এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা আম। অনেকেই কাঁচা আম সংরক্ষণ করে রাখেন, তা দিয়েই পরবর্তীতে আচার বানান। কাঁচা আমের আচার আমরা কে না পছন্দ করি! ভাত, খিচুড়ি, বিরিয়ানি- সব কিছুর সাথেই এই আচারটি যায়। আজকে চলুন কীভাবে কাঁচা আমের ঝাল আচার বানাতে হয় তা জেনে নেই।
উপকরণ
- কাঁচা আম- ১ কেজি
- কালো সরিষা- ১ টেবিল চামচ
- শুকনো মরিচ- ২ টি
- কালো জিরা- ১/২ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন- ১ টেবিল চামচ
- মৌরি- ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা- ২ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
- সাদা ভিনেগার- ১/২ কাপ
- সরিষার তেল- ১ কাপ
- নাগা মরিচ ৫-৬ টি বড় টুকরো করা
- লবণ- স্বাদমতো
- চিনি- ১/৩ কাপ
প্রণালী
– আমগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। খোসা না ছাড়িয়ে মাঝখান দিয়ে কেটে বীজ সরিয়ে নিতে হবে। এবার আমের টুকরোগুলোকে ছোট ছোট আপনাদের পছন্দমতো টুকরো করে কেটে নিন।
– একটি বড় বাটিতে পানি নিয়ে তাতে আমের টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট।
– এরপর আমগুলো পানি বদলে ভালমতো ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি শুকনো ট্রে-তে বিছিয়ে রাখতে হবে। তারপর আমের পানি না শুকানো পর্যন্ত রোদে শুকিয়ে নিন।
– একটি প্যানে মৌরি, কালো সরিষা, শুকনো মরিচ, কালো জিরা, পাঁচফোড়ন একসাথে দিয়ে টেলে নিন। তারপর নামিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিন।
– মসলা তৈরি হয়ে গেলে তাতে রসুন বাটা ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। সাদা ভিনেগার দিয়ে দিন। তারপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন।
– একটি হাড়িতে এক কাপের মতো সরিষার তেল নিয়ে তাতে মশলার মিশ্রণটি দিয়ে নিন। তারপর নাগা মরিচের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। এবার এটিকে ১০ মিনিটের মতো কষিয়ে নিন।
– এবার এতে আমগুলো দিয়ে দিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর এতে চিনি দিয়ে দিন।
– চুলার আঁচ মিডিয়াম রেখে আঁচার জ্বাল দিতে হবে ৪০ মিনিটের মতো। এই সময়ে আম থেকে যে পানিটুকু বের হবে তাতেই আম সিদ্ধ হয়ে যাবে। এক্সট্রা কোন পানি দিতে হবে না।
– ৪০-৫০ মিনিট পর যখন দেখবেন আম সিদ্ধ হয়ে গেছে তখন নিজের স্বাদমত লবণ-চিনি দিতে পারেন আরও। দিয়ে আরেকটু জ্বাল দিয়ে নিবেন।
– এবার কাঠি দিয়ে কিছু আমের টুকরো ভেঙ্গে দিন। এতে আমের টুকরোগুলোর ভেতর আঁচারের ফ্লেভার আরও ভালোমতো ঢুকবে।
দেখলেন তো কত সহজে আমের ঝাল আচার বানানো যায়। তাহলে ট্রাই করে ফেলুন!
লিখেছেন- তাহসিন তারান্নুম