ঘরে খানিক দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা করতে চান যারা, বাতি নিজের হাতে বানিয়ে নেবেন বলে কি কখনো ভেবেছেন? হাতে তৈরি করা যায় এমন নানা রকম বাতি রয়েছে যা আপনার ঘরে কেবল আলোই দেবে না, ঘর সাজানোর দারুণ এক অনুষঙ্গ হিসেবেও কাজে আসবে। তেমনই এক ধরণের বাতির সাথে পরিচিত হয়ে নিন তবে, আর সময় সুযোগ হলে বানিয়েও ফেলুন। আমার ঘরেই আছে কিনা, বন্ধুর বানিয়ে দেয়া উপহার। আইডিয়া শেয়ার করছি সেখান থেকেই। খুব সামান্য কিছু উপকরণেই চমৎকার বাতি তৈরির বুদ্ধি মিলবে এই লেখায়।
আমি নাম দিয়েছি রেশমি গোলক বাতি। থ্রেডল্যাম্প নামে পরিচিত। রেশমি সুতা, আঠা, বেলুন এবং বৈদ্যুতিক বাতি, তার ও প্লাগ, এসব দিয়ে তৈরি করতে পারেন এই বাতি। যেহেতু বৈদ্যুতিক বাতি, যখন খুশি জ্বালাতে পারবেন, ঘরে মৃদু আলো করে রাখতে চাইলে তাই এই ল্যাম্পেই কাজ চলে যাবে বেশ। রেশমি-গোলক বাতি তৈরি করার ধাপগুলো দেখে নেয়া যাক তবে।
উপকরণ
(১) রেশমি সুতা- গোলক হিসেবে কিনতে পাওয়া যায়।
(২) বেলুন- যে মাপের ল্যাম্প বানাতে চাচ্ছেন সে মাপে বেলুন ফুলিয়ে নিতে হবে।
(৩) আঠা- ফেভিকল পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
(৪) লাইট- লাইট হোল্ডার, তার, প্লাগ ইত্যাদি।
প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে আঠা গুলিয়ে নিন, এক কাপের মতো পানি নিলে এক চামচ আঠা মেশানো যায় তাতে। আঠা গুলিয়ে নিয়ে তারপর সুতার গোলক ছাড়িয়ে বাটিতে ফেলতে থাকুন, সুতায় আঠা লাগতে দিন ঠিক মতো।
নিচের ছবির মতো সুতা পানিতে ফেলে আঠা লাগিয়ে তারপর বেলুনে পেঁচাতে থাকুন। যতটা সম্ভব ঘন করে সুতা বেলুনে পেঁচানো লাগবে যাতে বাতিটা খুব ঠুনকো না হয়।
চাইলে বেলুনের পুরো আয়তন জুড়ে সুতা পেঁচাতে পারেন, তাহলে শুকিয়ে গেলে উপরের দিকে একটু অংশ কেটে নিতে হবে বাতি বসানোর জন্য। তা না করতে চাইলে বেলুনের উপরের খানিকটা অংশ বাদ রেখেই সুতা পেঁচানো লাগবে।
সুতা পেঁচানো হয়ে গেলে জিনিসটা শুকোতে দিন। সুতা শক্ত হয়ে এলে তবে পিনের সাহায্যে বেলুন ফুটো করে সুতার জালের ফোঁকর গলিয়ে বেলুন বের করে আনুন। এবার রেশমি গোলকটি তৈরি বাতি লাগানোর জন্য।
গোলকের কাটা অংশ দিয়ে ভেতরে হোল্ডারসহ লাইটটি বসাতে হবে। হোল্ডারে সুতা পেঁচায় সেটা ভালো মতো সেট করা যায় গোলকের সাথে, চাইলে স্কচটেপের ব্যবহার করাও চলে।
এটাই আপনার কাজের শেষ ধাপ। লাইট বসানো হয়ে গেলেই ঘরে সুবিধা মতো দেয়ালে ঝুলিয়ে দিন আপনার শখের রেশমি গোলক বাতি!
ছবি – ইন্সট্রাক্ট্যাবল ডট কম, দি ডিজাইন ডট কম, পেজ ডট ব্লগ স্পষ্ট ডট কম, হোমডিট ডট কম
লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব