রেগুলার ফেইসের স্কিনের যত্ন নেওয়া হলেও হাতের ত্বকের তেমন যত্ন নেওয়া হয় না! অথচ এই হাত দিয়েই সারাদিন আমরা কত কাজ করি। রান্নাবান্না, ক্লিনিং, কাপড় ধোয়া- কম ধকল তো যায় না! বার বার হাত ধোয়ার জন্য স্কিন হয়ে যায় ড্রাই আর রাফ। হ্যান্ড ওয়াশ বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের স্কিনকে একদম ড্রাই করে দেয়! আর যারা এসি তে লং টাইম থাকে, খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তাহলে উপায়? বাজেট ফ্রেন্ডলি হ্যান্ড লোশন দিয়ে হবে এই প্রবলেমের কুইক সল্যুশন! জেনে নিন তাহলে।
হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগছে?
বাইরে থেকে এসে আমরা আগে হাত ধুই, খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধুই, এভাবে দিনে কতবার হাত ধোয়া হচ্ছে খেয়াল করুন তো! হাইজিন মেনটেইনের জন্য হ্যান্ড ক্লিন করা তো মাস্ট। কিন্তু এতে যে হাতের স্কিন রাফ ও ড্রাই হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল আছে? সারাদিন এই হাতের সাহায্যে আমরা বিভিন্ন কাজ করি এবং যত্নের অভাবে দেখা দেয় প্রিম্যাচিউর রিংকেলস ও ড্রাইনেস। আর চিন্তা নেই। আজ আমরা দেখবো এমন একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি সল্যুশন যা আপনাকে দিবে কোমল ও মসৃণ হাত।
স্বল্প বাজেটে হ্যান্ড কেয়ার
আজ শেয়ার করবো আমার ফেবারিট হ্যান্ড লোশনের রিভিউ। Skin Cafe Moisturizing Hand Lotion ইউজ করছি বেশ কিছুদিন ধরে। যেহেতু অফিসে এসি রুমে লং টাইম থাকা হয় আর বাসায় এসেও সংসারের টুকটাক কাজ থাকে, এর ফলে হাতের স্কিন কেমন যেন খসখসে হয়ে যাচ্ছিলো। আমার এর কলিগের কাছে পজেটিভ রিভিউ শুনে ট্রাই করলাম স্কিন ক্যাফের এই হ্যান্ড লোশনটি। শপ.সাজগোজ.কম থেকে অর্ডার করি এবং কম সময়েই হোম ডেলিভারি পেয়ে যায়। ইউজ করে মনে হলো এটা নিয়ে রিভিউ না লিখলেই নয়। চলুন আগে জেনে নেই কী কী ইনগ্রেডিয়েন্টস আছে এতে।
কী কী উপাদান আছে?
ওয়াটারমেলন এক্সট্র্যাক্ট
তরমুজ বা ওয়াটারমেলনে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। এতে আছে স্কিন রিপেয়ারিং ক্যাপাবিলিটি যা অল্প সময়েই ফিরিয়ে আনে ত্বকের কোমলতা। সান ড্যামেজ থেকে স্কিনকে প্রোটেকটেড রাখে এবং ইলাস্টিন প্রোডাকশন বুস্ট করে। যার কারণে ত্বক থাকে রিংকেল ফ্রি ও হেলদি। এক কথায়, ত্বকের কুঁচকানোভাব কমিয়ে আনতে এই উপাদানটি দারুণ কার্যকরী।
আমন্ড অয়েল
আমন্ড অয়েলে আছে নারিশিং প্রোপারটিজ যা হ্যান্ড কেয়ারে দারুণ ইফেক্টিভ। বাদাম তেল স্কিনের ড্রাইনেস প্রিভেন্ট করে, ময়েশ্চার লক করে, ত্বককে কোমল রাখে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন তরমুজের নির্যাস আর বাদাম তেল যখন একইসাথে কাজ করে, সেটা স্কিনের জন্য কতটা কার্যকরী।
প্যাকেজিং ও দরদাম
Skin Cafe Moisturizing Hand Lotion পেয়ে যাচ্ছেন ৫০ গ্রামের একটি আকর্ষণীয় টিউবে। অফিস ডেস্ক বা বেসিনে রাখতে পারেন সহজেই। হাত ধোয়ার পর বা যখনই স্কিন একটু ড্রাই মনে হবে, তখন অ্যাপ্লাই করে নিতে পারবেন। ছোট সাইজের টিউব হওয়াতে আপনি হ্যান্ড ব্যাগে ক্যারি করতে পারেন। আমিও এটাই করি। আর দামটাও একদম হাতের নাগালে।
টেক্সচার ও স্মেল
এর টেক্সচার ক্রিমি বাট বেশ লাইট। অ্যাপ্লাইয়ের পর একদমই হেভি ফিল হয় না। খুব দ্রুত স্কিনে মিশে যায়। হাতের স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে লং টাইম ধরে। এর স্মেল খুবই মাইল্ড, ফ্রুটি টাইপের। আমার খুবই ভালো লেগেছে।
বডি লোশন আর হ্যান্ড লোশন কেন আলাদা?
হাতের স্কিন একটু ডিফারেন্ট, খেয়াল করে দেখুন। হাতের উপরের এরিয়াতে অয়েল গ্ল্যান্ড কম, স্কিন তুলনামূলক পাতলা থাকে। তাই ড্রাইনেসের সাথে এজিং সাইনস আগে আগে ভিজিবল হয়। আবার হাতের তালুর স্কিন একটু থিক। তাই সঠিক ফর্মুলার ময়েশ্চারাইজার ছাড়া হ্যান্ড কেয়ার কমপ্লিট হয় না। বডি লোশন এক্ষেত্রে এনাফ না, কারণ বডি লোশনে ওয়াটার কনটেন্ট বেশি থাকে। আর হ্যান্ড ক্রিম বা হ্যান্ড লোশনে অয়েল কনটেন্ট বেশি থাকে। বডির স্কিনের জন্য বডি লোশন ফর্মুলেটেড। আশা করি, কনফিউশনটা ক্লিয়ার করতে পেরেছি। হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে অবশ্যই বেছে নিন ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড লোশন।
কেন সাজেস্ট করছি?
যাদের হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারা অবশ্যই একবার হলেও ট্রাই করুন, আপনি নিজেই এই ছোট্ট প্রোডাক্টটির ফ্যান হয়ে যাবেন! আমি নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকেই এটি সাজেস্ট করছি। Skin Cafe Moisturizing Hand Lotion এর বিশেষত্ব কী বা বাজারে এত হ্যান্ড ক্রিম থাকতে আমি কেন এটা সাজেস্ট করছি, সেটা নিশ্চয়ই জানতে চান। চলুন এক নজরে দেখে নেই-
- হাতের ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করে নিমিষেই
- স্টিকিনেস বা চিটচিটেভাব হয় না
- ছোট সাইজ হওয়াতে বাইরে গেলেও সাথে ক্যারি করা যায়
- যেকোনো সিজনে সব ধরনের স্কিনেই ইউজ করা যাবে নিশ্চিন্তে
- প্রোডাক্ট কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম একদম রিজনেবল
স্কিন ক্যাফে বাংলাদেশী প্রিমিয়াম বিউটি ব্র্যান্ড। প্রোডাক্ট কোয়ালিটির কারণে এই ব্র্যান্ডটি আমি বরাবরই প্রিফার করি। সাজগোজে পেয়ে যাবেন স্কিন ক্যাফে ব্র্যান্ডের অথেনটিক প্রোডাক্ট। এছাড়া এখন বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আর সুপার শপেও পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