যে সকল ফল প্রাকৃতিক ভাবে মেদ কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে আপেল, ব্লু-বেরি, তরমুজ, কমলা,আঙ্গুর, লেবু, পেঁপে, মাল্টা এবং টমেটো অন্যতম। এ সবগুলোই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যাদের আছে মেদ কমানোর ক্ষমতা।
আপেলে রয়েছে পেক্টিন ( pectin) নামক উপাদান যা কোষকে চর্বি বা মেদ শোষণে বাঁধা দেয়।বেশীরভাগ ফলের মত আপেলও একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে মেটাবলিক সিন্ড্রম (metabolic syndrome) নামক রোগ প্রতিরোধ করে। সাধারণত মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগটি শরীরের অতিরিক্ত মেদের কারণে হয়ে থাকে।
অনেক ধরণের সবজির ও মশলার মধ্যেও আছে মেদ কমানোর গুণাগুণ। যেমন- অ্যাস্পারাগাস, বিটমুল, ব্রকলি, বাধাকপি, গাজর, সীম, সয়াবিন । আর মসলার মধ্যে আছে মরিচ, কারিপাতা, রসুন, এলাচ ইত্যাদি।
যেসব খাবারে মরিচ থাকে সেসব খাবার মেদ কমাতে সাহায্য করে। মরিচে রয়েছে ক্যাপ্সাইসিন (capsaicin) যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ক্যাপ্সাইসিন একটি থার্মোজেনিক এজেন্ট রয়েছে যা তাপ তৈরিতে সাহায্য করে। এটি খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পর থেকেই শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ভাঙতে সাহায্য করে।
রসুনে আছে এলিসিন (allicin) যা কোস্ট্রল কমাতে সাহায্য করে। এলাচও একটি থার্মোজেনিক এজেন্ট যা মেদকে ভেঙে দেয়।
দুগ্ধজাত সামগ্রীর মধ্যে দুধ, টকদই অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবারে পেটের মেদ কমে। আমিষ জাতীয় খাবার যেমন ডাল, বিনস ইত্যাদি খাবার হজম করতে আমাদের শরীরের বেশী শক্তি ব্যয় হয় তাই যত খুশি তত কম ক্যালোরিযুক্ত বিনস খাওয়া যেতে পারে।
গ্রিন টি হজমে সাহায্য করার সাথে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি তে ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। মাছের তেল ও মধু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত লবন ও চিনি এড়িয়ে চলুন। পরিমিত খাবার খান। বেশী করে পানি পান করুন।