হেয়ার ব্লীচিং - Shajgoj

হেয়ার ব্লীচিং

hb

চুলের রং, তরুণ-তরুণীদের ভীষণ পছন্দের একটা কাজ। তারা প্রায়-ই চুলের রঙ পরিবর্তনে ব্যস্ত থাকে। অনেকের কাছে তো চুলে রঙ করা নিত্ত-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারা চুল কাট করানোর চেয়ে বরং কালার করে বেশি। পার্লারে কয়েকটি চুল হাইলাইট করতেই গুণতে হয় বেমালুম টাকা, পুরো চুলের কথা নাই ভাবলাম। তাও আমরা সবাই পার্লারে ছুটতেই বেশি পছন্দ করি, কেননা বাড়িতে কালার করার সময় ব্লিচিং না করার কারণে অনেকের চুলেই কালার ঠিক ভাবে বসে না আর সেজন্য কালার থাকেও না বেশি দিন। তাই বলে কি প্রতিবারই পার্লারে গিয়ে কালার করবেন চুলে?? অবশ্যই না, চলুন জেনে নেই কেমন করে ঘরে বসে সেরে নেবেন ব্লীচিং এর কাজটি।

নিম্নোক্ত কয়েক ধাপে ব্লীচিং প্রক্রিয়াটি চলতে পারে-

Sale • Color Protection, Hair Color, Conditioner

    প্রথম ধাপঃ

    ব্লীচ শুরুর আগেই খেয়াল করুন আপনার চুল গুলো সুস্থ কি না। মানে হল খুব কাছাকাছি সময়ে চুলে কোন রকম ডাই, কালার, কেমিকেল, হেয়ার স্প্রে বা কোন রকম মেশিন যেমন- আয়রন, ড্রায়ার কিংবা রোলার ও ব্যবহার না করা হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো। চুলকে আরো বেশি সুস্থ করার জন্য নিচের কাজ গুলো করতে পারেন-

    • ভালো কোম্পানির শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

    • অধিক কেমিকেল যুক্ত হেয়ার জেল, মুজ বা সেরাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

    • খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।

    • প্রয়োজনের অতিরিক্ত হেয়ার ড্রায়ার, কার্লার, ব্লো-ড্রায়ার বা আয়রন মেশিন ব্যবহার করবেন না।

    দ্বিতীয় ধাপঃ

    এবার পালা ব্লীচিং এর প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র যোগাড় করার। হেয়ার ব্লীচিং এর জন্য যা যা লাগবে-

    • ব্লীচ পাউডার,

    • ক্রীম ডেভেলপার,

    • টোনার,

    • রেড গোল্ড কারেক্টর,

    • নিউট্রাল প্রোটিন ফাইলার,

    • স্পেশাল শ্যম্পু,, টিন্ট ব্রাশ, বাটি ও শাওয়ার ক্যাপ

    এখানে বলে রাখা ভালো যে, এ সব উইপকরণই আপনি পাবেন গাউসিয়া বা চাঁদনি চকের কসমেটিকসের দোকান গুলোতে। সেখানে গিয়ে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত উপাদানগুলো। তাছাড়া আলমাস, আগোরা, নন্দন, মীনা বাজারের মত সুপারশপ গুলোতে কিনতে পাবেন এ সব প্রোডাক্ট। দর-দাম নির্ভর করবে আকার ও কোম্পানীর উপর।

    এবার আসুন ব্লীচিং এর আসল ধাপে প্রবেশ করা যাক-

    ০১. খোলামেলা এবং আলো-বাতাস পূ্র্ণ রুম বেছে নিন। সব গুলো জিনিস এক জায়গায় রাখুন, যেন খুঁজতে না হয় এবং হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। এতে আপনার সময় ও কাজ দুটোই কমবে ।

    ০২. এবার সব উপকরণ একত্রিত করার পালা। প্রথমে বাটিতে ব্লীচ পাঊডার নিন, এবার সঠিক মাপে ডেভেলপার মেশান। প্যাকের নির্দেশনা অনুযায়ী গোল্ড কারেক্টর মিলিয়ে নিন। এবার প্লাস্টিকের চামচের সাহায্যে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিক্সচারটি দেখতে নীলাভ সাদা হওয়া চাই, তবেই বুঝবেন আপনি ঠিক মতই এগুচ্ছেন। চাইলে হাতে গ্লাভস পরে নিতে পারেন, যেন কেমিকেলে হাতের কোন ক্ষতি না হয়।

    ০৩. এবার ব্রাশের সাহায্যে সম্পূর্ণ চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন চুল যেন অবশ্যই শুকনো হয়। সুন্দরভাবে সমস্ত চুলে মিশ্রিণটি লাগিয়ে নিন, গোড়া থেকে আগা অবধি। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন কিছুতেই আপনার মাথার তালু, মুখমন্ডল বা হাতে না লাগে। লাগা মাত্রই তা তোয়ালের সাহায্যে মুছে নেবেন।

    ০৪. এবার শাওয়ার ক্যপের সাহায্যে পুরো মাথা মুড়ে রাখুন। মনে রাখবেন, যত বেশি সময় ধরে আপনি এ কাজটি করবেন আপনার চুল তত হালকা রঙের হয়ে উঠবে। ১৫ মিনিট হয়ে গেলে ক্যাপ একটু সরিয়ে দেখে নিন চুলের আগের চেয়ে কতটা হালকা হল; খুব বেশি গাঢ় বা কালচে দেখালে আগের নিয়মে ঐ রকম মিশ্রণ তৈরি করে পুনরায় একই ভাবে ব্যবহার করুন। এবার আরো ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এটি মাথায় রাখবেন না। যদি এমন ভাবে থাকাতে মাথায় কোন রকম যন্ত্রণা অনুভব করেন তবে সাথে সাথে মাথা ধুয়ে ফেলবেন।

    ০৫. এবার ধুয়ে ফেলার পালা। ২৫-৩০ মিনিট হয়ে আসলে শ্যাম্পু দিয়ে সমস্ত চুল ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে ব্লীচের জন্য যেসব শ্যাম্পু পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করুন। ভালো কসমেটিকসের দোকানেই পাবেন এমন শ্যাম্পু।

    ০৬. এখন তোয়ালে দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন, অথবা লো হিট এ হেয়ার ড্রায়ার ও ব্যবহার করতে পারেন।

    ০৭. শুকানোর পর দেখবেন আপনার চুল সোনালি রঙা হয়ে গিয়েছে, তারপরেও যদি আপনি আরো সাদাটে করতে চান তবে টোনার ব্যবহার করতে হবে।

    সেজন্য-

    একটি বাটিতে এক ভাগ টোনার এর সাথে দুই ভাগ ডেভেলপার মেশান। বোতলের গায়ে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী রেড গোল্ড কারেক্টর মিলিয়ে নিন।

    এবার আবারো আগের নিয়মেই ব্রাশের সাহায্যে পুরো চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০-৩০ মিনিটের মত (আপনার যেটি ব্যবহার করবেন যেটার গায়ে লেখা সময় অনুযায়ী অপেক্ষা করা ভালো)।

    সব শেষে আগের সেই শ্যাম্পু দিয়ে সমস্ত চুল ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যেন সব চুল থেকে ব্লিচের কেমিকেল ভালো ভাবে দূর হয়।

    ০৮. এবার একটা ডিপ কন্ডিশনার দিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে নিন এবং আগের নিয়মেই শুকিয়ে নিন। এবার আয়নায় তাকালে আপনি নিজেই মুগ্ধ ও চমকপ্রদ হবেন আপনার জেল্লাদার চুল দেখে। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনায় আজ এ পর্যন্তই। বাড়িতে চেষ্টা করে জানাতে ভুলবেন না যেন। ভালো থাকুন।

    লিখেছেনঃ রোজা স্বর্ণা

    ছবিঃ বিউটিকুইন্সকস্মেটিক্স.কম

    11 I like it
    2 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort