রমজানে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখাটা একটু দায়। অনেকে ভাবেন যে, রোজা রেখে সুন্দরভাবে চোখের পলকে ওজন কমিয়ে ফেলবেন। কিন্তু “রোজা রাখলে ওজন কমে”– এই চিন্তাটাই ভুল। দিন শেষে রোজা খুলে গোগ্রাসে ভুঁড়িভোজ করে অসুস্থ হওয়ার কথা অনেক শুনেছি। এতে করে ওজনও কিন্তু অনেকের বাড়ে। তার উপর সেভাবে হাঁটা বা এক্সারসাইজ করা হয় না। আজকে তাই কিছু রামাদান হেলথ কেয়ার ১ পর্বে টিপস রইলো আপনাদের জন্য। চলুন দেখে নেই।
রামাদান হেলথ কেয়ার ১ পর্বের ১০টি টিপস
১) টেলিভিশন কম দেখুন
প্রতিদিন এক ঘণ্টা কম করে টেলিভিশন দেখুন। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, অতিরিক্ত সময় ধরে টেলিভিশন দেখতে থাকলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা ও বেড়ে যায়।
২) গেইম খেলুন
একটা ছোট্ট ভলিবল গেইম খেললে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোক্যালরি বার্ন করা সম্ভব।
৩) ফল খান
ডায়েট-এ ভিটামিনস এবং ফাইবার-এর সোর্স বাড়াতে প্রতিদিন ইফতার থেকে সেহেরীর মধ্যে অন্ততপক্ষে একটি হলেও ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪) পুষ্টিগত মান জানুন
প্রতিটা ফুড প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই প্রোডাক্ট-এর গায়ে থাকা লেবেল পড়ে নিন, এতে করে সেই প্রোডাক্ট-এর পুষ্টিগত মান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৫) বাসা নিজে পরিষ্কার করুন
নিজের বাসা নিজে নিজে পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শুয়ে-বসে থাকার চেয়ে এটা তিন গুণ বেশি আপনার ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে এবং শরীরে মেদ জমতে দিবে না।
৬) প্রচুর পানি পান করুন
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দেহের দূষিত পদার্থ বের করতে প্রতিদিন, এমনকি এই রমজানেও কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৭) ব্যায়ামের পরিবর্তে গেইমস
যদি মনে হয় ব্যায়াম আপনার জন্য না, তাহলে ইফতারের পর ক্যালোরি বার্ন করার জন্য সাইক্লিং, দড়িলাফ, টুকটাক গেইমস কিছু সময়ের জন্য খেলতে পারেন।
৮) চোখকে আরাম দিন
শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইসের অন্যতম কারণ হচ্ছে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা, যেটাকে ‘কম্পিউটার আই স্ট্রেইন’ বলা হয়। চোখের ডাক্তাররা চোখের পেশিকে রিল্যাক্স করার জন্য ২০-২০-২০ রুল ফলো করতে বলেন। অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিটে একবার কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে অন্ততপক্ষে ২০ ফুট দূরে থাকা যেকোন জিনিসের দিকে অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকিয়ে থাকুন। চোখ রিল্যাক্সড হবে।
৯) ক্রেভিং নিয়ন্ত্রণ করুন
ইফতারের পর বা যেকোনো সময়ে এটা সেটা খেয়ে ফেলার ক্রেভিং থেকে নিজেকে বিরত রাখতে নিজের মনকে বোঝান যে আপনি আর ২০ মিনিট পর খাবেন। ক্রেভিং কিন্তু যখন তখনই হয় এবং খুব অল্প সময়ের জন্যই হয়। যদি নিজেকে বোঝাতে পারেন, তাহলেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
১০) রাতে খাবার ও ঘুম নিয়মমাফিক হোক
অনেকেই আছেন যারা রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাতের খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।
এইতো জেনে নিলেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হেলথ কেয়ার টিপস। ওমেগা ৩ (পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড) এবং অরিয্যানল সমৃদ্ধ কুকিং অয়েল খান। এটি আপনার শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে।
সুন্দরভাবে বাঁচতে সুস্থতার কোন বিকল্প নেই। তাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
ছবি- সংগৃহীত: bbc.com