বর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার করছেন তো?

বর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার করছেন তো?

বর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার এ ছাতা ব্যবহার করছে একজন-shajgoj.com

ওয়েদার চেঞ্জের ইফেক্ট আমাদের ত্বকে ও চুলে বেশ ভালো বোঝা যায়! বর্ষার সিজনে চুল একটু বেশিই পড়ে, তাই না? কেন এই সময় বেশি চুল পড়ে বলুন তো? বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকায় আর আবহাওয়া গুমোট হওয়ায় চুলের গোঁড়া ঘেমে যায়। আর ঘাম থেকেই খুশকি ও চুল পড়া অনেক বেড়ে যায়। অনেক সময় চুলের শাইনিভাবও হারিয়ে যায়। ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায়! যেহেতু এই সময় চুলের সমস্যা বেড়ে যায়, তাই চুলের জন্য দরকার একটু এক্সট্রা কেয়ার। এই সময়ে চুলের যত্ন কীভাবে করবেন সেটা জানেন কি? বর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার করতে কোন কোন স্টেপ ফলো করা উচিত, সেটাই আজ আমি শেয়ার করবো।

বর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার

স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর চুল পেতে সারাবছরই চুলের যত্ন নিতে হবে। কিন্তু এই সিজনে হেয়ার কেয়ারে একটু সচেতন হলে চুলের অনেক সমস্যার সল্যুশন পেয়ে যাবেন। চুলের ধরন ও সমস্যা বুঝে যত্ন নিন, ছুটির দিনে নিজেকে একটু সময় দিন আর চুলের যত্নে বেস্ট প্রোডাক্টটি বেছে নিন। এখন তবে জেনে নেওয়া যাক, বৃষ্টির দিনে চুলের যত্নে কী কী করা যেতে পারে।

SHOP AT SHAJGOJ

    ১. সপ্তাহে দুইদিন অয়েল ম্যাসাজ করুন 

    এমনিতেও আমাদের সপ্তাহে দুইদিন চুলে তেল দেওয়া খুব দরকার। বর্ষাকালে যেহেতু চুল বেশি পড়ে, তাই এই সময় কোকোনাট অয়েল এর সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ইউজ করতে পারেন। গোসলের ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে আপনার আপনার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে চুলের আগা পর্যন্ত তেল লাগিয়ে নিন। চুলের গোঁড়ায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে আর চুল পুষ্টিও পাবে। মিনারেলস, প্রোটিন, অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত ক্যাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

    ক্যাস্টর তেল ও নারিকেল তেল হাতে একজন মেয়ে পিছে মেঘের ব্যাকগ্রাউন্ড-shajgoj.com

    ২. বৃষ্টির পানিতে চুল ভেজানোর পর অবশ্যই শ্যাম্পু করবেন

    প্রথম পশলার বৃষ্টির পানিতে অনেক ময়লা, দূষণ এবং অনেক সময় ক্ষতিকর উপাদান থাকে। ইদানীং এয়ার পলুশ্যন অনেক বেড়ে গেছে, বিভিন্ন রাসায়নিক এলিমেন্ট বৃষ্টির পানির সাথে থাকতে পরে। তাই বৃষ্টির পানিতে চুল ভেজালে এরপর বাসায় এসে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরী।

    ৩. চুলের টাইপ অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন  

    আমাদের একেক জনের চুলের ধরন একেক রকম। তাই আগে চুলের প্রবলেম আর ধরন বুঝে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা অন্য হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। চুলের ফ্রিজিনেস কন্ট্রোল করতে ময়েশ্চার রিচ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। হেয়ার ফল কন্ট্রোলের জন্য স্পেসিফিক শ্যাম্পু আর হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টও পাওয়া যায়। এই সিজনে আপনার যদি খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়, তাহলে অবশ্যই আন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। কেননা আন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতে এবং খুশকি কমিয়ে আনতে দারুন কার্যকরী।

    SHOP AT SHAJGOJ

      ৪. চুলের এক্সট্রা কেয়ার নিতে প্যাক ব্যবহার করুন

      • বর্ষাকালে চুল নিষ্প্রাণ আর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? সপ্তাহে একদিন ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্টের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ঘরে থাকা প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই হেয়ার প্যাক বানিয়ে ফেলুন। টকদই, অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস, মধু সব একসাথে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে ভালো করে পুরো চুলে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে লক্ষণীয়ভাবে আর চুল প্রাণবন্ত দেখাবে।
      • হেয়ার ফল কন্ট্রোলে আমার পছন্দের হেয়ার প্যাক হচ্ছে Skin Cafe Hair Fall Treatment। সপ্তাহে একদিন এই প্যাকের সাথে টকদই আর ডিম মিশিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করি। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলি। আমার চুল পড়া অনেকটাই কমে গেছে। এতে থাকা শিকাকাই, আমলা, মেহেদী, হিবিসকাস পাউডার চুলের যত্নে অতুলনীয়।
      • চুলের সিল্কি ও শাইনিভাব ধরে রাখতে ডিমের মাস্ক দারুন কাজ করে। ডিমের সাথে অলিভ অয়েল, পাকা কলা আর টকদই মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, নিজেই হাত দিলে ফিল করবেন চুল কতটা সিল্কি হয়েছে!

      ৫. ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না

      ভেজা চুল কখনোই আঁচড়ানো যাবে না কারণ এই সময় চুলের গোড়া নরম থাকে। তাই এই সময় আঁচড়ালে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। বর্ষাকালে চুল খুব ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়াটা জরুরী। এতে চুল ঝরঝরে থাকবে এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতেও।

      প্রয়োজন ছাড়া হেয়ার ড্রাইয়ার ইউজ করবেন না। রেগুলার উচ্চমাত্রার তাপ চুলে লাগালে চুলের কেরাটিন প্রোটিন ড্যামেজ হয়ে যায়। এতে চুল শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখায় চুলের আগা লালচে হয়ে যেতে পারে।

      চুলে হাত বুলিয়ে বিরক্ত একজন নারী পিছে বাদামি ব্যাকগ্রাউন্ড

      ৬. হেলদি লাইফস্টাইল মেনটেইন করুন  

      স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুলের জন্য সঠিক খাদ্যাভাস করতে হবে। চুলের গ্রোথের জন্য বাদাম এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত বাদাম, ডিম, শাকসবজি খেতে হবে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। এছাড়া রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া এবং স্ট্রেস ফ্রি থাকা ভীষণ জরুরী। সেই সাথে প্রতিদিন ২/৩ লিটার পানি পান করতে হবে।

      SHOP AT SHAJGOJ

        ব্যস্ততার অজুহাতে আমরা অনেকেই নিজের যত্ন নেই না। এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ববর্ষার মৌসুমে চুলের জন্য এক্সট্রা কেয়ার নিতে পারবেন আর এতে আপনার চুল থাকবে সুন্দর এবং ঝলমলে! আশা করি টিপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে। আপনি চাইলে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টগুলো কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত সম্ভারে অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন। আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

        ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

        5 I like it
        1 I don't like it
        পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

        escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort