চেহারার সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে চোখের উপর। কিন্তু প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততায় চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল বেশ ভিজিবল হয়ে থাকে। আবার আই পাফিনেসের কারণে ফেইসে যত কিছুই অ্যাপ্লাই করা হোক না কেন দেখতে ভালো লাগে না। চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এর আশেপাশের এরিয়ারও। চোখের যত্নে সেরা ৫টি আই ক্রিম সম্পর্কে জানাবো আজকে। এখান থেকে আপনি বাজেট ও কনসার্ন অনুযায়ী আপনারটি বেছে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
চোখের যত্নে সেরা ৫টি আই ক্রিম
The Body Shop Vitamin E Eye Cream
সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দেখতে আমাদের কারোরই ভালো লাগে না। আবার প্রতিদিনের পল্যুশন, স্ট্রেসফুল লাইফ সব মিলিয়ে দেখা দেয় ফাইন লাইনসের সমস্যা। এই প্রবলেমগুলো ফেইসে বেশি ভিজিবল হতে থাকে বলে দিন দিন চেহারা হয়ে ওঠে ডাল। তাই আন্ডার আই ক্রিম হিসেবে চাই এমন কোনো প্রোডাক্ট যেটি অল্প সময়েই এই সমস্যাগুলো কমিয়ে আনবে। ডার্ক সার্কেল ও ফাইন লাইনসের প্রবলেম রিমুভ করার জন্য বেস্ট একটি প্রোডাক্ট হতে পারে The Body Shop Vitamin E Eye Cream। এতে ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসেবে আছে ভিটামিন ই, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য স্কিন নারিশিং ইনগ্রেডিয়েন্ট।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অল্প পরিমাণ ক্রিম আঙুলে লাগিয়ে চোখের নিচে অ্যাপ্লাই করে জেন্টলি ম্যাসাজ করে নিন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চোখের নিচের পাফিনেস কমে আসবে। আই ক্রিমটি ১৫ মি.লি. এর টিউবে পাওয়া যাচ্ছে। হাই এন্ড রেঞ্জের এই প্রোডাক্টটি অল টাইপ স্কিনের জন্য স্যুইটেবল।
Simple Kind To Eyes Soothing Eye Balm
আমাদের অনেকেরই চোখের নিচের অংশটি বেশ ফুলে থাকে। এই আই পাফিনেস কমানোর জন্য ইউজ করতে পারেন Simple Kind To Eyes Soothing Eye Balm। মাল্টি ভিটামিনস এবং স্কিনের জন্য বেনিফিসিয়াল বেশ কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে এতে। এই ক্রিমে কোনো ধরনের আর্টিফিশিয়াল কালার, পারফিউম বা হার্শ কেমিক্যাল ইউজ করা হয়নি। তাই স্কিন থাকে একদম সেইফ। সব ধরনের স্কিনে এমনকি সেনসিটিভ স্কিনেও এটি ইউজ করা যাবে। এই আই ক্রিমটি নন-কমেডোজেনিক, হাইপোঅ্যালার্জেনিক ও ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড। রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারপাশে ক্রিম জেন্টলি ম্যাসাজ করে নিন। খেয়াল রাখবেন ক্রিম যেন চোখের ভেতর না যায়। অন্যান্য আই ক্রিমের তুলনায় ১৫ মি.লি. এর ক্রিমটির প্রাইস বেশ রিজনেবল। সবুজ ও সাদা রঙের প্যাকেজিংটিও বেশ আই ক্যাচি।
3W Clinic Rose Eye Cream Anti Wrinkle
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব অথবা স্ট্রেসের রেজাল্ট সবার আগে বোঝা যায় চোখের নিচে। কারণ এসব প্রবলেমের কারণে আন্ডার আই রিংকেল বেশি ভিজিবল হয়। 3W Clinic Rose Eye Cream Anti Wrinkle এ আছে রোজ পেটাল এক্সট্র্যাক্ট, যা স্পেশালি কাজ করে আন্ডার আই রিংকেলস রিডিউস করতে। এটি স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে এবং স্কিনে থাকা পানির পরিমাণ ব্যালান্স করে। রেগুলার এই ক্রিম ব্যবহারে পিগমেন্টেশন, ক্রিজ ও রিংকেলের সমস্যা কমে আসে। স্কিনকে সফট ও নারিশড রাখে বলে এজিং প্রসেস ডিলে হয়। ৪০ মি.লি. এর এই আই ক্রিমটির প্রাইস বেশ রিজনেবল। পিংক রোজ পেটালের সাথে ম্যাচ করে তৈরি করা এই আই ক্রিমটির প্যাকেজিং দেখতে বেশ সুন্দর।
Koelcia Make It Whitening Honey Eye Cream
হানি ও প্রপোলিস এক্সট্র্যাক্টকে বলা হয় ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট। একইসাথে এই ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো স্কিন ব্রাইট করতেও হেল্প করে। বেনিফিসিয়াল এই ইনগ্রেডিয়েন্ট দুটো রয়েছে Koelcia Make It Whitening Honey Eye Cream এ। যার কারণে ক্রিমটি ব্যবহারে আই এরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাইট। একইসাথে আই ক্রিমটি স্কিন টোন ইভেন করতে হেল্প করে এবং স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়। এটি অল টাইপ স্কিনের জন্য স্যুইটেবল। ৪০ মি.লি. এর আই ক্রিমটির প্রাইসও রিজনেবল। হানি এক্সট্র্যাক্টের সাথে ম্যাচ করে এর প্যাকেজিংটিও বেশ সুন্দর।
3W Clinic Collagen Eye Cream
আমাদের আন্ডার আই প্রবলেম হওয়ার প্রধান কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে স্কিন ময়েশ্চারাইজড না থাকা। 3W Clinic Collagen Wye Creamটি স্কিনের ময়েশ্চার ব্যালান্স করতে বেশ হেল্প করে। এই আই ক্রিমে থাকা কোলাজেন রিংকেলস প্রিভেন্ট করে স্কিনকে স্মুথ রাখে। এতে থাকা হাইড্রোলাইজড কোলাজেন দেয় এনাফ নিউট্রিশন ও ময়েশ্চার। এই আই ক্রিমে আরও আছে পার্ল এক্সট্র্যাক্ট ও হারবাল ইনগ্রেডিয়েন্ট। ক্রিমটি স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রেখে চোখের চারপাশের থিন এরিয়াকে করে তোলে ব্রাইট ও রেডিয়েন্ট। ৪০ মি.লি. এর এই আই ক্রিমটির প্রাইস অন্যান্য আই ক্রিমের তুলনায় বেশ রিজনেবল। সব ধরনের স্কিনে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে এটি।
এই তো জানিয়ে দিলাম, চোখের যত্নে সেরা ৫টি আই ক্রিম সম্পর্কে। এখান থেকে বাজেট ও কনসার্ন অনুযায়ী আপনি বেছে নিন আপনারটি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অথেনটিক আই ক্রিমগুলো পেয়ে যাবেন সাজগোজে। এছাড়া অথেনটিক স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্টও সাজগোজ থেকে কিনতে পারেন। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।
ছবিঃ সাজগোজ