এখনও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই রেইজার ব্যবহার করেন। অনেকেই ওয়্যাক্সিংয়ের পেইন সহ্য করতে পারেন না। তাছাড়া শেইভ করা, ওয়্যাক্সিং বা লেজার ট্রিটমেন্টের চেয়ে অনেক বেশি সাশ্রয়ী। কিন্তু শেইভ করলে লোম তো দূর হয় কিন্তু ত্বক হারিয়ে ফেলে তার স্মুথনেস ও সফট ভাব। হয়ে উঠে আরো শুষ্ক। তাছাড়া কাঁটা-ছেড়া ও রেইজার বার্নের সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।
এখন এই সমস্যাগুলো ছাড়াই যদি শেইভ করে কম খরচে অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায় তাহলে কেমন হয়? কিছু নিয়ম মেনে যদি আপনি শেইভ করেন তাহলে আপনার ত্বক থাকবে সফট এবং কোন রকম সমস্যাও আপনাকে ফেইস করতে হবে না।
[picture]
(১) এক্সফোলিয়েশন
শেইভ করার আগে অবশ্যই এক্সফোলিয়েট করে নিতে হবে। ত্বকে যখন ডেড সেল থাকবে তখন রেইজার ইউজ করলে কেটে-ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই শেইভ করার আগে অবশ্যই স্ক্রাবিং করে নিবেন। এতে আপনার ত্বকের ডেড সেল দূর হবে যা স্মুথ শেভিং দিবে।
(২) শেভিং ক্রিম
শুষ্ক ত্বকে কখনো রেইজার ব্যবহার করবেন না। তাছাড়া মেয়েদের শেভিং ক্রিম ইউজ করার খুব একটা দরকার হয় না। তাই শেভিং ক্রিম কিনে টাকা নষ্ট না করে শেভিং ক্রিম হিসেবে বেবি অয়েল ব্যবহার করুন। চাইলে অলিভ অয়েল ও ব্যবহার করতে পারেন। দেখবেন শেইভ করার পর আপনার পায়ের স্মুথনেস একটুও কমেনি বরং আগের চেয়ে আরো বেড়েছে। আরেকটু দামী কিছু চাইলে আপনার হেয়ার কন্ডিশনারও শেভিং ক্রিমের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে। কিন্তু শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পু ত্বককে আরো শুষ্ক করে ফেলে।
(৩) রেইজারের খুটিনাটি
আপনার শেভিংয়ের রেইজারটি অবশ্যই আলাদা রাখুন। ছেলেদের রেইজার ব্যবহার না করা ভাল। কারণ মেয়েদের লোম ছেলেদের তুলনায় পাতলা হয়। তাছাড়া ব্লেইড থেকে নানা রকম রোগ ছড়ায় এটি আমরা সবাই জানি। রেইজারটি প্রতিদিন ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে রাখতে ভুলবেন না। আর অবশ্যই নতুন ব্লেইড ব্যবহার করবেন।
(৪) যেভাবে শেইভ করবেন
যেহেতু আপনার পায়ের লোম নিচের দিকে বেড়ে উঠে তাই পা শেইভ করার সময় পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করবেন। কিন্তু আন্ডারআর্ম শেইভ করার সময় আপনি যেকোন ডিরেকশনে শেইভ করতে পারবেন। সবচেয়ে ভাল শেইভ পাওয়ার জন্য একবার হেয়ার গ্রোথের বিপরীত দিকে শেইভ করার পর আবার হেয়ার গ্রোথ ডিরেকশনেই শেইভ করুন। তাহলে নতুন করে লোম উঠার সময় সুন্দরভাবে উঠবে।
(৫) ময়েশ্চারাইজিং
শেভিং শেষে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তাই যেকোন ভালো ময়েশ্চারাইজার বা অয়েল দিয়ে শেইভ করা জায়গা ময়েশ্চারাইজ করে নিন। আমি যা করি গোসল ও শেইভের পর অল্প এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল নিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে নিই। এরপর অতিরিক্ত তেল টাওয়েল দিয়ে আলতোভাবে মুছে নিই। আপনিও চাইলে এই নিয়ম ফলো করতে পারেন।
(৬) রেইজার বার্ন কীভাবে দূর করবেন
পুরনো ব্লেইড বা রেইজার দিয়ে শেইভ করলে হাতে পায়ে ছোট ছোট লাল লাল দাগ দেখা দেয়। এগুলোকে রেইজার বার্ন বলা হয়। শেভিংয়ের পর আইস ঘষে নিন। আর রেইজার বার্ন থেকে বাঁচতে হলে কিছু টিপস মেনে চলুন। আপনার রেইজারটি ওয়াশরুমে রেখে দিবেন না। হিউমিডিটির কারণে এতে ব্যাক্টেরিয়ার গ্রোথ হয়। ২-৩ বার ব্যবহারের পর ব্লেইড ফেলে নতুন ব্লেইড নিন।
শেভিংয়ের ২টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো শেইভ করার সময় সাবান ব্যবহার করবেন না। সাবান আপনার ত্বককে খসখসে করে ফেলে। আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখবেন তা হলো শেইভ করবেন সবসময় গোসলের শেষে। আশা করি আজকের নিয়মগুলো মেনে শেইভ করলে আপনার শেভিংয়ের সমস্যার সমাধান আপনি পেয়ে যাবেন।
ছবি – বেষ্টবিউটিইনফো ডট কম, পিন্টারেস্ট ডট কম, এক্সফোটোলিয়া ডট কম
লিখেছেন – শাবনাজ বেনজীর