Shajgoj http://www.shajgoj.com "World's largest bengali beauty portal" Tue, 11 Jul 2017 16:39:14 +0000 en-US 1.2 http://www.shajgoj.com http://www.shajgoj.com 1adminmilky_cit@yahoo.com 3nazmulmeghladin@gmail.com 11tasiatasia.najin@gmail.com 10sabrinasabrina.t.sultana@gmail.com 259moriommanila0804@gmail.com 6Arifarif246@hotmail.com 8baishakhiktaniaiu@gmail.com 5sinthiasinthia_islam@yahoo.com 254farhadfarhad.rakib72@gmail.com 255nuzhatnuzhatfarhanajuthie@gmail.com 257rumanafardiayesmin@gmail.com 258Antorarehnumantora@gmail.com http://wordpress.org/?v=3.9.9 জেনে নিন, ফাউন্ডেশন নির্বাচনে স্কিন আন্ডারটোন নির্ধারণ করার কিছু ট্রিকস ! http://www.shajgoj.com/2017/05/25562/ Mon, 01 May 2017 05:25:03 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25562 মেকাপ করতে গেলে যে প্রোডাক্টটির কথা সবার আগে মনে পড়ে তা হলো ফাউন্ডেশন । ফাউন্ডেশন নিয়ে তো আমাদের কনফিউশনের শেষ নেই । বিশেষ করে যখন ফাউন্ডেশন কিনতে যাই । শেড নিয়ে সবাই-ই কমবেশী কনফিউশনে থাকে । তবে শেড ম্যাচ করার পাশাপাশি আর একটি বিষয় জানাও কিন্তু খুবই জরুরী । তা হলো স্কিনের আন্ডারটোন । 

তাহলে প্রথমেই জেনে নিই, স্কিন আন্ডারটোন জিনিসটা আসলে কী? আন্ডারটোন হলো আমাদের স্কিন শেডের ভেতরে থাকা অন্য আর একটি রঙ যা, আমাদের আসল স্কিনের রংয়ের উপরে একটা হালকা ছায়ার মতো ফেলে ।

আন্ডারটোন ৩ ধরণের হয় -

(১) ওয়ার্ম আন্ডারটোন (২) কুল আন্ডারটোন (৩) নিউট্রাল আন্ডারটোন

[picture]

ফাউন্ডেশন নির্বাচনে আন্ডারটোন কেন জরুরী ?

আমরা যখন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করি তখন প্রায়ই দেখা যায়, ফাউন্ডেশনটি লাগানোর পরই দেখতে কেমন গ্রে কালার লাগছে । আবার অনেক সময় অতিরিক্ত ইয়োলো / অরেঞ্জ কালারের মতো লাগে । এর কারণ হচ্ছে ভুল আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন । আপনার স্কিন ওয়ার্ম আন্ডারটোন হলে কুল টোনের ফাউন্ডেশন ব্যবহারে আপনাকে গ্রে দেখতে লাগবে । তাই সঠিক ফাউন্ডেশন নির্বাচনে আন্ডারটোন জানা খুবই জরুরী ।

কীভাবে নিজের আন্ডারটোন নির্ধারণ করবেন ?

  • আপনার হাতের কব্জির উল্টোদিকে খেয়াল করুন । সেই দিকটাতে সবারই শিরা/ধমনী খুব ভালোভাবে বোঝা যায় ।
  • আপনার শিরার রঙ এর দিকে খেয়াল করুন ।
  • আপনার শিরার রঙ যদি সবুজ হয়, তাহলে আপনার আন্ডারটোন ওয়ার্ম।

orig (2)

  • আপনার শিরার রঙ যদি হয় নীল/বেগুনী, তাহলে আপনার আন্ডারটোন কুল।

orig

  • আর যদি আপনার শিরার রঙ এই কালারগুলোর মধ্যে বোঝা না যায়, তবে আপনার আন্ডারটোন নিউট্রাল ।

orig (1)

এছাড়াও আপনার স্কিনে যদি সহজেই সানট্যান হয় তবে আপনি ওয়ার্ম অথবা নিউট্রাল আন্ডারটোনের । আর না হলে আপনি কুল আন্ডারটোনের । তাছাড়া আপনি আরো একটি পরীক্ষা করতে পারেন । এজন্যে সূর্যের আলোতে গিয়ে দেখতে হবে আপনাকে গোল্ডের গয়নায় বেশী মানায়, নাকি সিলভারের গয়নায় । যদি আপনাকে গোল্ডে বেশী মানায়, তবে আপনার ওয়ার্ম আন্ডারটোন । আর যেদিন সিলভারে বেশী মানায়, তবে আপনি কুল আন্ডারটোন ।

কীভাবে সিলেক্ট করবেন সঠিক আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন ?

- আপনি ওয়ার্ম আন্ডারটোন হলে, ফাউন্ডেশন কেনার সময় ফাউন্ডেশনের কালারে খেয়াল করে দেখুন, তাতে যদি যদি হালকা ইয়োলো/ গোল্ডেন/ অরেঞ্জ আভা দেখতে পান, তবে সেটিই ওয়ার্ম টোনের ফাউন্ডেশন, যা আপনার জন্যে সঠিক ।

- আপনি যদি কুল আন্ডারটোনের হন, তবে ফাউন্ডেশনের কালার খেয়াল করুন । যদিন তাতে হালকা পিংক/ ব্লু আভা দেখতে পান। তবে সেটি কুল টোনের ফাউন্ডেশন । যা আপনার জন্যে সঠিক।

- আর আপনি নিউট্রাল আন্ডারটোনের হলে, ফাউন্ডেশনের টোন আপনার জন্যে কিছুই ম্যাটার করবে না । আপনি যেটা ইচ্ছা সেটাই ব্যবহার করতে পারেন । সবই আপনাকে মোটামুটি স্যুট করবে । তবে, অনেক ব্রান্ডেরই নিউট্রাল আন্ডারটোনের ফাউন্ডেশন আছে । সেগুলোও কিনতে পারেন।

তবে একটা কথা বলে রাখি, ফাউন্ডেশন এর শেড এবং আন্ডারটোন কিন্তু এক জিনিস নয় । এই দুটি বিষয় অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন । তাই আগেই ক্লিয়ার করে দেই। শেড হলো আপনার স্কিনের আসল রঙ, আর আন্ডারটোন হলো আপনার আসল রঙের নিচে লুকিয়ে থাকা হালকা শ্যাডো/আভা । আর এই দুটো বিষয় খেয়াল রেখেই আসলে ফাউন্ডেশন কিনতে হয়।

CwdqgVlXgAAtlNB

এবার ফাউন্ডেশন কেনার পালা! সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপনাকে কোন শেডের ফাউন্ডেশন মানায় তা আগে থেকে জেনে থাকেন তবে স্যাফায়ার থেকে ঘরে বসেই অর্ডার করতে পারেন অন্যদিকে যারা জানতেন না তারা আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর স্কিন আন্ডারটোন এবং শেড সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে গেছেন। সাশ্রয়ী মূল্যে তিনটি আন্ডারটোনেই এল এ গার্লের দারুণ কিছু ফাউন্ডেশন পেয়ে যাবেন এখানে।  

ছবি - বিউটিলিশ ডট কম , স্টাইলক্রেজ ডট কম লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
25562 2017-05-01 11:25:03 2017-05-01 05:25:03 open open %e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
বিকেলের নাশতায় গরম গরম কিমা মোগলাই http://www.shajgoj.com/2017/05/25572/ Mon, 01 May 2017 06:10:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25572 ছুটির দিনটিকে একটু বেশি উপভোগ্য করে তুলতে পরিবারের সকলকে নিয়ে আড্ডার টেবিলে চায়ের পাশাপাশি রাখতে পারেন গরম গরম মজাদার কিমা মোগলাই। দেখে নিন, তৈরির পুরো প্রণালী।

খামিরের জন্য উপকরণ 

  • ময়দা - ১ কাপ
  • তেল - ২ চা চামচ
  • লবন - পরিমাণ মতো
  • পানি - পরিমাণ মতো 

ভিতরের পুরের জন্য উপকরণ 

  • ডিম - ২ টি
  • পেঁয়াজ কুঁচি - বড় ১ টি 
  • ধনেপাতা কুঁচি - পরিমাণ মতো 
  • কাঁচা মরিচ কুঁচি ৪টি
  • গরম মসলা গুঁড়া হাফ চা চামচ
  • চাট মসলা - হাফ চা চামচ
  • গোল মরিচ গুঁড়া সামান্য
  • তেল - পরিমাণ মতো
[picture]

কিমা তৈরির জন্য উপকরণ 

  • গরু/মুরগির মাংস ১/৪কাপ
  • আদা/রসুন বাটা সামান্য 
  • লবন
  • চাট মসল্লা

প্রণালী

- খামিরের জন্য ময়দা একটি বাটিতে নিয়ে তাতে লবন , তেল মিশিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গুলিয়ে নিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে ।

- কিমার জন্য কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে কিমা করা মাংস দিয়ে তাতে কিমার সব উপকরণ দিয়ে সিদ্ধ করে ভাজা-ভাজা করে ঠান্ডা করে নিতে হবে ।

- পুরের জন্য পেঁয়াজ কুঁচি , ধনেপাতা কুঁচি ,কাঁচা মরিচ কুঁচি এবং লবন দিয়ে একটু হাত দিয়ে মথে নরম করে নিয়ে তাতে পুরের সব মসলা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে । ডিম এবং কিমা মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিতে হবে ।

- ময়দা রুটির মতো পাতলা করে বেলে মাঝখানে পুর দিয়ে চারপাশ বন্ধ করে ডুবো তেলে মৃদু আঁচে ভেজে নিতে হবে ।

ছবি ও রেসিপি - নুসাইবা নিঝুম 

]]>
25572 2017-05-01 12:10:30 2017-05-01 06:10:30 open open %e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae-%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সাধারণ পোশাকে গর্জিয়াস লুক আনতে মিরর ওয়ার্ক! http://www.shajgoj.com/2017/05/25584/ Tue, 02 May 2017 04:24:44 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25584 পোশাকে একটু ভিন্নতা আনতে আমরা নতুন ডিজাইন খুঁজি , সমসময়ই একই রকমের পোশাক-আশাক পরতেও ভালো লাগে না । আবার গরমে গর্জিয়াস লুক আনতে মোটা কাপড় পরা কষ্টকর । আজকাল তাই নতুনভাবে চলছে মিরর ওয়ার্কের ড্রেস । পাশাপাশি এটা ছোট কটি, কুর্তি, ফতুয়া এমন কি শাড়িতেই চলছে এর প্রভাব । তাই এই গরমে সুতি কাপড়েই মিরর ওয়ার্ক করছেন তরুণীরা ।

[picture]

কীভাবে করবেন?

১. চাইলে ঘরে বসেই করতে পারেন এই কাজ । প্রথমে ডিজাইন নিজের মতো করে স্কেল আর পেন্সিলের সাহায্যে এঁকে নিন । অথবা বাজারে বিভিন্ন ডিজাইন পাওয়া যায় কাপড়ের উপর আঁকার জন্য, সেসব কিনে নিতে পারেন । এরপর মিরর একটি একটি করে আঠা দিয়ে বসিয়ে নিজের মন মতো রঙিন সুতা দিয়ে সিলাই করে নিন । নিচে একটি ডিজাইন কয়েকটি ধাপের সাহায্যে দেখানো হলো - Untitled

২. নিজে করতে না চাইলে রেডিমেড কিনে নিতে পারেন অথবা অর্ডার দিয়েও আজকাল অনেকেই বানিয়ে নিচ্ছেন । আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন । কোথায় পাবেন এবং দামদরটা কেমন হবে? বিভিন্ন লেইসের দোকানে পাবেন যেকোনো সাইজ আর আকারের মিরর । মিররের লেইসও পাওয়া যায় । এসব দোকানে ১০০ টা মিরর ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করে । বড়গুলো ৮০ থেকে ১৫০ করে ।

28afcb383f47ef24e022eba51d56f70c

নিউমার্কেট আর গাউসিয়াতে মিরর ওয়ার্কের সালওয়ার কামিজ স্টিজ এবং আনস্টিজ দুটোই পাওয়া যায় । বিভিন্ন রঙের কাপড়ের উপর কাজ করা অথবা ভেজিটেবল ডাইং করার পর মিরর বসানো , আবার ব্লকের উপর করা মিরর ওয়ার্কের ড্রেস পাওয়া যায় ।

ডিজাইন আর কাজ অনুযায়ী দাম পরবে ১২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা সেট । শুধু কামিজ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা । শুধু মিরর ওয়ার্কের ওড়না ৯০০ থেকে ১৫০০ । গর্জিয়াস হলে ৩০০০ টাকার ওড়নাও আছে ।

মিরর ওয়ার্কের রেডিমেড ব্লাউজ পাবেন গাউসিয়ার ২ তালায় । দাম পড়বে ৯০০ থেকে ৪০০০ । গোল কিংবা চারকোণা বিভিন্ন ডিজাইনের ছোট, বড় বা মাঝারী সাইজের মিরর বসানো রেডিমেড পোশাক পাবেন বসুন্ধরা , রাপা প্লাজা , সানরাইজ প্লাজাতে । দাম ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা ।

mirror-work-saree-blouse-ideas

অনলাইনে বিভিন্ন পেইজেও এসব বেশ কেনাবেচা হচ্ছে এখন । অর্ডার করতে পারেন ঘরে বসেই । অর্ডার দিয়ে বানাতে চাইলে নিউমার্কেটের ২ এবং ৩ তলায় এসবের রমরমা কেনাবেচা চলে এখন । কারিগররা বিভিন্ন ডিজাইনের ভিত্তিতে অর্ডার নিয়ে থাকেন । ডিজাইন অনুযায়ী দামদর ৫০০ থেকে ২০০০ হয় । শাড়ি, ব্লাউজ, সালওয়ার কামিজ, ফতুয়া, কুরতি কিংবা কটিতে করে নিতে পারেন মিরর ওয়ার্ক ।

কারিগরদের ডিজাইন দিয়ে দিলে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে করে দেন । নিজের পছন্দের রঙ অনুযায়ী এখন কাপড় কিনে এসব পোশাক বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজেই!

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম, কীওয়ার্ডসাজেশন ডট কম, এলিগেন্টফ্যাশনওয়্যার ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ

]]>
25584 2017-05-02 10:24:44 2017-05-02 04:24:44 open open %e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%b2 publish 0 0 post 0 _thumbnail_id _edit_last
চিলি চিকেন http://www.shajgoj.com/2017/05/25590/ Tue, 02 May 2017 05:35:49 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25590 আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল মজাদার চিলি চিকেন। পরোটা বা ফ্রাইড রাইসের সাথে খেতে দারুণ লাগে ঝাল ঝাল এই চিকেনের পদটি। তাহলে আর দেরি না করে তৈরি করে দেখুন।

চিকেন মেরিনেট এর জন্য উপকরণ

  • চিকেন ব্রেস্ট কিউব ১ কাপ
  • আদা রসুন বাটা ১/২ চা চামচ
  • ডিম ১ টি
  • কর্ণফ্লাওয়ার ৩ টে চামচ
  • গোল মরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
  • লবন পরিমান মতো
  • টেস্টিং সল্ট সামান্য 
  • জর্দার রঙ ১ চিমটি (ইচ্ছা)
  • তেল ভাজার জন্য

প্রণালী 

- প্রথমে ১ টি বাটিতে চিকেন কিউব এর সাথে সব উপকরণ মেখে নিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।

- তার পর মিডিয়াম হিটে ডিপ ফ্রাই করে ১ টি প্লেট এ তুলে নিতে হবে।

[picture]

রান্নার জন্য উপকরণ

  • পেঁয়াজ কিউব ১/২ কাপ
  • ক্যাপসিকাম কিউব ১/২ কাপ
  • কাঁচা মরিচ ৪-৫ টা
  • টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
  • চিলি সস ২ টে চামচ
  • সয়া সস ১ চা চামচ
  • চিনি ১/২ চা চামচ
  • পানি ৪ টে চামচ 
  • রসুন কুঁচি ১ টেবিল চামচ
  • আদা কুঁচি ১ টেবিল চামচ
  • তেল ২-৩ টেবিল চামচ

প্রণালী

- ১ টি প্যানে তেল দিয়ে রসুন কুঁচি ,আদা কুঁচি লাল করে ভাজতে হবে।

- রসুন ভাজা হলে পেঁয়াজ , ক্যাপসিকাম দিয়ে একটু ভেজে সব সস, কাঁচা মরিচ, চিনি, ৪ টেবিল চামচ পানি দিয়ে একটু নেড়ে ভাজা চিকেন দিয়ে ১ মিনিট নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।

- আরেকটু গ্রেভি করতে চাইলে ১/৪ কাপ পানিতে ১ টে চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে দিতে হবে।

ছবি ও রেসিপি - ফাতেমা রহমান 

]]>
25590 2017-05-02 11:35:49 2017-05-02 05:35:49 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
৫ টি মজাদার টিফিন রেসিপি যা দিলে বাচ্চারা আর বাসায় খাবার ফেরত আনবে না http://www.shajgoj.com/2017/05/25603/ Wed, 03 May 2017 07:36:25 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25603 এই তো সেইদিন হাসপাতাল থেকে তোয়ালেতে মুড়িয়ে বাসায় নিয়ে আসলাম ছোট্ট বাবুটিকে। আর আজকে সে কাঁধে ছোট্ট স্কুলব্যাগ নিয়ে হাঁটি হাঁটি পা করে প্রথমবার স্কুলে যাচ্ছে। এই ৩-৪ বছরের ছোট্ট মানুষটির সামনে এখন নতুন এক রঙিন অধ্যায় অপেক্ষা করছে। প্রথমবার অপরিচিত পরিবেশে যাওয়া, একটু একটু করে নিত্যনতুন অনেককিছু শেখা, নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হওয়া, এবং স্কুলে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সব বাচ্চারা একসাথে বসে টিফিন খাওয়া।

কী দেয়া যায় ছোট্ট সোনামণির স্কুলের প্রথম দিকের টিফিনে? যেটা দেখতে সুন্দর হবে, খেতে মজাদার হবে, এবং সেই সাথে শিশু নিজের হাতে অন্যের সাহায্য ছাড়া messy না করে খেতে পারবে? অনেক প্যারেন্টস-ই কমপ্লেইন করেন যে তাদের আদরের বাবুটি সুন্দর মতো ভরা টিফিনবক্সটি বাসায় ফেরত নিয়ে এসেছে। রোজকার কাহিনী!

[picture]

সকাল সকাল ঘুম থেকে চটজলদি তৈরি করে ফেলা যায় এমন মজাদার কিছু স্ন্যাক্স/টিফিনের রেসিপি শেয়ার করছি। আশা করি যারা তাদের বেবিকে সদ্য স্কুলে পাঠাচ্ছেন বা পাঠাবেন, অথবা যাদের Toddler আছে, তাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।

(রেসিপি ০১) ফ্রেঞ্চ টোস্ট উইথ চিজি সসেজ টপিং

  • ২ পিস পাউরুটি
  • ১টি ডিম
  • ১ চা চামচ গুঁড়ো দুধ
  • ১ স্লাইস চীজ/ অল্প ঢাকাই পনির
  • ১ পিস সসেজ (সেদ্ধ করে অল্প তেলে ভেজে ঠাণ্ডা করে চিকন করে স্লাইস করে নেয়া)
  • ১ চিমটি লবন
  • ১ চিমটি সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো (ঐচ্ছিক)
  • ভাজার জন্য তেল

একটি ডিম ভেঙে তাতে ১ চিমটি লবন, ১ চিমটি সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো আর ১ চা চামচ গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। পাউরুটির দুই পিঠ ডিমে মাখিয়ে নিন। চুলায় একদম কম আঁচে প্যান/কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে পাউরুটির পিস ছেড়ে দিয়ে উপরের পিঠে স্লাইস করা সসেজ-গুলো ডিমের মিশ্রণের উপর ছড়িয়ে দিন, তার উপরে এক স্লাইস চীজ দিয়ে পাউরুটিটা উল্টে দিন। ৪০-৪৫ সেকেন্ড পর পাউরুটির স্লাইসটা নামিয়ে প্লেটে কিচেন টিস্যুতে রাখুন অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়ার জন্য। মাইক্রোওয়েভে তৈরি করতে চাইলে ওভেনপ্রুফ ছড়ানো বাটিতে তেল ব্রাশ করে উভয় পাশ ৪০ সেকেন্ড করে বেক করলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ফ্রেঞ্চ টোস্ট উইথ চিজি সসেজ টপিং।

french-toast_625x350_51462529205

(রেসিপি ০২) চিজি কলিফ্লাওয়ার/ব্রকলি পপার্স

  • ছোট একটি ফুলকপি/ব্রকলি
  • ৫০ গ্রাম চিজ (parmesan/ঢাকাই পনির)
  • সামান্য লবন
  • ডিম ১টি
  • আধা কাপ তরল দুধ
  • আধা কাপ ময়দা/টেম্পুরা
  • ১/৪ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
  • ভাজার জন্য তেল

ফুলকপি/ব্রকলি ছোট বাইট সাইজের টুকরো করে অল্প পানিতে সামান্য লবন দিয়ে ঢেকে সিদ্ধ করুন। একটি পাত্রে ডিম, ময়দা, দুধ, মরিচ গুঁড়ো, চিজ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার সিদ্ধ করা ফুলকপি/ব্রকলির টুকরোগুলো ঐ মিশ্রণে ডুবিয়ে তুলে গরম গরম ডুবো তেলে লালচে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ঝটপট মজাদার চিজি কলিফ্লাওয়ার/ব্রকলি পপার্স।

(রেসিপি ০৩) বোনলেস চিকেন ফ্রাই

  • ৩০০ গ্রাম হাড়বিহীন মুরগির বুকের মাংস
  • ১টি ডিম
  • আধা কাপ ময়দা/চালের গুঁড়ো/টেম্পুরা
  • লবন (স্বাদ অনুযায়ী)
  • সামান্য সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো (ঐচ্ছিক)
  • ব্রেড ক্রাম্ব/টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়ো
  • আধা চা চামচ রসুন বাটা
  • আধা চা চামচ আদা বাটা
  • ভাজার জন্য তেল

আগের রাতেই মুরগির মাংস ভালো করে ধুয়ে বাইট সাইজ/ বাচ্চা হাতে নিয়ে খেতে পারবে এমন সাইজে টুকরো করে কেটে নিন। একটি পাত্রে ৪ কাপ পানিতে সামান্য লবন, আধা চা চামচ আদা বাটা, আধা চা চামচ রসুন বাটা দিয়ে মুরগির টুকরোগুলো ঢেকে সিদ্ধ করে নিন।(পানিটা ফেলবেন না, এ পানিটা হলো চিকেন স্টক যা পরে অন্যান্য রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন)একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তাতে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো, লবন ভালো করে মিক্স করে নিন। আরেকটি পাত্রে ময়দা/চালের গুঁড়ো/টেম্পুরা রাখুন। আরেকটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব/টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়ো।এবার সেদ্ধ করা মুরগীর টুকরোগুলো এক এক করে প্রথমে ডিমের মিশ্রণে দিন, তুলে সাথে সাথে ময়দার মিশ্রণে দিন, তারপর আবার ডিমের মিশ্রণে, তারপর আবার ময়দার মিশ্রণে দিয়ে শেষে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে ছড়ানো প্লেট/ট্রে/বক্সে বোনলেস চিকেনের টুকরোগুলো পাশাপাশি রেখে ডীপ ফ্রিজে তুলে রাখুন।সকালে বেবিকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে গরম গরম ডুবো তেলে চুলার মাঝারি আঁচে দুই পাশ ভেজে বেবির টিফিন বক্সে দিয়ে দিন মজাদার বোনলেস চিকেন ফ্রাই যা বেবি নিজের হাতে খেতে পারবে মজা করে।

p_R071742

(রেসিপি ০৪) প্রণ ফ্রাই

  • মাঝারি সাইজের চিংড়ি ১০টি,
  • সয়াসস ১ চা চামচ,
  • ওয়েস্টার সস ১ চা চামচ,
  • ফিশ সস ১ চা চামচ,
  • টমেটো সস ১ চা চামচ,
  • ডিম ১টি,
  • আধা কাপ ময়দা/চালের গুঁড়ো/টেম্পুরা
  • সামান্য সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো
  • ভাজার জন্য তেল

চিংড়ির মাথা ফেলে পুরো খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে সব রকম সস মাখিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তাতে সামান্য লবণ আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিক্স করে নিন। আরেকটি পাত্রে ময়দা/চালের গুঁড়ো/টেম্পুরা ঢেলে রাখুন। এবার চিংড়ি গুলো এক এক করে প্রথমে ডিমের মিশ্রণে দিন, তুলে সাথে সাথে ময়দার মিশ্রণে দিন, তারপর আবার ডিমের মিশ্রণে, তারপর আবার ময়দার মিশ্রণে দিয়ে ছড়ানো প্লেট/ট্রে/বক্সে পাশাপাশি রেখে ডীপ ফ্রিজে তুলে রাখুন।সকালে বেবিকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার আগে গরম গরম ডুবো তেলে চুলার মাঝারি আঁচে দুই পাশ ভেজে বেবির টিফিন বক্সে দিয়ে দিন মজাদার প্রণ ফ্রাই।

malaysian-coconut-prawns-with-cognac-100-inches-of-glorious-press

(রেসিপি ০৫)  বানানা চকো মিনি মাফিন

  • ২টা পাকা ছোট কলা
  • ১টা ডিম
  • আধা কাপ ময়দা
  • দেড়-দুই চা চামচ কোকো পাউডার
  • এক চা চামচ বেকিং পাউডার
  • দুই চিমটি বেকিং সোডা
  • দুই চিমটি লবন
  • ৪ চা চামচ চিনি (কমবেশি করতে পারেন)
  • ১/৩ কাপ দুধ
  • ২-৩ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স
  • ৩ টেবিল চামচ গলানো মাখন/ভেজিটেবল অয়েল

উপকরণ খুব ভালো ভাবে মিক্স করতে হবে, ইলেকট্রিক হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে করতে পারলে ভালো, অথবা খুব দ্রুত গতিতে কাঁটা চামচ বা এগ বিটার নেড়ে হাতে ও করতে পারেন। ইলেকট্রিক ওভেন ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৯০ ডিগ্রি কেলভিনে প্রিহিট করে নিন। মাফিন ট্রে-তে কাগজের তৈরি মাফিন কাপগুলো বসিয়ে তেল ব্রাশ করে কাপের ২/৩ অংশ তে মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ২০ মিনিট বেক করুন।মাইক্রোওয়েভে করতে চাইলে ওভেনপ্রুফ বাটিতে তেল/ঘি ব্রাশ করে মিশ্রণ ঢেলে ৪ মিনিট বেক করুন।

ব্যস তৈরি হয়ে যাবে মজাদার বানানা চকো মিনি মাফিন। যেসব বাচ্চারা মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করে তাদের জন্য খুব মজার টিফিন এই ছোট্ট ছোট্ট মাফিন।

 Choc-PBB-Mini-Muffins-03-09-2015-03

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সামনে আরো মজাদার সহজ রেসিপি নিয়ে আসবো আপনাদের জন্য যেগুলো বেবিরা পছন্দ করবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - নেটমামস ডট কম, দিস্যুইটহোম ডট কম, পিন্টারেস্ট ডট কম  লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
25603 2017-05-03 13:36:25 2017-05-03 07:36:25 open open %e0%a7%ab%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%af publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
নিজেই শিখে নিন, ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে ফেব্রিক সফটনার তৈরি কৌশল http://www.shajgoj.com/2017/05/25619/ Wed, 03 May 2017 08:59:16 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25619 কাপড় ধোয়ার পর বেশ রাফ মনে হয়! কাপড়ের তন্তুকে মোলায়েম রাখতে ফেব্রিক সফটনারের ব্যবহার এখন বেশ চোখে পড়ার মতো। ঘরে থাকা এই সফটনার যদি শেষ হয়ে যায় তবে কি রাফ কাপড়ই গায়ে জড়াবেন! তার চেয়ে বরং নিজেই শিখে নিন ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে ফেব্রিক সফটনার তৈরি কৌশল।

ভিডিও টিউটোরিয়াল -  সাজগোজ ডট কম 

]]>
25619 2017-05-03 14:59:16 2017-05-03 08:59:16 open open %e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%89%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
অসময়ে সোনামণির চিকেন পক্স /জলবসন্ত হলে কী করণীয়? http://www.shajgoj.com/2017/05/25643/ Thu, 04 May 2017 02:41:44 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25643 হুট করে আমার ভাগ্নির মাথায় , মুখে এক ধরণের পানিযুক্ত গোটা দেখা দিল । দেখেই প্রথমে মনে হল চিকেন পক্স /জলবসন্ত । ভাবনাটাকে তখনই তাড়িয়ে দিলাম কারণ এটা জলবসন্ত হওয়ার সময় নয় । সাধারনত শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে এ রোগ হয় বলে বাংলায় একে জলবসন্ত বলে ।

যাই হোক আমরা হন্তদন্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে ছুট দিলাম । আমাদের অবাক করে দিয়ে ডাক্তার বলল এটা চিকেন পক্স । বললেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই বর্তমানে বাংলাদেশের ঋতুচক্রের পরিবর্তনের পাশাপাশি রোগচক্রেরও পরিবর্তন ঘটেছে । রোগ তো আর বোঝে না কোন ঋতু চলছে রোগ শুধু বোঝে তাপমাত্রা, বৃষ্টি , বাতাসের পরিবর্তন ।

এবার আসুন বলি চিকেন পক্স বা জলবসন্ত আসলে কী ? ভেরেসেলা জোস্টার ভাইরাস এর প্রভাবে জলবসন্ত হয় । প্রথমদিকে ছোট ছোট চুলকানিযুক্ত গোটা মাথায় , মুখমন্ডলে , গলা থেকে হাত পায়ের তালুতেও দেখা দেয় । ধীরে ধীরে আকার বড় ও তরলপূর্ণ ফোস্কার মতো হয়ে থাকে । সাধারনত ৭ থেকে ১২ দিন স্থায়ী হয়ে থাকে । পাশাপাশি শরীরে জ্বর অনুভূত হয় । ১৬ বছরের নিচে ৯০ভাগ মানুষের চিকেন পক্স/ জলবসন্ত হয়ে থাকে ।

[picture]

এবার প্রশ্ন হল করণীয় কী ?

চুলকানি রোধ ও ফোস্কা শুকানোর জন্য ক্যালামিন লোশন দিন । পাশাপাশি বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে দিন । অনেকেই জলবসন্ত হলে বাচ্চাকে আমিষ এবং শাক-সবজি জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখেন । এই ভুল অবশ্যই করবেন না । জলবসন্তকালীন সময়ে বাচ্চার জ্বরের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পরে তাই প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শাক সবজির প্রয়োজন হয় ।

আরেকটি ভুল আমরা অনেকেই করে থাকি জলবসন্ত হলে বাচ্চাকে গোসল করতে না দেওয়া বরং নিয়মিত গোসল করানো উচিৎ কারণ এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ । একটি ফোস্কা ভেঙ্গে সেই জীবাণু থেকে একাধিক ফোস্কার জন্ম হয় । সম্ভব হলে নিমের পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন । যব গোসলের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন ।

আপনার শিশু যদি ডাইপার পরে থাকে তাহলে ফোস্কা শুকিয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ডাইপার পরানো থেকে বিরত থাকুন । বাচ্চাকে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখার চেষ্টা করুন । ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আপনার শিশুর জামা- কাপড় , বিছানার চাদর এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুনাশক দ্রব্য দিয়ে পরিষ্কার করে দিন ।

সাধারণত চিকেন পক্স খুব স্বাভাবিক হলেও মাঝে মাঝে এই রোগ ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে । যদি আপনার শিশুর জ্বর ১০২ ডিগ্রির উপরে ৩ থেকে ৪ দিন স্থায়ী হয় , ফোস্কাগুলো ক্রমে ফুলে উঠে এবং হলুদ পদার্থ নিঃসৃত হতে থাকে , শ্বাস নিতে কষ্ট হয় , ঘাড় এবং পিঠ শক্ত হয়ে উঠে কিংবা তীব্র কাশি শুরু হয় , পাশাপাশি একই বস্তুর দুটি করে প্রতিকৃতি দেখতে পায় অথবা এর মধ্যে যেকোনো একটি লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন । কারণ উক্ত উপসর্গগুলো অনেকসময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়ায়।

বর্তমানে চিকিৎসা শাস্রের উন্নয়নের ফলে জলবসন্তেরও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে আপনার শিশুর বয়স ১৩ মাসের বেশি হলে আর দেরি না করে এখনি চিকেন পক্সের ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলুন । ১৩মাসের বড় যে কারোর জন্যই ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে ২ বার এই ইনজেকশন দিতে হয় । বাংলাদেশে বর্তমানে সব হাসপাতালেই চিকেন পক্সের ভ্যাকসিন পাওয়া যায় এবং অবশ্যই চিকেন পক্স আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ থেকে আপনার শিশুকে দূরে রাখুন । সুস্থতায়ে বেড়ে উঠুক আপনার সোনামণি ।

ছবি - ফটোগ্রাফারস ডট ক্যানভেরা ডট কম লিখেছেন - সুমাইয়া সামিয়া

]]>
25643 2017-05-04 08:41:44 2017-05-04 02:41:44 open open %e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এই গরমে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পাকা আমের ম্যুজ http://www.shajgoj.com/2017/05/25645/ Thu, 04 May 2017 02:44:07 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25645 এখন গরমের সময় । বাজারে অনেক পাকা আম উঠেছে । এই অস্থির গরমে মিষ্টি রসালো পাকা আম কেটে বা জুস করে খেতে আমাদের সবারই কমবেশি ভালো লাগে । কিন্তু একইভাবে আর কত আম খেতে ভালো লাগে! আম দিয়ে যদি মজার কোন ডেজার্ট তৈরি করা যায় তাহলে কেমন হয় বলুন তো? তাহলে চলুন দেখে নিই, কীভাবে এই গরমে মজাদার ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পাকা আমের ম্যুজ তৈরি করা যায়! যেটা বাচ্চাদের, বড়দের সবারই ভালো লাগবে আশা করি ।

পাকা আমের ম্যুজ তৈরি করতে যা যা লাগবে

(১) পাকা আমের ক্বাথ (পাকা আম কেটে হাতে চটকে নিন) (২) ২ চা চামচ লেবুর রস (৩) ২ টা ডিমের সাদা অংশ (৪) ১ টেবিল চামচ আনফ্লেভারড জেলাটিন (৫) ৪ কাপ পানি (৬) ৬ টেবিল চামচ চিনি (৭) ১ চিমটি লবন (৮) ২ কাপ হেভি ক্রিম (আমি ডানো ব্যবহার করেছি, যেকোন সুপারশপ/বড় গ্রোসারি শপে পাওয়া যায়)

mangoes-557150533-5833b2135f9b58d5b1ef935b

কীভাবে তৈরি করবেন?

- ৫ কাপ পাকা আমের ক্বাথে ২ চা চামচ লেবুর রস এবং ৬ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে ভালো করে মিক্স করুন।

- আরেকটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ আনফ্লেভারড জেলাটিন নিয়ে তাতে ৪ কাপ ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে মিক্স করে নিন। ঐ মিশ্রণ টি পাকা আমের মিশ্রণে ঢেলে দিয়ে ইলেকট্রনিক বিটার দিয়ে ১ মিনিট ধরে ভালো করে মিক্স করে নিন।

- আরেকটি পাত্রে দুটো ডিমের সাদা অংশ নিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ দিয়ে তা ইলেকট্রনিক বিটার ব্যবহার করে ২ মিনিট ধরে ভালো করে বিট করে নিন।

- আরেকটি পাত্রে ২ কাপ হেভি ক্রিম নিয়ে সেটিও ইলেকট্রনিক বিটার ব্যবহার করে ১ মিনিট ধরে বিট করে নিন। আমি ডানোর ক্রিম ব্যবহার করেছি। যেকোন সুপারশপ বা বড় গ্রোসারি স্টোরে হেভি ক্রিম কিনতে পারবেন।

mango-ice-cream-recipe-08 - এবার একটি বড় পাত্রে সবগুলো মিশ্রণ একে একে ঢেলে নিয়ে ২ মিনিট ধরে ইলেকট্রনিক বিটার দিয়ে ভালো করে বিট করে নিন।

- ছোট ছোট ডেজার্ট পরিবেশনের পাত্রে মিশ্রণটি পাত্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে ঢেলে দিন এবং কমপক্ষে দুই ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।

- বের করে উপরে আপনার পছন্দের টুকরো করা ফল দিয়ে পরিবেশন করুন এই গরমে প্রাণ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পাকা আমের ম্যুজ।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আর এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করবেন। ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম রেসিপি -  ফারহানা প্রীতি]]>
25645 2017-05-04 08:44:07 2017-05-04 02:44:07 open open %e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be-%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতে এবং প্রাণবন্ত লুক আনতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই ফেসিয়াল সিরাম http://www.shajgoj.com/2017/05/25662/ Fri, 05 May 2017 06:06:01 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25662 প্রতিদিন মুখে ও গলায় ব্যবহার করার জন্য নিজেই বানিয়ে ফেলুন ফেসিয়াল সিরাম (facial serum) যা আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলবে এবং ত্বককে দিবে অনেক ন্যাচারাল প্রাণবন্ত লুক। স্কিনকে রিপেয়ার করবে এবং কোমল রাখবে।

[picture]

উপকরণ

১. অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ

২. গ্লিসারিন - আধা চা চামচ

৩. গোলাপ জল-এক চা চামচ

৪. ভিটামিন ই ক্যাপসুল-৩টি

৫. বাদাম তেল (Almond Oil) - ২ চা চামচ

৬. এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল (ড্রাই স্কিনের জন্য, ঐচ্ছিক) - ১ চা চামচ

অ্যালোভেরা জেল (ফ্রেশ পাতা থেকে বের করতে পারেন অথবা মার্কেটে যে অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায় তা ও ব্যবহার করতে পারেন), গ্লিসারিন , এক চা চামচ গোলাপ জল (একটি গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে দুই কাপ পানিতে ফুটিয়ে পানি অর্ধেক হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিষ্কার খালি স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে পারেন, অথবা মার্কেটে যেগুলো কিনতে পাওয়া যায় তাও ব্যবহার করতে পারেন) , ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং আমন্ড অয়েল উপরে উল্লেখিত পরিমাণে একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে একটা পরিষ্কার খালি পুরাতন ক্রিমের কৌটায় রেখে দিন। যদি আপনার স্কিন ড্রাই হয় তাহলে এই সিরামে বাকি সব উপকরণের সাথে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল মিক্স করতে পারেন।

  ২৫০ মি. লি. মূল্য - ৬০০ টাকা ।
 

এই সিরাম আপনি দিনে এবং রাতে ও ব্যবহার করতে পারবেন। কোন হার্মফুল কেমিকেল ব্যবহার করা হয়নি বলে ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং সেই সাথে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন সিরামের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। ভিটামিন ই ক্যাপসুলগুলো ব্যবহারে তা ত্বকের প্রয়োজনীয় বাহ্যিক পুষ্টি যোগায় আর সেই সাথে এই হোমমেইড প্রোডাক্টের শেলফ লাইফ বাড়ায়।

[caption id="attachment_17366" align="aligncenter" width="597"]aloe 4 ন্যাচারস রিপাবলিক ৯২% সুদিং অ্যালো জেল[/caption]

সিরাম বানাতে যে উপকরণ গুলো লাগবে তার মধ্যে তেলগুলো, এবং অ্যালোভেরা জেল আর রোজ ওয়াটার (যদি কেনা টা ব্যবহার করতে চান), যমুনা ফিউচার পার্কের স্যাফায়ারে পাবেন। চাইলে অনলাইনে ও অর্ডার করতে পারেন।আর ভিটামিন ই ক্যাপসুল আর গ্লিসারিন যেকোন ফার্মেসিতেই পাবেন।
 

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই ঘরে বসে নিজে নিজে বানিয়ে ফেলুন ফেসিয়াল সিরাম আর ত্বককে দিন এক্সট্রা প্যাম্পারিং।

 Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - স্টাইলক্রেজ ডট কম
 লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
25662 2017-05-05 12:06:01 2017-05-05 06:06:01 open open %e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মুচমুচে পাকোড়ার সাথে স্পাইসি গার্লিক সস! http://www.shajgoj.com/2017/05/25667/ Fri, 05 May 2017 06:52:04 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25667 দরজায় হঠাৎ কলিংবেল। মেহমান এসেছে। এদিকে বাসায় নেই তেমন কিছু। চটজলদি কি বানিয়ে দেয়া যায় ? ঝটপট মচমচে পাকোড়া তৈরি করে ফেলতে পারেন। সাথে স্পাইসি গার্লিক সস আর গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চা হলে তো কথাই নেই। বানাতে খুবই সামান্য উপকরণ প্রয়োজন, যেগুলো কমবেশি আমাদের সবার বাসাতেই সাধারণত থাকে।এইটা আমার গোঁজামিল দেয়া একদম শর্টকাট একটা রেসিপি।তাহলে চলুন দেখে নিই , কীভাবে খুব অল্প সময়ে ঝটপট মচমচে পাকোড়া বানানো যায়। সাথে স্পাইসি গার্লিক সসের রেসিপিটাও দিয়ে দিচ্ছি।

পাকোড়া বানাতে যা যা প্রয়োজন

(১) আধা কাপ ময়দা

(২) ১ টি বড় আলু

(৩) ১ টি গাজর

(৪) ১ টি ডিম

(৫) ২ টা পেঁয়াজ

(৬) ২ টা কাঁচামরিচ/আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো

(৭) আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

(৮) আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো

(৯) পৌনে এক চা চামচ লবন (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে কমিয়ে নিবেন)

(১০) ভাজার জন্য তেল

[picture]

 কীভাবে বানাবো ? 

সবজি কুড়ুনি দিয়ে আলু এবং গাজর কুড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে হলুদ গুঁড়ো , জিরা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো/কাঁচামরিচ কুঁচি, কুঁচি করে কাটা পেঁয়াজ এবং লবন নিয়ে তাতে একটি ডিম দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এতে কোড়ানো সবজি আর আধা কাপ ময়দা মিশিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে অল্প অল্প করে হাত দিয়ে পাকোড়ার শেপে ডুবো তেলে পাকোড়া ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন টমেটো সস বা গার্লিক সসের সাথে।
 

গার্লিক সস বানাতে যা যা লাগবে - 
 

(১) ১ কাপ রসুনের কোয়া

(২) ১ কাপ অলিভ অয়েল

(৩) ১/৩ চা চামচ লবন

(৪) ২ টা কাঁচামরিচ

(৫) ২ টেবিল চামচ লেবুর রস

(৬) ১ টি ডিমের সাদা অংশ

(৭) ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার


 
 কীভাবে বানাবো ?

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে দিয়ে ২ মিনিট ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার স্পাইসি গার্লিক সস।

creamy-roasted-garlic-dressing-recipe-with-herbs-700x462

আশা করি সবাই বাসায় বানাতে চেষ্টা করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আরেকদিন নতুন কোন রেসিপি নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি -  ব্ল্যাকপেপারস ডট কম, রেসিপিজ ডট কম

রেসিপি - ফারহানা প্রীতি

]]>
25667 2017-05-05 12:52:04 2017-05-05 06:52:04 open open %e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ওপেন পোরস এর সমস্যায় ভুগছেন ? হাতের কাছেই রয়েছে সমাধান http://www.shajgoj.com/2017/05/25674/ Sat, 06 May 2017 06:57:53 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25674 আমাদের দেশ হল গ্রীষ্ম প্রধান দেশ । তাই গরমকালে অনেকেই ত্বকের নানান সমস্যায় ভুগে থাকি । এসব সমস্যার একটি হল 'ওপেন পোরস' এর সমস্যা । সাধারণত ত্বকের এই সমস্যাকে আমরা কোন সমস্যাই মনে করি না । কিন্তু ত্বকে বয়সের আগে বয়সের ছাপ পড়ার এবং ত্বকে ব্ল্যাকহেডস , ব্রণ , পিগমেন্টেশন , ব্লেমিস হবার অন্যতম কারণ হল ওপেন পোরস । তাই ত্বক কোমল এবং ত্বকের যৌবন দীর্ঘদিন ধরে রাখার জন্য ওপেন পোরস সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা প্রয়োজন । আসুন তার আগে জেনে নিই, ত্বকের পোরসগুলো কী কারণে খুলে যায় ।

  • গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হয় যা ত্বকের পোরস খোলার অন্যতম কারণ ।
  • ত্বকের সিব্যাসাজ গ্লানড(sebaceous glands) থেকে অতিরিক্ত তেল বের হবার কারণে ত্বকের পোরস খুলে যায় এবং ব্রণ ও একনে হয় ।
  • বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং টাইটেনিং কমতে থাকে যার ফলে পোরস বড় হয়ে যায় ।

এছাড়াও সূর্যের আলোর অতিবেগুনী রশ্নির প্রভাবে , হরমোন জনিত কারণে ,সঠিক ডায়েটের অভাবে , পানি শূন্যতায় , ত্বক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা না হলে পোরস বড় হয়ে যায় । কিন্তু সুস্থ্য ত্বকের জন্য ওপেন পোরস বন্ধ বা ছোট করা জরুরী । এর জন্য উপযুক্ত চারটি ধাপ রয়েছে । 

( ধাপ - ১) ক্লিঞ্জিং

(ধাপ - ২) টোনিং

(ধাপ - ৩) ফেইস মাস্ক

(ধাপ - ৪) ময়েশ্চারাইজিং

চলুন দেখে নেয়া যাক এই চারটি ধাপের জন্য কী কী লাগছে এবং কীভাবে করতে  হবে ।

[picture]

( ধাপ - ১) ক্লিঞ্জিং

১ টেবিল  চামচ বেসন , ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া , ১ টেবিল চামচ রোজ ওয়াটার দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন । এই মিশ্রণটি মুখে চার থেকে ছয় মিনিট মুখে রেখে হালকা ঘষে তুলে ফেলুন । এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

বেসন প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে , ত্বক উজ্জ্বল করে । চালের গুঁড়া ত্বক এক্সফলিয়েট করে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে ।

( ধাপ - ২) টোনিং

১ টেবিল চামচ টমেটো জুস , ১ টেবিল চামচ লেবুর রস , ১ টেবিল চামচ রোজ ওয়াটার নিয়ে টোনার তৈরি করুন এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন । শুকান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । 

[caption id="attachment_25675" align="alignnone" width="640"]11-Simple-Face-Packs-Using-Multani-Mitti1 ঘরে বসেই তৈরি করুন গোলাপজল ![/caption]

টমেটো জুস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়, ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে ত্বকের পোরগুলো ছোট করে । লেবুর রসে রয়েছে এনজাইম যা স্কিন টাইট করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে ।

( ধাপ - ৩) ফেইস মাস্ক 

১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি , ১ টেবিল চামচ টক দই , অল্প রোজ ওয়াটার নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকানো পর্যন্ত । শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

face-pack_625x350_41422608157

মুলতানি মাটি ত্বকের  বাড়তি তেল শোষণ করে ত্বকের পোরগুলো ছোট করে , ত্বক টাইট করে এবং ত্বকের ব্লেমিস , পিগমেন্টেশন সমস্যা দূর করে । টক দই ত্বককে  ময়েশ্চারাইজ করে , ত্বক উজ্জ্বল করে ।

( ধাপ - ৪) ময়েশ্চারাইজিং

তিনটি ধাপ শেষে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগিয়ে নিন ।

এই চারটি ধাপ সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন ফলো করুন ভালো ফলাফলের জন্য । এতে কিছুদিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন । পোরস ছোট হয়ে গেলে আপনার সুবিধা মতো সপ্তাহে দুই দিন লাগাতে পারেন।

brunette woman holding ice cube on her face, closeup portrait

ত্বকের পোরস ঠিক রাখার প্রধান শর্ত হলো ত্বককে তেল ও ধুলাবালি মুক্ত রাখা ও ঠাণ্ডা রাখা । এক্ষেত্রে মুখের ত্বকে নিয়মিত বরফ লাগাতে পারেন । এতে ত্বক ভালো থাকবে । আপনি চাইলে শসার রস দিয়ে বরফ করে তা লাগাতে পারেন । এতেও অনেক ভালো ফল পাবেন ।

ছবি - গর্জিয়াসহেয়ারঅ্যান্ডবিউটিকেয়ার ডট কম, দিবিউটিম্যাডনেস ডট কম, স্টাইলক্রেজ ডট কম

লিখেছেন - জোহরা হোসেন

]]>
25674 2017-05-06 12:57:53 2017-05-06 06:57:53 open open %e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%b8-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a6%9b publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
পনির সাসলিক http://www.shajgoj.com/2017/05/25691/ Sat, 06 May 2017 09:26:39 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25691 চিকেন সাসলিক তো অনেক খাওয়া হল। এবার পনির সাসলিক হলে মন্দ হয় না। দেখে নিন পনির সাসলিক তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • পনির- টুকরো করে কাটা ২৫ পিস
  • ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা-দেড় কাপ ( আমি লাল,সবুজ,কমলা রঙের নিয়েছি )
  • পেঁয়াজ কিউব কাটা- ১ কাপ
  • দই-আধা কাপ
  • মরিচ গুঁড়া -আধা চামচ
  • আদা-রসুন বাটা-৩/৪চামচ
  • কাবাব মসলা-আধা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া -আধা চামচ
  • অলিভ অয়েল-২ টেবিল চামচ
  • লবন -পরিমাণ মতো
  • ধনেপাতা এবং কাচামরিচ বাটা-১ টেবিল চামচ
  • সয়াবিন তেল-ভাজার জন্য
[picture]

প্রণালী

- প্রথমে সব মসলা ও অলিভ অয়েল এক সাথে মিশিয়ে ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ  এবং পনির ৩০মিনিত মেরিনেট করে রাখতে হবে।

- সাসলিক কাঠিতে পছন্দ মতো সাজিয়ে নিন।

- এবার প্যানে সামান্য সয়াবিন তেল দিয়ে কাঠিগুলো দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভেজে নিন।

- সামান্য পোড়াভাব ও সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

বিঃদ্রঃ চুলার আঁচ মৃদু  রাখতে হবে এবং ভাজার সময় প্রথমে ঢেকে ভাজতে হবে।

ছবি ও রেসিপি – নুসাইবা নিঝুম

 

]]>
25691 2017-05-06 15:26:39 2017-05-06 09:26:39 open open %e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সয়া মাঞ্চুরিয়ান http://www.shajgoj.com/2017/05/25730/ Sun, 07 May 2017 06:19:24 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25730  রুটি ,ভাত অথবা পোলাও এর সাথে ডিশটি দারুণ লাগবে খেতে। অথবা বাচ্ছার টিফিনেও তৈরি করে দিতে পারেন। দেখে নিন সয়া মাঞ্চুরিয়ান তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • সয়াবিন - ১কাপ
  • ক্যাপসিকাম - ১/২কাপ
  • ময়দা ২ টেবিল চামচ
  • কর্নসটাচ -২ টেবিল চামচ
  • লবন পরিমান মতো
  • লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চামচ
  • সয়াসস - ২ চা চামচ
  • টমেটো কেচাপ ৩ চা চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়া - সামান্য
  • আদা-রসুন কুঁচি - ১ চা চামচ
  • তেল - পরিমান মতো
[picture]
প্রণালী - প্রথমে একটি পাতিলে সামান্য লবন দিয়ে ফুটে উঠলে সয়াবিনগুলো দিতে হবে। ৫ মিনিট পরে ছেঁকে নিতে হবে। - ঠাণ্ডা হলে হাত দিয়ে চেপে পানি বের করে নিতে হবে। - এবার ময়দা , কর্নস্টাচ , মরিচ গুঁড়া , গোলমরিচ গুঁড়া মাখিয়ে সয়াবিন ভেজে নিতে হবে। - প্যানে আদা-রসুন কুঁচি দিয়ে একটু ভেজে ক্যাপসিকাম দিয়ে নেড়ে সামান্য লবন দিতে হবে। - এবার সব সস দিয়ে , সয়াবিন দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। - পানি শুকিয়ে এলে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে রুটি ,ভাত অথবা পোলাও এর সাথে ডিশটি পরিবেশন করুন। ছবি ও রেসিপি - নুসাইবা নিঝুম
]]>
25730 2017-05-07 12:19:24 2017-05-07 06:19:24 open open %e0%a6%b8%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
জেনে নিন, সাশ্রয়ী মূল্যে ল'রিয়েল'র দারুণ ৩ টি ফাউন্ডেশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি http://www.shajgoj.com/2017/05/25735/ Sun, 07 May 2017 06:36:46 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25735 ফাউন্ডেশন বেইজ মেকাপে ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।তাই, ফাউন্ডেশন নিয়ে সবার প্রশ্নেরও শেষ নেই। সাজগোজে সবসময়ই প্রশ্ন পাওয়া যায় যে, কোন স্কিনে কোন ফাউন্ডেশন ভালো হবে? কম দামের মধ্যে ভালো ফাউন্ডেশন কোনটা? কোন ফাউন্ডেশন লং লাস্টিং হবে?

প্রয়োজন এবং ভালো লাগা থেকেই মেকাপ করা এবং এর সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আমলে রাখার চেষ্টা করি। তাই ঠিক করেছি আজ আমি আপনাদের একই ব্রান্ডের ৩ টা ফাউন্ডেশন নিয়ে কথা বলবো। আর এর মাধ্যমেই আপনারা আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর এই ফাউন্ডেশনগুলো দামের তুলনায় মানে অনেক বেশী ভালো। আর ব্রান্ডটাও অনেকের কাছে খুব পরিচিত। এটা হলো "ল'রিয়েল "। ল'রিয়েল এর যে ৩ টা ফাউন্ডেশন সম্পর্কেই আজ ডিটেইলস বলব সেগুলো হল - ল'রিয়েল ইনফ্যালিবল ম্যাট ফাউন্ডেশন, ল'রিয়েল ট্রু ম্যাচ ফাউন্ডেশন এবং ল'রিয়েল ল্যুমি ম্যাজিক ফাউন্ডেশন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এদের ডিটেইলস সম্পর্কে জেনে নিই।

[picture]

(১) ল'রিয়েল ইনফ্যালিবল প্রো ম্যাট ফাউন্ডেশন L'Oréal Infallible 24HR Foundation )

এই ফাউন্ডেশনটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন। কারণ বর্তমানে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ফাউন্ডেশন। ল'রিয়েল ইনফ্যালিবল ফাউন্ডেশনটি একটি প্লাস্টিক টিউবে আসে। এতে ৩৫ এম. এল প্রোডাক্ট থাকে। এটি ম্যাট ফাউন্ডেশন হলেও মূলত এটা সেমি ম্যাট ফিনিশ দেয়। আমার কাছে এটাই বেশি ভালো লাগে। কারণ সেমি ম্যাট ফিনিশ স্কিনে অনেক বেশী ন্যাচারাল লাগে। এই ফাউন্ডেশনটি স্কিনে অনেক বেশী লাইটওয়েট এবং কমফোর্টেবল লাগে।

লাস্টিং পাওয়ার

আমি যতগুলো ড্রাগস্টোরের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেছি, তার মধ্যে এই ফাউন্ডেশনটিই অনেক বেশী লাস্টিং করে। এমনকি বাংলাদেশের মতো গরম আবহাওয়াতেও এটি অনেক ভালো লাস্টিং করে। এর লাস্টিং পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মতো।এই ফাউন্ডেশনটি মিডিয়াম টু ফুল কভারেজ দেয়। এটি ব্লেন্ড করাও খুব ইজি।

শেড রেঞ্জ

এর অনেকগুলো শেড রয়েছে।তাই স্কিন শেড অনুযায়ী চুজ করা সহজ হবে।

14719805_1829244157319367_8158797060338876416_n

কোন ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী?

আপনার স্কিন যদি কম্বিনেশন /অয়েলি হয়ে থাকে তবে এটি আপনার জন্যে একটি বেস্ট ফাউন্ডেশন হবে।

দাম : ১৫০০ টাকা।

(২) ল'রিয়েল ট্রু ম্যাচ ফাউন্ডেশন L'Oréal True Match Foundation )

আমি যখন থেকে মেকাপ করা শুরু করেছি, তখন থেকেই ল'রিয়েল ট্রু ম্যাচ ফাউন্ডেশনটির অনেক গুণগান শুনেছি।এই ফাউন্ডেশনটি একটি কাঁচের বোতলে আসে। এটি সুপার ব্লেন্ডেবল এবং স্কিনে একটি ন্যাচারাল ফিনিশ দেয়। এর সবথেকে ভালো দিক হলো, এটি সব ধরনের স্কিনের জন্যে পারফেক্ট। এই ফাউন্ডেশনটি অয়েল এবং ফ্রেগরেন্স ফ্রি।

shade selector

শেড রেঞ্জ এর শেড রেঞ্জ বেশ লম্বা। আপনার স্কিন শেড অনুযায়ী ম্যাচ করা খুবই ইজি হবে। অনেকেই শেড নিয়ে ঝামেলায় পড়ে। তবে ল'রিয়েল ট্রু ম্যাচ ফাউন্ডেশন এ শেড নিয়ে ঝামেলা হওয়ার চান্স খুবই কম। এর আর একটা ভালো দিক হলো, এতে এস.পি.এফ ১৭ আছে, যা আপনাকে সান প্রটেকশনও দিবে। কভারেজ এবার আসি, কভারেজ এ। এই ফাউন্ডেশনটি আপনাকে লাইট টু মিডিয়াম কভারেজ দিবে যা প্রতিদিন এবং বিশেষ করে দিনের বেলার মেকাপের জন্যে বেশী পারফেক্ট।

কোন ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী?

সব ধরণের ত্বকের অধিকারীরাই এই ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার করতে পারবেন।f6dbf528d390ded2f17ed0fd1ad7292bদাম : ১৩৭৫ টাকা।

(৩) ল'রিয়েল ট্রু ম্যাচ ল্যুমি ফাউন্ডেশন  L'Oréal True Match Lumi)

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে, আপু ড্রাই স্কিনের জন্যে কোন ফাউন্ডেশন ভালো হবে?? তাদের জন্যেই ল'রিয়েল ল্যুমি ম্যাজিক ফাউন্ডেশনটি। ল'রিয়েল ল্যুমি ম্যাজিক ফাউন্ডেশনটি একটি হেভি গ্লাস প্যাকেজিং এ আসে এবং এতে খুবই সুন্দর রোজ গোল্ড কালারের পাম্প রয়েছে। এটি এই ফাউন্ডেশন এর খুব ভালো একটি দিক।  পাম্পটির সাহায্যে ফাউন্ডেশন সহজেই বের করা যায়।

কোন ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী?

প্রথমেই বলেছি, এটি ড্রাই স্কিনের জন্যে ভালো একটা ফাউন্ডেশন। এটি ডিউয়ি/গ্লোয়ি ফিনিশ দেয়। এটার টেক্সচার লিকুইড টাইপ। শেড রেঞ্জ এবার আসি শেড রেঞ্জ এ। এই ফাউন্ডেশনটির শেড রেঞ্জ মোটামুটি ভালোই বলা যায়।এতে ৬ টি শেড রয়েছে। এই ফাউন্ডেশনটি মিডিয়াম কভারেজ দেয়।loreal-true-match-foundation-4

লাস্টিংপাওয়ার

এর লাস্টিং পাওয়ার ৫-৭ ঘন্টা। ড্রাই স্কিনের জন্যে এই ফাউন্ডেশনটি ভালো হলেও, আপনার যদি নরমাল স্কিন হবে তবেও এই ফাউন্ডেশনটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

loreal true match reseña

দাম : ১৮০০ টাকা।

এই তো জেনে নিলেন, ল'রিয়েল এর খুবই জনপ্রিয় ৩ টি ফাউন্ডেশন সম্পর্কে। আশা করছি, এখন আপনি নিজেই নির্বাচন করতে পারবেন যে, কোন ফাউন্ডেশনটি আপনার দরকার।

কোথায় পাবেন? এদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অর্ডার করলে পেতে পারেন। আর দেশে যমুনা ফিউচার পার্কের Sapphire এ আসলেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া  অনলাইন অর্ডার করে দেশের যেকোনো প্রান্তে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হোম ডেলিভারি  পারেন। অনলাইনে অর্ডার করতে এখানে ক্লিক করুন

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম, গ্লোঅফগ্রেস ডট কম

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
25735 2017-05-07 12:36:46 2017-05-07 06:36:46 open open %e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%b2-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ঘুরে আসুন সোনারগাঁও পেরিয়ে বাংলার তাজমহল থেকে http://www.shajgoj.com/2017/05/25740/ Mon, 08 May 2017 05:59:15 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25740 ঘুরাঘুরি নিয়ে আবার এলাম। এর আগে ঢাকার আশেপাশে মনোরম কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম যা অল্প সময়ে ঘুরে আসার মতো। আর এই গরমে দূরে কোথাও না গিয়ে আশেপাশে মন ভোলানো জায়গাগুলো ঘুরে আসাই ভালো।

প্রচন্ড গরম এখন, এসময় বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবা যায় না যেন।রোদ আর তপ্ত বাতাসে দূরের পথ পাড়ি দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। কিন্তু তারপরও তো ঘুরতে যেতে মন চায়, অন্তত একটা দিন সব কাজ ভুলে থাকতে মন চায়! তাই একদিন সময় করে চলে যান ঢাকার কাছেই, তাজমহলে। যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পেরিয়ে অবস্থিত।

বাংলার তাজমহল

ভারতের আগ্রার তাজমহলের কোথা তো সবাই জানেন। সেটার অনুকরণেই নারায়ণগঞ্জে শিল্পপতি চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি নির্মাণ করেছেন বাংলার এই তাজমহল। ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে অবস্থিত এটি। এটি তৈরি করতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগে এবং এটি ব্যক্তি-মালিকানাধীন।

এটি প্রায় ১৮ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। আশেপাশে আরও ৫২ বিঘা জমি আছে পর্যটনের জন্য। এখানে দেখা যাবে চারপাশের সুন্দর আর মনোরম পরিবেশ , হাজার হাজার নাম না জানা পাখির কিচিরমিচির করা বিকেল আপনার মন ভালো করে দিবে।

banglar-taj-mahal

তাজমহলের নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশী উপকরণ যেমন ১৭২ টি কৃত্রিম ডায়মন্ড , ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি । নির্মাণ কাজে ৬ জন টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ দেয়া হয়। ভারতের তাজমহলকে অনুসরণ করা হয়েছে বলে নির্মাতাকে ভারতে যেতে হয়েছে অনেকবার।

২০০৮ সালে এর উদ্বোধন হয়। পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশের আগে চমৎকার ১০ টি ঝর্ণা রয়েছে যা মুগ্ধ হয়ে দেখার মতোই।

তাজমহলের আশেপাশে ফুলের বাগান আর নিরিবিলিতে বসার স্থান রয়েছে অনেক। তাজমহলটির ভেতরের মূল মহল দারুণ সব পাথর দিয়ে মোড়ানো আর টাইলস করা।মহলের ভেতরে আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দু’জনের কবরের স্থান সংরক্ষিত আছে।

“বাংলার তাজমহল” আগ্রার তাজমহলের মতোই চার কোণে চারটি বড় মিনার রয়েছে।

maxresdefault (2)

তাজমহলের ভেতরে আরও রয়েছে “রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও”।তাজমহলের বাইরে রয়েছে “রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ”, আরও বিভিন্ন খাবারের দোকান, হোটেল, আবাসিক ভবন, জামদানি শাড়ির দোকান, হস্তশিল্প সামগ্রী, মাটির গহনাসহ আরও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান।

এর আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন পিকনিক স্পট, চাইলে সেসব জায়গাও ঘুরে আসতে পারেন।

 কীভাবে যাবেন?

বাংলার তাজমহল ঢাকা থেকে ২৫ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত । ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব , নরসিংদী , কিশোরগঞ্জ-গামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয় , সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২৫ টাকা । এখান থেকে সিএনজি স্কুটারে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন তাজমহলে ।

অন্যভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা , দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁ-গামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয় । সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগে ২০ টাকা । সেখান থেকে সিএনজি বা স্কুটারে জনপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যায় তাজমহলে ।

বাংলার তাজমহলটি মাত্র ৫০ টাকার টিকিট বা প্রবেশমূল্যের বিনিময়ে দেখেন দর্শনার্থীরা ।

গাড়ি পার্কিং ২০ টাকা ।

সময়সূচী: প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ।

ছবি - ইউটিউব ডট কম, অফরোডবাংলাদেশ ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ

]]>
25740 2017-05-08 11:59:15 2017-05-08 05:59:15 open open %e0%a6%98%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%93-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন আছে তো ? জানুন, সানস্ক্রিন তৈরির সহজ একটি রেসিপি http://www.shajgoj.com/2017/05/25750/ Tue, 09 May 2017 04:47:24 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25750 গ্রীষ্ম প্রধান আমাদের দেশে যে প্রখর রোদ আর তীব্র গরম পড়ে, তাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা একেবারেই বাধ্যতামূলক একটা ডেইলি স্কিনকেয়ার রুটিনের অংশ হওয়া উচিৎ। সূর্যের প্রখর রোদ শুধু সানট্যানই (রোদে পোড়া ত্বক) তৈরি করে না, বরং সেই সাথে বাড়ায় স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি আর অকালে স্কিনে পড়ে যেতে শুরু করে বার্ধক্যের ছাপ। রোদে বের হতে হলে তাই কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হওয়া উচিৎ।

[picture]

সানস্ক্রিন কিন্তু শুধু ত্বককে রোদের প্রখরতা থেকে রক্ষা করে না, এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউ.ভি. রশ্মি থেকে রক্ষা করে, প্রিম্যাচিউর স্কিন এজিং-কে দূরে রাখে এবং স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এখন বাংলাদেশে সাধারণত যেসব সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায় তার মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে উল্লেখযোগ্য হলো -

 (১) Nutrogena Ultra Sheer Dry Touch Sunscreen

এটি আমাদের দেশের আবহাওয়ায় স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব ভালো একটি সানস্ক্রিন। এতে আছে SPF 45 যা আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি UVA এবং UVB থেকে সুরক্ষা দিবে। এটি অয়েল ফ্রি, ওয়াটারপ্রুফ এবং সোয়েটপ্রুফ। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৮৬ এম.এল। এর মূল্য ১৩০০টাকা।

6868795_320x385

 (২) Loreal Paris Advanced Suncare Silky Sheer Sunscreen  এতে আছে SPF 50। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ওয়াটারপ্রুফ এবং সোয়েটপ্রুফ। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৮৮ এম.এল। মূল্য পড়বে ১,৩০০ টাকা।

   (৩) Lotus Herbal Safe Sun UV screen Matte Gel তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বেশ ভালো একটি সানস্ক্রিন এটি। এতে আছে SPF 50 যা আমাদের দেশের আবহাওয়ায় বেশ উপযোগী। প্যাকেজিং এ পরিমান ৫০ গ্রাম। এর মূল্য পড়বে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।

 (৩) Lotus Herbals Safe Sun Block Cream এটি আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ অ্যাভেইলেবল এবং প্রচলিত একটি প্রোডাক্ট। এতে আছে SPF 30। যাদের ত্বক স্বাভাবিক এবং শুষ্ক, তাদের জন্য বেশ ভালো একটি প্রোডাক্ট এটি । তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি তুলনামূলক কম ভালো বলে মনে হয়েছে আমার কাছে । এতে লেখা আছে যে এটি ওয়াটারপ্রুফ, যদিও ব্যবহারে আমার কাছে এরকম মনে হয়নি। তবে গরমে প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য এফোরড্যাবল প্রাইস এ এটা মোটামুটি ভালো একটি অপশন। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৫০ গ্রাম। এর মূল্য  ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে।    silky-sheer-lotion-spf-50(৪) Lakme Sun Expert এতে আছে SPF 24। স্বাভাবিক থেকে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা ব্যবহার করতে পারেন। দামেও বেশ সাশ্রয়ী। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৬০ এম.এল। এর মূল্য ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে পড়বে।   (৫) Lakme 9 to 5 Mattifying Super SPF 50 Sunscreen Lotion  এতে আছে SPF 50। স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরারা ব্যবহার করতে পারেন । প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৩০ এম.এল। মূল্য ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকার মধ্যে।

Lakme-9-to-5-Mattifying-Super-Sunscreen-spf50-review-swatches

এসব সানস্ক্রিন বিভিন্ন সুপারশপ এবং বড় কসমেটিক্স এর দোকানে কিনতে পারবেন। তাছাড়া ও যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত SAPPHIRE এ ও পেয়ে যাবেন অরিজিনাল প্রোডাক্টটি। ঘরে বসে অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন।

তাছাড়াও যদি মার্কেটের কেনা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করতে চান, তাহলে বাসায় বসেও বানিয়ে নিতে পারেন আপনার ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন। তবে ঘরে তৈরি এই সানস্ক্রিন লম্বা সময় ধরে আপনাকে সান প্রটেকশন দিতে সক্ষম হবে না। 

হোমমেইড সানস্ক্রিন বানানোর জন্য যা যা লাগবে -

 (১) ১০ চা চামচ অ্যালোভেরার জেল

(২) ১০ চা চামচ তিলের তেল / জোজবা অয়েল/ ক্যারট সিডস/ সানফ্লাওয়ার অয়েল (ন্যাচারাল সান প্রটেক্টর উপাদানে সমৃদ্ধ)

(৩) ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল

sunflowerseedoil

সব উপকরণ ভালোভাবে মিক্স করে একটি শুকনো পরিষ্কার কৌটায় রেখে দিন এবং সানস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করুন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এইসব উপকরণের সাথে ৬ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল যোগ করুন।   তাহলে আর দেরি না করে এখন থেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা শুরু করুন এবং এই গরমে ও ত্বককে রাখুন নিরাপদ, সুন্দর ও প্রাণবন্ত।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম, গ্লোঅফগ্রেস ডট কম

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
25750 2017-05-09 10:47:24 2017-05-09 04:47:24 open open %e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সাবুদানার খিচুড়ি http://www.shajgoj.com/2017/05/25757/ Mon, 08 May 2017 07:32:43 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25757 সাবুদানা দিয়ে তৈরি করুন মজাদার খিচুড়ি। বাদাম , আলু  এবং সাবুদানার মেল বন্ধনে এই খিচুড়িটি খেতে কিন্তু মন্দ নয়। একবার ট্রাই করেই দেখুন না! 

উপকরণ

  • সাবুদানা - ১ কাপ
  • ভাজা বাদাম গুঁড়া  - ১/২ কাপ
  • সিদ্ধ আলু ছোট ছোট করে কাটা - ১/২ কাপ
  • কাঁচামরিচ কুঁচি - ২-৩ টি 
  • তেল - ৩ টেবিল চামচ
  • গোটা জিরা - ১/২ চা চামচ
  • হলুদ - ১/৪ চা চামচ
  • লবন - স্বাদ মতো
  • লেমন জুস- ১ টেবিল চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি - ২ টেবিল চামচ

[picture]

প্রণালী

- সাবুদানা আলতো করে ধুয়ে ১ কাপ পানিতে ৩-৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।

- মাঝারি আঁচে প্যানে তেল গরম করে জিরা ফোড়োণ দিয়ে কাঁচামরিচ দিন। আলু দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করুন।

- সাবুদানা দিয়ে ৩-৪ মিনিট নাড়া-চাড়া করে হলুদ গুড়া,লবন দিন।

ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না সাবুদানা স্বচ্ছ রঙের হচ্ছে। সাবধানে নাড়তে থাকুন ৬-৭ মিনিট ।

- খেয়াল রাখবেন যেনো সাবুদানা ঝরঝরে হয়।

- ভাজা বাদাম,লেবুর রস ও ধনেপাতা মিশিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

- গরম গরম পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি - ফাতেমা রহমান 

]]>
25757 2017-05-08 13:32:43 2017-05-08 07:32:43 open open %e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ : গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট মাল্টি অ্যাকশন ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম http://www.shajgoj.com/2017/05/25772/ Mon, 08 May 2017 11:47:34 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25772 ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিমের ব্যবহার আসলে নতুন কিছু না। রূপচর্চার আদিকাল থেকে রাতের বিশেষ যত্নই কালেভদে নাইট ক্রিমে রূপান্তরিত হয়েছে। আমাদের দাদি-নানীরা রাতের কিছুটা সময় ত্বকের যত্নের জন্য আলাদাই করে রাখতেন। তবে যুগ পাল্টেছে ! আজকাল আমাদের হাতে অতো সময় কই! হাতের কাছে চাই এমন একটি প্রোডাক্ট যা একটি নয় অনেক সমস্যার সমাধান করবে একাই! এতক্ষণে নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন নাইট ক্রিম নিয়ে তো আপনার জানার পরিধি কম নয়। আর জেনে কি হবে!! তবে সাশ্রয়ী মূল্যে একটা ভালো নাইট ক্রিমের সম্পর্কে জানতে পারলে ভালো হতো!

সেই ভাবনাকে মাথায় রেখে আজকে গার্নিয়াররের ফেয়ারনেস ক্রিম রেঞ্জের নাইট ক্রিমটি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাব। এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করার কয়েকদিন পরেই মনে হয়েছে একটি রিভিউ তো দিতেই হয়। তবে চেয়েছি বেশ অনেকটা সময় ধরে ব্যবহার করার পর রিভিউতে যাব। এই প্রোডাক্টটি ফেয়ারনেস রেঞ্জের হলেও আলাদা করে ২ টি পয়েন্টস এই ক্রিমটি কিনতে আমার আগ্রহ জুগিয়েছে তা হল- নাইট ক্রিমের পাশাপাশি এর ডার্ক স্পট রেডিউজ এবং তারুণ্য বজায় রাখার দাবি।

[picture]

দাম -

আমি গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট মাল্টি অ্যাকশন ফেয়ারনেস নাইট ক্রিমের ১৮ গ্রামের জার কিনেছি ২২৪ টাকায়। পরিমাণের তুলনায় প্রোডাক্টটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী।  এছাড়াও ৪০ গ্রাম পাওয়া যাচ্ছে ৩৩২ টাকায়।

প্যাকেজিং -

বলতেই হবে দামের তুলনায় বেশ ভালো মানের প্যাকেজিং করার ট্রাই করেছে গার্নিয়ার। কিউব শেপের কার্ডবোর্ড বক্সের ভেতরে করে আসা বেশ শক্ত প্লাস্টিকের স্ক্রু ক্যাপ জারের এই নাইট ক্রিমটি অনায়েসেই যেকোন জায়গায় ক্যারি করা যায়। প্যাকেজিং-এ খুব স্পষ্টভাবে উপাদান , পরিমাণ , ব্যবহার বিধি দিয়ে দেয়া আছে। উৎপাদনের তারিখ জারের নিচে দেয়া আছে।

18175365_1406149432779539_239661665_o

18160140_1406149429446206_146301355_o

 

প্রাপ্তিস্থল -

আশেপাশের যেকোনো বিশ্বস্ত কসমেটিক শপ/ সুপার শপ।

প্রোডাক্টের লাইফ – টাইম -

উৎপাদনের সময় হতে ৩৬ মাস পর্যন্ত এই ক্রিমটির কার্যকারিতা অক্ষুন্ন থাকবে। কেনার আগে ম্যানুফেকচারিং এর ডেট দেখে কিনুন।

প্রোডাক্টটির রঙ এবং টেক্সচার -

খুব সুন্দর সাদা রঙের এই ক্রিমটি বেশ স্মুদ এবং খুব সহজেই ব্লেন্ড করা যায়।

18119993_1406149446112871_1162160079_o

কীভাবে ব্যবহার করব?

প্যাকেটের গায়ে স্পষ্ট করে লেখা আছে পুরোপুরি পরিষ্কার মুখে এই ক্রিমটি অ্যাপ্লাই করেতে হবে। নিয়মটা ফলো করে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পুরো মুখে এবং গলা থেকে মুখ পর্যন্ত ডট ডট করে ক্রিম লাগিয়ে আস্তে আস্তে সার্কুলার মোশনে নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করে লাগিয়েছি। প্যাকেটের গায়ে ঠিক যেভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে আমি ঠিক সেভাবেই ব্যবহার করেছি। তবে ঘুমোতে যাওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে আমি এটি ইউজ করেছি। ফলে ত্বক ক্রিমটি পুরোপুরি শুষে নেয়ার সময়টুকু পেয়েছে। তা না হলে ক্রিমটি ত্বকের বদলে পিলো কাভারেই লেগে থাকার সম্ভবনা বেশি থাকত।

18159376_1406149496112866_275282658_o

গার্নিয়ার এর দাবি -

এই নাইট ক্রিমে থাকা লং ড্যান এক্সট্রাক্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের ম্যালানিন তৈরিকে বাঁধাগ্রস্ত করে যার ফলে ত্বকের ডার্ক স্পট ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

এতে থাকা ন্যাচারাল পিলিং ফ্রুট এক্সট্রাক্ট ত্বকের গভীর থেকে এক্সফলিয়েট-এর মাধ্যমে ইম্পিউরিটিজ এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে আর ভিটামিন সি ত্বকের ইলাস্টিসিটি ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।

এই তো গেল গার্নিয়ার নাইট ক্রিমের দাবি, এবার আসা যাক আমার নিজের অভিজ্ঞতায়।

পুরো শীতের সময়টায় আমি নাইট নারিশমেন্ট হিসেবে আমন্ড অয়েল এবং রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল ইউজ করেছি। কিন্তু গরম পড়ার সাথে সাথে নাইট কেয়ারেও একটু পরিবর্তন আনাটা জরুরী ছিল। এমন একটি নাইট ক্রিম খুঁজছিলাম যা আমার ত্বকের ড্রাইনেস এবং ডার্ক স্পট-গুলো কমাতে সাহায্য করবে। তাই আমন্ড এবং রোজমেরি অয়েল ইউজ করা বাদ দিয়ে গার্নিয়ারের এই নাইট ক্রিমটি; যা কিনা ডার্ক স্পট হালকা করার দাবি রাখে; ইউজ করার সিদ্ধান্ত নিই।

সত্যি বলতে আমার মুখের থাকা ব্রণের দাগগুলো এখন বেশ হালকা। প্রায় দেড় মাসের ব্যবহারে জেদি ব্রণের দাগগুলো মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে এবং আমি শিওর খুব শীঘ্রই এই দাগগুলো একেবারেই মিলিয়ে যাবে এবং আমার ত্বক হয়ে উঠবে ফ্ললেস!

কার্যকারিতার দিক থেকে আমি বলব এই প্রোডাক্টটি আপনাকে রাতারাতি কোন পরিবর্তন এনে দিবে না। সময় নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। আর রাতারাতি কোন ফলাফল যে ত্বকের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না তা তো সাজগোজের নিয়মিত পাঠকেরা জানেনই।

18119990_1406149506112865_1408138363_o

 

ছবিতে দেখুন নাইট ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে ত্বকের অবস্থা…

18175384_1406149566112859_1250775535_o

এখন দেখুন পরের অবস্থা...

ক্রিমটি লাগনোর পর কিচ্ছুক্ষণ সময় দিয়ে দেখুন ক্রিম যে অ্যাপ্লাই করেছেন তা বোঝাই যাবে না তবে একটা সফট ফিলিং পাবেন।

নিয়মিত রাতে পরিষ্কার ত্বকে অ্যাপ্লাইয়ের পর সকালে ঘুম থেকে উঠে ত্বকে হাত দিলে মনটা ভালো হয়ে যায়। ড্রাই ত্বকের অধিকারীরা জানেন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার পর ড্রাইনেস কীভাবে কষ্ট দেয়। সাথে সাথে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই না করলে বারোটা বাজার উপক্রম!

এই ক্রিমটি ব্যবহারের প্রথম দিন থেকেই ত্বকের রুক্ষতা কমতে শুরু করে এবং মেকাপের পরে ব্রেক আউটের কারণে বার বার প্যাচ-আপ করবারও প্রয়োজন পড়ে না। কাজেই অতিরিক্ত ড্রাইনেসের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য বেশ উপকারী হবে এই নাইট কেয়ারটি।

প্রোডাক্টটির যে দিকগুলো ভালো লেগেছে-

-     ক্রিমটির কন্সিস্টেন্সি বেশ লাইট।

-     খুব অল্পতেই ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে।

-     ক্রিমটা ব্যবহারের পর লেমনের খুব হালকা একটা সুগন্ধ নাকে এসে পৌঁছে। আমার কাছে এই হালকা গন্ধটা বেশ ভালো লেগেছে।

-     ত্বকের ডার্ক স্পটগুলো আসলেই অনেকটা হালকা করে দেয়।

-     সারা রাত ক্রিমটি মুখে লাগিয়ে রাখার পর সকালে ত্বকের উজ্জ্বলভাব মনকে চাঙ্গা করে দেয়।

-      এই গরমে ডেইলি ইউজের জন্য ভালো। স্কিনে সহজে মিলিয়ে যায়, স্কিনের উপরে অয়েলি হেভি লেয়ার হয়ে একেবারেই পড়ে থাকে না।

-     নাইট ক্রিম হিসেবে দামের দিক থেকে অনেকখানি সাশ্রয়ী।

-     পরিমাণে খুব অল্প লাগে।

-     দেখতে ছোট হলেও দিব্যি ১ মাস ব্যবহার করে যেতে পারবেন।

-     এটা ব্যবহারের পর ত্বকে কোন প্রকার ব্রেক-আউট লক্ষ্য করিনি।

যে দিকগুলো ভালো লাগেনি-

-     অনেকেই আছেন যাদের কাছে এই লেমন-এর গন্ধটা একটু কটু লাগতে পারে।

-     এই নাইট ক্রিমটি সব ধরণের ত্বকের অধিকারীরা ইউজ করতে পারবেন। মিশ্র থেকে ড্রাই স্কিনের অধিকারীদের বেশ মানিয়ে যাবে। এই ধরণের ত্বকের অধিকারীরা কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা একটু অয়েলি ফিল করতে পারেন।

লিখেছেন - নিলা

 

 

]]>
25772 2017-05-08 17:47:34 2017-05-08 11:47:34 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6802 manila0804@gmail.com http://www.shajgoj.com 162.158.22.113 2017-05-20 14:33:08 2017-05-20 08:33:08 1 6800 259 akismet_result akismet_history 6800 tanjina.tisha.186@facebook.com 162.158.22.65 2017-05-19 23:18:20 2017-05-19 17:18:20 1 0 0 akismet_result akismet_history akismet_history
স্ট্রেচমার্কস কমাতে , স্কিনকে প্রিম্যাচিউর এজিং থেকে দূরে রাখতে এবং উজ্জ্বল করে তুলতে কতটা কার্যকরী বায়ো অয়েল ? http://www.shajgoj.com/?p=26326 Fri, 09 Jun 2017 03:38:24 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26326 আজকে এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলবো যা আমার বেশ উপকারে এসেছে, আশা করি আপনাদের ও কাজে লাগবে , সেটি হলো বায়ো অয়েল (Bio Oil) । স্কিনের নতুন এবং পুরাতন দাগ দূর করতে , স্ট্রেচমার্কস কমাতে , স্কিনকে প্রিম্যাচিউর এজিং থেকে দূরে রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে নরম , কোমল , মসৃণ আর উজ্জ্বল করে তুলতে বায়ো অয়েলের জুড়ি নেই ।  সার্জারি ও অ্যাক্সিডেন্টজনিত দাগ , পোকামাকড়ের কামড়ের দাগ , নতুন ও পুরাতন একনের দাগ , গর্ভকালীন সময়ে স্ট্রেচ মার্ক , ওজন কমলে ঢিলে চামড়ার স্ট্রেচ মার্ক , বলিরেখা কমানো - এইরকম অনেক অনেক উপযোগিতা আছে এই বায়ো অয়েলের । হলিউডের কিম কার্দাশিয়ান , মিরান্ডা কের থেকে নিয়ে শুরু করে প্রিয়াংকা চোপড়া পর্যন্ত অনেক তারকাই বায়ো অয়েল ব্যবহার করেন ।

সাউথ আফ্রিকা বেইজড একজন জার্মান কেমিস্ট Dieter Beier এর লাইফওয়ার্ক হলো এই বায়ো অয়েল, যা দীর্ঘদিন গবেষণা করার পর ফাইনালি তৈরি হয়ে ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মত বাজারে আসে। পরবর্তীতে Deiter রিটায়ার করার পর তিনি বায়ো অয়েল Justin & David Letschert নামের দুই ভাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন এবং এখন আমরা বাজার থেকে যে বায়ো অয়েলটা কিনছি এর প্যাকেজিং তাদেরই ডিজাইন করা। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই ডার্মাটোলজিস্টরা স্কিনকেয়ারের জন্য বায়ো অয়েলকে রেকমেন্ড করে থাকেন।

আমার অভিজ্ঞতা

আমি যখন প্রেগন্যান্ট ছিলাম, তখন প্রথমবার বায়ো অয়েল কিনেছিলাম। অয়েলটির মুখটি ড্রপারের মতো , তাই মুখ খুলে ফোঁটায় ফোঁটায় অয়েলটা হাতে পড়ে, ফলে প্রোডাক্ট ওয়েস্টেজের সম্ভাবনা খুবই কম, যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে।

bio-oil-review-effective-scar-stretchmark-4 (1)

তেলের রঙ-টাও আমার ভালো লেগেছে কিছুটা peachish orange ধরণের, যদিও হাতের তালুতে নিলে ট্রান্সপারেন্ট দেখায়। গন্ধটা কিছুটা কড়া। অনেকের হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। বেশ লাইট স্ট্রাকচারের তেল। ব্যবহার করা একেবারেই সহজ। বোতলের মুখ খুলে হাতে নিয়ে সরাসরি যে স্থানে লাগাতে চান লাগাবেন। নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

DSCF3570বায়ো অয়েলে যে উপাদানগুলো আছে

বায়ো অয়েলের ফর্মুলেশন হচ্ছে অয়েল বেইজে উদ্ভিদ নির্যাস এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনের সমন্বয়। এতে আছে -

(১) ভিটামিন এ - স্কিনের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্কিনে নতুন কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে এবং স্কিনের টেক্সচার এবং টোনকে উন্নত করে।

(২) ভিটামিন ই - স্কিনকে নরম ও কোমল রাখে, একে প্রিম্যাচিউর এজিং এর হাত থেকে রক্ষা করে।

(৩) ক্যালেন্ডুলা অয়েল - সেনসিটিভ, ড্যামেজড, রোদে পোড়া ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে। ছোটখাটো স্কিন ইনফেকশন, চুলকানো, র‍্যাশ থেকে মুক্তি দেয়।

(৪) রোজম্যারি অয়েল - এতে আছে স্কিন সুদিং প্রোপার্টি এবং মৃদু অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। স্কিনকে নরম, কোমল, মসৃণ করে তোলে।

(৫) ল্যাভেন্ডার অয়েল - এতেও আছে ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপটিক এবং এটিও স্কিনকে নরম ও কোমল করে তোলে।

(৬) ক্যামোমাইল অয়েল - এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটোরি উপাদান সেনসিটিভ স্কিনকে রক্ষা করে।

(৭) পারসেলিন (PurCellin) অয়েল - স্কিনে অয়েলটাকে ভালোভাবে অ্যাবসর্ব হতে সহায়তা করে।

bio-oil-ingredients

বায়ো অয়েলের ব্যবহার

(১) যেকোন স্কিনের নতুন ও পুরাতন দাগ দূর করতে বায়ো অয়েল অনেক কার্যকরী। নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ, চিকেনপক্সের দাগ, অ্যাক্সিডেন্ট ও সার্জারি জনিত দাগ, পোকামাকড়ের কামড়ের দাগ সবই ধীরে ধীরে কমে যায় এবং দূর হয়।

(২) গর্ভকালীন সময়ে পেট এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে যে স্ট্রেচমার্ক পড়ে সেগুলো কমাতে এবং দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই বায়ো অয়েল ব্যবহার করা শুরু করতে হবে এবং প্রতিদিন নিয়ম করে লাগাতে হবে। তাছাড়াও অনেকের ওজন কমার পর ঢিলে হয়ে যাওয়া চামড়ায় স্ট্রেচমার্ক দেখা দেয়, সেগুলো দূর করতেও বায়ো অয়েল কার্যকরী।

(৩) যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তাদের জন্য খুবই ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার হলো বায়ো অয়েল। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে নাইট ক্রিমের পরিবর্তে অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাই স্কিনকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত, কোমল এবং মসৃণ করে তোলে বায়ো অয়েল।

(৪) বায়ো অয়েলের অ্যান্টি এজিং প্রোপার্টির কারণে এটাকে অ্যান্টি এজিং সিরামের পরিবর্তে ও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে বায়ো অয়েল।

[picture]

(৫) রোদে পোড়া ত্বক, অসুস্থতাজনিত মলিন ত্বক, মেছতা জনিত দাগ, ঘাড় ও গলার কালচে দাগ এসব দূর করতে ও বায়ো অয়েলের জুড়ি নেই।

 (৬) শুষ্ক ত্বকে মেকআপ প্রাইমার হিসেবে বায়ো অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

 (৭) শেভিং এর আগে ও পরে বায়ো অয়েল ব্যবহারে স্কিনে জ্বালাপোড়া করে না, স্কিন নরম, কোমল, মসৃণ থাকে।

 (৮) খুব বেশি ফ্রিজি (frizzy) চুলের উপর হালকা করে বায়ো অয়েল লাগিয়ে তারপর হেয়ার স্টাইলিং করলে সেটা দীর্ঘসময় সুন্দর ও পরিপাটি থাকে।

 (৯) ভিটামিন ই-তে ভরপুর এই বায়ো অয়েল নখের কিউটিকল প্রোটেক্টর হিসেবে কাজ করে এবং নখকে মজবুত করে।

 (১০) যারা ঘরে বসে স্পা করেন তারা ফেসপ্যাকে বায়ো অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

রেটিং, মূল্য এবং প্রাপ্তিস্থান 

আমি ব্যক্তিগতভাবে একে রেটিং দিবো ৯.৫/১০।

বর্তমানে আমাদের দেশে ২ আউন্সের বায়ো অয়েলের বোতলের মূল্য প্রায় ৭০০/- টাকা এবং ১২৫ মি. লি. বায়ো অয়েলের বোতলের মূল্য প্রায় ৩০০০ টাকা

দেশের বড় বড় ফার্মেসি, বড় কসমেটিক্সের দোকানসহ যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত স্যাফায়ার এ অরিজিনাল বায়ো অয়েলটি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করতে পারেন। বাজারে এখন প্রায় সব ভালো প্রোডাক্টেরই নকল দিয়ে ভরা, তাই অরিজিনাল প্রোডাক্ট কিনতে হলে দাম কিছুটা বেশি পড়লেও অথেনটিক স্থান থেকে কিনুন।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
26326 2017-06-09 09:38:24 2017-06-09 03:38:24 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%9a%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95 draft 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সোনামণির প্রথম স্কুলে যাওয়া http://www.shajgoj.com/?p=26740 Wed, 30 Nov -0001 00:00:00 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26740 প্যারেন্টিং খুব আপেক্ষিক একটা ব্যাপার । একেকজন একেকভাবে তার সন্তানদের হ্যান্ডেল করেন, কারণ প্রতিটা বাচ্চাই ভিন্ন, তাদের স্বভাব এবং ব্যক্তিত্বও ভিন্ন । জরুরী না যে আমার সন্তান যে পদ্ধতিতে একটা জিনিস শিখবে, আপনার সন্তানের উপর ও একই পদ্ধতিতে প্রয়োগ করলে আপনার বাচ্চাটা শিখে যাবে । তবুও প্যারেন্টিং এর বেসিক কিছু ব্যাপার আছে, যেটা কমবেশি সব বাবা-মা-ই করে থাকেন। প্রথম সন্তানের জন্মের পর কিন্তু বাবা-মায়েরও নতুন করে জন্ম হয় । বাচ্চাটার সাথে সাথে বাবা-মাও আস্তে আস্তে বড় হন, আমাদের বাচ্চাদের মতো আমরাও কিন্তু ভুল করতে করতে প্যারেন্টিং শিখি। আমার আজকের লেখাটি আমার মতো ভুল করে করতে করতে ধীরে ধীরে শেখা প্রথমবার প্যারেন্ট হয়েছেন এমন প্যারেন্টসদের জন্য ।

[picture]

সন্তানকে কবে স্কুলে ভর্তি করাবেন, সেই সিদ্ধান্ত শুধুই প্যারেন্টসের । তারাই জানেন তাদের সন্তানটি স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত কি না । তবে আমাদের দেশে সাধারণত বাচ্চারা ৩-৪ বয়স থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করে । স্কুলে যাওয়ার পর প্রথম যে সমস্যাটা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা হলো বাচ্চার স্কুলের প্রতি অনীহা এবং কান্নাকাটি । এই nagging-টা পোহাতে হয়নি এমন প্যারেন্টস বেশ কমই আছেন । স্কুলে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কমপক্ষে মাসখানেক আগে থেকে বাচ্চাটাকে স্কুলে যাবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করাটা খুব জরুরী । আমার স্বল্প জ্ঞান আর ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকেই আজকের এই লেখাটা লিখছি । আমি বলছি না সবাইকেই এইসব মেইনটেইন করতে হবে । তবে যদি ভালো লাগে তবে অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন ।

  • বাচ্চার ঘুমের রুটিন মেইনটেইন করা

কর্মদক্ষতার জন্য ভালো ঘুম কিন্তু বড় মানুষের জন্যেও খুব জরুরী । তো বাচ্চাদের জন্য তো এটা জরুরী হবেই, তাই না? বাচ্চার ঘুমের একটা রুটিন তৈরি করে ফেলার চেষ্টা করুন । আমি নিজে যেটা করতাম সেটা হলো রাত ৯টার ভিতর আমার বেবিকে ডিনার করিয়ে ব্রাশ করিয়ে আমার যত কাজই থাকুক না কেন, মশারী টানিয়ে সাড়ে ৯টার ভিতর সোজা বিছানায়, ফলে দেখা যেত কি আমার বেবি যতই দুষ্টুমি করুক না কেন, আমি লাইট ও জ্বালাতাম না এবং আল্টিমেটলি ও হার মেনে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার ভিতর ঘুমিয়ে যেত । ফলাফল = সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টায় উঠে আমার বেবি আমাকে বলে- মা গুড মর্নিং! বাচ্চাদের early to bed, early to rise এই পদ্ধতি মেইনটেইন না করলে যেটা হয় সেটা হলো পরে স্কুলে ভর্তি করালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয় আর বাচ্চা স্কুলে না যাবার জন্য কান্নাকাটি করে । তাই ছোট অবস্থাতেই ঘুমের একটা রুটিন তৈরি করতে পারলে আপনার জন্যই ভালো হবে ।

  • ব্রেকফাস্ট অবশ্যই করতে হবে

বাচ্চা নাস্তায় কি খেতে পছন্দ করে এমন কিছু দরকার হলে আগের রাতে বানিয়ে রাখবেন যেন সকালে উঠে শুধু গরম করে অল্প করে হলেও খাইয়ে তারপর স্কুলে পাঠাতে পারেন । খালি পেটে ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে স্কুলে চলে গেলে আধ-এক ঘণ্টার ভিতর প্যানপ্যান করার সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল! কারণ বাচ্চারা তো আর বোঝে না যে তাদের পেট-টা খালি বলেই মেজাজটা খিটখিট করছে!

  • বইয়ের সাথে সখ্য

এই ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনের যুগে বাচ্চাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা খুব কঠিন কাজ আমরা জানি । কিন্তু বই এর সাথে সখ্য তৈরি করার দায়িত্ব কিন্তু প্যারেন্টস-এরই । বাচ্চাকে একদম ছোটবেলা থেকেই বই কিনে দিতে হবে । বই পড়ে শোনাতে হবে । অনেকেই হয়তো বলবেন, 'অনেক বই কিনি আপু, আমার বেবি তো ধুমধাম করে ছিঁড়ে ফেলে! আর কত বই কিনবো!' কিন্তু বাচ্চা বই ছিঁড়ে ফেললেও তাকে আবার বই কিনে দিন, বাচ্চাদের কালারফুল বইগুলোর দাম ও কিন্ত খুব বেশি না । Immediately না হলেও eventually বেবি বইকে ভালোবাসতে শিখে যাবে । এবং যখন আপনি তাকে স্কুলে দিবেন তখন বই ওর কাছে কোন ভীতিকর এলিয়েন বস্তু হবে না ।

সোশ্যালাইজেশন

এখন আমরা সবাই খুব আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি । প্রতিবেশির বাড়ি যাই না, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়ার সময় বের করতে পারি না, উপরের ফ্লোরের ফ্ল্যাটে কারা থাকেন তাও জানি না । আর সেফটি ইস্যু তো আছেই । কিন্তু এতে করে আমাদের বাচ্চারা সোশ্যালাইজেশনের সুযোগ পাচ্ছে না । এমনিই একালে আমরা বাচ্চাদের সবুজ ঘাস আর খোলা মাঠ দিতে পারছি না। বিশেষ করে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির বাচ্চারা কারো সাথেই মেশার সুযোগ পায় না । সম্পূর্ণ একা একা বড় হবার কারণে দেখা যায় কি স্কুলে গিয়ে হঠাৎ করে এত্তগুলো নতুন মানুষ, আরো অনেক বেবি দেখে অনেক বাচ্চাই একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। তাই বাচ্চাদেরকে নিয়ে একটু কষ্ট করে হলেও আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশিদের বাড়িতে বেড়াতে যান । বাসার কাছে পার্ক থাকলে হাঁটাতে নিয়ে যান, রেস্টুরেন্টের প্লেজোনে ও নিয়ে যেতে পারেন যেখানে আরো বাচ্চারা খেলে । এইটুক সোশ্যালাইজেশন কিন্তু সব বাচ্চারই দরকার ।

  • কোয়ালিটি টাইম

বাবা-মা যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, বাচ্চাদের জন্য কিছুটা কোয়ালিটি টাইম বের করুন যেখানে কোন ডিভাইসের ডিস্ট্র‍্যাকশন থাকবে না । সেই সময়টা তাকে নিয়ে গল্প করুন, স্কুলে গেলে কী কী হবে, ওর নতুন বন্ধু হবে, ও সবার সাথে খেলবে পড়বে এইগুলো গল্প করতে করতে গুছিয়ে বলুন যেন ওর কাছে স্কুলে যাওয়ার বিষয়টা ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠা । আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আর প্যারেন্ট-রা কিন্তু ডেমিগড না, আমরা সবাই ভুল করতে করতেই শিখি। best of luck for your kid's first day at school!

লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26740 2017-07-11 11:58:03 0000-00-00 00:00:00 open open draft 0 0 post 0 _edit_last
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান http://www.shajgoj.com/2017/05/25761/ Tue, 09 May 2017 04:51:18 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25761 কিছু দিন আগে সয়া দিয়ে  মাঞ্চুরিয়ান রান্না শিখেছি আমরা এবার  রইল চিকেন দিয়ে মাঞ্চুরিয়ান রান্নার কৌশল। তাহলে আর দেরি কেন ? ঝটপট দেখে নিন চিকেন মাঞ্চুরিয়ান রান্নার পুরো প্রণালী।

উপকরণ

  • মুরগির মাংসের টুকরা - দেড় কাপ
  •  কিউব করে কাটা পেঁয়াজ , লাল , সবুজ , হলুদ ক্যাপসিকাম  - ১ কাপ
  • স্প্রিং অনিয়ন কুঁচি - ৪ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া - আধা চামচ
  • গোলমরিচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • ময়দা -৪/৫ চা চামচ
  • আদা বাটা-আধা চা চামচ
  • কর্ন ফ্লাওয়ার-২  চা চামচ
  • লবন - পরিমাণ মতো
  • তেল - পরিমাণ মতো
  • সয়াসস - ২ টেবিল চামচ
  • টমেটো কেচাপ - ২  টেবিল চামচ
  • ডিম - ১ টি

[picture]

প্রণালী

- প্রথমে মাংসে মরিচ গুঁড়া , আদা বাটা , লবন , ডিম মিশিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে ময়দা , কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে।

- প্যানে তেল দিয়ে আদা বাটা , লবন দিয়ে দিন ।

- এবার  সব সবজি এবং সস  দিয়ে সামান্য পানি দিতে হবে ।

- পানি একটু কমে এলে কর্ণফ্লাওয়ার সামান্য পানিতে গুলে দিয়ে দিতে হবে।

- এবার কাঁচামরিচ এবং স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে ৫ মিনিট পরে নামিয়ে নিন। 

ছবি ও রেসিপি - নুসাইবা নিঝুম

 

]]>
25761 2017-05-09 10:51:18 2017-05-09 04:51:18 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এই গরমে কোনটা চাই , স্বস্তি নাকি ফ্যাশন ? http://www.shajgoj.com/2017/05/25807/ Wed, 10 May 2017 10:36:29 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25807 চলছে গরমের ঝাঁজালো শাসনে ভরা দিনকাল। আলুথালু বেশে দিন পার করা মানুষেরা খানিক বেঁচে গেলেও ফ্যাশন সচেতনরা পড়েছেন বিপাকে। আরামে থাকতে চাইলে ফ্যাশন জলে যায়, আর ফ্যাশন ঠিক রাখতে গেলে আরামে ছাই পড়ে! তবে কি একদিক পুরো ছেড়ে দিয়ে আরেক দিক রক্ষা করাই উপায়? সেটা করতে যে মন মানে না!

দুটোকেই ঠিক রেখে চলা যায় চাইলে। ফ্যাশনের ধারা বজায় রাখা চাই সময়ের চাহিদা মেনে। তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর চাইবে শীতল পরশ আর আপনি ভারী ঝকমারি পোশাক গায়ে চাপিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, নিশ্চিত থাকুন, সেটা ফ্যাশন নয়। সময়টা কেমন, তার সাথে মিলিয়ে শরীরের প্রয়োজন ঠিক কী ধরণের পোশাক, কোন উপাদান সহনীয় বা কোনটা এখন বর্জনীয়, ফ্যাশন তৈরি হয় এসব ব্যাপার দেখেই। পোশাক আর সাজসজ্জা সবটাই হতে হবে সময়ের ভাবভঙ্গি বুঝে। তবেই ফ্যাশনও রক্ষা হবে আর স্বস্তিও অটুট থাকবে।

পোশাক খানিক ঢিলেঢালা পরুন তীব্র গরমে। বাতাস চলাচলের সুযোগ রাখুন। হাঁসফাঁস করা থেকে প্রাণ বাঁচবে। সামান্য ঢিলে কুর্তি, কামিজ সাথে পালাজ্জো বা সালোয়ার বেছে নেয়া যায় এইসব দিনে। নিত্যদিনের পোশাকে স্বস্তির প্রাধান্যই থাকবে সবার আগে। খুব আঁটসাঁট কাপড় আপনাকে ফ্যাশনের তৃপ্তি দিলেও স্বস্তি দেবে না। অথচ ঢিলে কাপড়টাও মানানসই হতে পারে, হতে পারে দারুণ ফ্যাশনেবল। ম্যাক্সি ধাঁচের ফুলেল ছাপের কুর্তি বা কুঁচি দেয়া একটা শার্ট, চমৎকার মানাবে গ্রীষ্মের পোশাকে। তাঁত অথবা টাঙ্গাইল, গরমের শাড়ি হিসেবে দারুণ উপযোগী এইগুলি।

[picture]

খুব গলাবন্ধ পোশাক এড়িয়ে যাবেন। তাতে ঘামাচির বিষ নজরে পড়বেন কম। আর পোশাকের উপাদান হিসেবে বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক তন্তু। সুতি কাপড় হলো গরমের বন্ধু কাপড়। সুতির পোশাকগুলি নামিয়ে নিন পুরো গরমের সময়টা পার করতে। পোশাকে এড়িয়ে যাবেন সিল্কের মতো উপাদান।

হালকা রঙ মানেই বয়স্কদের জিনিস, এই মতবাদ গতো হয়েছে বোধহয়। চোখে ধাঁধা লাগানো ঝকমকে রঙের চাইতে হালকা কিন্তু উজ্জ্বল রঙগুলি মানানসই এই গরমে। হালকা নীল, গোলাপি, বাদামি বা নরম সবুজ কিংবা হলদে রঙের পোশাক এই সময়ে চোখে আরাম দেবে। কালো রঙ পারতপক্ষে বাদই রাখুন, বিশেষ করে যখন রোদ মাথায় নিয়ে বাইরে থাকছেন। সাদা রঙের সাথে অন্যান্য রঙের মিশেলে থাকুন প্রাণবন্ত।

গলা, হাতা আর পিঠের কাছে খুব খোলা থাকবে নাকি একটু ঢাকা পোশাকেই স্বস্তি পাবেন? সেটা কিন্তু নির্ভর করছে কই থাকছেন বেশিটা সময় তার উপর। ঘরের ভেতর থাকলে চলতে পারে একটু খোলা পিঠের পোশাক, হাফ-হাতা কামিজটা আরাম দেবে তখন।কিন্তু যদি অনেকখানি সময় বাইরে সূর্যের তাপেই থাকা হয় তবে খুব খোলা পিঠ বা গলা আরো অস্বস্তি দিতে পারে। তখন জামার হাতাটাও খানিক লম্বা না হবার আফসোস হতে পারে। রোদে চামড়ার অতোটা অংশ পুড়িয়ে লাভ তো নেই। কাজেই এমন বাইরে থাকা হলে সেদিনের পোশাক নির্বাচন করুন এসব কথা মাথায় রেখে।

মাথায় কায়দা করে স্কার্ফ জড়িয়ে নিয়ে রোদের আঁচ থেকে চুলগুলিকেও রক্ষা করতে পারেন। নিজের সুরক্ষাও হলো সাথে ফ্যাশনও। স্কার্ফের কথা হচ্ছে, হিজাব নয় কিন্তু। কাজেই নিয়ম মানার নেই কিছু। স্কার্ফটা চুলে জরিয়ে নিতে পারেন যেমন খুশি।

ধাতব গহনা কম ব্যবহার করুন গরমের দিনে। চামড়ায় অস্বস্তি হতে পারে বেশি। কানে ছোট দুল বা টপ, হাতে চুড়ির গোছা কমিয়ে হালকা ধাঁচের ব্রেসলেট পরা যায়। ভারী হার গলায় কাঁটা না হয়ে যায় যেনো, খেয়াল রাখা চাই। চুল ছেড়ে বের হলেও চাইলেই চুলটা বেঁধে নেয়ার প্রস্তুতি রাখতে হবে।

মডেল - সানজিদা তন্বী লিখেছেন - মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
25807 2017-05-10 16:36:29 2017-05-10 10:36:29 open open %e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-2 publish 0 0 post 0 _thumbnail_id _edit_last
ডিম সুজির হালুয়া http://www.shajgoj.com/2017/05/25810/ Wed, 10 May 2017 11:06:26 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25810 আজ বাদে কাল শবে বরাত ! এই দিনে বাড়িতে হালুয়ার আইটেম তো হবেই । কাজেই  ডিম এবং সুজি দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন হালুয়ার  একটি পদ। দেখে নিন পুরো প্রণালী। 

উপকরণ

  • ডিম  ২  টি
  • সুজি  ১ কাপ
  • চিনি ১/২ কাপ ( পছন্দ মতো )
  • দারুচিনি দু টুকরো
  • তেজপাতা  ১  টি
  • এলাচ গুড়াঁ  ১ চিমটি
  • সামান্য অরেন্জ বা হলুদ কালার
  • ঘি বা বাটার ৫-৬ টেবিল চামচ
  • নারিকেল কোরানো ১/২কাপ
  • দুধ দেড় কাপ
  • সামান্য জাফরান 

[picture]

প্রণালী 

- প্রথমে সুজি হালকা টেলে পানিতে ধুয়ে নিন ।পানি যতটুকু সম্ভব ফেলে দিন ।

- এখন ব্লেন্ডারে একে একে ডিম নারিকেল , চিনি , দুধ , সুজি , ভ্যানিলা এসেন্স ও কালার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ভালো করে।

- এবার প্যানে ঘি বা বাটার গরম করে দারুচিনি , তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে মিক্সারগুলো ঢেলে দিন ।  

- চুলার আচঁ মিড়িয়াম রেখে নেড়ে নেড়ে রান্না করুন । যতক্ষণ না হালুয়া প্যানের গাঁ ছেড়ে আসছে ।

- নামানোর আগে কিছু জাফরান ছিটিয়ে দেন।

- হয়ে গেলে নামিয়ে হালকা ঠান্ডা হলে ইচ্ছা মতো শেইপ করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ডিম সুজির হালুয়া ।

ছবি ও রেসিপি - ফাতেমা রহমান 

]]>
25810 2017-05-10 17:06:26 2017-05-10 11:06:26 open open %e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a7%9f%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
পুরনো কাপড়েই হবে নতুন কিছু http://www.shajgoj.com/2017/05/25815/ Thu, 11 May 2017 04:53:03 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25815 আলমারিতে পড়ে থাকা পুরনো কাপড়ের স্তূপ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন যারা , এই লেখাটা কাজে লেগে পারে তাদের। কাপড়ের বোঝা ঝেড়ে ফেলে দেয়ার আগে একবার ভেবেই দেখুন না, পুরনো কাপড়টা দিয়ে নতুন একটা জিনিস বানাতে চাচ্ছেন কিনা আপনি। পুরনো কাপড়েই দারুণ সব নতুন জিনিসের কিছু উপায় বাতলে দিচ্ছি এখানে, দেখে নিন এক নজর।

জিন্সের প্যান্টের চমৎকার ব্যবহার হতে পারে আপনার নতুন ব্যাগ হিসেবে। বড় ব্যাগপ্যাক থেকে নিয়ে ছোট্ট পার্স অবধি বানানো সম্ভব বাতিল জিন্স কেটে। ব্যাগ সাজিয়ে নিতে পারবেন আপনার ইচ্ছে মতো অন্যান্য অনুষঙ্গ ব্যবহার করে।

[picture]

বানাতে পারেন এরকম পার্স। রঙ দিয়ে এঁকে নিতে পারেন তাতে।

 1

কিংবা এমন একটা দারুণ ব্যাকপ্যাক হতে পারে আপনার পুরনো জিন্সের নতুন রূপ।

 2

বাতিল শার্ট থেকে নিজের জন্য নতুন একটা টপ বানিয়ে নেয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু। একটু মাথা খাটিয়ে নকশা করুন, মন্দ হবে না।

4প্যান্টের কাপড় কেটে বানানো যেতে পারে ওয়াল অর্গানাইজার। দরকারের টুকিটাকি জিনিসপাতি প্রায়ই এদিকসেদিক হয়ে যায়। কেউ দোরঘন্টি বাজালেই দেখা যায় চাবিটা নেই হাতের কাছে। দেয়ালেই সুন্দর একটা জায়গা বানিয়ে ফেলুন এসব গুছিয়ে রাখার। এই অসুবিধার সহজ সমাধান হয়ে যাবে আপনার বাতিল কাপড়েই।

3

পুরনো টি-শার্ট দিয়েও সহজেই বানিয়ে নেয়া যায় এমন ব্যাগগুলি। চেষ্টা করেই দেখুন একবার।

5

কেবল কাজের জিনিসই হচ্ছে? মোটেও তা নয়। চাইলে নিজের সাজের জিনিসও বানাতে পারেন ফেলনা কাপড় দিয়ে। এই দেখুন, কতো সুন্দর চুড়ি বানিয়ে ফেলা যায় কাপড় পেঁচিয়ে। কিছু রঙিন কাপড় আর পুরনো ধাতব চুড়ি লাগবে আপনার নতুন চুড়ি তৈরি করতে।

6

বানানো সম্ভব এমন আরো অনেক নতুন জিনিস। কাজেই কাপড় বাতিল হলেই ফেলে না দিয়ে খানিক চিন্তা করে দেখুন, নিজের হাতে নতুন একটা জিনিস বানিয়ে নিতে চান কিনা।

ছবি - স্পুনফ্লাওয়ারব্লগ ডট কম , আপসাইকেলওয়ান্ডার ডট কম , ভাইরালনোভা ডট কম , পিন্টারেস্ট ডট কম , হাফিংটন পোস্ট  ডট কম লিখেছেন -মুমতাহীনা মাহবুব

 

]]>
25815 2017-05-11 10:53:03 2017-05-11 04:53:03 open open %e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%b9%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6792 panna_76@live.com 141.101.107.217 2017-05-11 23:45:36 2017-05-11 17:45:36 1 0 0 akismet_history akismet_result akismet_history
আলুর চাটনি http://www.shajgoj.com/2017/05/25827/ Thu, 11 May 2017 05:29:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25827 আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল মজাদার এবং সহজ একটি চাটনি রেসিপি। তাহলে শিখে নিন, কীভাবে আলু দিয়ে চাটনি তৈরি করা যায়।

উপকর

  • আলু - ৫টি
  • মেথি দানা - ১ চা চামচ
  • তিল - ৩/৪ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচ - ৪ টি
  • ধনেপাতা কুঁচি - ৩ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুঁচি - ১ টি
  • হলুদ গুঁড়া - আধা চা চামচ
  • তেল - পরিমান মতো
  • লেবুর রস - ৩ টেবিল চামচ
  • লবন - পরিমাণ মতো

[picture]

প্রণালী

- প্রথমে আলু সিদ্ধ করে কিউব টুকরা করে নিতে হবে।

- একটি প্যানে সামান্য তেলে মেথি ভেজে নিয়ে আলুর উপরে দিতে হবে।

- এবার তিল ভেজে বেটে নিয়ে সামান্য উষ্ণ গরম পানির সাথে মিশিয়ে আলুতে দিতে হবে।

- হলুদ গুড়া , কাঁচামরিচ কুঁচি , পেঁয়াজ কুঁচিসহ সবকিছু মিশিয়ে শেষে লেবুর রস মিশিয়ে গরম ভাতের সাথে অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি নুসাইবা নিঝুম

]]>
25827 2017-05-11 11:29:19 2017-05-11 05:29:19 open open %e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
স্কিন আর হেয়ার কেয়ার রুটিনে যোগ করুন কফি http://www.shajgoj.com/2017/05/25832/ Fri, 12 May 2017 05:56:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25832 আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে আমার ফেভারিট ড্রিংক কি? আমি চোখ বন্ধ করে উত্তর দিবো - কফি। সকালের এক মগ ধোঁয়া ওঠা কফি না খেলে আমার দিনই শুরু হয় না। কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে তো আমরা জানিই, নিয়মিত কফি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, আর রিফ্রেশমেন্ট আর এনার্জেটিক ফীলিংস তো আছেই। কিন্তু আমরা কি সবাই জানি, কফি পান করা ছাড়া ও আর কি কি কাজে কফি ব্যবহার করা যায়? চলুন তাহলে দেখে নিই সৌন্দর্যচর্চায়, স্কিন আর হেয়ার কেয়ার রুটিনে কীভাবে আমরা কফি ব্যবহার করতে পারি।
 

[picture]

(১) স্কিন গ্লোয়িং ফেইস মাস্ক 

খুব সহজলভ্য কিছু উপাদান দিয়ে এই মাস্ক তৈরি করা যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কিন হবে শাইনি আর গ্লোয়িং।
এই মাস্ক বানাতে যা যা প্রয়োজন -

  • ২ চা চামচ কফি পাউডার
  • ২ চা চামচ কোকো পাউডার
  • ৩ চা চামচ ফুলক্রিম দুধ/টকদই
  • ১ চা চামচ মধু

সবকিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে মুখ আর গলায় হাতের সাহায্যে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এবার দেখুন তো স্কিন কত সফট, শাইনি আর ন্যাচারালি গ্লোয়িং দেখাচ্ছে।

coffee_scrub_recipe_2

(২) এক্সফলিয়েটিং ফেইস স্ক্রাব 

এক্সফলিয়েটিং ফেইস স্ক্রাব তৈরি করতে যা যা লাগবে -

  • ৩ চা চামচ কফি পাউডার
  • দেড় চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল/ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
  • ১ চা চামচ চিনি

সব কিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে মুখ আর গলায় হাতের সাহায্যে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। চাইলে হাত , পা , ঘাড়ে ও ব্যবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে স্ক্রাব বানানোর সময় উপকরণের পরিমাণে একই অনুপাতে বাড়াতে হবে। লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট পর আস্তে আস্তে সার্কুলার মোশনে স্কিন ম্যাসাজ করতে শুরু করুন। আস্তে আস্তে এক্সফলিয়েট হবে। স্কিনের ডেড সেলসগুলো দূর হবে এবং রোদে পোড়া ভাব ও দূর হবে। ৫ মিনিট আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(৩) সেলুলাইট কমানোর স্ক্রাব

সেলুলাইট হল শরীরের এক ধরনের পিণ্ডময় চর্বি যা সাধারণত থাই, আপার আর্ম এবং হিপলাইনে দেখা যায় এবং এই সমস্যাটা নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি হয়। সেলুলাইট দূর করতে বেশ কার্যকরী কফি স্ক্রাব বানাতে যা যা লাগবে -

  • ১ কাপ কফি পাউডার
  • ১ কাপ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল
  •  আধা কাপ চিনি

সব কিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। গোসলের পর ভেজা ত্বকে দেহের যেসব অংশে সেলুলাইট আছে, সেসব অংশে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং প্রতিটি অংশ ২-৩ মিনিট ধরে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন, ক্লকওয়াইজ এবং অ্যান্টিক্লকওয়াইজ। তারপর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে সুফল পাবেন।

coffee-scrub

(৪) ফুল বডি স্ক্রাব 
ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে, রোদে পোড়া ভাব কমাতে আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কফি দিয়ে তৈরি ফুল বডি স্ক্রাবের জুড়ি নেই। এই স্ক্রাব বানাতে যা যা লাগবে -

সবকিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। গোসলের সময় পুরো শরীরে মেখে ১০ মিনিট রেখে তারপর ধীরে ধীরে স্ক্রাব করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(৫) শাইনি হেয়ার ট্রীটমেন্ট 

৫ চা চামচ কফি ৫০০ এম.এল. পানিতে ফুটিয়ে মোটামুটি ঠাণ্ডা করে নিন। এবার গোসল শেষে ভেজা চুলে ঐ কফিটা ঢেলে পুরো মাথার সব চুল ভিজিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ পরে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। এবারদেখুন তো, চুল শাইনি গ্লোয়িং দেখাচ্ছে কিনা?

(৬) ন্যাচারাল হেয়ার কালারিং এজেন্ট 

যারা ন্যাচারালি চুল রঙ করাতে চান চুলে কোন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার না করে, তাদের জন্য খুব ভালো একটি অপশন হলো কফি। বাটা মেহেদি বা বাজার থেকে কেনা গুঁড়ো মেহেদিতে কফি আর পরিমাণ মতো পানি মিক্স করে মাথার চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিলে, চুলের কোন ক্ষতি করা ছাড়াই আপনি লাইট ব্রাউন কালারের চুল পেয়ে যাবেন।
 

আমি কফি দিয়ে তৈরি এসব মাস্কে সাধারণত নেসক্যাফে আর ম্যাককফি ব্যবহার করে থাকি। আর সেই সাথে স্কিন ক্যাফে -এর এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল আর এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল টাই বেশি প্রেফার করি, যেটা স্কিনকে ডীপলি নারিশ করে। এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট এবং অলিভ অয়েল দেশের বেশ কিছু বড়বড় কসমেটিক্স শপ, ফার্মেসিসহ যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত স্যাফায়ার এ পেয়ে যাবেন। অনলাইনে অর্ডার করে ও ঘরে বসে পেতে পারেন।
 

 Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

 ছবি - লিভস্ট্রং ডট কম, স্তাইলিস্ট ডট কম, পিন্টারেস্ট ডট কম
 লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
25832 2017-05-12 11:56:19 2017-05-12 05:56:19 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ : মিলানি ফাউন্ডেশন প্লাস কনসিলার টু ইন ওয়ান http://www.shajgoj.com/2017/05/25838/ Sat, 13 May 2017 05:53:45 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25838 বেজ মেকআপ এর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কি? উত্তরটা হলো - ফাউন্ডেশন। যত সুন্দর করেই মেকআপ করি না কেন, ফাউন্ডেশন যদি স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ না করে এবং স্কিনের টেক্সচারের সাথে না যায়, তাহলে আপনাকে 'flawless'এর জায়গায় 'awful' দেখাতে কিন্তু আর সময় লাগবে না। আজকে যে প্রোডাক্টটা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সেটা আমাদের দেশে এখনো খুব বেশি প্রচলিত হয়নি, মিলানি ব্র‍্যান্ডের ফাউন্ডেশন প্লাস কনসিলার টু ইন ওয়ান।

[picture]

আমার একনে-প্রোন স্কিন, বছরখানেক আগে ও ফুল অয়েলি টেক্সচার ছিল, কিন্তু এখন সময়ের ব্যবধানে কম্বিনেশন স্কিন হয়ে গিয়েছে। আমি মোটামুটি আমাদের দেশে অ্যাভেইলেবল বেশ অনেকগুলো ফাউন্ডেশনই ব্যবহার করেছি। ওয়েবে বেশ কিছুদিন ধরে মিলানি ফাউন্ডেশন এর বিজ্ঞাপন দেখে মনে হলো এটা একবার ইউজ করে দেখি কেমন! মিলানি একটি আমেরিকান ব্র‍্যান্ড। তো কিনে ফেললাম শেড নাম্বার - ০৩, light beige, এবং ব্যবহার করা শুরু করলাম।

 প্যাকেজিং এবং পরিমাণ

বোতলটি বেশ সুন্দর বিজ আর কালচে রঙের মিশ্রণে কাঁচের তৈরি যার মুখে একটি পাম্প আছে ফাউন্ডেশন বের করার জন্য। আউটলুকটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ৩০ এম.এল.।বোতলের গায়ে লেখা আছে যে এটি মিডিয়াম থেকে ফুল কাভারেজ দেয়, অয়েল ফ্রি, সোয়েট (sweat) ফ্রি, লং ওয়্যার এবং ওয়াটার প্রুফ।

2016-06-03 11.48.20

প্রোডাক্টটি ফুল কাভারেজ দেয়, বোতলের গায়ে লেখাই আছে যে এটি ফাউন্ডেশন প্লাস কনসিলার। টেক্সচারটা বেশ ক্রিমি, পাতলা লিকুইডনয়, এবং তুলনামূলক কিছুটা ভারী। যারা ফুল কাভারেজ চান তাদের জন্য বেশ ভালো একটি প্রোডাক্ট, কিন্তু যাদের স্কিনে তেমন কোন খুত নেই এবং বিবি/সিসি ক্রিম ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের কাছে এটা ভালো নাও লাগতে পারে। পরিমাণে বেশ অল্পই লাগে এবং ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করলে স্কিনের সাথে ভালোভাবেই ব্লেন্ড হয়ে যায় , কিন্তু ফাউন্ডেশন ব্লেন্ডিং ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে আমার খুব একটা ভালো লাগেনি।

rHpsWrD

 

আমার স্কিনে বেশ কিছু পুরোনো পিম্পল মার্কস আছে এবং আমার আন্ডার আই ও কনসিলিং এর আওতায় পড়ে। আমি অন্যান্য ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে তারপর অবশ্যই কনসিলার ব্যবহার করি। কিন্তু এটা ব্যবহার করে আমার আলাদা করে কনসিলার ব্যবহার করতে হয়নি, আমি একবারই পুরো মুখে অ্যাপ্লাই করে ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করে ব্লেন্ড করেছি। আমার একনে-প্রোন স্কিনে এটি স্যুট করেছে এবং নতুন করে কোন পিম্পল ওঠেনি। তো মিলানির এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে আমার অবজারভেশনে যে যে দিকগুলো আমার চোখে পড়েছে সেগুলো হলো -

ভালো দিক যেগুলো চোখে পড়েছে

(১) বাজেট ফ্রেন্ডলি

(২) সুন্দর আউটলুক, আলাদা ঢাকনাসহ কাঁচের বোতলে আসে যার মুখে পাম্প আছে, ফাউন্ডেশন বের করা সহজ এবং নোংরা হবার সম্ভবনা কমএবং হাইজেনিক।

(৩) ফুল কাভারেজ দেয়, সত্যিই আলাদা করে কনসিলারব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি।

(৪) আমার একনে-প্রোন স্কিনে স্যুট করেছে। নতুন করে কোন একনেআমাকে গুড মর্নিং জানাতে আসেনি এখনো পর্যন্ত।

(৫) মোট ১৫টি শেইডে আসে এই প্রোডাক্টটি, শেইডের ভ্যারাইটি থাকায় আমাদের এশিয়ান স্কিন টোনের সাথেমানানসই শেইডটি খুঁজে পাওয়া তুলনামূলক সহজ।

(৬) বেশ সুন্দর করে ব্লেন্ড হয়, কেকি হয়ে থাকে না।

(৭) লং ওয়্যার, আমি প্রায় ৮ ঘণ্টা একটানা থেকেছি এটা ইউজ করে কোন মেজর প্রবলেম ছাড়াই।

(৮) ওয়াটার প্রুফ। কিছুদিন আগে বাসায় ফেরার পথে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম কিছুটা, কিন্তু ফাউন্ডেশন ঠিকই ছিল।

ভালো লাগেনি যে দিকগুলো

(১) টেক্সচারটা তুলনামূলক কিছুটা ভারী (thick & creamy)।

(২) বোতলের গায়ে লেখা থাকলেও এটি পুরোপুরিভাবে সোয়েট (sweat) ফ্রি নয়। (৩) ফাউন্ডেশন ব্লেন্ডিং ব্রাশ ব্যবহারের চেয়ে ভেজা বিউটি ব্লেন্ডারে ভালো ব্লেন্ড হয় স্কিনে।

(৪) ৫-৬ ঘণ্টা পর আমার টি জোন অয়েলি হয়ে যায়। সব মিলিয়ে আমার কাছে প্রোডাক্টটি ভালোই মনে হয়েছে, তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যে, যাদের পুরোপুরি অয়েলি স্কিন, তাদের এটি ব্যবহার করার আগে ম্যাট প্রাইমার এবং এবং পরে ম্যাট সেটিং পাউডার আর ম্যাট ফিনিশ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।

রেটিং এবং দরদাম   ৫-৬ ঘণ্টা পর 'টি জোন' অয়েলি হবার কাহিনীটুকু বাদ দিলে আমার জন্য এটি মোটামুটি বেশ ভালোভাবেই কাজ করেছে। রেটিং যদি দিতে হয় আমি ব্যক্তিগতভাবে একে ৮/১০ দিবো। এর বর্তমান মার্কেট প্রাইস ১,২০০-১,৪০০/- টাকার ভিতরে।

যদি আমার মতো আপনার ও ডিফারেন্ট ফাউন্ডেশন ট্রাই করার fetish থাকে, তাহলে এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালোই লাগবে।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

