স্ক্রাবিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা মৃতকোষ দূর করে ত্বক সজীব রাখে। ত্বকের সার্বিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। স্ক্রাবিং করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম আছে। সেসব নিয়ম না মেনে যাচ্ছেতাইভাবে স্ক্রাব ব্যবহার করে গেলে ত্বকের উল্টো ক্ষতিই হবে, ভালো কোন ফল আসবে না।
কতোদিনে কতোবার স্ক্রাব করা যাবে?
মাইল্ড কিছু স্ক্রাব প্রতিদিনই ব্যবহার করা যাবে বলে পণ্যের গায়ে লেখা থাকে। তবে কিনা, স্ক্রাব জিনিষটাই একটু কঠিন। তাই মাইল্ড বলা হলেও তাকে ব্যবহার করার বেলায় একটু খেয়াল রাখা লাগবে। প্রতিদিন স্ক্রাবিং না করে বরং সপ্তাহে দুই-তিন দিন করা যায় ।মনে রাখবেন, মৃতকোষের উপস্থিতি কম লাগলে এমন হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করা ভালো। খুব বেশি মৃতকোষ থাকলে হার্ড স্ক্রাব ব্যবহার করা যাবে, তা সপ্তাহে দুইদিনের মতো করা উচিত। এর বেশি কখনোই নয়।
[picture]
স্ক্রাবিং হবে কী উপায়ে?
হার্ড স্ক্রাব, যেগুলো কিনা খুব শক্ত দানাদার হয় সেগুলো কখনোই সরাসরি ত্বকে লাগানো যাবে না। পানির সাথে মিশিয়ে সেটা ত্বকে ব্যবহার করা লাগবে। আধা মিনিটের আলতো মাসাজ যথেষ্ট স্ক্রাবিং করতে। এর বেশি সময় না নেয়াই ভালো, ত্বকে বেশি মৃতকোষ থাকলেও না।
যেমন ত্বকে স্ক্রাব লাগানো মানা-
ত্বকে পিম্পল বা র্যাশ থাকলে স্ক্রাবিং করা নিষেধ, একেবারেই করা যাবে না। অনেকেই এমন অবস্থাতেও স্ক্রাব ব্যবহার করে থাকেন তবে করাটা অনুচিত। কেননা স্ক্রাব আপনার ত্বকের আরো বারোটা বাজাবে এই সময়ে। পিম্পল বা র্যাশকে আরো ছড়িয়ে দেবে যদি সেগুলিকে স্ক্রাব করতে যান, যাতে ত্বকের অন্য জায়গাও আক্রান্ত হবে।
প্রাকৃতিক স্ক্রাবিং উপাদান-
প্রকৃতিতে অনেক উপাদান আছে যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করে সজীবতা এনে দেয়। বাজারজাত প্রসাধনে ভরসা না থাকলে বা প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বকের যত্ন নিতে বেশি স্বচ্ছন্দ হলে এসব উপাদান বেছে নিতে পারেন নিজের সুবিধা বা দরকার মতন।
- চিনি
- চালের গুঁড়ো
- ওটমিল
- আমন্ড গুঁড়ো
- লেবু
- পেঁপে
- অ্যাভোকাডো
এগুলির একেকটির সাথে প্রয়োজনীয় অন্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহারের উপযোগী স্ক্রাব বানাতে হবে। যেমন চিনির সাথে মেশাতে পারেন লেবুর রস, কিংবা মধু, চাইলে আবার এই দুটি এক মিশ্রণে নিয়ে আসা যায়।গুঁড়ো জাতীয় উপাদানগুলি শুধুই লাগাতে পারেন ত্বকে, পানি মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে কেবল। আবার অন্য উপাদানের সাথেও মিলিয়ে তবে ব্যবহার করা যাবে। একটু সময় নিয়ে ত্বকচর্চা করতে পারলে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নেয়াই ভালো।
ছবি – টিপসফরগর্জিয়াসওমেন.কম
লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব