রেটিনল | স্কিনের জাদুকর! (পর্ব-৩) - Shajgoj

রেটিনল | স্কিনের জাদুকর! (পর্ব-৩)

retinol

গত দুই পর্বে রেটিনল কতগুলা ভালো তা নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছি… আজ বলব স্কিনকেয়ার-এ রেটিনল কিভাবে সেফলি অ্যাড করবেন যেন অতি উৎসাহে রেটিনল ঘষে আপনার কপাল চাপড়াতে না হয়! সেই কাহিনী। তো যারা অলরেডি পড়ে ফেলেছেন তারা নিচে চলে যান… আর আপনি যদি আগের দুই পর্ব পড়ে না থাকেন, দয়া করে পড়ে নিন, প্রোডাক্ট সাজেশন আগেই করা হয়েছে! আগের পর্ব দুটোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম আপনাদের সুবিধার জন্য।

[picture]

Sale • Day/Night Cream, Day & Night Cream, Day Cream

     

    চামড়ার ১২ টা না বাজিয়ে কিভাবে রেটিনলের বেস্ট বেনেফিটগুলো পাবেন?

    স্টেপ-১

    আবার মনে করিয়ে দেই, সবচেয়ে জেনটল ফর্মুলা দিয়ে শুরু করবেন!

    “কিন্তু আমি তো চাই ক্রিম দেয়ার পরদিনই যেন মুখ মুন্নু সিরামিক প্লেটের মতো ঝিকমিক করুক!!!”

    কিন্তু প্লিজ বিশ্বাস করুন, আপনার এই ঘ্যানর ঘ্যানর আর পেশেন্স-এর অভাবের ফলে আপনার স্কিনের অবস্থা হরতালের পোড়া টায়ার থেকেও ভয়াবহ হতে পারে! তাই দয়া করে ম্যাক্সিমাম ধৈর্য নিয়েই রেটিনল রুট-এ পা দেবেন। তাই কোনভাবেই “বেশি মাখলে বেশি রেজাল্ট”– এই নীতিতে চলবেন না। গত পর্বে বেশ কিছু খুব মাইলড মিনিমাম শক্তির রেটিনলের কথা বলা হয়েছে। অবশ্যই ঐ ধরনের প্রোডাক্ট দিয়েই শুরু করবেন। এতে করে ৩-৪ মাসে স্কিন-এ পজিটিভ চেঞ্জ দেখবেন, রেটিনল-এর পাওয়ার-এ স্কিন শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে খুলে খুলে খুশকির মতো পড়বে না, চামড়া উঠে লাল হয়েও যাবে না। সান সেনসিটিভিটি-ও কনট্রোল-এ থাকবে।

    স্টেপ ২

    আবার রিপিট করি, ভুলেও দিনের বেলা রেটিনল ইউজ করবেন না !!

    ভুলেও না! রেটিনল মুখে থাকা অবস্থায় জানালার পাশে দাঁড়ালে একটু রোদ যে মুখে পড়ে, বা চুলার কাছে গেলে হিট মুখে লাগে সব বিন্দু বিন্দু পাপের হিসাব দিতে হবে। তাই প্লিজ সেলফ কনট্রোল প্র্যাকটিস করবেন।

    রেটিনল শুধু মাত্র রাতে ইউজ করবেন …

    এবং অবশ্যই দিনের বেলা মিনিমাম SPF 35 OR UP BROAD SPECTRUM সানস্ক্রিন ইউজ করবেন।

    যদি মাথায় চিন্তা আসে ‘আজকে সানস্ক্রিন-টা বাদ দেই! কিই বা হবে?’

    উই রিপিট, যা হবে সেটা আপনি হজম করতে পারবেন না! SO DON’T TRY!

    স্টেপ ৩

    আপনার রুটিনে কি অন্যান্য এসিড বেইজড উপাদান আছে? ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখুন…

    কোন ভাবেই রেটিনল একটিভ উপাদান যেমন এসিড,কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর-এর সাথে ইউজ করা যাবে না।

    আপনার রুটিনে যদি ভিটামিন সি, গ্লাইকলিক এসিড, ল্যাকটিক এসিড, এনজাইম বেইজড উপাদান, স্যালিসিলিক এসিড (অর্থাৎ যেকোনো ধরনের এসিড) থাকে তবে সেই উপাদান আপনি যেদিন ইউজ করছেন সেই একইদিনে ‘রেটিনল’ ইউজ করতে পারবেন না!

    বুঝলেন না? ধরুন শনিবার রাতে আপনি ভিটামিন-সি দিয়েছেন, তার মানে এই ভিটামিন সি-এর আগে পড়ে আপনি রেটিনল মাখতে পারবেন না। তাহলে কখন পারবেন?

    -২৪ ঘণ্টা পড়ে, মানে রবিবার রাতে… ক্লিয়ার?

    আবার ধরুন, রবিবার রাতে আপনি গ্লাইকলিক এসিড দিয়ে ফেস এক্সফলিয়েট করলেন, তাহলে কি হবে? আবার আপনাকে ২৪ ঘণ্টা ওয়েট করতে হবে… অর্থাৎ, আপনার রুটিন এমন হবে যেন একইসাথে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে এসিড আর রেটিনল-এর ক্ল্যাশ না হয়…

    এখনও বুঝতে না পারলে মাথায় ইনফরমেশন-টা রাখুন, It will make sense later!

    স্টেপ ৪

    স্লো অ্যান্ড স্টেডি উইনস দা রেইস!!

    রেটিনল কিনেছেন? কবে কবে মাখবেন ঠিক করেছেন? এক্ষেত্রে মুখে রেটিনল ছোঁয়ানোর আগে যা মাথায় রাখবেন-

    • রেটিনল কমপ্লিটলি ড্রাই স্কিনে লাগাবেন। মুখ যেন ভেজা না হয়।
    • রেটিনল প্রথমেই চোখের আশেপাশে লাগাবেন না। প্রথমদিন আই এড়িয়া অ্যাভয়েড করুন।
    • পুরো মুখে ২ ড্রপের বেশি রেটিনল লাগে না। এর বেশি ইউজ করবেন না । মুখে ২ ফোঁটা, গলায় ২ ফোঁটা ইউজ করতে পারেন।
    • প্রথমদিন রেটিনল মেখেছেন? এরপর ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। ১ সপ্তাহ পর আবার লাগান। স্কিন-এর উপর রেটিনল-এর ইফেক্ট খেয়াল করুন।
    • প্রথম মাসে সপ্তাহে ১ বার করে ৪ বার রেটিনল লাগান।
    • দ্বিতীয় মাসে সপ্তাহে ২ বার করে মাসে ৮ বার লাগান।
    • ফেইস-এ এক্সেস ড্রাইনেস দেখছেন? ব্রেকআউট দেখা যাচ্ছে? যদি দেখেন তবে পরেও একই হারে মাসে ৮ বার রেটিনল লাগান। যদি কোন ব্যাড ইফেক্ট না দেখেন তবে সপ্তাহে ৩ বার করে মাসে ১২ বার রেটিনল ইউজ করতে পারেন। কসমেটিক রেটিনল-এর বেশি ইউজ করার দরকার নেই।
    • তাই বুঝতেই পারছেন, কনসেপ্ট-টা হচ্ছে, স্কিন-কে রেটিনল-এর সাথে পরিচিত হবার সময় দেয়া… যাতে হঠাৎ করে একটা বাজে রিঅ্যাকশন না হয়।

    স্টেপ ৫

    নিচে রেটিনল ইউজারদের জন্য একটা স্যাম্পল নাইট রুটিন দেয়া হল-

    যদি রুটিন-এ অন্য এসিড-যুক্ত প্রোডাক্ট থাকে

    স্যাম্পল নাইট রুটিন-

    • শনিবার – ভিটামিন সি সিরাম বা অন্য যেকোনো এসিড
    • রবিবার – রেটিনল
    • সোমবার – ভিটামিন সি সিরাম বা অন্য যেকোনো এসিড
    • মঙ্গলবার – রেস্ট (সুথিং কোন প্রোডাক্ট ইউজ করুন)
    • বুধবার – রেটিনল
    • বৃহস্পতিবার – ভিটামিন সি সিরাম বা অন্য যেকোনো এসিড
    • শুক্রবার – রেস্ট (সুথিং কোন প্রোডাক্ট ইউজ করুন)

    যদি রুটিন-এ অন্য এসিড-যুক্ত প্রোডাক্ট না থাকে

    স্যাম্পল নাইট রুটিন-

    • শনিবার – নরমাল টোনার + ময়েশ্চারাইজার
    • রবিবার – রেটিনল
    • সোমবার – নরমাল টোনার + ময়েশ্চারাইজার
    • মঙ্গলবার – রেটিনল
    • বুধবার – নরমাল টোনার + ময়েশ্চারাইজার
    • বৃহস্পতিবার – রেটিনল
    • শুক্রবার – নরমাল টোনার + ময়েশ্চারাইজার

    বিগিনার-রা রেটিনল-এর জন্য উপরের স্যাম্পল রুটিন ফলো করতে পারেন।

    উপরের স্টেপগুলো ভালোভাবে ফলো করলে রেটিনল ব্যবহারের  ম্যাক্সিমাম উপকার আপনি পাবেন, সাথে সাথে স্কিন-টাও বাঁচবে… অনেকেরই অনেক অ্যাডিশনাল প্রশ্ন থাকতে পারে। কমেন্ট-এ সেগুলো জানাবেন। যতটা সম্ভব উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।

     

    লিখেছেন- তাবাসসুম মীম

    ছবি- সাটারস্টক

     

    রেটিনল: স্কিনের জাদুকর !!! (পর্ব-১)

    রেটিনল: স্কিনের জাদুকর!!! (পর্ব-২)

    25 I like it
    2 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort