টিন এইজে অনেকেরই বয়স অনুযায়ী সাজটা কেমন হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকে না। ফলে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তাই আজকে এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দেয়া হল।
প্রথমে পোশাক নির্বাচন প্রসঙ্গে আসি। ১৬-১৭ বছর বয়সে নিজেকে বড় ভাবার প্রবণতা মাঝেমধ্যে হয়েই থাকে। দেশীয় অনুষ্ঠান বা জমকালো নিমন্ত্রণে এ জন্য শাড়ি পরার ভাবনাটা আসতেই পারে। শাড়ির ক্ষেত্রে এ বয়সটা একটু অপরিপক্ব। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সালোয়ার-কামিজই জয়ী। চুড়িদারের সঙ্গে কলির ছাঁটে অথবা হাঁটু পর্যন্ত কামিজগুলোই বেশি মানানসই। এ ছাড়া শর্ট কামিজের সঙ্গে ধুতি সালোয়ার কৈশোরের উচ্ছলতার সঙ্গেই তাল মেলাবে।
[picture]
প্রসাধনীর প্রতি আগ্রহটা বাড়তে থাকে এভাবেই এ বয়স থেকে। তবে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে হালকা প্রসাধনীর ছোঁয়া দেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এখনকার প্রসাধনীর ব্যবহারটা হচ্ছে হালকা। প্রথমে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে কোন একটি ক্রিম লাগিয়ে নিবেন। কিছুক্ষণ পর গায়ের রঙের চেয়ে এক শেড হালকা ফেস পাওডার বুলিয়ে নেবেন ত্বকে। চোখে একটু মোটা করে কাজল লাগালে ভালো লাগবে। আই শ্যাডো লাগালে তা খুব হালকা রঙ হওয়ায় খুব একটা ভালো হয় না। আর আই শ্যাডো না লাগিয়ে চোখে গাঢ় করে কাজল,মাশকারা এবং আই লাইনার লাগালেই অনেক সুন্দর দেখাবে। ঠোঁটে লিপস্টিক না লাগিয়ে হালকা কোন রঙের গ্লস লাগালেই সাজটি কমপ্লিট হবে। ব্লাসন বা চকচকা কোন প্রসাধনী এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
এরপর আসি চুলের প্রসঙ্গে। অনুষ্ঠান ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে চুলের স্টাইলটা করতে হবে। এই বয়সের সঙ্গে খুব ভারিক্কি স্টাইল কখনোই মানাবে না। সে ক্ষেত্রে খোঁপা না করাই ভালো, বরং পনিটেল করা যেতে পারে। চুলটাকে একটু কোঁকড়া করে খোলা রাখা যায়। চুলে ব্যাংসের স্টাইলও মন্দ লাগবে না একেবারে।
এক পায়ে নুপূর বা আংটি পরা যেতে পারে। কানে ছোট দুল, হাতে একটা বড় বালাই এ বয়সের উপযোগী। খুব বেশি অলংকার ব্যবহারের জন্য কৈশোরটা মোটেও উপযুক্ত নয়।
পাশ্চাত্য আদলের পোশাকগুলোর সঙ্গে ক্লোজ জুতো, ফ্ল্যাট বা ব্যালেরিনা জুতোগুলোই মানানসই। দেশীয় পোশাকে নাগরা, দুই ফিতাওয়ালা, ছোট একটু হিল দেওয়া স্যান্ডেলগুলোই ভালো ছন্দ মেলাবে বলে আমার মনে হয়। সঙ্গে একটি রিস্ট পার্স বা ক্লাচ ব্যাগে হয়ে উঠুন ফ্যাশনেবল কিশোরী।
কৈশোরে ত্বকের যত্ন হলো ত্বক পরিষ্কার রাখা। দিনে দুবার ক্লিনজার দিয়ে মুখ নিয়মিত ধোয়া উচিত। সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার না করাই ভালো। পানির পরিমাণ বেশি এমন একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। মুখ, গলা ও হাতে ভালো ভাবে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বক প্রায় প্রতিদিন স্ক্রাব দ্বারা পরিষ্কার রাখতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের কষ্ট একটু কম হবে এ ক্ষেত্রে। সপ্তাহে এক দিন ধুলেই হবে। কৈশোরের এ বয়সটি থেকেই ম্যানিকিওর পেডিকিওর নিয়মিত করানো উচিত । তবে ফেসিয়াল নয়।
হাসতে ভুলে যান নি তো? মনে করে দেখুনতো কবে মন খুলে হেসেছেন? জানেন তো হাসি শ্রেষ্ঠ ওষুধ। মনে রাখবেন সমবয়সী হলেও যারা সারাক্ষণ গম্ভীর মুডে থাকে তাদের চেয়ে হাসিখুশি থাকাদের দেখতে অনেক ছোট লাগে।
ছবি – প্রোজেক্টইন্সপায়ার্ড ডট কম
লিখেছেন – রোজেন