনেককেই দেখি অনেক দাম দিয়ে একটা ক্রিম কিনেছেন বলে জোর করে সেটা ইউজ করেন… মনে রাখবেন আপনার নিজের থেকে দামি কিছুই নেই।
তেলটা একেবারেই স্বচ্ছ আর এতে আছে চড়া আয়ুর্বেদিক ঘ্রাণ। দেখে নিই এই আয়ুর্বেদিক তেলে কী কী হারবাল extract যোগ করা হয়েছে-
আমলকী, ঘৃতকুমারী, মেহেদি, নগরমথা, মেথি ইত্যাদি। এগুলো প্রতিটিই চুল এবং স্কাল্পের যত্নে বেশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত। বোতলে আরও উল্লেখ করা আছে যে, এতে additional fragrance অ্যাড করা হয়েছে।
তেলটা প্রায় স্বচ্ছ, ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন…
প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক তেল ২৮ দিন ধরে ব্যবহার করার সময় আমি আর কী কী হেয়ার কেয়ার মেনটেইন করেছি চট করে বলে নিই,
– সপ্তাহে ৩-৪ দিন আমি চুলে তেল দিয়েছি, সো সপ্তাহে ৩-৪ বারই আমার চুল শ্যাম্পু করা পড়েছে। আমি আমার শ্যাম্পু কন্ডিশনার কিছুই চেঞ্জ করিনি। চেঞ্জ করলে বলতাম আল্টিমেট রেজাল্টের উপর অগুলোরও ইফেক্ট আছে।
– চুলে মেহেদি বা অন্য কোন হেয়ার প্যাক ইউজ করিনি… (এটা রিভিউ পারপাজে করেছি, আমার মনে হয়েছে অ্যাডিশনাল কোন অয়েল/ প্যাক ইউজে চুলের উপর প্যারাসুটের sole effect বোঝা যাবে না)
– সব মিলিয়ে এই ২৮ দিনের মধ্যে ১২-১৩ দিন আমি প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক অয়েল অভারনাইট অয়েল ট্রিটমেন্ট/ ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করেছি। আমি পুরো চুলে তেল হালকা গরম করে লাগিয়েছি এবং এভারেজে প্রতিবার তেল দিয়ে ৫ মিনিট স্কাল্প ম্যাসাজ করেছি। (অনেকেই বলে ১৫ মিনিট ধরে স্কাল্প ম্যাসাজ করতে, কিন্তু এতো সময় আমার হয়ে ওঠেনি )
– এছাড়া আরও ২-৩ দিন আমি সময় না থাকায় শাম্পুর ২ ঘণ্টা আগে চুলে তেল দিয়ে শ্যাম্পু করেছিলাম… আমি সিওর অনেকেই আছেন যারা অফিস স্কুল কলেজের জন্য অভারনাইট অয়েল ট্রিটমেন্ট করার সময় পান না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, যে কদিন আমি ২ ঘণ্টা তেল মাথায় রেখেছি, আমার মনে হয়েছে আমার চুল যথেষ্ট পরিমানে কন্ডিশনড হয়নি।
সো কেউ যদি এই তেলটি ট্রাই করতে চান, আমি suggest করব ওভারনাইট চুলে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করার জন্য। it worked better that way for me.
রেজাল্ট
নিশ্চয়ই জানতে চান এতো ফ্যাক্টর মেইনটেইন করে আমার চুলে আমি কোন চেঞ্জ দেখতে পেলাম কিনা! তাই না?
মুখের কথার থেকে ছবি তুলে প্রমাণ রাখাটাই প্রোডাক্ট রিভিউর ক্ষেত্রে আমার কাছে বেশি কমিউনিকেটিভ মনে হয়। সো আমি সারারাত চুলে তেল দেয়ার আগের এবং পরের ছবি নিচে দিয়ে দিলাম। ছবি সম্পূর্ণ ভাবে এডিট বিহীন। নিচে দেখে নিন, শ্যাম্পুর আগে তেলের ডিপ কন্ডিশনিং ইফেক্ট আমার কালারড ড্যামেজড চুলে।
এই হচ্ছে একমাস আগে আমার চুলের আগার দশা ! I am sure many of you can relate :’(
এই জন্যই রেগুলার হেয়ার অয়েল ট্রিটমেন্ট এতটা জরুরী !!
আর এই হচ্ছে একমাস নিয়মিত হেয়ার অয়েল ইউজ করার পরের অবস্থা …
দেখতেই পাচ্ছেন as a deep conditioner প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েল চুলের শাইন সামান্য বাড়িয়েছে। বলব না একদম আকাশ পাতাল তফাৎ, শ্যাম্পু কমার্শিয়ালের মডেলের মত হয়ে গেছে চুল… কিন্তু মানতেই হবে আগের থেকে অবস্থা একটু ভালো তাই না?
তেলটি বেশ লাইট হওয়াতে আমার কোমর সমান চুলে ২ বার শ্যাম্পু করাতেই সম্পূর্ণভাবে কোন রেসিডিউ না রেখেই এটা দূর হয়েছে। অনেকেই চুল থেকে ওভারনাইট অয়েল ট্রিটমেন্টের পর তেল দূর করতে হিমশিম খান। তাদের সাজেসট করব mild everyday shampoo দিয়ে মিনিমাম ২ বার চুল শ্যাম্পু করতে। একবার শ্যাম্পুতে কোন তেলই সম্পূর্ণভাবে চুল থেকে সরানো সম্ভব না। আর অতিরিক্ত SLS/ SLES-যুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে তেলের সাথে লড়াই করার চেষ্টা করলে আপনি তেলের effort-টাও নষ্ট করবেন সাথে নিজের চুলটাও।
আগেই বলেছি ১ মাস আগে ডেইলি আমার প্রায় ৭০ টার মতো চুল ভাঙত আর উঠে যেত… চুলের সেই দশারও একটা ছবি তুলে ১ মাস পরের অবস্থার সাথে কম্পেয়ার করার জন্য আমি রেখে দিয়েছি (বলেছিলাম না ? অনেকদিন পর রিভিউ লিখলে কি হবে? এটার পেছনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছি কিন্তু …!)
এই হল আমার চুলের আগের অবস্থা-
দেখেছেন! প্রতিদিন কি হারে চুল পড়েছে আমার? আর এর অর্ধেকই হচ্ছে ভাঙা চুল। আবারো বলছি পাঠক, চুল কেমিক্যালি ট্রিটেড হলে আমার মতো চুলের যত্ন এড়িয়ে চলবেন না। তাহলে এই অবস্থাও এড়াতে পারবেন না।
এবার দেখি একমাস ধরে প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েল চুল পড়ার কোন উন্নতি করতে পারলো কিনা-
একমাস পর একই জায়গায় একইভাবে ছবি তুলেছি যাতে কোন চেঞ্জ আসলে সেটা আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারেন… বলেছিলাম না? বেশ খেটেছি এবারের রিভিউর জন্য…
ছবিতে কিন্তু বেশ বড় মাপের একটা তফাৎ দেখা যাচ্ছে তাই না? কিন্তু আগেই আনন্দে উদ্বেলিত হবেন না। আমি এই একমাস বলতে গেলে প্রতিদিনই চুল পড়ার হার চেক করেছি… আর যে উন্নতিটা প্রাথমিকভাবে আমার চোখে পড়েছে সেটা হচ্ছে
আমার চুল ভেঙ্গে যাওয়ার হার। আমি একমাস আগের আর পরের পড়ে যাওয়া চুল গুলোর মধ্যে দেখলাম, একমাস আগে যেখানে আমার মোট চুল পড়ার ৫০% এর মতই ছিল ভাঙা চুল সেখানে একমাস পর ভাঙা চুল প্রায় নেই বললেই চলে…
কিন্তু এটাও বলতে হবে এখন যে পড়া চুলগুলো আমার আছে সেগুলো মোটামুটি সবই গোঁড়া থেকে উঠে আশা চুল… আমি একমাস নিয়মিত প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েল ইউজ করে গোঁড়া থেকে চুল উঠে আসার সংখ্যায় কোন বিশাল পরিবর্তন দেখিনি।গোঁড়া থেকে চুল উঠে আসা একটু কমেছে কিন্তু এখনও আমার ডেইলি হেয়ার ফলের প্রায় সবই এই গোঁড়া থেকে উঠে আসা চুল। এই কারণে আমি বলতে গেলে একটু concerned ! ধরে নিচ্ছি কোন ম্যালনিউট্রিশন জনিত কারণে আমার হেয়ারফল হচ্ছে (চুলের গোঁড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে)। এবং এ ধরনের সমস্যায় তেলের আসলে কিছুই করার নেই। আমার কিছু লাইফস্টাইল আর ফুড হ্যাবিট চেঞ্জ আনতে হবে মনে হচ্ছে !
Last but not the least, এই রেজাল্টটি আমি আশা করিনি, কিন্তু ১ মাস ধরে নিয়মিত যত্ন নিয়ে হট অয়েল ম্যাসাজ করা অথবা প্যারাসুট অয়েলের হারবাল এক্সট্রাকট যে কারণেই হোক না কেন আমার চুলের শীতকালীন খুশকির হার বেশ কমেছে।
সো যাদের মাথায় অল্প বিস্তর খুশকি সমস্যা আছে তারা এই আয়ুর্বেদিক অয়েলের হট অয়েল ট্রিটমেন্টে উপকার পাবেন বলে আমার ধারণা।
এবারে তবে একনজরে প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েলের বিভিন্ন characteristics দেখে নিই…
এই প্রোডাক্টের যে দিকগুলো আমার ভালো লেগেছে-
– এফরডেবল। কম দামে বেশ ভালো মানের প্যাকেজিং এবং পরিমান। আর খুব সহজে available
– প্যাকেজ থেকে তেল লিক করে না। এটা তেল নিয়ে ট্র্যাভেল করার সময় ইউজারদের একটা বড় concern. আমার বোতল থেকে এই একমাসে একটুও তেল লিক করেনি।
– একদিন পর পর অভারনাইট ট্রিটমেন্টে চুলের ড্যামেজ কমাতে সক্ষম
– আমার চুল ভাঙার হার significantly কমেছে !
– ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে চুলের শাইন বজায় রাখতে সক্ষম
– নিয়মিত হট অয়েল ট্রিটমেন্টে চুলের খুশকি কমাতে সক্ষম।
– চুল থেকে দূর করতে খুব বেশি শ্যাম্পু খরচ করতে হয় না।
যে দিকগুলো ভালো লাগেনি-
– ঘ্রাণ!! সত্যি কথা বলতে প্যারাসুটের অনেকগুলো হেয়ার অয়েল variant আমি ট্রাই করেছি কিন্তু এতো চড়া গন্ধ আর একটাতেও নেই ! যারা চড়া আয়ুর্বেদিক ঘ্রাণ সহ্য করতে পারেন না তারা একটু সাবধানে থাকবেন। আর প্যারাসুট ম্যানুফ্যাকচারারদের উদ্দেশ্যে- বুঝতে পারছি আয়ুর্বেদিক এক্সপেরিয়েন্স দেয়ার জন্য সুগন্ধি যোগ করাটা দরকার। কিন্তু যেসব কন্সিউমারদের চড়া সুগন্ধিতে physical discomfort (যেমন head ache) হয় তাদের কথাটাও একটু মাথায় রাখা দরকার, তাই না? এটা একজন ইউজার হিসেবে আমার মতামত… আর অভারল প্রোডাক্টে unnecessary fragrance যোগ করাটা আমি ব্যাক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। যাদের এতে সমস্যা নেই তারা হয়ত বিষয়টা নিয়ে এতটা মাথা ঘামাবেন না। কারণ শ্যাম্পু করার পড়ে চুলে তেলের ঘ্রাণ একেবারেই থাকে না। সো ফরমুলেশন বেশ ভালো এটা বলতে হবে।
– এক মাসের ব্যবহারে চুলের গোঁড়া থেকে উঠে আশায় আমি কোন বড় ধরনের ম্যাজিকাল চেঞ্জ দেখিনি। এটা অবশ্য তেলের দোষ না আমার নিজেরই দোষ বলব। ভেতর থেকে nutrition না দিলে বাইরে থেকে তেলের পক্ষে চুলের গোঁড়ায় খুব বেশি চেঞ্জ আনা সম্ভব না।
কোথায় পাবেন প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েল?
যেকোনো কস্মেটিক/ সুপার শপে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। তবে আমি যমুনা ফিউচার পার্কের Sapphire থেকে কিনেছি। দাম পড়েছে ২৬০ টাকা।
আমার রেটিং
আমি এই একমাসের ব্যাবহারে প্যারাসুট আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েলের পারফরমান্সে খুশি। চেষ্টা করেছি যাতে আমি শুধু এই তেলটি আমার চুলে কী প্রভাব ফেলল সেটা বুঝতে এবং মনে হয় সফলও হয়েছি। চুল ভেঙে যাওয়া, চুলের শাইন ফিরিয়ে আনা আর খুশকির পরিমান কমানোয় এটা বেশ ভালো রেজাল্ট দেখিয়েছে। সো সব মিলিয়ে দাম, পরিমান এগুলো বিবেচনা করে আমি এই হেয়ার অয়েল কে ১০ এ ৭ দেব…
(৮ দিতাম, কিন্তু আমি চড়া ঘ্রাণ সহ্য করতে পারি না, দুঃখিত প্যারাসুট! আশা করি আমার মতো ইউজারদের জন্য ভবিষ্যতে মার্কেটে কিছু আসবে )
আমার মতে কেমিক্যালি ট্রিটেড, ড্যামেজড হেয়ার, যাদের প্রচণ্ড পরিমানে চুল ভাঙে, চুলে অল্প খুশকিও আছে তারা এই খুবই affordable হেয়ার অয়েলটি ব্যবহার করে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পাবেন। সো পাঠক আপনি যদি এটা ট্রাই করেন, জানাতে ভুলবেন না আপনি কি ফলাফল পেলেন…
তো চেষ্টা করেছি এই প্রোডাক্ট এর নিয়মিত ব্যবহারে আসা চেঞ্জ খুব পরিষ্কারভাবে আপনাদের সামনে এই রিভিউর মাধ্যমে তুলে ধরতে। কেমন লাগলো জানাবেন। অন্য কি কি এফরডেবল প্রোডাক্টের রিভিউ চান সেটাও আমাদের জানাবেন। চেষ্টা করব আপনাদের জন্য আরও honest detail প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার… !
বিঃ দ্রঃ
রিভিউতে যোগ করা কোন ছবিই কোনভাবে এডিট করা হয়নি।
লিখেছেন – তাবাসসুম মুস্তারি মীম