উপকরন :
- ছানা – ১ লিটার দুধের
- গুড়া দুধ – ১ কাপ
- ঘি – ২ + ১/২ টেবিল চামচ
- পানি – ৩ টেবিল চামচ
- গুঁড়া চিনি – ১/২ কাপ
- এলাচ গুঁড়া – ২ চিমটি অথবা গোলাপজল
- বাদাম কুঁচি – ইচ্ছামতো
মাওয়া তৈরি :-
– প্রথমে ১ কাপ গুঁড়া দুধ পানি ও ঘি এক সাথে ভাল করে মিক্স করে নিন ।
– এবার ফ্রাই প্যানে অল্প আচে সব ভাল মতো মিক্স করে নামিয়ে নিন ।
– পোড়া লাগার আগেই নামিয়ে ফেলবেন ।
– ঠাণ্ডা করে নিন ।
– এবার জমাট বাধা মাওয়াকে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন ।
– মাওয়া ২ ভাগ করে নিবেন । অর্ধেক ছানার সাথে মিক্স করতে হবে আর বাকি অর্ধেক কোটিং এর জন্য ।
– উপরে ক্রিম কালারের কোটিং দিতে চাইলে একটু হলদে কালারের দুধ ব্যবহার করতে হবে । সাদা রাখতে চাইলে সাদা কালারের দুধ ব্যবহার করতে হবে ।
– চুলায় মাওয়া বেশিক্ষন রাখবেন না । বেশিখন রাখলে মাওয়া লাল হয়ে যাবে ।
কোটিং :-
আধাকাপ মাওয়া ও ২ টেবিল চামচ চিনি , গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন ।
কাঁচাগোল্লা তৈরি :-
– ছানা হাত দিয়ে ভাল করে মিহি করে মেখে নিন ।
– ছানার সাথে অর্ধেক মাওয়া , ১/২ কাপ চিনি , এলাচ গুঁড়া দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে গোল বল তৈরি করুন ।
– বল গুলো এবার মাওয়ার মধ্যে গড়িয়ে নিন ।
– ফ্রিজে রেখে দিন ৩-৪ ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন । তৈরি করার সাথে সাথেও করতে পারেন ।
টিপস :-
– ছানাটা খুব ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে । সকাল বেলা ছানা তৈরি করে বাসাতের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখুন বিকাল পর্জন্ত । বিকালের পর ছানা বের করে প্লেটে ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন সারা রাত । পরের দিন সকালে কাঁচা গোল্লা তৈরি করুন ।
– চাইলে ৪-৫ ঘণ্টা ছানার পানি ঝরিয়ে ফ্যানের নিচে বাতাসে শুকিয়ে বিকেলেই তৈরি করতে পারেন ।
– ছানাতে পানি পানি ভাব যেন একদমই না থাকে ।থাকলে মিষ্টি ভাল হবে না । আঠালো লাগবে । শক্ত বল তৈরি করা যাবে না ।
– ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করলে মিস্টিটা সেট হয় এবং ভিতরটা সামান্য শক্ত হয়।
– বেশি নরম নরম থাকলে কাঁচাগোল্লা খেতে ভাল লাগে না ।
– তাড়াতাড়ি বানাতে চাইলে মাওয়ার সাথে পানি কম দিন । এবং ছানাও মাওয়া মিক্স করার সময় একটু বেশি করে গুঁড়া দুধ ও সামান্য চিনি দিয়ে দিন । তাহলে ছানার পানি ভাব অনেক কমে যাবে ।
রেসিপি এবং ছবিঃ মুহসিনা তাবাসসুম