মুসলমানদের ঘরে ঘরে রোজার পাশাপাশি চলছে ঈদের আয়োজনও। আর তাই ঘরের কর্তা-গিন্নীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন হিসাব-নিকাশ করতে করতে, খরচপত্র সব নজরে থাকা চাইতো! আপনার ঈদের আয়োজন কেমন চলছে? শুরু না করে থাকলে দেখে নিন কেমন করে করতে পারেন আপনার ঈদের আয়োজন!
ঈদের আয়োজন শুরু হবে যে ৫টি টিপস-এ
১) ঈদের বাজার
ঈদের বাজার নিয়ে আগেই চিন্তা করুন। নয়তো দেখা যায় ঈদের আগের রাতে প্রয়োজনমতো দুধ কেনা যায় না। আবার দেখা যায় টক দই পাওয়া যায় না। তাছাড়া রান্নার সময় দেখা যায় টুকটাক দুই-একটা মসলা বাদ পরে গিয়েছে! তাই, ঈদের বাজার-সদাই আগের দিনের জন্য ফেলে না রেখে অন্তত মসলাগুলো এখন কিনে রাখুন। তারপর ঈদের দুই দিন আগে না হয় দই, দুধ এগুলো কিনলেন!
২) ঈদের ড্রেস
ঈদের আয়োজনে প্রথম থেকেই মানে বলতে পারেন, অনেক আগে থেকেই ঈদের ড্রেস কেনার ধুম পড়ে যায়। এরপরও যদি কিছু বাকি থাকে, তাহলে ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলুন অল্প অল্প করে। ঈদের আগের সময়টায় কেনাকাটার ঝামেলা যত কম রাখবেন, ততই ভালো। উপহারের সামগ্রী বা শিশুদের জন্য কেনাকাটা করে ফেলা যায় প্রথমেই। পরিবারের বয়স্কদের জন্যেও ঈদের কেনাকাটা শুরুর দিকে করতে পারেন। বাইরে ঘুরে জিনিস কিনতে মন না চাইলে এখন থেকেই অনলাইন শপ-গুলোয় চোখ রাখুন। এসব শপ-এ এক পণ্য খুব বেশি সংখ্যক থাকে না, তাই পছন্দের জিনিসটা যেন হাতছাড়া না হয়ে যায়!
৩) নিজের ঘরে উৎসব
ঈদ যারা নিজেদের বাসগৃহে কাটাবেন, নিজেদের পাশাপাশি ঘরের জন্যেও আলাদা আয়োজন তাদের। ঈদের দিনের রান্না, ঘর সাজানো, অতিথি আপ্যায়ন- এসব কাজের অন্ত নেই। পুরো মাস ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে, অবশ্যই তেমন কথা নেই। কিন্তু সকল কাজ ঈদের আগের দিনের জন্য জমিয়ে রাখলে ঝামেলায় পড়তে হবে বৈকি। ঘর গুছিয়ে রাখার কাজটা কয়দিন আগেই শুরু করে দিন। তাতে ঈদের আগের দিন বেশি সময় পাবেন কিছু রান্না এগিয়ে রাখার, ঈদের দিনটা অনেকটাই রান্নাঘরে ফুরিয়ে যাবে না।
৪) সালামী
বাচ্চা বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে তাদের জন্য খুচরো সালামী আগেই পকেটে রাখুন। ব্যাংক থেকে নতুন নোট যোগার করে ফেলুন। নতুন টাকা পেলে বাচ্চারা খুব খুশি হয়। আর এই টাকা যদি পারেন তবে সুন্দর খামে ভরে দিন। এখান থেকে তবে আপনার বাচ্চাও ম্যানার শিখে ফেলবে।
৫) সুস্থতা বজায় থাকুক
সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস সঠিক রাখুন। রোজার সময় খালি পেটে দীর্ঘ একেকটা দিন পার করতে থাকলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই বিদ্রোহ করতে পারে। সেই সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই পর্যাপ্ত ফল, শরবত, সবজি-এইগুলো অবশ্যই রাখুন নিত্যদিনের খাবারে। খাবারের ব্যাপারে অসচেতন হলে তার বিরূপ ফল চেহারাতেও ছাপ ফেলবে। আপনি কি চাইবেন এত বড় উৎসবের মৌসুমে আপনার চেহারার লাবণ্য এতটুকুও হারাক? অবশ্যই তা নয়। তবে সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখুন সবার আগে!
সুস্থ থাকুন সবাই। ঈদের আয়োজন হোক জমজমাট!
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম