হেয়ার রিমুভালের প্রসেসগুলোর মধ্যে ওয়্যাক্সিং এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের অনেকেরই ওয়্যাক্সিং করার পর স্কিনে ইরিটেশন বা বার্নিং সেনসেশন হয়। এই সিচুয়েশন এড়াতে ওয়্যাক্সিং এর সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে, জানতে চান? বিগেইনার ওয়্যাক্সিং গাইডলাইন নিয়ে আজকের ফিচার। চলুন জেনে নেই তাহলে।
ওয়্যাক্সিং কী?
ওয়্যাক্সিং এমন একটি প্রসেস যেখানে বডির হেয়ার রুট থেকে টেনে রিমুভ করা হয়। অনেক বছর আগে প্রাচীন মিশরীয়রা ঘরে বানানো সুগার ওয়্যাক্স ব্যবহার করে তাদের বডি হেয়ার রিমুভ করতো। সেখান থেকেই এসেছে এই ওয়্যাক্সিংয়ের কনসেপ্ট। ওয়্যাক্সিং করলে প্রায় ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত হাত-পায়ের ত্বক স্মুথ ও হেয়ার ফ্রি থাকবে। কোল্ড কমপ্রেসড (স্ট্রিপস) অ্যাপ্লিকেশন সবচেয়ে সহজ আর এটা তেমন এক্সপেন্সিভ না। অনেকে হট ওয়্যাক্সিং করে থাকেন। ট্রিমিং বা রেজর ইউজ করলে ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন পাওয়া যায়, কিন্তু দেখা যায় যে ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হেয়ার আবার ব্যাক করে। তাই বডি হেয়ার রিমুভ করতে অনেকে ওয়্যাক্সিংটাই প্রিফার করেন।
বিগেইনার ওয়্যাক্সিং গাইডলাইন
যারা প্রথমবারের মতো এই প্রসেসে হেয়ার রিমুভ করতে চান, তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস থাকেন। চিন্তার কিছু নেই! এটা একদমই সেইফ। চলুন তাহলে জেনে নেই ওয়্যাক্সিং নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য।
কখন ওয়্যাক্সিং করা উচিত?
ওয়্যাক্সিং এর জন্য কিছু প্রিপারেশন নেওয়া ইম্পরট্যান্ট। যেকোনো অকেশনের ২-৩ দিন আগে ওয়্যাক্সিং করানো বেটার। কারণ ওয়্যাক্স করার পর হেয়ার ফলিকলস ওপেন থাকে। তাই ওয়্যাক্সিং এর পরের ২৪ ঘন্টা সানলাইট এর সামনে খুব বেশি না যাওয়া বা এক্সারসাইজ না করা বেটার। অফ ডে বা ছুটির দিনে এই কাজটা করে নিতে পারেন।
ওয়্যাক্সিং এর আগে স্কিন প্রিপেয়ারিং স্টেপস
১) ওয়্যাক্সিং এর আগে স্কিন এক্সফোলিয়েট করা খুব ইম্পরট্যান্ট। কিন্তু সবসময় মনে রাখবেন হার্শ বিডসযুক্ত স্ক্রাব স্কিনের ক্ষতি করতে পারে। তাই জেন্টল ফর্মুলার স্ক্রাব ইউজ করতে হবে, যেটা ত্বকের জন্য হবে একদম মাইল্ড। আর স্ক্রাবিং এর সময় স্কিন খুব জোরে জোরে রাব করা যাবে না। এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে ডেড স্কিন সেলস রিমুভ হয়, ফলে ওয়্যাক্সিং এর পর স্কিন অনেক বেশি স্মুথ থাকে।
২) রেগুলার বেসিসে স্কিন ময়েশ্চারাইজেশন তো মাস্ট। তারপরও ওয়্যাক্সিং এর কয়েকদিন আগে থেকে এবং ওয়্যাক্সিং এর দিনও স্কিন প্রোপারলি ময়েশ্চারাইজড করতে যেন ভুল না হয়! স্কিন ভালোমতো হাইড্রেটেড থাকলে ওয়্যাক্সিং প্রসেস ইজি হয়ে যাবে আর পেইন কম হবে। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশি থিক টেক্সচারের ময়েশ্চারাইজার ইউজ না করা বেটার। এতে কিন্তু ওয়্যাক্স করা টাফ হবে।
পোস্ট ওয়্যাক্সিং স্কিনকেয়ার স্টেপস
ওয়্যাক্স করা শেষ? ওয়েট! পোস্ট ওয়্যাক্সিং স্কিনকেয়ার কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। ওয়্যাক্সিং এর পর ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টা স্কিন অনেক বেশি সেনসিটিভ থাকে। এই টাইমে আমরা কিছু কেয়ার নিতে পারি যেটা আমাদের স্কিনকে ইরিটেশন ফ্রি রাখবে। চলুন এক এক করে জেনে নেই।
১) ওয়্যাক্সিং এর পরে আইস কিউব রাব করতে পারেন কয়েক সেকেন্ড এর জন্য। এতে স্কিনে কুলিং ও সুদিং ফিল পাবেন, বাম্পস বা ইরিটেশন হওয়ার চান্স থাকবে না।
২) ওয়্যাক্সিং এর পর পরই সুদিং জেল ইউজ করা মাস্ট। এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল হতে পারে গ্রেট অপশন। তবে অন্যান্য সুদিং জেলও ট্রাই করতে পারেন।
৩) এই সময় টাইট ফিটিং ড্রেস না পরে একটু লাইট, ব্রিথেবল ফেব্রিক চুজ করতে হবে যাতে কাপড় থেকে বডিতে কোনো ফ্রিকশন না হয়।
৪) ওয়্যাক্সিং এর পরে স্কিন যেহেতু একদম নাজুক থাকে, তাই এক্সফোলিয়েট করা উচিত হবে না। স্কিন তখনও সেনসিটিভ থাকে, একটু সময় দিন।
কোনো সাইড ইফেক্ট আছে কি?
ওয়্যাক্সিং এর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই, তবে যেই গাইডলাইনগুলো শেয়ার করলাম সেগুলো ফলো করলে আপনার ওয়্যাক্সিং এক্সপেরিয়েন্স পজেটিভ হবে। ওয়্যাক্সিং অনেকের কাছে একটু ঝামেলা মনে হলেও যারা কিছুদিন পর পর হেয়ার রিমুভ করার হ্যাসেল চান না, তাদের জন্য এটাই বেস্ট অপশন। সবার ত্বক এক ধরনের নয়। আপনার স্কিন যদি খুব বেশি সেনসিটিভ না হয়, তাহলে ওয়্যাক্সিং করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
এই ছিলো বিগেইনার ওয়্যাক্সিং গাইডলাইন। আশা করি আপনাদের কনফিউশনগুলো ক্লিয়ার করতে পেরেছি। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাটারস্টক, সাজগোজ