লিখেছেন- ফারহানা প্রীতি

]]>
25838 2017-05-13 11:53:45 2017-05-13 05:53:45 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%ab publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মজাদার গাজর হালুয়ার স্প্রিং রোল http://www.shajgoj.com/2017/05/25849/ Sat, 13 May 2017 06:25:22 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25849 খাবারের পরে একটি মিষ্টি মুখ না করলে কি হয় ! খাবারের পরে ডেজার্ট আইটেমের পাশাপাশি অতিথি আপ্যায়নে অথবা বিকেলের নাস্তায় তৈরি করতে পারেন মজাদার গাজর হালুয়ার স্প্রিং রোল।

উপকরণ

  • গ্রেট করা গাজর - ৪ টি
  • কন্ডেন্স মিল্ক - ১/২ কাপ
  • চিনি - ৩/৪ কাপ
  • গুঁড়া দুধ - ৪ চা চামচ
  • এলাচ গুঁড়া - সামান্য
  • ঘি- ৪ টেবিল চামচ
  • লিকুইড দুধ - ১/২ কাপ
  • পেস্তাবাদাম - ১০ টি
  • স্প্রিং রোল শিট - ১০ টি
  • ভাজার জন্য তেল  - ২ কাপ

 [picture]

প্রণালী

- কড়াইতে ঘি দিয়ে তাতে গাজর কুঁচি দিয়ে দিতে হবে।

- মৃদু আঁচে একটু ভেজে নিয়ে তাতে কন্ডেন্স মিল্ক , লিকুইড দুধ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

- সিদ্ধ হয়ে এলে এলাচ গুঁড়া , চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। ঢাকনা খুলে বারবার নাড়তে হবে।

- গুঁড়া দুধ দিয়ে আঠালো হয়ে এলে পেস্তাবাদাম কুঁচি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

- পেপার শিট নিয়ে তাতে পুর দিয়ে রোল করে ডুবো তেলে ভেজে নিয়ে গরম  গরম পরিবেশন করুন মজাদার স্প্রিংগাজরের হালুয়ার স্প্রিং রোল।

ছবি ও রেসিপি -   নুসাইবা নিঝুম

]]>
25849 2017-05-13 12:25:22 2017-05-13 06:25:22 open open %e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ভেজিটেবল পাস্তা http://www.shajgoj.com/2017/05/25869/ Sun, 14 May 2017 04:26:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25869 বিকেলটা হলেই ক্ষুধাটা একটু চাড়া দিয়ে ওঠে। এই সময়টাতে তৈরি করে ফেলতে পারেন মজাদার ভেজিটেবল পাস্তা। দেখে নিন এটি তৈরি সহজ একটি রেসিপি।   

উপকরণ

  • পাস্তা - ১ প্যাকেট
  • সবজি পছন্দমতো কেটে নেয়া - ১ কাপ (আমি মটর শুটি , গাজর , বরবটি , ভুট্টা নিয়েছি)
  • মুরগির মাংস জুলিয়ান কাট - ১ কাপ
  • চিংড়িমাছ - ১কাপ
  • গোলমরিচ গুঁড়া - সামান্য
  • ডিম - ৩ টি 
  • সয়া সস - ২ চা চামচ
  • টমেটো কেচাপ - ৬  চা চামচ
  • চাওমিন মসলা - ১.৫ চা চামচ
  • কাঁচামরিচ - ৩/৪ টি
  • ধনেপাতা - সামান্য
  • লবন - স্বাদ মতো
  • তেল - পরিমাণ মতো

[picture]

প্রণালী

- সবজি সিদ্ধ করে আলাদা করে রাখতে হবে।

- পাস্তা সিদ্ধ করার সময় লবন, সামান্য তেল দিতে হবে।(এতে করে পাস্তা লেগে যাবেনা)

- একটি প্যানে তেল গরম করে ডিমে হালকা লবন দিয়ে ভেজে তুলে নিতে হবে।

- মাংস , চিংড়ি মাছ দিয়ে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া ,চাওমিন মসলা দিয়ে সিদ্ধ করে ভেজে নিতে হবে।

- এরপর তেলে সবজি দিয়ে এক এক করে সয়া সস , কেচাপ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে।

- হয়ে এলে পাস্তা দিয়ে ভাজা ডিম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

- নামানোর আগে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতাদিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

ছবি ও রেসিপি -   নুসাইবা নিঝুম

 

]]>
25869 2017-05-14 10:26:51 2017-05-14 04:26:51 open open %e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6801 tttjmp1441@gemail.com 162.158.79.6 2017-05-20 12:49:19 2017-05-20 06:49:19 1 0 0 akismet_history akismet_history akismet_result
অসুস্থতা বা স্কিনের অবস্থা খারাপ ! জেনে নিন, এই সমস্যা লুকানোর কিছু মেকাপ ট্রিকস http://www.shajgoj.com/2017/05/25872/ Sun, 14 May 2017 04:19:31 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25872 নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে আমাদের কতো না আয়োজন।কিন্তু সবসময় কি সম্ভব হয় একদম পারফেক্টভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে। অসুস্থতা এবং সময়ের অভাবে যত্ন না নেওয়ার ফলে স্কিনের অবস্থাও সবসময় ভালো থাকে না। ডার্ক সার্কেল, পোরস, রুক্ষ এবং খসখসে স্কিন এবং ঠোঁটের কারণে আপনার আসল সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায়। আর তখনই যদি থাকে কোনো প্রোগ্রাম! তাড়াহুড়োয় তখন কী করবেন?? কীভাবে মেকাপ করলে স্কিনের খুতগুলো অনেকখানি ঢেকে যাবে।তা নিয়েই আজ বলবো।

স্ক্রাবিং

হাতে সময় থাকলে ফেইস এবং লিপ স্ক্রাবিং করে নিন। এতে করে কিছুটা হলেও আপনার স্কিন এবং লিপস মসৃণ হয়ে উঠবে।

[picture]

প্রাইমার

প্রাইমার মেকাপকে সারাদিন ধরে রাখতে সাহায্য করে। মেকাপের জন্য একটি সুন্দর ক্যানভাস তৈরি করে। বিভিন্ন ধরনের প্রাইমার রয়েছে। কিন্তু আপনি বেছে নিন, পোর মিনিমাইজার প্রাইমার।ফেইস এ বড় পোর থাকলে মেকাপ করলেও তা বাজে দেখা যাবে। পোর মিনিমাইজিং প্রাইমারগুলো পোর এর আকার অনেক ছোট করে ফেলবে। যার ফলে মেকাপের পরেও আপনার খারাপ স্কিনের অবস্থা কারো চোখে পড়বে না।

PC221261

পোর মিনিমাইজার প্রাইমার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন - বেনিফিট পোরফেশনাল, মেইবিলিন বেবী স্কিন পোর ইরেজার এবং রিমেল ফিক্স অ্যান্ড প্রটেক্ট প্রাইমার ।

ইল্যুমিনেটর

স্কিনের অবস্থা অনেক বেশী খারাপ থাকলে এবং রুক্ষ থাকলে তা ঢাকার জন্য আপনাকে ফেসএ ফেক গ্লো তৈরি করতে হবে। এজন্য কাজে দিবে লিকুইড ইল্যুমিনেটর/ হাইলাইটার অথবা স্ট্রোব ক্রিম। প্রাইমার লাগানোর পর লিকুইড ইল্যুমিনেটর লাগান ফেস এর হাই পয়েন্টগুলোতে। স্ট্রোব ক্রিম ময়েশ্চারাইজার হিসেবে প্রাইমার এর আগেই লাগিয়ে নিতে পারেন।

blush-gems

লিকুইড ইল্যুমিনেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন - এন.ওয়াই. এক্স বরন টু গ্লো লিকুইড ইল্যুমিনেটর, বেকা শিমারিং স্কিন পারফেক্টরর লিকুইড হাইলাইটার। অথবা স্ট্রোব ক্রিম হিসেবে - ম্যাক স্ট্রোব ক্রিম।

কালার কারেক্টিং

আপনার ডার্ক সার্কেল,ফোলা চোখ, দাগ ঢাকার জন্য ব্যবহার করুন কালার কারেক্টর। আপনার স্কিন শেড যদি লাইট হয়, তবে ব্যবহার করুন পিচ কালার কারেক্টর। আর স্কিন যদি মিডিয়াম অথবা ডার্ক এর দিকে হয়।তখন ব্যবহার করুন অরেঞ্জ কারেক্টর।

ফেস এ রেডনেস থাকলে গ্রিন কারেক্টর লাগান। ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে কারেক্টর লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

কালার কারেক্টর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন - এল.এ গার্ল কালার কারেক্টর , ম্যাক কালার কারেক্টর।

কন্টুরিং এবং হাইলাইটিং

ফেসকে একটু ব্রাইট, ফ্রেস দেখাতে ফেস এর হাই পয়েন্ট গুলোতে ক্রিম হাইলাইটিং করে নিন। ফাউন্ডেশন লাগানোর পর হাইলাইটিং করুন। হাইলাইটিং কন্সিলার টা ফেস এর থেকে ২-৩ শেড লাইট ব্যবহার করুন। কন্টুরিং একটু হালকাভাবে করুন। যাতে কন্টুরিং নয়, হাইলাইটিং ভালোভাবে ফুটে ওঠে।

ক্রিম ব্লাশ

ফেস এ সুন্দর এবং ন্যাচারাল কালার যোগ করার জন্য গালে ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করুন। পাউডার ব্লাশ এর থেকে ক্রিম ব্লাশ অনেক সুন্দর গ্লো দিবে এবং ময়শ্চারাইজ দেখাবে ফেস কে। পছন্দের কালারের লিপস্টিককেও ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম ব্লাশ হিসেবে।

ক্রিম ব্লাশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন - ই.এল.এফ ক্রিম ব্লাশ প্যালেট।

516pyJuTA3L._SY450_

পাউডার

ফেস এ যতসম্ভব পাউডার প্রোডাক্ট কম ব্যবহার করুন। ফেস সেট করার জন্যেও অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করবেন না।অতিরিক্ত পাউডার আপনার ফেস এর গ্লো নষ্ট করে দিবে।

হাইলাইটার

ফেস এ সুন্দর গ্লো যোগ করে এবং স্কিনের খুতগুলো ঢাকতে অনেকাংশে সাহায্য করবে শিমারী হাইলাইটার। তাই ফেস এর হাই পয়েন্টস যেমন- চিক বোন, নাকের হাড়ে, থুতনি, আইব্রো বোনে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।

হাইলাইটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন - ম্যাক সফট এন্ড জেন্টল হাইলাইটার, দ্যা বাম ম্যারিল্যু মানিজার।

লিপস্টিক

লিপস্টিক হিসেবে ম্যাট টাইপ লিপস্টিককে একদম না বলুন। ব্যবহার করুন স্যাটিন ফিনিশের লিপস্টিক।

70506dfa6da06ba726d42f2d921414af

স্যাটিন ফিনিস লিপস্টিক এর জন্যে ব্যবহার করতে পারেন - কালার পপ স্যাটিন ফিনিশ লিকুইড লিপস্টিক,  ম্যাক স্যাটিন ফিনিশ লিপস্টিক

এই তো ছিল কিছু মেকাপ টিপস। এই টিপসগুলো মেকাপে ফলো করে,  স্কিনের অবস্থা খারাপ থাকলে অথবা অসুস্থ থাকলেও আপনি নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

 

ছবি -  পিন্টারেস্ট ডট কম , স্টাইল ক্রেজ ডট কম, নভেলবিউটিটিপস ডট কম

লিখেছেন -  জান্নাতুল মৌ

]]>
25872 2017-05-14 10:19:31 2017-05-14 04:19:31 open open %e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _thumbnail_id _edit_last
প্রোডাক্ট রিভিউ : দি বডি শপের টি ট্রি অয়েল ফ্ললেস বিবি ক্রিম http://www.shajgoj.com/2017/05/25898/ Mon, 15 May 2017 07:56:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25898 যারা প্রতিদিন বাইরে যান, অফিস কিংবা ভার্সিটিতে, অথবা টুকটাক বেড়াতে বা মার্কেটে, অনেকেই প্রতিদিন ভারী মেকাপ করা পছন্দ করেন না। ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন আর বিউটি ব্লেন্ডার নিয়ে আস্তে ধীরে মেকাপ করার সময় এবং ধৈর্য্য ও অনেকেরই থাকে না। তাহলে প্রতিদিন বাইরে যেতে হলে ঝটপট সাজগোজের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় কি? আমার জন্য কিন্তু বিবি ক্রিম, কম্প্যাক্ট, কাজল আর লিপস্টিক হলো সবচেয়ে শর্টকাট সলিউশন!

[picture]

বিবি ক্রিমের ফুল ফর্ম হলো ব্লেমিশ বাম বা বিউটি বাম। এটা এক ধরণের টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের অসামঞ্জস্যতাকে দূর করে, স্কিনটোনকে ইভেনকরে, হালকা থেকে মাঝারি কাভারেজ দেয়, স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে, কিছুটা SPF থাকে বলে কিছুটা সানস্ক্রিনের কাজ করে, কিছুটা প্রাইমারের কাজ ও করে। সোজা কথায় এটা একটা মাল্টিটাস্কিং ক্রিম যা প্রতিদিন ব্যবহার করার জন্য খুব ভালো একটা অপশন। মার্কেটে এখন অনেক ব্র‍্যান্ডের বিবি ক্রিম পাওয়া যায়। আজকে আমি যে বিবি ক্রিম নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সেটা হলো দি বডি শপের টি ট্রি অয়েল ফ্ললেস বিবি ক্রিম (The Body Shop Tea Tree Oil Flawless BB Cream)। এটা আমি বেশ অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করছি। আগে বেশ কিছু অন্যান্য ব্র‍্যান্ডের বিবি ক্রিম ব্যবহার করলেও এটা আমার একনেপ্রোন কম্বিনেশন স্কিনে বেশি স্যুট করেছে।

দি বডি শপ হলো ব্রিটিশ একটি কসমেটিক্স এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস কোম্পানি। অনেকেই হয় তো জানেন না, এটি L'Oréal এর একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি। আমাদের দেশে এখন দি বডি শপের অনেকগুলো বিউটি প্রোডাক্টসই বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে, বিশেষ করে এর টি ট্রি রেঞ্জ এর প্রোডাক্টগুলো। বডি শপের টি ট্রি রেঞ্জের সব প্রোডাক্টের মূল উপাদানের একটি হলো কমিউনিটি ট্রেড পিউরিফাইং অর্গানিক টি ট্রি অয়েল, যা মাউন্ট কেনিয়ার পাদদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়। তো এই রেঞ্জের সব প্রোডাক্টেই টি ট্রি অয়েলের স্মেল থাকে, যা সবার ভালো নাও লাগতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমার অবশ্য বেশ রিফ্রেশিং লাগে।

৪০ এম.এল. এর ছোট্ট সবুজ রঙের টিউবে বিজ রঙের ফ্লিপ ক্যাপসহ আসে এই বিবি ক্রিমটি। মোট তিনটা শেড এ পাওয়া যায়। আমি টিপিক্যাল ফর্সা নই, আবার শ্যামলা ও নই। তাই আমার স্কিন টোনের সাথে শেড নাম্বার ০২, মিডিয়াম টা ভালো যায়।

Tea Tree Flawless BB Cream

এটা স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী। শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করতে হলে বিবি ক্রিম দেয়ার আগে অবশ্যই শুষ্ক ত্বকের উপযোগী ভালো মানের হেভি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। খুব অল্প পরিমাণ ক্রিম হাতে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে স্কিনে মেখে হাত দিয়ে বা বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করে ব্লেন্ড করে নিলে স্কিনে খুব ভালোভাবে মিশে যায় এবং স্কিনকে একটা ডিউই ম্যাট ফিনিশ (dewy matt finish) লুক দেয়।

DSC01780

তবে আপনার স্কিনে যদি অনেক বেশি গাঢ় স্পট থাকে, তাহলে অবশ্য আপনার এর পরে কনসিলার ব্যবহার করা লাগতে পারে, যেহেতু আমি আগেই বলেছি এটা এক ধরণের লাইট টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার, ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন বা কনসিলার নয়। যদিও হালকা দাগগুলো বেশ ভালোই ঢেকে দিতে পারে বিবি ক্রিমটি।

The_Body_Shop_Tea_Tree_Flawless_BB_Cream_4

স্কিনে ব্যবহারের পর টি ট্রি অয়েলের কারণে বেশ কুলিং একটা ইফেক্ট পাওয়া যায়। নতুন করে আমার একনে ব্রেক আউটও ঘটায়নি। ব্যবহারের ৪-৫ ঘণ্টা পর অবশ্য বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকলে আমার টি জোন অয়েলি হয়ে যায়।

 যে দিকগুলো ভালো লেগেছে

(১) সবুজ রঙের ছোট্ট টিউবে বিজ রঙের ফ্লিপ ক্যাপের প্যাকেজিংটা আমার বড় পছন্দের। প্লাস্টিক টিউব হওয়ায় ট্রাভেল ফ্রেন্ডলি। ডেইলি আপনার হ্যান্ডব্যাগে ও নিশ্চিন্তে ক্যারি করতে পারেন।

(২) তিনটি ভিন্ন শেডে পাওয়া যায়, যেটা অনেক বিবি ক্রিমেই নেই। শেডের সীমাবদ্ধতা তুলনামূলক কম থাকায় নিজের স্কিন টোনের সাথে কম্প্যাটিবল শেড পাওয়া তুলনামূলক সহজ বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

(৩) আমার একনে-প্রোন কম্বিনেশন স্কিনে বেশ ভালোভাবে স্যুট করেছে। কোন নতুন একনে ব্রেক আউট ঘটেনি। It doesn't clogg the pores.

(৪) প্রতিদিন ব্যবহার করার জন্য বেশ ভালো মনে হয়েছে। যারা নো মেকআপ লুক প্রেফার করেন তাদের জন্য খুব ভালো একটি অপশন এটি।

(৫) ব্যক্তিগতভাবে টি ট্রি অয়েলের স্মেল এবং কুলিং সেনসেশন দুটোই আমার পছন্দ। আমার কাছে বেশ রিফ্রেশিং লাগে।

(৬) এটি ১০০% vegan product

(৭) এর শেলফ লাইফ টিউবের মুখ খোলার পর থেকে ১২ মাস পর্যন্ত, কাজেই যারা একেবারেই occasionally ফেসে কিছু ব্যবহার করেন, তারা একটি টিউব কিনে নিশ্চিন্তে এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

যে দিকগুলো ভালো লাগেনি

(১) টি ট্রি অয়েলের স্মেলটা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।

(২) SPF নেই।

(৩) ড্রাই স্কিনের জন্য আমি রেকমেন্ডকরবো না, কারণ এটা বেশ ম্যাট ফিনিশিং লুক দেয় যা ড্রাই স্কিনে প্যাচিমনে হতে পারে।

মূল্য এবং রেটিং

আমি ব্যক্তিগতভাবে একে রেটিং দিবো ৮.৫/১০। বর্তমানে এর মার্কেট প্রাইস হচ্ছে ১২৫০ টাকা।

কোথায় পাবেন? 

বেশ কিছু বড় কসমেটিক্স এর দোকানসহ যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত স্যাফায়ার এ পেয়ে যাবেন অরিজিনাল প্রোডাক্টটি। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করতে পারেন।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous. লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
25898 2017-05-15 13:56:30 2017-05-15 07:56:30 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%a6%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bf-%e0%a6%b6%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6868 sayeeda.samiha@yahoo.com 141.101.107.73 2017-06-26 15:33:47 2017-06-26 09:33:47 1 0 0 akismet_result akismet_history akismet_as_submitted akismet_history
ঠোঁটের চারপাশের কালো দাগ দূর করার ৬ টি উপায় http://www.shajgoj.com/2017/05/25908/ Tue, 16 May 2017 03:33:21 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25908 ‘মুখশ্রী-টা নজরকাড়া , রং টাও যেন আলতা রাঙা ! কিন্তু ঠোঁটের চারপাশের অংশটুকু কালো! এই কালো দাগের জন্য পুরো মুখের সৌন্দর্যই যেন ফিকে পড়ে যায় ।  এমন সমস্যায় অনেক সুন্দরীরাই ভুগে থাকেন । তবে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী ? এই সমস্যা থেকে তখনই পরিত্রান পাওয়া যাবে, যখন এই সমস্যার পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে অবগত হব।

মুখের চারপাশের কালো দাগকে বলে পিগমেন্টেশন। এই দাগ হবার পেছনে অন্যতম কারণ হলো শরীরে টক্সিন নামক বিষাক্ত পদার্থের আধিক্য বা তা শরীর থেকে বের না হওয়া । পরিপাক ক্রিয়ার সমস্যার কারণে টক্সিন জাতীয়  পদার্থ শরীর থকে বের হতে পারে না । পর্যাপ্ত পানি পান না করলে এমনটা হয় । এছাড়া হরমোনের তারতম্য বা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্নির প্রভাবে এটি হয়ে থাকে । আবার যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীতকালে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন । ওয়াক্স করার ফলেও ঠোঁটের চারপাশে কালো দাগ হয় ।

[picture]

এই সমস্যার থেকে পরিত্রানের জন্য প্রয়োজন প্রচুর  পরিমাণে পানি পান করে শরীরকে হাইড্রেট রাখা । পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার ফলে শরীর থকে খুব সহজে মুত্র বা মলত্যাগের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে যায় । কারণগুলো তো জানা হল কিন্তু এর থেকে পরিত্রানের ৬ টি উপায় আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের এই প্যাকটি ঘরোয়া উপাদানেই তৈরি করতে পারবেন।

১) ১ টেবিল চামচ  লেবুর রস  ও ১ টেবিল চামচ  টক দইয়ের মিশ্রণ ।

২)  ১ টেবিল চামচ বেসন , ১ টেবিল চামচ দুধ ও ১ চা  চামচ হলুদের মিশ্রণ ।

৩) ১ টেবিল চামচ অটমিল , ১ টেবিল  চামচ টমেটো রস  ও ১ টেবিল  চামচ টক দইয়ের মিশ্রণ ।

Tomato-Face-Mask

৪)  ১ টেবিল  চামচ আনারস , ১ টেবিল  চামচ লেবুর রস , ১/২ টেবিল  চামচ  আমন্ড এর মিশ্রণ ।

৫) ১ টেবিল চামচ  অটমিল  ও ১ টেবিল চামচ দুধের মিশ্রণ ।

৬) ১ টেবিল চামচ শসার রস , ১ টেবিল চামচ  টমেটোর রস , ১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস , ২ টেবিল চামচ যষ্টি মধুর গুঁড়া এর মিশ্রণ ।

ব্যবহার বিধি

উপরোক্ত প্যাকগুলোর যে কোন একটি লাগাতে পারেন । প্যাক লাগানোর আগে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কালো অংশে স্ক্রাবার লাগিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন । এরপর মুখ ধুয়ে  যেকোন ১ টি প্যাক লাগিয়ে রাখুন শুকানো পর্যন্ত । শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন । এটি সপ্তাহে ২ দিন রাতে ব্যবহার করুন । ধীরে  ধীরে দাগ হালকা হতে শুরু করবে ।

বি: দ্র:

ফেসপ্যাক লাগানো ছাড়া কালো দাগ হবার কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের শরানাপন্ন হতে পারেন । ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি পিগমেন্টশ ক্রিম লাগিয়ে দেখতে পারেন । তবে আমি বলব যেকোন  রাসায়নিক ক্রিম ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক প্যাক ব্যাবহার করাই উত্তম । এবং অবশ্যই বাইরে বের হবার আগে সানব্লক/ সানস্ক্রিন ব্যবহার অত্যাবশ্যক ।

ছবি - পিক্সাবে ডট কম

লিখেছেন - জোহরা হোসেন 

]]>
25908 2017-05-16 09:33:21 2017-05-16 03:33:21 open open %e0%a6%a0%e0%a7%8b%e0%a6%81%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%97 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ভ্যানিলা ফ্লেভারড কাঠবাদামের বরফি http://www.shajgoj.com/2017/05/25921/ Wed, 17 May 2017 06:27:37 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25921 শুধু শবে বরাতের সময় নয়, যেকোনো সময় ডেজার্ট হিসেবে খাওয়ার জন্য, এমনকি বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনে দেয়ার জন্য ও খুব মজার আর পুষ্টিকর একটি আইটেম হলো কাঠবাদামের (almond) বরফি। এতে যদি একটু ভ্যানিলা ফ্লেভার থাকে আর একটু চকলেটের টাচ, তাহলে তো কথাই নেই। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কীভাবে বাসায় খুব সহজেই কাঠবাদামের ভ্যানিলা ফ্লেভারড বরফি বানানো যায়।  

ভ্যানিলা ফ্লেভারড কাঠবাদামের বরফি বানাতে যা যা লাগবে - 

(১) ১ কাপ কাঠবাদাম

(২) ১ কাপ ঘন দুধ

(৩) ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম (দুধের স্বর হলেও চলবে)

(৩) এক চিমটি জাফরান

(৪) পৌনে এক কাপ চিনি (বাড়াতে/কমাতে পারেন ইচ্ছেমত)

(৫) এক চিমটি লবন

(৬) সামান্য জাফরান

(৭) দেড় টেবিল চামচ ঘি

(৮) ৭-৮ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

(৯) সাজানোর জন্য চকলেটের টুকরো (আমি কিটক্যাট আর ডেইরি মিল্ক সিল্ক ভেঙে দেই)

(১০) ২ কাপ ফুটন্ত গরম পানি

[picture]

যেভাবে বানাতে হবে - 

- ২ কাপ ফুটন্ত পানিতে ১ কাঠবাদাম ঢেলে চুলা নিভিয়ে হাড়িটা ঢেকে রেখে দিন, ১ ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে বাদামগুলো বের করতে খুব সহজেই এর খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।

- সামান্য জাফরান নিয়ে ১ কাপ ঘন দুধে ভিজিয়ে রেখে দিন ১ ঘণ্টা।

- এবার খোসা ছাড়ানো বাদামগুলো , এক চিমটি লবন , ৭-৮ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স, জাফরান দেয়া সেই ১ কাপ ঘন দুধ , ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম (দুধের স্বর/মালাই হলেও চলবে) ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

 - চুলায় কম আঁচে কড়াই/প্যানে দেড় টেবিল চামচ খাঁটি গাওয়া ঘি দিয়ে তাতে ঐ ব্লেন্ড করা মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন, এবং তাতে পৌনে এক কাপ চিনি আর ৩ টেবিল চামচ পানি যোগ করুন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। আঠালোভাব হয়ে এলে চুলা নিভিয়ে দিন।

- এবার ট্রেতে ঘি ব্রাশ করে তাতে সমান করে ছড়িয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা হবার পর ফ্রিজে রেখে দিন সেট হবার জন্য কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা।

- এবার বের করে বরফির আকারে কেটে নিন এবং প্রতিটা বরফির টুকরোর উপর ছোট ছোট চকলেটের টুকরো দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কাঠবাদামের ভ্যানিলা ফ্লেভারড বরফি উইথ চকলেট। আমি মাঝেমাঝে বরফির উপরে একটু Hershey's Chocolate Syrup ও ঢেলে দেই।

আশা করি সবাই বাসায় বানানোর চেষ্টা করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - অ্যারোমেটিক কুকিং ডট কম

রেসিপি - ফারহানা প্রীতি

]]>
25921 2017-05-17 12:27:37 2017-05-17 06:27:37 open open %e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a1-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সোনামণির ত্বকের যত্নে Burt's Bees'র বেবিকেয়ার প্রোডাক্টগুলো আসলে কেমন? http://www.shajgoj.com/2017/05/25925/ Wed, 17 May 2017 08:00:59 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25925 শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি নরম, কোমল, সংবেদশীল হয়। আর এই তুলতুলে কোমল ত্বকের যত্ন করার জন্য আমরা মায়েরা সব সময়ই দুশ্চিন্তায় থাকি। প্রখর গরমে ঘামাচি থেকে কীভাবে বাঁচাবো সেই দুশ্চিন্তায় থাকি, শীতে শুষ্ক ত্বক থেকে কী করে দূরে রাখবো সেই দুশ্চিন্তায় থাকি, কোন শ্যাম্পুটা ভালো হবে, কোন তেলটা দিয়ে বডি ম্যাসাজ করবো, তুলতুলে কোমল মুখটায় কোন ময়েশ্চারাইজারটা মাখবো - চিন্তার যেন শেষ নেই। বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হয়েছেন তাদের এক্সাইটমেন্টও বেশি থাকে, আবার অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা অনেকেই বেবির স্কিন কেয়ারে কেমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করাটা উপযোগী এবং নিরাপদ সেইটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভোগেন।  

আমি যখন প্রথমবার মা হলাম, তখন আমিও শুধুমাত্র বাংলাদেশে গতানুগতিক প্রচলিত জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কেই জানতাম। তার বাইরে আর দুটো নাম জানতাম যেগুলো এখন সব দোকানেই সহজলভ্য - কোডোমো আর মেরিলের (স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি.) বেবি স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট । আমি নতুন নতুন সব ধরণের আইটেমই কিনেছি, গিফট ও পেয়েছিলাম কিছু। কিন্তু কোনটা ব্যবহার করে পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কোনটার গন্ধ চূড়ান্ত তীব্র,কোনটা দিলে বেবির স্কিন অয়েলি হয়ে যেত, আবার কোনটায় ছোট ছোট দানা দানা র‍্যাশ উঠতো। 

[picture]

এরই মধ্যে আবার বেশ কিছু নিউজে দেখলাম জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি প্রোডাক্টগুলোতে cancer causing agents পাওয়া গিয়েছে। মনটাই গেল খারাপ হয়ে। এবার তাহলে কি করবো? ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে জানতে পারলাম Burt's Bees ব্র‍্যান্ডের বেবি প্রোডাক্ট এর কথা। Burt's Bees আমেরিকার একটি হেলথকেয়ার, ফুড অ্যান্ড কনজিউমার হাউসহোল্ড প্রোডাক্টস Clorox এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানি, যারা দাবি করে যে তারা Earth Friendly পারসোনাল স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার, বেবি কেয়ার, বিউটি প্রোডাক্টস তৈরি করে। তাদের বেবিকেয়ার প্রোডাক্টগুলোতে প্যারাবেন, সালফেট এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।

 Burt's Bees Baby Dusting Powder

 প্রথমেই আমার সবচেয়ে পছন্দের যে প্রোডাক্টটির কথা বলবো, সেটি হলো এই তীব্র গরমের এসেন্সিয়াল বেবি স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট - Burt's Bees Baby Dusting Powder. রেগুলার ট্যালকম পাউডার শিশুদের respiratory system এর জন্য ভালো না, ডাস্টিংপাউডার এ সে ঝুঁকি নেই। Burt's Bees এর পাউডারে কোন তীব্র গন্ধ নেই, ট্যালক-ফ্রী, স্কিনের জন্য খুবই মাইল্ড, আমার বেবির স্কিনে স্যুট করেছে এবং আমি কোন সমস্যা দেখতে পাইনি। আমি নিজেও বাসায় থাকলে এটাই ব্যবহার করি।

Burt-s-Bees-Baby-Dusting-Powder-Original

বর্তমানে ১২৭ গ্রামের কৌটোটির বাজারদর পড়বে ৯৩০/- টাকা।

Burt's Bees Nourishing Lotion

এবার আসি ময়েশ্চারাইজারের কথায়। Burt's Bees Nourishing Lotion আমি এবং আমার বেবি দুজনই ব্যবহার করি, একেবারেই মাইল্ড ময়েশ্চারাইজার, কোন সাইড ইফেক্ট পাইনি এবং আমার ডার্মাটোলজিস্ট ও আমার সিস্টিক একনের সমস্যার সময় এটা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাচ্চারা, বড়রা সবাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবে।

Burt's Bees Nourishing Lotion

বর্তমানে ২৫ গ্রামের টিউবটির বাজারদর পড়বে ৩৫০/- টাকা।

Burt's Bees Nourishing Baby Oil

যখন আমার বেবি অনেক ছোট ছিল, তখন গোসলের আগে আমি ওকে প্রতিদিন অয়েল ম্যাসাজ করাতাম, Burt's Bees এর নারিশিং বেবি অয়েল দিয়ে, যাতে আছে অ্যাপ্রিকট & গ্রেপসিডস অয়েল , এটিও প্যারাবেন ফ্রি এবং এতে আছে স্কিনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস।

 Burt's Bees Nourishing Baby Oil

বর্তমানে ১১৮ এম.এল. এর বোতলটির বাজারদর পড়বে ৩৫০/- টাকা।

Burt's Bees Cream to Powder

এটা ডায়পার পড়ানোর আগে ডায়পার ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করেছি আমি। এর মূল উপাদান হচ্ছে shea butter।এটি ও প্যারাবেন এবং ট্যাল্ক ফ্রি।

BabyBee_Cream_to_Powder

বর্তমানে ১১৩ গ্রামের ফ্লিপ ক্যাপের টিউবটির বাজারদর পড়বে ৩৫০/- টাকা।

 Burt's Bees Baby Bee Shampoo & Wash

সবশেষে বলছি শ্যাম্পু আর বডিওয়াশের কথা। এতে আছে অ্যালোভেরা, ওটমিল আর সয়া প্রোটিন। এটা নো টিয়ারস ফর্মুলায় বানানো মাইল্ড একটা প্রোডাক্ট, যাতে প্যারাবেন, সালফেট ও অন্যান্য ক্ষতিকারক পেট্রোকেমিক্যাল নেই। তাই গোসলের সময় শিশুর চোখে চলে গেলে ও চোখ জ্বলবে না। এটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এমনকি আমি মাঝেমাঝে মেকআপ রিমুভিং এর পরে, আমার ফেইসওয়াশ শেষ হয়ে গেলে এবং কিনতে ভুলে গেলে আমার ছেলের এই শ্যাম্পু অ্যান্ড বডিওয়াশ দিয়েও মুখ ধুয়েছি এবং স্কিনে কোন ইরিটেশন অনুভব করিনি।

baby-bee-shampoo-wash

বর্তমানে ৫০ এম.এল. এর বোতলটির বাজারদর পড়বে ৩৫০/- টাকা।

Burt's Bees এর অরিজিনাল প্রোডাক্টস বর্তমানে ঢাকার বেশ কিছু বড় দোকানসহ যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত Sapphire এ পাওয়া যাচ্ছে। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করতে পারেন। আমার কাছে বাজেটের মধ্যে Burt's Bees এর বেবিকেয়ার প্রোডাক্টগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এবং নিরাপদ মনে হয়েছে। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর শিশুদের অনেক বেশি যত্নে রাখবেন।

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

 

]]>
25925 2017-05-17 14:00:59 2017-05-17 08:00:59 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87-burts-bees%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
জেনে নিন, ত্বকের সমস্যা সমাধানে ম্যাজিকাল ফেইস প্যাক তৈরির কৌশল http://www.shajgoj.com/2017/05/25936/ Thu, 18 May 2017 03:06:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25936 প্রত্যেক  মানুষের ত্বকের ধরণ ভিন্ন এবং একেক মানুষ ত্বকের একেক সমস্যায় ভুগে থাকেন । কেউ ব্রণের সমস্যায় , কেউবা ব্লেমিস , পিগমেন্টশ এর সমস্যায় ভুগে থাকেন । কেউ বা চান ত্বকের রঙটা আরেকটু উজ্জ্বল হোক । আবার অনেকে একাধিক সমস্যায় ভুগে থাকেন । ত্বকের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় ভিন্ন রূপচর্চা করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝামেলা পূর্ণ  হয়ে যায় । তাই স্বাভাবিকভাবে আমরা ভেবে থাকি একটি মাত্র প্যাকে যদি সব সমস্যার সমাধান হতো ?  ত্বকের সব সমস্যার সমাধানের জন্য আপনাদের আজ একটি প্যাকের কথা বলব । এই প্যাকে ত্বকের সব সমস্যা যেমন - ব্লেমিস , পিগমেন্টশ , ওপেন পোরস , ব্রণ র‍্যাশ , ট্যানিং ইত্যাদি এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং সাথে ত্বক উজ্জ্বল হবে ।

আজকে আপনাদের সাথে যে প্যাকটির কথা শেয়ার করব তা আমাদের দাদি নানিরা ব্যবহার করতেন । আজকের যুগে নতুন নতুন প্রসাধনীর ভিড়ে আমরা এসবকে প্রাধান্য দেই না , উল্টো ত্বকের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে ফেলি ।

[picture]

ত্বকের এই ফেইস প্যাকটি হলো তিনটি প্যাকের সমন্বয়ে একটি প্যাকেজ । এতে রয়েছে অরেঞ্জ প্যাক , গ্রিন প্যাক , পিংক প্যাক । আর রয়েছে স্ক্রাবার । তিনটি প্যাক একসাথে ব্যবহার করলে তবেই সুফল পাবেন । তাহলে দেখে নেয়া যাক ম্যাজিকাল ফেইস প্যাক তৈরি এবং এর কার্যকারিতা ।

অরেঞ্জ প্যাক

  • পেপে ৭৫ গ্রাম
  • কমলা ১০০ গ্রাম
  • গাদা ফুল  ৪ টি
Papaya-Pack

গ্রিন প্যাক

  • শসা ২০গ্রাম
  • কারি পাতা ১০ বা ১৫ টা
  • লেবু অর্ধেক ( মাঝারি )
  • ধনে পাতা ২০গ্রাম

পিংক প্যাক

  • গোলাপ  ১ টি
  • আলু ৩০ গ্রাম

যাদের অ্যালার্জি আছে তারা আলুর পরিবর্তে গাজর ব্যবহার করতে পারেন ।

স্ক্রাবিং পাউডার

  • আটা  ১ টেবিল চামচ
  • বারলি ১ টেবিল চামচ
  • অটস ১ টেবিল চামচ
  • বেসন ১ টেবিল চামচ
  • হলুদ  ১ চা চামচrose-petals-in-mortar

ব্যবহার বিধি

১) অরেঞ্জ প্যাক , গ্রিন প্যাক , পিংক প্যাক এর সমস্ত উপকরণগুলো আলাদাভাবে ব্লেন্ড করে আলাদা পাত্রে রেখে নিন । এবার স্ক্রাবার এর উপকরণগুলো মেশান । এতে পানি মেশানোর প্রয়োজন নেই । শুকনো রাখুন ।

২) সর্ব প্রথম অরেঞ্জ প্যাকটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট ।  ১০ মিনিট পর স্ক্রাবিং পাউডার দিয়ে হালকাভাবে ঘষে তুলে ফেলুন যতক্ষন না পর্যন্ত ত্বকের ময়লা দূর হয় ।

৩) এবার গ্রিন প্যাক টি লাগান একই নিয়মে ।

৪) সবশেষে পিংকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকানো পর্যন্ত । শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান ।

প্যাকগুলোর কার্যকারিতা

(১) অরেঞ্জ প্যাক

- এই প্যাকটি গরমকালের জন্য বিশেষ উপযোগী । গরমকালে রোদের তাপে ত্বক কালো হয়ে যায় ।

- এই প্যাকের কমলাতে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  যা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করে ও বয়স জনিত ভাঁজ রোধ করে ।

- গাদা ফুল ত্বকের র‍্যাশ , একনে ,ব্রণ ও ইনফেকশন কমায় ।

(২) গ্রিন প্যাক

- গ্রিন প্যাকের শসা ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে পোরস বন্ধ করে ।

- কারি পাতা ত্বকের ইনফেকশন কমিয়ে ত্বক গ্লো করে ।

- ধনে পাতা ত্বকের যে কোন কালো দাগ যেমনঃ ব্লেমিশ , পিগমেন্টশ , ইত্যাদি কমায় ।

- লেবু ত্বকের রং উজ্জ্বল করে ।

(৩) পিংক প্যাক

- গোলাপ ত্বক নরম ,কোমল ও ফর্সা করে  ।

- আলু ত্বকের  দাগ দূর করে ও রিংকেল কমায় ।

এই প্যাক গুলো সপ্তাহে দুই বা তিন দিন ব্যবহার করবেন । ব্যবহার করার প্রথম দিনই আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন । প্যাকটি প্রথম বার ব্যবহারের ফলেই ত্বক উজ্জ্বল হবে এমনকি ত্বকের মৃত কোষ পর্যন্ত উঠে যাবে । আপনি নতুন ত্বক পাবেন । ১০০ % ফলাফল পাবেন এই প্যাকটিতে । প্যাকটি র কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য নিজের হাতের  অর্ধেক অংশে লাগিয়ে দেখতে পারেন । তবে এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন । নিচের ছবিতে দেখুন ।

Untitled

এভাবে প্যাকটি ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই আপনি অভাবনীয় ফল পাবেন । পুরো শরীরে আপনি প্যাকটি লাগাতে পারেন । এতে আপনার শরীরের রঙে  পরিবর্তন আসবে । আপনি চাইলে প্যাকটি বেশি করে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন । স্ক্রাবারটি শুকনো রাখবেন , এটি এক মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে । এতে বার বার বানানোর ঝামেলা হবে না । তবে দেরি কেন আজকে শুরু করে দিন ত্বকের বিশেষ যত্ন ।

লিখেছেন - জোহরা হোসেন

 

]]>
25936 2017-05-18 09:06:30 2017-05-18 03:06:30 open open %e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%ae publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
কাপড় যখন ছবির ক্যানভাস! http://www.shajgoj.com/2017/05/25946/ Fri, 19 May 2017 03:23:10 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25946 ছবি আঁকতে ভালোবাসেন ? হাতের কাজে আগ্রহ রয়েছে আপনার ? বেশ তো, হাতের কাজের দারুণ এক মাধ্যম ফেব্রিক পেইন্টিং করার উপায় বলে দিচ্ছি আজকে । হাতের কাজও হবে, আঁকার সাধও মিটবে । নিজের কুর্তি, স্কার্ফ, কিংবা কারো জন্য উপহারের শাড়ি , টিশার্ট নিজের হাতে এঁকে নিতে পারেন ফেব্রিক পেইন্টিং করার মাধ্যমে ।

[picture]

কাজ শুরু করতে আপনি খুব ছোট কাপড়ের টুকরো বেছে নিতে পারেন । দুর্ভাগ্যবশত যদি কাজটা নষ্টই হয়ে যায়, অল্প ক্ষতি হবে ! স্কার্ফ বা টিশার্ট , এগুলি আদর্শ ক্যানভাস আপনার প্রথম ফেব্রিক পেইন্টিংয়ের পাঠে ।

যা যা লাগছে -

রঙ তো অবশ্যই লাগছে। ফেব্রিক পেইন্টিংয়ে ব্যবহার করা যাবে অ্যাক্রিলিক রঙ।

color 1

সঠিক ঘনত্বের রঙ পেতে রঙের সাথে মিডিয়াম মিশিয়ে নিতে হবে । বাটিতে সামান্য মিডিয়াম নিয়ে তাতে রঙ মেশাতে থাকবেন অল্প করে ।

color 2

ক্যানভাসটাই তো কাপড় । যেমনটা বলেছি, শুরুর দিকে ছোট কাপড়ের টুকরো নিয়ে কাজ করুন ।  নতুন কাপড় না নিয়ে পুরনো কাপড়েই আঁকিবুকি করুন প্রথম প্রথম । কাপড়টা অবশ্যই ভালো মতোন ধুয়ে শুকিয়ে নেয়া লাগবে ।

dress

আরো লাগছে তুলি বা ব্রাশ। চিকন তুলি না মোটা তুলি দরকার হচ্ছে, তা নির্ভর করে নকশার উপর । সূক্ষ্ম কাজ করার বেলা সবসময় চিকন তুলিই প্রয়োজন হয় । নকশা চওড়া হলে মোটা তুলি ব্যবহার করুন ।

brush

কাপড়ের গায়ে আঁকার রয়েছে নানা রকম উপায় । প্রচলিত সহজ উপায়ই বেছে নেয়া ভালো প্রথম বার আঁকার ক্ষেত্রে ।

জিনিসপত্র নিয়ে বসার পর কিন্তু কাজ তেমন কঠিন কিছু নয় । ইচ্ছে মতো রঙ মিশিয়ে আঁকতে থাকুন !

যাই আঁকতে চলেছেন , যতো সহজই নকশা হোক তা , কাঠ পেনসিলে এঁকে নিন আগে । কাপড়ে আঁকিবুকি করার অভ্যাস না থাকলে শুরুতেই রঙ নিয়ে কাজ করতে যাবেন না ।

  • নকশা আঁকা হয়ে গেলে রঙ নিয়ে বসুন । বাটিতে খানিক রঙ নিয়ে আগে মিডিয়ামের সাথে মিশিয়ে নিন।
  • রঙের ঘনত্ব সঠিক পাওয়া গেলে তবে কাপড়ে আঁকা নকশার গায়ে রঙের আঁচড় কাটা শুরু করুন।

pic last

 মূল কাজ এখানেই শেষ!  তবে পুরোটা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি । তারপরেও আরো কিছু করার আছে আপনার ।

- কাপড়টাকে পুরো একদিন শুকোতে দেবেন।

- দিন তিনেক পানি লাগাবেন না কাপড়ে ।

সবচেয়ে জরুরী কাজ, যদি ফেব্রিক পেইন্টিং করে ভালো লেগে থাকে , তবে প্রায় সময়ই আঁকার চর্চা করুন । শখের কাজ ছাড়তে নেই। কে বলতে পারে , শখটাই কখন কার পেশায় বদলে যায় !

ছবি- ইউটিউব, পিন্টারেস্ট, সিলিফার্ম, স্টেশনারি বাজার

মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
25946 2017-05-19 09:23:10 2017-05-19 03:23:10 open open %e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%9c-%e0%a6%af%e0%a6%96%e0%a6%a8-%e0%a6%9b%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মজাদার অ্যাপেল ডোনাট http://www.shajgoj.com/2017/05/25954/ Thu, 18 May 2017 03:07:09 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25954 আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল মজাদার অ্যাপেল ডোনাট । এক একটা বাইটে নরম আপেলের স্বাদ মন ভুলিয়ে দেবার মতো । তাহলে আর দেরি কেন দেখে নিন অ্যাপেল ডোনাট তৈরির পুরো প্রণালী।

[picture]

উপকরণ

  • আপেল ১টা
  • ময়দা ১কাপ
  •  ডিম ১টা
  •  চিনি ৩-৪ টেবিল চামচ
  •  দুধ পরিমাণ মতো ( পেস্ট তৈরি করতে যতটুকু লাগে )
  • বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
  •  ভেনিলা ১/২ চা চামচ
  •  তেল ভাজার জন্য18447389_770417516449083_7465878328688665148_n

প্রণালী

- প্রথমে ১টা বাটিতে ময়দা , ডিম, চিনি, বেকিং পাউডার,ভেনিলা দিয়ে সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে ।

- তারপর অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে ।

- এবার ১টা আপেল কে ধুয়ে নিতে হবে এবং আপেলের ছিলকা ফেলে দিয়ে গোল গোল রিং এর মতকরে কেটে নিতে হবে।

18447208_770417616449073_5412594728299957691_n

- চুলায় একটা পেনে তেল গরম দিতে হবে এবং আপেলের রিংগুলোকে ময়দার পেস্টে ডুবিয়ে তেলে দিতে হবে।

- আপেল ডোনাটগুলো যখন ফুলে যাবে ও সোনালি কিলার হয়ে আসবে তখন চুলাথেকে নামিয়ে নিতে হবে ।

- ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন মজার আপেল ডোনাট।

ছবি ও রেসিপি - ফাতেমা রহমান 

 

 

]]>
25954 2017-05-18 09:07:09 2017-05-18 03:07:09 open open %e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%a1%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%9f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
কাস্টার্ড স্নো বল http://www.shajgoj.com/2017/05/25964/ Fri, 19 May 2017 03:37:49 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25964 আজকে  আমরা শিখব কীভাবে  কাস্টার্ড স্নো বল তৈরি করতে হয়। প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং প্রণালী দেয়া হল - 

উপকরণ

  • দুধ - ১ লিটার
  • কর্ণফ্লাওয়ার - ২ টেবিল চামচ ( দুধের জন্য )
  • কর্ণফ্লাওয়ার - ১/২ চা চামচ ( ডিমের ফোমের জন্য )
  • গুঁড়া দুধ - ২  টেবিল চামচ
  • চিনি - ১ কাপ ( মিষ্টি পছন্দ মত দিন)
  • ফোমের জন্য চিনি - ২ চা চামচ
  • ডিম - ২টি (সাদা অংশ আর কুসুম আলাদা করুন)
  • সাদা এলাচ - ২টি
  • ভ্যানিলা এসেন্স - ১/২ চা চামচ

[picture]

তৈরি করার নিয়ম

প্রথমে একটি বড় পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে হবে এবং একটু ঘন করে নিতে হবে। এখন এলাচ , দুধে গুঁড়া , দুধ মিশিয়ে নাড়তে হবে মিডিয়াম আঁচে। এবার কর্ণফ্লাওয়ার একটি বাটিতে গুলে নিতে হবে। অন্য বাটিতে ডিমের কুসুম আলাদা করে গুলিয়ে নিতে হবে। জ্বাল নিভিয়ে দুধ হালকা ঠান্ডা করে এর ভিতর কর্ণ ফ্লাওয়ার, ডিমের কুসুম, চিনি ঢেলে দিতে হবে আর ঘন ঘন নাডতে হবে। এরপর জ্বাল দিতে হবে আর নাডতে হবে ৫মিনিট পর ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে হালকা জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। ডিমের সাদা অংশে কর্ণফ্লাওয়ার, চিনি দিয়ে বিট করে ফোম করে নিন এবং একটি ছোট চামচ দিয়ে আলতোভাবে দুধের কাস্টার্ড এর উপর দিতে হবে। এখন ঢেকে দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে বাটিতে আস্তে করে ঢেলে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার কাস্টার্ড স্নো বল।

ছবি ও রেসিপি - ফাতেমা রহমান 

]]>
25964 2017-05-19 09:37:49 2017-05-19 03:37:49 open open %e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%ac%e0%a6%b2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ : স্কিন ক্যাফে এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক কোকোনাট অয়েল http://www.shajgoj.com/2017/05/25968/ Sat, 20 May 2017 06:08:32 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25968 যুগযুগ ধরে চুল আর ত্বকের যত্নের জন্য কোকোনাট অয়েলের (নারিকেল তেল) ব্যবহার হয়ে আসছে । কোকোনাট অয়েলের উপযোগিতার কথা লিখে শেষ করা যাবে না । স্কিন এবং মাথার স্কাল্পকে ভিতর থেকে পুষ্টি যুগিয়ে প্রাণবন্ত করে তোলে কোকোনাট অয়েল। নিয়মিত কোকোনাট অয়েল ম্যাসাজের ফলে ভালোভাবে ব্লাড সার্কুলেশন হয়, ডেড স্কিন সেলস (ত্বকের মৃত কোষ) দূর হয়, চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেকআপ রিমুভার হিসেবে এবং ঠোঁটকে নারিশ করার জন্য ও কোকোনাট অয়েলটাকেই বেশি প্রেফার করি।

[picture] 

এখন, আমরা অনেকেই রেগুলার রিফাইন্ড কোকোনাট অয়েল আর এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলের বেসিক ডিফারেন্স-টা জানি না। টেকনিকালি যদি বলতে হয়, তাহলে পৃথিবীর সব কোকোনাট অয়েলই প্রাকৃতিকভাবেই রিফাইন্ড , কারণ তেলটা আমরা সরাসরি গাছ থেকে পাই না, নারিকেল থেকে এক্সট্রাক্ট করে বের করতে হয়। মূল পার্থক্য টাই হলো এই extraction procedure এ। রিফাইন্ড তেলে অনেক বেশি তাপ ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, ফলে তেলের প্রাকৃতিক গুণাগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলটা কোল্ড প্রেসিং পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়, যাতে তেলের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নষ্ট হয় না। কোল্ড প্রেসিং পদ্ধতিতে নারিকেলকে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে তার মধ্যে থেকে তেলটা বের করা হয়, কোন প্রকার তাপ ব্যবহার না করে। ফলে তেলের প্রোটিন ও মিনারেলসগুলো প্রায় অক্ষুণ্ণ থাকে এবং হেলথ বেনেফিট ও বেশি পাওয়া যায়। মার্কেটে এখন যেসব কোকোনাট অয়েল কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো কমবেশি সবই অনেক বেশি প্রসেসড, এবং অনেক বেশি মাত্রায় প্রিজার্ভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এবং তাপ ব্যবহার করে প্রসেসিং করা হয় বলে কোকোনাট অয়েলের প্রাকৃতিক গুণাগুণগুলোও অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমরা ফাইনাল প্রোডাক্ট হিসেবে যা হাতে পাই তা পিওর ভার্জিন কোকোনাট অয়েল না, এবং স্কিন আর হেয়ার বেনেফিট টাও তাই পরিপূর্ণ মাত্রায় পাই না। বিদেশী কিছু ব্র‍্যান্ডের অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল আছে মার্কেটে, কিন্তু সেগুলো মোটামুটি সবই অনেক বেশি এক্সপেনসিভ।

আমি আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে স্কিন ক্যাফে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল এর কথা জানতে পারি। স্কিন ক্যাফে আমাদের বাংলাদেশি একটি প্রিমিয়াম স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার ব্র‍্যান্ড। আমি প্রথমবার প্রোডাক্টটির প্যাকেজিং এবং আউটলুক দেখে ভেবেছিলাম এটা হয়তো বাইরের কোন প্রোডাক্ট, ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম এটা মেইড ইন বাংলাদেশ। প্যাকেজিং এ পরিমাণ ২৫০ এম.এল. এবং মূল্য ৬০০/- মাত্র। মাত্র বললাম এই কারণেই যে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল আগেও আমি কিনেছি, কিন্তু এর দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে যেটা বাইরের প্রোডাক্ট ছিল এবং কোয়ান্টিটি ও এর চেয়ে কম ছিল। 

আমার চুল বরাবরই খুব সুন্দর ছিল, লম্বা, মসৃণ এবং ঘন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এবং চাইল্ডবার্থের পর যত্নের অভাবে আমার চুলগুলো অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। যাই হোক, তেলটা আমি ব্যবহার করা শুরু করলাম। তেলটির টেক্সচার বেশ লাইট। শুধু পিওর কোকোনাট অয়েলের গন্ধ আছে এতে। বোতলের গায়ে লেখা আছে, এর উপাদানহলো ১০০% অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন পিওর কোকোনাট অয়েল, যা কোল্ড প্রেসড পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।

আমি প্রথমে শুধু মাথার স্কাল্পসহ চুলে ব্যবহার করতে শুরু করলাম। এক দিন পরপর রাতে ঘুমানোর আগে মাথার স্কাল্পসহ পুরো চুলে আগাগোড়া ভালোভাবে তেলটা ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যেতাম এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতাম। কোন বাড়তি কন্ডিশনার ব্যবহার করতাম না। আসলে কখনো প্রয়োজনই মনে হয়নি। কারণ  এই তেল ব্যবহার করে চুল ওয়াশের পর আমার চুলগুলোর শুষ্কতা (dryness), রুক্ষতা (roughness), এলোমেলোভাব (frizziness) সবকিছু লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমে গিয়েছে। তেলের ডীপ কন্ডিশনিং ইফেক্টের কারণে চুল ভিজ্যুয়ালি অনেক বেশি সফট, সিল্কি, শাইনি আর হেলদি দেখাচ্ছে। চুল পড়ার হার ও অনেকটাই কমে গিয়েছে।

এরপর আমি বিভিন্ন স্কিনমাস্ক এবং স্ক্রাবে ও রেগুলার কোকোনাট অয়েলকে রিপ্লেস করে এই স্কিন ক্যাফের অয়েলটা ব্যবহার করা শুরু করলাম। আমার স্কিনে নতুন করে কোন ব্রেক আউট হয়নি। এবং স্কিনের নিষ্প্রাণভাব অনেকটাই কমেছে।

মেকআপ রিমুভিং এর জন্য ও আমি এটাই ব্যবহার করছি এখন। 

আমি রাতে ঘুমোতে যাবার আগে এক ফোঁটা তেল নিয়ে ঠোঁটে ও ব্যবহার করছি এবং রেগুলার ভ্যাসলিনের চেয়ে এ গরমে ঐ এক ফোঁটা তেল আমার কাছে বেটার অপশন মনে হয়েছে।

কিছুদিন আগে অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটির কারণে আমার পায়ের গোড়ালি ফেটে গিয়ে বেশ ব্যথা করছিল, আমি কিছুদিন রাতে পা ধুয়ে এই তেল ভালোভাবে ম্যাসাজ করে পরদিন সকালে শ্যাম্পুসহ কুসুম গরম পানিতে পিউমিস স্টোন দিয়ে পা ঘষে ধোয়ার পর আমার পায়ের গোড়ালি ও ঠিক হয়ে গিয়েছে। 

2e5210743787a9b3362b92928d5cc514

আমি এটা আমার তিন বছর বয়সী বেবির চুলে এবং ডায়পার এরিয়াতে ও ব্যবহার করেছি এবং আমার কাছে ভালো লেগেছে, কোন সাইড ইফেক্ট নেই। 

যে যে দিকগুলো ভালো লেগেছে

(১) তেলের প্যাকেজিং-টা আমার বড় পছন্দের। এত সুন্দর প্যাকেজিং করা হয়েছে যেটা দেখে আমি প্রথমবার ভেবেছিলাম এটা বিদেশি কোন ব্র‍্যান্ড। কিন্তু এইটা ১০০% বাংলাদেশি প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট। 

(২) এর লাইট টেক্সচার এবং সুদিং স্মেল টাও আমার ভালো লেগেছে।

(৩) এটাকে আমি মাল্টিপারপাস অয়েল বলবো, কারণ - আমি এটাকে স্কিন এবং হেয়ার কেয়ারের ভিন্ন ভিন্ন রেজিমেনে ইফেক্টিভলি ব্যবহার করতে পেরেছি।

(৪) ড্রাই এবং নরমাল স্কিনের জন্য খুব ভালো একটা ময়েশ্চারাইজার এটা।

(৫) চুল এবং ত্বকের ডীপ কন্ডিশনিং এর জন্য খুবই ইফেক্টিভ।

(৬) হেয়ারফল কমিয়েছে।

(৭) মেকআপ রিমুভার হিসেবে ও ভালো।

(৮) প্রোডাক্টটি অর্গানিক এবং চাইল্ড ফ্রেন্ডলি। আপনি বাচ্চাদের চুল এবং ত্বকে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। আমি কোন সাইড ইফেক্ট পাইনি।

[caption id="attachment_25970" align="aligncenter" width="490"]coconut-oil2 Organic Extra Virgin Coconut Oil[/caption]

যে যে দিকগুলো ভালো লাগেনি

সত্যি বলতে কি, এই প্রোডাক্টটির ভালো লাগেনি সেকশনে লেখার জন্য আমি কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। অনেকের কাছে হয়তো প্রোডাক্টটি প্রাইসি মনে হতে পারে, কিন্তু মার্কেট ঘুরে আপনি যদি দেখেন তাহলে দেখবেন যে বাইরের দেশের আমদানিকৃত অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলগুলো এর দ্বিগুণের ও বেশি দামে বিক্রি হয় এবং কোয়ান্টিটি ও এর চেয়ে কম থাকে। 

রেটিং, মূল্য এবং প্রাপ্তিস্থান 

ব্যক্তিগতভাবে আমি একে রেটিং দিবো ৯.৫/১০

স্কিন ক্যাফে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলের ২৫০ মি.লি. বোতলের দাম পড়বে ৬০০ টাকা ।

বর্তমানে দেশের বেশ কিছু বড় বড় কসমেটিক্সের দোকানে, ফার্মেসিতে, অনলাইন শপসহ যমুনা ফিউচার পার্ক এবং সীমান্ত স্কয়ার-এ অবস্থিত স্যাফায়ার -এ পেয়ে যাবেন অরিজিনাল প্রোডাক্টটি। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করে নিতে পারেন।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

 

]]>
25968 2017-05-20 12:08:32 2017-05-20 06:08:32 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ম্যাংগো পান্না কোট্টা http://www.shajgoj.com/2017/05/25977/ Sat, 20 May 2017 07:04:25 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25977 এই গরমে প্রাণ জুড়ানো ম্যাংগো পান্না কোট্টা হলে কেমন হয়? একশো তে একশো ! কিন্তু এই ম্যাংগো পান্না কোট্টা কীভাবে তৈরি করতে হয় তাই তো জানা নেই। তবে আর দেরি কেন দেখে নিন ম্যাংগো পান্না কোট্টা তৈরির পুরো প্রণালী।

উপকরণ 

  • আম-  ৪ টা (ব্লেন্ড করে নেয়া)
  • আমের জুস - ১ কাপ
  • দুধ ঘন করে নেয়া - ৪ কাপ
  • ভ্যানিলা এসেন্স - ১ চামচ
  • হেভি ক্রিম - ১ কাপ
  • চিনি - ২ কাপ
  • আগার পাউডার - ৩ চামচ

[picture]

প্রণালী

- প্রথমে দুধ জাল দিয়ে ঘন করে এতে চিনি মিশিয়ে নিতে হবে ।

- তারপর এতে ভেনিলা এসেন্স মিশাতে হবে।

- আগার পাউডার এর অর্ধেক দিয়ে দুধ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে হেভি ক্রিম মিশিয়ে এবার গ্লাসের এক কোনায় ঢেলে ফ্রিজে ৩০মি. রেখে জমাতে হবে।

- এবার আমের জুসে বাকি অর্ধেক আগার পাউডার মিশিয়ে নিয়ে ব্লেন্ড করা আমের সাথে মিশিয়ে এক চামচ চিনি মিলিয়ে রাখতে হবে।

- ফ্রিজ থেকে গ্লাস বের করার পরে গ্লাসের বাকি অংশে আমের পিউরি ঢেলে ১ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

- ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন।

টিপস

গ্লাসের বাকি অংশে মিশানোর আগে হাত দিয়ে পরিক্ষা করে নিন আগের অংশ জমেছে কিনা।প্রয়োজন হলে আরেকটু বেশি সময় অপেক্ষা করুন।

ছবি ও রেসিপি -   নুসাইবা নিঝুম

]]>
25977 2017-05-20 13:04:25 2017-05-20 07:04:25 open open %e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%97%e0%a7%8b-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
স্কুলের টিফিন বা অফিসের জন্য দারুণ একটি লাঞ্চ আইটেম http://www.shajgoj.com/2017/05/25996/ Sun, 21 May 2017 04:44:50 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25996 উপকরণ 
  • পনির টুকরো করে কাটা - দেড় কাপ
  • বাসমতী চাল - ১ কাপ
  • সবজি - ১  কাপ ( গাজর , ভুট্টা , মটরশুঁটি )
  • টমেটো কেচাপ - ২ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • সয়া সস - ১ চা চামচ
  • চিলি সস - ১ চা চামচ
  • পিঁয়াজ কুঁচি - ৩ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুচি - ৪ চা চামচ
  • কাঁচামরিচ -  ৩/৪ টি
  • গোলমরিচ গুঁড়া - ১/৪ চা চামচ
  • লবন - স্বাদ মতো
  • তেল - ৫ টেবিল চামচ
[picture] প্রণালী - প্রথমে বাসমতী চাল পানিতে লবন দিয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। - সবজি সিদ্ধ করে আলাদা করে রাখতে হবে। - একটি বাটিতে টমেটো সস , সয়া সস , চিলি সস , লবন , মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে এতে টুকরো করা পনির মেখে রাখতে হবে। - এবার প্যান-এ সামান্য তেল দিয়ে পনিরগুলো ভেজে তুলে নিতে হবে। - একই প্যান-এ আবার সামান্য তেল দিয়ে সয়া সস , টমেটো কেচাপ , সবজি , রান্না করা ভাত দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে পনির , গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে লবন ছিটিয়ে দিতে হবে। - নামানোর আগে পিঁয়াজ কুঁচি , ধনেপাতা , কাঁচামরিচ দিয়ে মিশিয়ে গরম পরিবেশন করতে হবে। ছবি ও রেসিপি -   নুসাইবা নিঝুম  ]]>
25996 2017-05-21 10:44:50 2017-05-21 04:44:50 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c publish 0 0 post 0 _thumbnail_id _edit_last
জেনে নিন, হ্যান্ড অ্যান্ড আন্ডারআর্ম সুন্দর রাখতে ৩টি কার্যকরী স্ক্রাব রেসিপি http://www.shajgoj.com/2017/05/25999/ Sun, 21 May 2017 04:44:23 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25999 সুন্দর এক জোড়া হাত সবাই চায়। আর আমার কাছে সুন্দরের সংজ্ঞা হলো - পরিচ্ছন্নতা। এই ধুলোবালি ঢাকা পরিবেশে আপনি বাইরে যান কিংবা সারাদিন বাসার ভিতরে বসে থাকেন, হাত দুটোতে কিন্তু শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো ময়লা জমবেই। হাত দুটো পরিষ্কার, উজ্জ্বল আর মসৃন না থাকলে হাতে মেহেদি দিলেও সুন্দর করে ফুটে ওঠে না, চুড়ি বা পছন্দের ব্রেসলেট-টি পরলেও হাত দুটো মলিন দেখায়। আর আন্ডারআর্ম তো নিয়মিত এক্সফলিয়েট না করলে কালচে হয় যায়, দুর্গন্ধ বাড়ে, ইচিং হয়। তাই মুখের এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরমত হাতের, কনুইয়ের আর আন্ডারআর্মেরও কিন্তু ডীপ ক্লিনজিং আর স্ক্রাবিং জরুরি। স্ক্রাবিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ত্বকের মৃত কোষ (dead cells) দূর করে ত্বককে সজীব রাখে।

[picture]

সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনদিন স্ক্রাবিং করলে হাত এবং আন্ডারআর্মের মৃত কোষগুলো  (dead cells) দূর হবে, রোদে পোড়া কালচে ভাব কমবে, কোমলতা বজায় থাকবে। খুবই কম খরচে সহজেই বাসায় বসে আপনি হাত এবং বাহুমূলে (underarms) ব্যবহারের উপযোগী স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন।

নারিকেল তেল, লেবু আর চিনির স্ক্রাব (রেসিপি -১)

২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ৩ চা চামচ লেবুর রস মিক্স করে নিন। এবার এতে দেড় টেবিল চামচ চিনি দিয়ে সাথে সাথে দুই হাতে বাহু, কনুই, আন্ডারআর্ম-সহ ভালো করে লাগিয়ে নিন। এবং সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। প্রতিটা আঙ্গুলের ভাঁজে-ভাঁজে, কনুইতে, আন্ডারআর্মে ভালোভাবে স্ক্রাব করুন। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে অল্প বডিওয়াশ বা যেকোন মাইল্ড সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

lemin-sugar-scrub-ingredients

উপাদানের কার্যকারিতা

চিনি হলো সবচেয়ে সহজলভ্য একটি এক্সফলিয়েটর, ডেডসেলস দূর করতে এর জুড়ি নেই। নারিকেল তেল এবং লেবুতেও ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট আছে যা হাত আর আন্ডারআর্মের কালচে ভাব কমাবে, ত্বককে মসৃন করে তুলবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

 চালের গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো আর অলিভ অয়েলের স্ক্রাব (রেসিপি - ২)

২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো আর ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে দুই হাতে, বাহুতে, কনুইয়ে এবং আন্ডারআর্মে ভালোভাবে লাগিয়ে ধীরে ধীরে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে অল্প বডিওয়াশ বা যেকোন মাইল্ড সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

Turmeric-Powder-Milk-Gram-Flour-Fair-Skin

উপাদানের কার্যকারিতা

চালের গুঁড়ো খুব ভালো একটা স্কিন এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। হলুদের গুঁড়ো তে আছে ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, সেই সাথে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং রোদে পোড়া ভাব ও দূর করে। আর অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে সতেজ রাখে।

বেকিং সোডা, বেসন, আমন্ড অয়েল আর মধুর স্ক্রাব (রেসিপি - ৩)

একটি পাত্রে ২ চা চামচ বেকিং সোডা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল আর ১ টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার দুই হাতে বাহু, কনুই, আন্ডারআর্ম-সহ ভালো করে লাগিয়ে নিন। এবং সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লকওয়াইজ এবং অ্যান্টিক্লকওয়াইজ ভালোভাবে স্কিনকে এক্সফলিয়েট করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে অল্প বডিওয়াশ বা যেকোন মাইল্ড সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

article-2014123539494135381000

উপাদানের কার্যকারিতা

আমন্ড অয়েলে আছে ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এসেনশিয়াল ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এই তেল ত্বকের সুস্থতা এবং উজ্জ্বলতায় বেশি কার্যকরী। মধুতে আছে ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর বেকিং সোডা এবং বেসন দুটোতেই আছে ন্যাচারাল ব্লিচিং প্রোপার্টি এবং সেই সাথে দুটোই খুব ভালো স্কিন এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে।

IMG_9209

উপরে যে স্ক্রাব গুলোর কথা বললাম এগুলোতে যে উপাদানগুলো আমি ব্যবহার করেছি তার অধিকাংশই কিন্তু কমবেশি আমাদের সবার রান্নাঘরেই থাকে, যেমন - চালের গুঁড়ো, বেসন, হলুদ গুঁড়ো, বেকিং সোডা, চিনি, মধু, লেবু। এগুলো যেকোন বাজারের বড় দোকান বা সুপারশপেই কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আমি স্কিন ক্যাফের এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল আর আমন্ড অয়েল ব্যবহার করি। এ  আপনারা যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত স্যাফায়ার এ গেলেই অরিজিনাল প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন, অথবা অনলাইনে ও ঘরে বসে অর্ডার করতে পারেন।

তো আর দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন আপনার হাতের কাছের সহজলভ্য উপাদানগুলো দিয়ে তৈরি হ্যান্ড অ্যান্ড আন্ডারআর্ম স্ক্রাব আর নিয়মিত ব্যবহার করেই দেখুন হাত দুটো আগের চেয়ে কত সুন্দর, উজ্জ্বল, পরিষ্কার আর মসৃন দেখাচ্ছে।

 Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম, স্টাইলক্রেজ ডট কম, অল রেমিডিজ ডট কম   লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি  

]]>
25999 2017-05-21 10:44:23 2017-05-21 04:44:23 open open %e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়ার অভাব ও সন্তানদের উপর এর বিরূপ প্রভাব! http://www.shajgoj.com/2017/05/26015/ Mon, 22 May 2017 02:49:50 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26015 আমরা সবাই জানি -চারপাশের পরিবেশ ও পরিবার একটা মানুষের চরিত্র গঠনে কতটুকু ভূমিকা রাখে।প্রতিটা মানুষ তার পরিবার , চারপাশের পরিবেশ যেমন -প্রতিবেশী , স্কুল , চলা-ফেরার সাথীদের কাছ থেকে ভালো-মন্দ দুটোই শিখে।তাই যে যে পরিবেশে বেড়ে উঠে তার চরিত্রে সে পরিবেশের প্রতিফলন ঘটে।যেমন-

১। যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক খারাপ থাকে , অনবরত ঝগড়া -ঝাঁটি , চিৎকার চেঁচামেচি লেগেই থাকে সে পরিবারের ছেলেমেয়েরা ভীতু , আত্মবিশ্বাসহীন , বাবা-মায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা নিয়ে বেড়ে উঠে । তারা ভবিষৎতে বাবা-মায়ের সাথে কেমন আচরণ করবে তা সহজেই অনুমেয় এবং তারা যখন সংসারী হবে তারা কখনই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে সফল করতে পারবে না ।

২। একটি বাচ্চা ছেলে যদি  তার পরিবারে তার মাকে তার বাবার দ্বারা শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতে এবং তার মাকে এসব সহ্য করে নিতে দেখে বড় হয় তবে সে এটাকেই স্বাভাবিক ব্যাপার বলে ধরে  নেয় । পরবর্তীতে সে যখন স্বামী হয় সেও তার স্ত্রীর সাথে একই ব্যবহার করে এবং আশা করে তার মা যেভাবে সব সহ্য করেছে তার স্ত্রীও সেভাবে সহ্য করবে । স্ত্রী যখন প্রতিবাদী হয় তখনই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসার বদলে রাগ জন্মে , অথবা সে ভাবতে থাকে তার স্ত্রী বুঝি তাকে ভালোবাসে না ! কারণ সে চায় সবকিছু সহ্য করে স্ত্রী শুধু তাকেই ভালোবাসবে , তার কাছে এটাই নিয়ম !

আবার সে পরিবারের মেয়েটিও তার মায়ের মতো স্বামীর সমস্ত অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়। তার প্রতিবাদ করার সাহস বা স্বাধীনতা মরে যায়।
আবার উল্টো করে বললে যে পরিবারে বাবা-মা একে অপরকে সম্মান করে সে পরিবারের শিশুটি বড় হয়ে তার সঙ্গীকে সম্মান দেখায়।

৩।যে পরিবারে গৃহপরিচারিকা নির্যাতিত হয় সে পরিবারের শিশু বড় হয়ে কাজের মানুষকে নির্যাতন করাকে স্বাভাবিক ভাবে।

৪।যে ছাত্র শিক্ষকের দ্বারা পিটুনি খেয়ে বড় হয় সে পরবর্তীতে যদি শিক্ষকতা পেশা বেছে নেয় তবে পিটুনি দেয়া শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করে।যেমন-মাদ্রাসায় বেতের বাড়ি সহ যেকোনো শাস্তি গ্রহনযোগ্য।তাই বাসায় পড়াতে আসলেও দেখবেন আরবি শিক্ষকরা অল্পতেই ছোট ছোট বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলে ফেলে।মারার জন্য তাদের হাত যেন নিশপিশ করে।

৫।যে পরিবারে অতি কৃপণতা বা অতি খরুচে স্বভাবের বাবা-মা থাকে সে পরিবারের শিশুও সে অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়।

৬।অতি রক্ষণশীল পরিবারের শিশুদের মানসিকতায়ও রক্ষণশীলতার বহি:প্রকাশ ঘটে । আবার অতি আধুনিক পরিবারে বড় হওয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও অতি আধুনিকতার প্রকাশ ঘটে।

৭।কথায় আছে -'সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস।অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ'!

[picture]

৮।গ্রামে বসবাসকারী পরিবারগুলোর বাচ্চাদের মধ্যে গ্রাম্য স্বভাব , মানসিকতা দেখা যায় । সে বাচ্চা বড় হয়ে যত বড় শহরে পা রাখুক না কেন , যত বড় ডিগ্রীই অর্জন করুক না কেন!

তবে এমনও অনেক উদাহরণ আছে অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশে অনেকে বড় হয়েও নিজেকে পরিবার থেকে স্বতন্ত্রভাবে তৈরি করেছে ।যেমন-মাকে নির্যাতিত হতে দেখে মায়ের কষ্টের মাঝে সম্পূর্ণ নারীজাতির কষ্ট উপলব্ধি করে সে তার স্ত্রীকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে।সে 'ভুল'কে 'সঠিক' হিসেবে গ্রহণ করেনি,'ভুল'কে ভুল হিসেবে গ্রহণ করেছে।
আবার এমন উদাহরণও অনেক  আছে যারা সুস্থ পরিবেশে বড় হয়েও অসুস্থ মানসিকতায় নিজেকে তৈরি করেছে

পরিবার হচ্ছে 'কুমোর 'আর পরিবারের শিশুটি হচ্ছে 'কাদামাটি'।পরিবার তার চরিত্রকে যে রূপ বা আকৃতি দিবে সে ঠিক সে রূপেই পরিণত হবে।একেই বলে 'পরওয়ারিশ'!

 'সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে
গুণবান পতি যদি থকে তার সনে'।

কবি নিশ্চয়ই বলতে চেয়েছেন -সংসার সুখের করার  জন্য পতি ও পত্নী উভয়েরই অবদান থাকা জরুরী।তাই দ্বিতীয়  লাইনটা ছাড়া  প্রথম লাইনটা অসম্পূর্ণ ও আধা সত্য।

বেগম রোকেয়া বলেছিলেন ' একটি গাড়ির দুটি চাকা , গাড়ি চলতে হলে চাকা দুটোকে সমান হতে হবে । একটি চাকা বড় এবং একটি চাকা ছোট হলে গাড়ি চলবেনা । নারী পুরুষের বেলায়ও তাই।' একটি সংসার সুখের হওয়ার জন্য কি প্রয়োজন? আবেগী কেউ হয়তো বলবেন ভালোবাসা ? বাস্তববাদীরা হয়তো বলবেন টাকা ! শুধু ভালোবাসায় যেমন পেট ভরে না তেমনি টাকা দিয়েও সুখ বা শান্তি কেনা যায় না।


ধরুন। একটি সংসারে ভালোবাসা ও সচ্ছলতা দুটোই আছে ! তবুও সে সংসারে সুখ থাকে না কেন ?

উত্তর কি ? এডজাস্টমেন্টের সমস্যা বা মতের অমিল অথবা বোঝাপড়ার অভাব !

ভাইয়ে-ভাইয়ে , বোনে-বোনে , বাবা-ছেলে , মা-মেয়ের মতের অমিল হতে পারলে স্বামী-স্ত্রীতে হবে না কেন ?

ভিন্ন ভিন্ন পরিবারে বড় হওয়া মানুষগুলোই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।এদের মধ্য থেকেই আমরা আমাদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেই।তাই মতের অমিল হওয়াটা কী অস্বাভাবিক কিছু? যেমন ধরুন-অতি আধুনিক স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে এবং গ্রাম থেকে উঠে আসা শিক্ষিত , ভালো চাকুরী করে এমন ছেলের মধ্যে যদি বিয়ে হয় এডজাস্টমেন্টে প্রব্লেম হওয়াটাই স্বাবাভাবিক ।সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন পরিবেশ থেকে এসে যখন দুটি মানুষ এক হয় তাদের মধ্যে ভালোবাসাতো তৈরি হয়ে যায় কিন্তু সব বিষয়ে মতের মিল হয় না ! যখন একটা মানুষ আরেকটা মানুষের প্রেমে পড়ে তখন তার অনেক বাজে অভ্যাসও অগ্রাহ্য  করে ফেলে। প্রেম অন্ধ বলেই হয়তো !! কিন্তু যখন তারা সংসার জীবনে প্রবেশ করে তখন তিলকে তাল বানাতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনা।

বিয়ের প্রথম দু'এক বছর হেসে-খেলে,আনন্দে কেটে যায়।সেই সময়ে একজনকে  আরেকজনের যতটুকু জানা হয় মনে হতে পারে সেটাই পুরোপুরি জানা।কিন্তু না!সেই সময়টায় শুধু সঙ্গীর অভ্যাস,পছন্দ-অপছন্দের জিনিসের নামগুলোই জানা যায়।যত দিন যায় একটু একটু করে একজন আরেকজনকে জানার পাশাপাশি বুঝতে শিখে আর এমনিভাবে সম্পর্ক পরিণত ও পরিপক্কতা লাভ করে।মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মনের পরিপক্কতা যেমন আসে তেমনি সম্পর্কের বয়সের বেলায়ও তাই।শুনেছি -একটা মানুষকে জানার জন্য একটা পুরো জীবনও  নাকি কম হয়ে যায়।।বুঝুন -মানুষের মন কতটা জটিল!অর্থাৎ সম্পর্কের শুধু আনন্দের সময়টায় থেকে যেমন দু:খ উপলব্ধি করা যায় না তেমনি শুধু দু:খের সময়টাতে থেকেও সুখটাকে উপলব্ধি করা যায় না।তাই সম্পর্কটাকে টাইম ও স্পেস দুটোই দিতে হয়।

প্রত্যেকটা মানুষ একজন আরেকজন থেকে আলাদা।একই বস্তু একেকজন একেকরকম দৃষ্টি দিয়ে দেখে।তিন অন্ধের হাতি দেখার গল্পেটা নিশ্চয়ই জানেন।যে যার জায়গা থেকে রাইট।তাই সঙ্গী যখন আপনার বিরুদ্ধে মত দিবে তখন আপনার উচিত একবার হলেও তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সেই জিনিস বিচার করে দেখা।

অনেককে রাগ করে বলতে শুনি 'কোন কিছুতেই তার সাথে আমার ম্যাচ হয় না।জীবনতো একটাই কেন সমঝোতা করে জীবন পাড় করবো?'
শার্টের সাথে টাই ম্যাচ করেন ,সালোয়ার কামিজের সাথে ওড়না ম্যাচ করেন ! সবই কি সেইম কালারের ? সব সময় কি সব একই রঙের ভালো লাগে ! ভিন্ন ভিন্ন রঙে কনট্রাস্ট করেন না ! সব একই রঙের চেয়ে কনট্রাস্ট করাটাই মানুষের কাছে এতো জনপ্রিয় কেন ? চুম্বক কেন বিপরীত ধর্মকে আকর্ষণ করে?

আপনি সিরিয়াস টাইপ , আপনার সঙ্গীও  তাই , জীবনে কিছু হিসাব ছাড়া আনন্দ উপভোগ করা হবে আপনার ? আপনি বদমেজাজী আপনার সঙ্গীও তাই , আপনাদের সংসারে শান্তি থাকবে ? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেন তো ! বরং দুজন দুরকম হলে একজন আরেকজনকে বুঝতে গিয়ে একগেয়েমী জীবন থেকে দূর হয়ে যায়।তাই হয়তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই আমাদের জুড়ি উপর থেকে তৈরি করে দেন।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু সন্তান জন্ম দেয়া আর এক ছাদের নিচে থাকা নয়।এক ছাদের নিচে থাকাটা ঘর বা আশ্রয় হতে পারে সংসার হতে পারে না । সংসার নামক দীর্ঘ পথ আগে-পিছে থেকে পাড়ি দেয়া যায় না , পাশাপাশি হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় । স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এতো মজবুত না যে দিনের পর দিন একজনের ভুল আরেকজন সহ্য করে নিয়ে একসাথে থেকে যাবে। আবার এতো বেশি নাজুকও না যে একজনের সামান্য একটু ভুলেই সম্পর্কের ইতি ঘটে যেতে পারে । শুধুমাত্র সন্তানের সাথে পিতমাতার সম্পর্ক ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো সম্পর্ক চিরস্থায়ী না।সুতরাং সম্পর্ককে দুইদিক থেকেই যত্ন করতে হয়।সম্পর্কটাকে সুপ্ত একটা বীজ থেকে সবে অংকুরিত চারা বলা যায়। যাকে যত্ন করে জাগিয়ে ঠিক সময়মতো পানি , নিড়ানি দিতে হয়।তবেই পাতা বের  হয়ে সে , গাছে পরিণত হতে থাকবে। সময়ের আবর্তনে একসময় সে গাছে ফুল , ফল দুইই আসবে।সম্পর্ক নামক চারা গাছের বাগানের নাম হচ্ছে সংসার । আর এ বাগানের মালি একজন নয় , দুজন।

সংসার সুখের করার জন্য দরকার:

  • পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস,ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখা।
  • প্রয়োজন ইগো বিসর্জন দেওয়া।অনেকে ইগোকে আত্মসম্মানের নাম দিয়ে থাকেন।ইগোকে আত্মসম্মানের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।দুটো দুই জিনিস।
  • একে অপরকে বুঝতে চাওয়ার ইচ্ছা অর্থাৎ বোঝাপড়া
  • ক্ষমা করার মানসিকতা (সঙ্গী  কখনো ভুল করলে তাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন হয়তো সে আগের থেকেও ভালো হয়ে আপনার কাছে আসবে)
  • উভয় উভয়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা।
  • এক সঙ্গীতে সন্তুষ্ট থাকার চেস্টা।
  • চাওয়া-পাওয়ার হিসাবে নমনীয়তা


জীবন তো মানুষের একটাই।এই ছোট্ট জীবনটা ঝগড়া-ঝাঁটি করে কাটিয়ে লাভ কী ? 'আমার একটু স্যাক্রিফাইস যদি আমার সংসারে সুখ আনে তবে আমি তাই করবো'-এই মনোভাব দুজনে সমানভাবে পোষণ করুন।সংসারজীবন সুখী করার জন্য দুজনেই সমানভাবে অংশগ্রহণ  করুন।আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে সন্তানদের বড় হতে সাহায্য করুন।

ছবি -  ফটোগ্রাফারস ডট ক্যানাভেরা
লিখেছেন - আফরোজা মামুদ

]]>
26015 2017-05-22 08:49:50 2017-05-22 02:49:50 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%9d%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা প্রিভিয়া জটিলতায় করণীয় কী ? http://www.shajgoj.com/2017/05/26024/ Wed, 24 May 2017 03:48:47 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26024 আজকে আমি যা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি, তা আমার নিজের জীবনের ও একটি অধ্যায় ছিল। এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এখন গর্ভবতী নারীরা এই গর্ভকালীন জটিলতায় ভোগেন, যেটা হলো প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (Placenta Previa), সহজ বাংলায় বলতে গেলে গর্ভফুল নিচের দিকে থাকা।

 গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল তৈরি হয়, যা জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে লেগে থাকে। মা ও ভ্রূণের যোগাযোগ এই গর্ভফুলের মাধ্যমে হয়। ভ্রূণকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর ব্যবস্থা করে এই গর্ভফুল, আম্বিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে। এখন এই গর্ভফুল বা প্লাসেন্টাটি সাধারণত জরায়ুমুখের চেয়ে অনেক দূরে উপরের দিক থেকে লেগে থাকে। কিন্তু গর্ভফুলটি যদি জরায়ুর একদম নিচের দিকে বা জরায়ুমুখে লেগে থাকে, তাহলে এই মেডিকেল কন্ডিশনকে প্লাসেন্টা প্রিভিয়া বলে। প্লাসেন্টা প্রিভিয়া হলে গর্ভস্থ সন্তানের মাথা সাধারণত সঠিক অবস্থানে থাকে না , বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথা উপরের দিকে বা আড়াআড়ি থাকতে দেখা যায় , যেটাকে বলা হয় ব্রীচ পজিশন। এবং এ সমস্যায় সাধারণত গর্ভবতী নারীরা স্পটিং (Spotting) বা হালকা থেকে ভারী রক্তপাতের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। কিন্তু এ রক্তপাতের সময় কোন ব্যথা অনুভূত হয় না। যদিও এমনটি হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তার নির্দেশমত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

 প্লাসেন্টা প্রিভিয়া সাধারণত তিন রকমের হয় -  

(১) যদি গর্ভফুল জরায়ুমুখকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে তাহলে সেটা হলো কম্পলিট/টোটাল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (Complete/Total Placenta Previa)।  

(২) যদি গর্ভফুল জরায়ুমুখকে আংশিক ঢেকে রাখে, সেটাকে বলা হয় মার্জিনাল বা পার্শিয়াল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া (Marginal/Partial Placenta Previa)।  

(৩) আর যদি জরায়ুমুখের ২ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে গর্ভফুলটি, কিন্তু জরায়ুমুখকে ঢেকে রাখেনি, এই সমস্যাকে বলা হয় লো লায়িং প্লাসেন্টা (Low Lying Placenta)।  

[picture]

সাধারণত কারা থাকেন প্লাসেন্টা প্রিভিয়ার ঝুঁকিতে ?  

বর্তমানে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি ২০০ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে অন্তত একজন এই প্লাসেন্টা প্রিভিয়ার সমস্যায় আক্রান্ত। যদিও প্লাসেন্টা প্রিভিয়া কেন হয়, এইটার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় এ সমস্যাকে ট্রিগার করে বলে মেডিকেল সায়েন্সে বলা হয় সেগুলো হলো -  

(১) পূর্বে সিজারিয়ান ডেলিভারি হলে।

(২) বয়স ৩৫ এর অধিক হলে।

(৩) জরায়ুতে পূর্বে কোন সার্জারি করা হলে।

(৪) পূর্বে চারবারের বেশি সন্তান জন্মদান করলে।

(৫) ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য সেবন করলে।

(৬) গর্ভে দুই বা ততোধিক সন্তান একসাথে থাকলে।  

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রেগন্যান্সির থার্ড ট্রাইমেস্টার আসতে আসতে প্লাসেন্টা তার সঠিক পজিশনে চলে যায়। এজন্য ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত মেডিকেল চেক আপ করাতে হবে এবং আল্ট্রাসাউন্ড করলে জানা যাবে যে বর্তমানে প্লাসেন্টার পজিশন কি। কিন্তু যদি আপনার ঘনঘন ভ্যাজাইনাল ব্লীডিং হয়, এবং আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায় যে প্লাসেন্টা প্রিভিয়া আছে, তাহলে হয়তো ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী -

 - আপনাকে পুরোপুরি বেডরেস্টে থাকতে হতে পারে।

- ভারী কাজ এবং জার্নিতে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।

- ফিজিক্যাল ইন্টারকোর্সে ও নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।  

যদি থার্ড ট্রাইমেস্টারে ও প্লাসেন্টার পজিশন ঠিক না হয়, তাহলে হয়তো ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে সি সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান করাতে হতে পারে। কারণ গর্ভফুল যদি জরায়ুমুখকে পুরোপুরি ঢেকেই রাখে তাহলে গর্ভস্থ শিশুর বের হওয়ার প্রক্রিয়াতে টিয়ারিং হয়ে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে , যা মা ও সন্তান উভয়ের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে যদি গর্ভফুল আপনা আপনি সঠিক অবস্থানে চলে যায় (যা আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে জানা সম্ভব), তাহলে নর্মাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি সম্ভব।  

গর্ভাবস্থায় সবসময় নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক আপ করাতে হবে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করবেন।  ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26024 2017-05-24 09:48:47 2017-05-24 03:48:47 open open %e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
গরমের শাসনেও ত্বক থাকুক প্রাণবন্ত ! http://www.shajgoj.com/2017/05/26045/ Thu, 25 May 2017 03:53:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26045 এই গ্রীষ্মকালে গরমের ভয়াবহ অত্যাচার প্রথমেই ছাপ ফেলে যায় আমাদের ত্বকে। নিত্যদিন বাইরে যাওয়া হচ্ছে, রোদের সাথে সামলাতে হচ্ছে আরো নানা রকম দূষণ। এতো ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে গিয়ে ত্বক ক্লান্ত হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। এবং সেই ক্লান্তির সাথে কিছু দৃশ্যমান বড়সড় সমস্যাও এসে জুটছে। র‍্যাশ , সানট্যান , আরো কতোকিছু ! আরো বড় বিপত্তি হচ্ছে, ত্বককে ঠিক হতে দেয়ার সময়টুকুও আমরা বের করতে পারছি না এই ব্যস্ততম সময়ে। সকালবেলা ক্লাসের চিন্তা , কিংবা অফিসের তাড়া , দুপুর বা বিকেল করে ফিরলেও এটা-ওটা কাজ পড়ে যায় , আরো খানিকটা সময় বাইরে কাটাতে হয়। ক্লাসের বাইরে বেঁচে যাওয়া সময়ে বন্ধুদের আড্ডা, ঘুরতে যাওয়া, টিউশনি বা অন্য কাজে সময় চলে যায়। ওদিকে চাকুরীজীবন তো শ্বাস নেয়ার অবসরটাও দিতে চায় না। সন্ধ্যা পার করে ঘরে ফিরে কয়জনেরই আর মন চায় ক্লান্ত শরীরে ত্বকের যত্ন নিতে বসতে ! তবে কি ত্বককে অমন মৃতপ্রায় করেই রেখে দেয়া ?একটু কিছুও করা হবে না তার যত্নে ?

[picture]

একেবারেই সামান্য যত্নে ত্বককে ভালো রাখা সম্ভব চাইলে। রূপচর্চার আয়োজনের ঝক্কি পোহাতে চান না যারা , তাদের জন্য চটজলদি সমাধানও কিন্তু কম নেই। সবসময় যে বহু কেচ্ছা-কাহিনী করেই ত্বকের দেখভাল করতে হবে , তেমনটা তো বলা নেই কোথাও। নিজেকে ভালো রাখতে আপনি সামান্য যেটুকু করতে পারবেন , সেটা অন্তত বাদ দেবেন না। অল্প যা কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ থাকা দরকার এই সময়ে ত্বকের যত্নে, তা যেন থাকে আপনার কাছাকাছি। আর লাগবে নিজের জন্য কয়েক মিনিট সময়। তবেই গরমের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আপনার ত্বক হাসিখুশি থাকবে ।

ঘৃতকুমারী কাজের ভারী -

ঘৃতকুমারী, যাকে অ্যালোভেরা নামেই বেশি চেনে মানুষ , ত্বকের বিপদ-আপদে নিশ্চিন্তে ভরসা করুন তাকে। রাস্তায় খুঁজে কিনতে না চাইলে সুপারশপ ঘুরে দেখুন , পেয়ে যাবেন ঠিকঠাক দামেই।  ফ্রীজে দুই/তিনদিন রেখে দিতে পারবেন একটা অ্যালোভেরা।  গোসলের আগে, বা ঘুমোতে যাবার আগে কেবল বিশ মিনিট সময় দিন নিজেকে। অ্যালোভেরা কেটেকুটে জেল বের করতে হবে, তাকে আর কিছুর সাথে মেশাতে হবে বা ভালো মতন ফেটিয়ে নিতে হবে, এমন সব নির্দেশনা জানা থাকলে আপাতত ভুলে যান। অ্যালোভেরা একটুখানি ভেঙ্গে নেবেন, দুই পাশ কেটে নিয়ে উপরের শক্ত আবরণটুকুও কেটে বাদ দেবেন। এবার সাবানের মতন পুরো মুখে লাগিয়ে নিন জেলটুকু। মিনিট পনেরো ত্বকে কাজ করার সময় দিন এই জাদুকরী নির্যাসকে। তারপর নিয়ম মতো বেশি করে পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনই সময় না হলে একদিন পরপর অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন ত্বকে। তাও না পারলে নাহয় দুদিন পরপর করবেন। আপনার ত্বক অনেকটাই সুস্থ, প্রাণবন্ত থাকবে তাতে।  

গোলাপজলে শান্তি -

এক শিশি গোলাপজল আপনার কাছে এই গরমে থাকা চাই। ফেইসপ্যাক ব্যবহারের ঝামেলায় যান বা না যান , কেবল গোলাপজলই মাঝেমাঝে মুখে লাগিয়ে রাখুন কয়েক ফোঁটা নিয়ে। গোলাপজল ফ্রীজে রাখবেন , আরো স্বস্তি মিলবে ঠান্ডা গোলাপজল মুখে লাগালে। কখনো আবার মুখ ধোয়ার পানি একটা পাত্রে নিয়ে তাতে খানিকটা গোলাপজল ঢেলে দেবেন, মুখ ধোয়ার পর প্রশান্তির অনুভূতি পাবেন তাতে। ত্বকও সতেজ লাগবে।  

সবজির আলু আর সালাদের শসা -

বাসায় যেদিন খাবারে আলু রান্না করা হবে, আগেভাগেই নিজের জন্যে দুই টুকরো আলু সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করবেন। একইভাবে শসার সালাদ হলে একটুখানি শসা তুলে রাখুন ত্বককে খুশি করতে। থেঁতো করে রস বের করার সময় নেই, ইচ্ছা নেই, তাতে বড় কোন অসুবিধাও নেই। কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন আলুর টুকরো, শসাকেও এইভাবে কেঁচে নিয়ে রস বের করতে পারেন। আলুর টুকরো এবার ত্বকে আলতো করে চেপে রসটুকু লাগিয়ে নিন। পোড়া ত্বকের ভালো ওষুধ এই আলুর রস। শসার রসও এভাবে ব্যবহার করা যাবে পুরো মুখে। এবং চোখের উপরেও আলু আর শসা দুটিই ব্যবহারযোগ্য। ত্বকের পোড়াভাব, কালচে দাগ দূর করতে অল্প পরিশ্রমে এর চেয়ে ভালো উপায় আর কই পাবেন!  

ডাবের পানি -

বেশ ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হলো ডাবের পানি। কিচ্ছুটি মেশানোর ঝামেলা নেই। সরাসরি ডাবের পানিতে ত্বক ধুয়ে নেবেন, বা বাটিতে নিয়ে তুলো কিংবা নরম কাপড় ভিজিয়ে সেটা মুখে লাগাবেন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর একবার পানির ঝাপটা দিয়ে নেবেন মুখে। যদি একটু বেশি সময় থাকে হাতে, ডাব কেটে ভেতরের নির্যাসটুকু বের করে নিন। ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। শীতল চনমনে একটা ভাব আসবে ত্বকে। মলিনতা কাটিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ডাবের পানি ভীষণ কার্যকরী।  

এগুলির মাঝে কোনটি করতেই আপনার মিনিট বিশেকের বেশি সময় লাগবে না। আর না আছে কিছু তৈরি করার বাড়তি কাজ। কেবল অলসতা কাটিয়ে নিজেকে এইটুক সময় দেয়া চাই, ব্যাস। নিয়মিত যখন আপনি নিজেকে এই যত্নটা দেবেন, আপনার ত্বক গরমের কড়া শাসনেও দিব্যি ফুরফুরে আর প্রাণবন্ত থাকবে।  

লিখেছেন - মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
26045 2017-05-25 09:53:51 2017-05-25 03:53:51 open open %e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মজাদার স্ন্যাকস রেসিপি : মাছের কিমার পুর ভরা সমুচা পিঠা http://www.shajgoj.com/2017/05/26054/ Fri, 26 May 2017 04:16:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26054 শুধু বাচ্চারা কেন, অনেক বড়রাও আছে যারা সহজে মাছ খেতে চায় না। যারা মাছ খাওয়া নিয়ে তালবাহানা করে তাদেরকে ও একটু সময় নিয়ে আর বুদ্ধি খাটালে মাছ খাওয়ানো যেতে পারে। সেটা কীভাবে? সেই রেসিপি নিয়েই আজকে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপি টি হচ্ছে - মাছের কিমার পুর ভরা সমুচা পিঠা।

ত্রিকোণা সমুচার শেইপে তৈরি এই মজার পিঠাটি বানাতে আমাদের যা যা লাগবে -

(১) যেকোন বড় মাছ যেটার কাঁটা ছাড়াতে আপনার কম কষ্ট হবে (রুই / শোল / ভেটকি / কাতলা)

(২) পৌনে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

(৩) দেড় চা চামচ জিরে গুঁড়ো

(৪) ২টি কাঁচামরিচ বাটা

(৫) ২ চা চামচ রসুন বাটা

(৬) পৌনে এক চা চামচ আদা বাটা

(৭) ২ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা

(৮) ৩টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুঁচি করে কাটা

(৯) ৪-৫টি কাঁচামরিচ (বাড়াতে/কমাতে পারেন আপনার ইচ্ছেমত)

(১০) ৩ কাপ চালের গুঁড়ো

(১১) লবণ (স্বাদ অনুযায়ী)

(১২) ভাজার জন্য তেল

(১৩) মাছ সিদ্ধ করার জন্য পানি

[picture]

কীভাবে বানাবো ?

প্রথমে হাড়িতে ২ কাপ পানি গরম করে নিন। এবার আরেকটি হাড়িতে ৩ কাপ চালের গুঁড়ো, দেড় চা চামচ পেঁয়াজ বাটা , এক চা চামচ রসুন বাটা , আধা চা চামচ আদা বাটা , ২টি কাঁচামরিচ বাটা , ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং প্রয়োজন মতো গরম পানি ঢেলে ভালো করে মেখে ডো বানিয়ে নিন। ডো টা একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে চুলার পাশে রেখে দিন। এবার মাছের টুকরোগুলো অল্প পানিতে সিদ্ধ করে নিন , সিদ্ধ করার সময় গরম পানিতে দিবেন পরিমাণ মতো লবন , আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো , আধা চা চামচ পেঁয়াজ বাটা , ১ চা চামচ রসুন বাটা , ১/৪ চা চামচ আদা বাটা , আধা চা চামচ জিরে গুঁড়ো। মাছ সিদ্ধ হয়ে পানিটা শুকিয়ে এলে মাছ নামিয়ে ঠাণ্ডা করে কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। কড়াইতে ১ চা চামচ তেল দিয়ে তাতে কুচানো পেঁয়াজ আর মরিচ কুঁচি দিয়ে হালকা লালচে করে ভেজে নিন , এবার তাতে কাঁটা ছাড়ানো মাছ , সামান্য লবন আর ১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো দিয়ে এক মিনিট ভেজে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কাঁটা ছাড়ানো মাছের কিমা। এই কিমা তৈরির সময় কিন্তু বেশি তেল ব্যবহার করা যাবে না , তা না হলে তেলের কারণে পিঠার ভাঁজ খুলে যাবে এবং পিঠা ভাজার সময় ভিতরের মাছের কিমার পুর বেরিয়ে যাবে ।

Samosa-Pastry-7

 এবার ডো নিয়ে একটা একটা করে রুটি বেলুন এবং গোল রুটিটাকে আড়াআড়ি আর লম্বালম্বিভাবে চার টুকরো করে কেটে নিন। একটি টুকরো হাতে নিয়ে তার ভিতরে অল্প করে মাছের কিমা ভরে ত্রিকোণা আকৃতিতে ভাঁজ করে নিন এবং মুখগুলো ভালোভাবে বন্ধ করে দিন। আমি অবশ্য বাজারে যে ত্রিকোণাকার পিঠা বানানোর ছাঁচ কিনতে পাওয়া যায় তার ভিতরে রেখে চাপ দেই , এমনিতেই সুন্দর ত্রিকোণাকার সমুচার শেইপ হয়ে যায়। এবার একটা একটা করে মাছের কিমার পুর ভরে সমুচা পিঠাগুলো তৈরি করে নিন এবং কড়াইয়ে তেল গরম করে ডুবো তেলে পিঠাগুলো সোনালি করে ভেজে নিন।

20170522_194717

গরম গরম পরিবেশন করুন। আশা করি বাসায় সবাই বানাতে চেষ্টা করবেন। আর হ্যা , যদি বাসায় চালের গুঁড়ো না থাকে তাহলে ময়দা দিয়েও করতে পারেন। তবে হ্যা , চালের গুঁড়ো ছাড়া কি আর পিঠা হয়?

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - যিম্বকিচেন ডট কম 

রেসিপি - ফারহানা প্রীতি

]]>
26054 2017-05-26 10:16:51 2017-05-26 04:16:51 open open %e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b8-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%ae publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ : রূপচর্চার এসেনশিয়াল মিরাকল প্রোডাক্ট 'স্কিন ক্যাফে অ্যালোভেরা ৯৮% জেল' http://www.shajgoj.com/2017/05/26064/ Fri, 26 May 2017 05:13:08 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26064 অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী বর্তমানে আমাদের কাছে একটি পরিচিত নাম। প্রাচীনকাল থেকেই সৌন্দর্যচর্চা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার এত উপযোগী যে , প্রাচীন মিশরীয়রা অ্যালোভেরার নাম দিয়েছিল "Plant of Immortality". অ্যালোভেরা হলো লিলিয়াক (Lilliaceae) পরিবারের অন্তর্গত ক্যাকটাস জাতীয় একটি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণাগুণের কারণে যুগযুগ ধরে চুল এবং ত্বকের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যালোভেরার ফ্রেশ পাতা কেটে তার ভিতর থেকে যে রংহীন থকথকে পদার্থ পাওয়া যায় , সেটাই হলো অ্যালোভেরা জেল।

[picture]  

আমার স্কিন কেয়ার এবং হেয়ার কেয়ার রুটিনে অ্যালোভেরা জেল খুবই এসেন্সিয়াল একটা জিনিস। এখন আমার বাসায় অ্যালোভেরা গাছ নেই। আর আমার বাসার আশেপাশে কোন সুপারশপ ও নেই যেখানে অ্যালোভেরার ফ্রেশ পাতা বিক্রি হয়। আমি প্রথমবার মার্কেট থেকে ন্যাচার্স রিপাবলিক ৯২% অ্যালোভেরা জেল কিনেছিলাম। ঐটা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন বাজারে এ প্রোডাক্টটার নকলে ছেয়ে গিয়েছে। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে আমি স্কিন ক্যাফে ব্র‍্যান্ডের অ্যালোভেরা জেলের কথা জানতে পারি। স্কিন ক্যাফে বাংলাদেশের একটি প্রিমিয়াম স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ব্র‍্যান্ড। তাদের সবগুলো প্রোডাক্ট-ই অর্গানিক বলে তারা দাবী করে। অ্যালোভেরা জেলটিও তার ব্যতিক্রম নয়।

f4

সাদা ট্রান্সপারেন্ট প্লাস্টিকের ২০০ এম.এল. কন্টেইনারে আসে অ্যালোভেরা জেলের প্যাকেজটি। এর উপরে লেখা আছে যে, এটি ৯৮% অ্যালোভেরা জেল যা অর্গানিক, পিওর এবং ন্যাচারাল। সব ধরণের স্কিনে ব্যবহারের উপযোগী। এটি ট্রান্সপারেন্ট হালকা টেক্সচারের জেল এবং মিষ্টি হালকা একটা স্মেল আছে এতে। কন্টেইনারের মুখ খোলার পর থেকে ১২ মাস পর্যন্ত নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে। এটি প্যারাবেন , মিনারেল অয়েল এবং আর্টিফিশিয়াল রঙ মুক্ত। ন্যাচার্স রিপাবলিক এর অ্যালোভেরা জেলের মোড়কে তো সব ভিনদেশী ভাষা , যেহেতু সেটা কোরিয়ান প্রোডাক্ট, কিছুই বুঝিনি কী কী উপাদানে তৈরি। কিন্তু স্কিন ক্যাফেরটা ইংরেজিতে লেখা , তাই পড়েছি এবং জেনেছি আর এখন আপনাদেরকে ও জানাচ্ছি এর উপাদানগুলো সম্পর্কে -  

(১) পিওর অ্যালোভেরা জেল

(২) পানি

(৩) প্রপিলিন গ্লাইকল (Propylene Glycol) -এটি যেকোন তাপমাত্রায় প্রোডাক্ট এর স্বাভাবিক স্ট্রাকচার বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং স্কিনকে মসৃণ রাখার কাজটাও করে।

(৪) কার্বোমার (Carbomer) - প্রোডাক্টের ফ্লো এবং কনসিসটেন্সি বজায় রাখতে সহায়তা করে।

(৫) অ্যালানটয়েন (Allantoin) - সমস্যাগ্রস্ত ত্বককে রক্ষা করে, নতুন স্কিন সেলস তৈরিতে সহায়তা করে, ত্বকের দাগ দূর করে, র‍্যাশ বা একনে দূর করে এবং কাটাছেঁড়া ঘা সারিয়ে তোলে।  

(৬) পিইজি-৪০ (PEG 40) - হাইড্রোজেনেটেড ক্যাস্টর অয়েল (Hydrogenated Castor Oil)  

(৭) সোডিয়াম হায়ালুরোনেট (Sodium Hyaluronate) - এতে আছে অ্যান্টি এজিং প্রোপার্টি।  

(৮) ইমিডাজোল অ্যালকাইল ইউরিয়া (Imidazole Alkyl Urea) - ঈস্ট, ব্যাকটেরিয়া এবং মোল্ডযুক্ত ফর্মুলা থেকে প্রোডাক্টকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

(৯) ট্রি ইথানোল আমাইন (Tri ethanol amine) - প্রোডাক্টের PH বজায় রাখে।

(১০) হাইড্রোক্সাইল মিথাইল বেনজেন (Hydroxyl Methyl Benzene) - এটিও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট।

(১১) গ্লাইকল (Glycol)  

(১২) ফেনোক্সি ইথানল (Phenoxy ethanol) - প্রোডাক্টে যেন ব্যাকটেরিয়াল গ্রোথ না হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয়।

(১৩) ন্যাচারাল এসেন্স  

রোদে পোড়া ত্বক এবং একনে ও র‍্যাশ ইরিটেশনের সমস্যাগ্রস্ত সেনসিটিভ ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। আমার পুরানো একনের দাগগুলোও অনেকটাই কমেছে বলে মনে হয়েছে। আর নতুন করে কোন একনে বের হলে সেটার রেডনেস আর চুলকানো ভাবটাও কমে যায়।

এটাই আমার নাইট ময়েশ্চারাইজার এবং স্লিপিং মাস্ক ও বটে, আমার সেনসিটিভ একনে প্রোন কম্বিনেশন স্কিনে আমি নিশ্চিন্তে রাতে এটা মেখে ঘুমিয়ে যাই। পরদিন সকালে উঠে মুখ ধোয়ার পর স্কিনটা একদম সফট আর ফ্রেশ দেখায়। হাতে শেষ যে একটু জেল লেগে থাকে সেটুকু চুলের আগায় ব্যবহার করি, চুলের আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

যা যা ভালো লেগেছে  - 

(১) এর মাল্টিপারপাস এবিলিটি। ত্বক হোক আর চুল হোক, আমি যেসব স্কিন আর হেয়ারকেয়ার প্যাক তৈরি করি প্রায় অধিকাংশতেই এই অ্যালোভেরা জেলটা ব্যবহার করি। হোক সেটা আমার হেয়ার স্ট্রেইটেনিং মাস্ক , কিংবা ফেসিয়াল গ্লো সিরাম, এই অ্যালোভেরা জেলটা আমার লাগবেই।  

(২) এর সুদিং ফিলিং এবং মিষ্টি স্মেল আমার ভালো লেগেছে।  

(৩) এর টেক্সচার টা হালকা এবং এটা খুব সুন্দরভাবে স্কিনের সাথে মিশে যায়।  

Fabindia-Soothing-Aloe-Vera-Gel-Review-4-480x259

যেভাবে ব্যবহার করতে পারেন -

  • যখন হাতের কাছে চুলের হিট প্রোটেক্টিং স্প্রে পাওয়া যায় না , তখন অল্প একটু জেল হাতে নিয়ে চুলের উপর হাত বুলিয়ে নিশ্চিন্তে হেয়ারস্টাইলিং করুন , ব্লো ড্রাই , স্ট্রেইটেনিং কিংবা কার্ল।
  • মেকআপ রিমুভার হিসেবে ও ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো জেল হাতে নিয়ে মুখ আর গলায় আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে থাকুন , তারপর টিস্যু দিয়ে আলতো করে চেপে চেপে মেকআপ তুলে ফেলুন এর আপনার রেগুলার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ব্যস, ক্লিন আর ক্লিয়ার ফেইস ইন্সট্যান্টলি পেয়ে যাবেন।
  • শেভিং জেল হিসেবে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করবে, ইরিটেশন দূর করবে , জ্বালাপোড়া দূর করবে এবং মসৃণ করে তুলবে।
  • হালকা কাটাছেঁড়ায় ও এই জেল ব্যবহার করতে পারেন, সেরে যাবে, কারণ এতে আছে natural wound healing properties.
  • এই গরমের প্রখর রোদে বাইরে থেকে ফিরে সানবার্ন দূর করার জন্য শুধু এই অ্যালোভেরা জেলটাই মাস্ক হিসেবে মুখে দিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা (আমি তো জেলটা আরো ঠাণ্ডা ফিল আনার জন্য ফ্রিজে রেখে দেই, তো আরো সুদিং লাগে)। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
  • ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওরের পর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • আমার যখন কোথাও যাবার তাড়া থাকে, কিন্তু হাতে যখন একদমই সময় থাকে না, তখন আমি চট করে অল্প অ্যালোভেরা জেল নাক আর অন্যান্য ব্ল্যাকহেডস আর হোয়াইটহেডসের জায়গাগুলোতে লাগিয়ে হাতে অল্প চিনি নিয়ে ঝটপট স্ক্রাবিং করে মুখ ধুয়ে তারপর মেকআপ করি। এতে করে মেকআপ সুন্দর করে স্কিনে বসে এবং স্কিনে কোন ইরিটেশন হয় না।

রেটিং , মূল্য এবং প্রাপ্তিস্থান -

আমি ব্যক্তিগতভাবে একে রেটিং দিবো ৯.৫/১০। বাড়িয়ে বলছি না, আপনি একবার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এবং রিপারচেজ করার কথা ডেফিনিটলি ভাববেন বলে আমার মনে হয়েছে। আর আমাদের দেশে যে আন্তর্জাতিক মানের এত দারুণ স্কিন অ্যান্ড হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্ট আছে, এটা দেখে আসলে মনটাই ভালো হয়ে গিয়েছে। স্কিন ক্যাফে অ্যালোভেরা ৯৮% জেল টির ২০০ এম.এল. কন্টেইনারের বাজার দর পড়বে ৮০০/- টাকা।  

বর্তমানে দেশের বেশ কিছু বড় বড় কসমেটিক্সের দোকান, ফার্মেসীসহ যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত স্যাফায়ার এ পেয়ে যাবেন এই প্রোডাক্টটি। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করে নিতে পারেন।  

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

লিখেছেন -  ফারহানা প্রীতি

]]>
26064 2017-05-26 11:13:08 2017-05-26 05:13:08 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মুখরোচক ঝালমুড়ির মশলা তৈরির রেসিপি http://www.shajgoj.com/2017/05/26076/ Sat, 27 May 2017 06:18:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26076 ঝালমুড়িওয়ালা পাওয়া যায় না বলে খাওয়াই হয় না! কিন্তু ঝালমুড়ির মশলা তৈরির রেসিপিটা জানা থাকলেই কিন্তু হলো যখন তখন নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন । তাই আজ দেখে নিন ঝালমুড়ি মাখানোর মশলা রেসিপি আর তৈরি করে খান যখন ইচ্ছা তখনই । রইলো রেসিপি ।

উপকরণ

  • ধনিয়া ২ টেবিল চামচ
  • জিরা ১ টেবিল চামচ
  • শুকনা মরিচ ২ টি
  • কাঁচামরিচ ২-৩ টি
  • জয়ফল অল্প পরিমাণে
  • দারুচিনি ২ টি
  • মৌরি লবঙ্গ অল্প
  • এলাচ ৩-৪ টি
  • পেঁয়াজ কুঁচি ১ টি বড়
  • আদা রসুন কুঁচি ১.৫ কাপ
  • হলুদ গুঁড়া ১ চাচামচ
  • সরিষার তেল হাপ কাপ
  • লবন পরিমাণ মতো
  • সিরকা ২ টেবিল চামচ
  • পাঁচ ফোড়ন (আঁচারী স্বাদের জন্য )

[picture]

প্রণালী

- সব মশলা পাটায় মিহি করে বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন ।

- প্যানে তেল দিয়ে বাটা মশলা দিয়ে দিন। হলুদ , লবন ও সামান্য পানি ও সিরকা দিয়ে কষান।

- মশলা কষানো হয়ে গেলে টেস্টিং সল্ট দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষান তেল উপরে উঠে আসলে এবং মশলা থেকে কাঁচা গন্ধ চলে গেলেই নামিয়ে নিন ।

- এবার ঠাণ্ডা হলে কাঁচের বয়ামে ভরে নরমাল ফ্রিজে রাখুন ।

টিপস

- ঝালমুড়িসহ অন্যান্য ফল (পেয়ারা ,কাঁচা আম) মাখায় ব্যবহার করতে পারেন  এই মশলা ।

ছবি - কুকিংথাম্ব ডট ব্লগ স্পট ডট কম

রেসিপি - মৌ হাসান 

]]>
26076 2017-05-27 12:18:19 2017-05-27 06:18:19 open open %e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9a%e0%a6%95-%e0%a6%9d%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%b6%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a7%88 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
কীভাবে পারফেক্ট আইশ্যাডো নির্বাচন করবেন ? জেনে নিন, ৮ টি দারুণ টিপস http://www.shajgoj.com/2017/05/26091/ Sat, 27 May 2017 07:26:04 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26091 সুন্দর একজোড়া চোখ, সবারই নজর কাড়তে বাধ্য। আর চোখকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে চোখের মেকাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। চোখের মেকাপে কাজল, আইলাইনার, মাশকারার পাশাপাশি যে কসমেটিকটির কথা না বললেই নয়, তা হলো আইশ্যাডো। এটি ছাড়া তো চোখের মেকাপ পরিপূর্ণই হবে না।  তবে, আইশ্যাডো কেনার কথা মাথায় আসলে অনেকেই কনফিউজড হয়ে যায়। কোনটা কেনা উচিত, কোনটা যে কম দামের মধ্যে ভালো হবে, আর কোনটা আসলেই দরকার আপনার জন্যে এসব নিয়ে দ্বিধার শেষ থাকে না। আর আপনি যদি মেকাপের জগতে নতুন হন, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই আজ জানাবো, আপনার নিজের জন্যে সঠিক আইশ্যাডো প্যালেট নির্বাচনের ৮ টি টিপস।

[picture]

(১) আইশ্যাডো প্যালেট কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে, কোন ধরণের আইশ্যাডো আপনি কিনতে চাচ্ছেন। বাজারে ম্যাট, শিমারী, মেটালিক, স্যাটিন, ক্রিম আইশ্যাডো রয়েছে। যদি আপনি প্রতিদিনকার চোখের সাজের জন্যে কিনতে চান, তবে ম্যাট অথবা স্যাটিন ফিনিশের আইশ্যাডোকিনতে পারেন। তবে ম্যাট আইশ্যাডো কালেকশনে রাখা ভালো। কারণ এগুলো যে কোনো ধরণের আই মেকাপে ক্রিজে আইশ্যাডো ব্লেন্ডিং এর কাজে লাগে।এছাড়া যে কোনো পার্টি আই মেকাপের জন্যে বেছে নিন শিমারী অথবা মেটালিক ফিনিশের আইশ্যাডো। এছাড়া লং লাস্টিং আই মেকাপ পেতে বেছে নিতে পারেন ক্রিম আইশ্যাডোগুলো।

Inked In Pink

(২) এমন আইশ্যাডো প্যালেট বাছবেন, যেগুলোতে শেড রেঞ্জ ভালো। কারণ লাইট, মিডিয়াম এবং ডার্ক কালারের আইশ্যাডো দিয়ে আপনি অনেকগুলো লুক করতে পারবেন।

(৩) আইশ্যাডো কেনার আগে আপনার চোখের কালারের দিকে নজর রেখে কিনবেন। প্যালেটের কালারগুলো যেন আপনার চোখের কালারের সাথে মানানসই হয়, তা খেয়াল রাখবেন। তবে, ব্রাউন, গোল্ডেন, কপার, সিলভার বারগেন্ডি, ব্লাক ইত্যাদি কালারগুলো সব ধরনের চোখের সাথেইমানিয়ে যায়।

(৪) অনলাইন রিভিউগুলো আপনার ভালো বন্ধু হতে পারে। অনলাইনে সার্চ করলেই বিভিন্ন ব্রাণ্ডের আইশ্যাডো সম্পর্কে অনেক রিভিউ পাওয়া যায়। সেখান থেকে দেখে আপনি অনেকটা আইডিয়া পেতে পারবেন।

(৫) আপনি যদি আই মেকাপে নতুন হন, তবে যে কোনো ধরনের নুড/ ন্যাচারাল কালারের আইশ্যাডো প্যালেট বেছে নিন। কারণ এ কালারগুলো যেমন সব ধরণের ড্রেসের সাথে মানিয়ে যায়, তেমনি ব্রাউন, নুড, ব্ল্যাক ইত্যাদি কালারগুলো থেকে আপনি কোন কালার চোখের কোন অংশে ব্যবহার করা উচিত তা সম্পর্কে বেসিক ধারণা পেয়ে যাবেন ।

(৬) এমন আইশ্যাডো প্যালেট কেনার চেষ্টা করবেন, যেটার কালারগুলো ওয়্যার‍্যাবল। অনেক প্যালেটে এমন সব কালার থাকে,  যেগুলো দেখতে সুন্দর হলেও ঐ সব কালার দিয়ে আই মেকাপ করাটা খুব একটা মানানসই লাগে না। যে কালারগুলো বেশী ইউসফুল, সেগুলো কেনাই ভালো।  তাই এক্ষেত্রে একটু মাথা খাটিয়ে প্যালেট নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

NATURALLY BEAUTIFUL EYE SHADOW PALETTE

(৭) আপনি মেকাপে নতুন/ বিভিন্ন কালারের আইশ্যাডো দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে  ভালোবাসেন / এবং অনেকগুলো আইশ্যাডো প্যালেট কিনে টাকা নষ্ট করতে চান না? তাহলে বেছে নিতে পারেন ১২০,  ১৮০ কালারের আইশ্যাডোগুলো।এগুলো দামে অনেক বেশী রিজনেবল এবং মানও খুব একটা খারাপ না।

7

(৮) বাজেটের মধ্যে ভালো মানের আইশ্যাডো খুঁজলে, বেছে নিন ড্রাগস্টোরের ব্রাণ্ডগুলো। মেকাপ রেভ্যুলেশন, বি এইচ কস্মেটিক্স, ল'রিয়াল, মেইবিলিন, মেকাপ একাডেমী ইত্যাদি ব্রান্ডে রিজনেবল দামে ভালো মানের আইশ্যাডো রয়েছে। হাই এন্ড প্যালেটগুলোর মধ্যে রয়েছে - আরবান ডি কে, টু ফেইসড, এ.বি.এইচ ইত্যাদি প্যালেটগুলো।

naked-2

এই তো ছিলো, আইশ্যাডো প্যালেট নির্বাচনের ৮ টি দারুণ টিপস। আশা করছি এখন থেকে পারফেক্ট আইশ্যাডো প্যালেটটি বেছে নিতে আর আসুবিধা হবে না।

লিখেছেন -  জান্নাতুল মৌ

]]>
26091 2017-05-27 13:26:04 2017-05-27 07:26:04 open open %e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a7%8b publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
রূপচর্চা ও স্বাস্থ্যগুণে পরিপূর্ণ জবা http://www.shajgoj.com/2017/05/26117/ Mon, 29 May 2017 05:35:07 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26117 জবা ফুল আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলের ব্যবহার হিসেবে আমরা  চুলের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেই । কিন্তু এই ফুলের যে স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে এবং ত্বকের জন্য উৎকৃষ্ট তা অনেকেরই অজানা । এই ফুলে রয়েছে ভিটামিন সি ও এ, আলফা হাইড্রোক্সিল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলের উপকারের সাথে সাথে স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে ও ত্বক সুন্দর করে । আসুন জেনে নিই জবা ফুলের গুণাবলি সম্পর্কে ।

জবা ফুলের স্বাস্থ্যগুণ

(১) বমি করতে চাইলে

হঠাৎ কোন কুখাদ্য খাওয়া হয়ে গেলে , যেটা খেতে অভ্যস্থ নয় যেমন অজান্তে মাছি , চুল অথবা এই ধরণের কোন জিনিস পেটে গিয়েছে , এর পরিণতিতে বমির উদ্রেগ হয় । অথচ বমি হচ্ছে না !এমন অবস্থায় ৪/৫ টি জবা ফুল নিয়ে বোটার সাথে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে , এই অংশটাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণ মতো দিয়ে চটকে শরবত করে দিনে ২ বা ১ বার খেলে বমি হয়ে যাবে ।

[picture]

(২) ঘন ঘন প্রসাব নির্গমন

যারা প্রচুর পরিগমাণে পানি পান করেন আবার ঘন ঘন প্রসাব করেন অথচ ডায়বেটিস নেই তারা জবা গাছের ছালের রস এক কাপ পানির সাথে পরিমাণ মতো চিনিসহ মিশিয়ে ৭/৮ দিন খেলে উপকার পাবেন ।

(৩) অনিয়মিত মাসিক

যারা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা তিনটি পঞ্চমুখী জবা ফুলের কুঁড়ি ও ৩/৪ ইঞ্চি দারুচিনি  আধা অথবা এক গ্রাম এক সঙ্গে বেটে গ্লাস পরিমান পানি মিশিয়ে শরবত করে কয়েকদিন খেতে পারেন। তবে সকালে কিছু খাওয়ার পর খেতে হবে । মাসিকের সময়ে ৩/৪ দিন খেতে হবে মাসিক স্বাভাবিক হওয়া অবধি দিনে একবার করে ।

(৪) টাক পড়া রোগ

চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গায়  চুল উঠে টাক হয়ে গেছে  এ অবস্থায় জবা ফুল বেটে  ঐ স্থানে নিয়মিত লাগালে কয়েক মাসের মধ্যে চুল গজাবে । ১ বা ২ টা ফুল বেটে ৭ থেকে ৮ দিন যে  কোন সময় লাগাতে হবে । এবং ২ বা এক ঘন্টা লাগাতে হবে । অথবা যতক্ষন সম্ভব রাখতে হবে ।

(৫) চোখ ওঠা

চোখের কোনে ক্ষত হয়ে পুঁজ পড়ছে । সে ক্ষেত্রে জবা ফুল বেটে চোখের ভিতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায় গোল করে লাগিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যাবে । দিনের যে কোন সময় ১ বা ২ টা ফুল বেটে ৭/৮ দিন লাগাতে হবে এবং এক ঘন্টা রাখতে হবে ।

(৬) হাতের তালুতে চামড়া ওঠা

শীতকালে হাতের তালুতে চামড়া উঠে খস খস হয়ে গেলে জবা ফুল তালুতে মাখলে খুব উপকার পাওয়া যায় । দিনে দুই বা তিন বার ১/২ ফুল হাতের মধ্য ঘষে ঘষে লাগাতে হবে । যতক্ষণ সম্ভব লাগিয়ে রাখতে হবে ।

413c2b0f077af82ea2b872f504779816

(৭) জ্বর নিয়ন্ত্রণ করে

ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রমণ ! কিছু জবা ফুলের পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে  চা তৈরি করে পান করুন । জ্বরের সময় জবা ফুলের চা শীতল কারক হিসেবে কাজ করে ।

(৮) মুত্রনালির সংক্রমন প্রতিরোধ করে

এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিন এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে, জবা ফুলের জীবাণু নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদান ফেনিন্ডা আয়ালিকান্সের বিরুদ্ধে কাজ করে । জবা ফুলের পুষ্টি উপাদান মুত্রনালির ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া দূর করে এবং তা সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয় । জবা ফুলের চায়ে ফ্লাভনয়েড থাকে যা ইকোলাই ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে ।

(৯) ব্যথা কমায়

শরীরে ব্যথা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে জবা ফুল । এজন্য ৫ টি লাল জবার পাতা ও ৫ টি পাপড়ি নিয়ে পানিতে ৩ থেকে ৫ মিনিট ফুটনোর পর মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন । আধা ঘন্টা পর এটি পান করুন । ২১ দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি পান করলে শরীরে ব্যথা কমবে ।

(১০) রক্তশূন্যতায়

শরীরে লৌহের ঘাটতি কমায় লাল জবা । লাল জবার পাপড়ি পানিতে সিদ্ধ করে পান করুন । এছাড়াও জবা ফুলের পাপড়ি সিদ্ধ করে পান করলে বিষণ্ণতা দূর হয় ।

ত্বকের যত্নে জবা ফুল

(১) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও বলিরেখা দূর

জবা ফুল রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন । তিন চামচ জবা ফুলের গুঁড়ো , চার চামচ টক দই ও এক চামচ চন্দনের গুঁড়ো এক সাথে মিশিয়ে নিন । সবগুলো উপকরণ দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন । জবা ফুল ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ।

লাল জবার পাপড়ি রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন । প্রতিদিন দুধ না হয় কমলা রসের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগান । মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে ও বলি রেখা কমবে ।

(২) শুষ্ক ত্বকের  নিরাময়ে

নারিকেল তেল বা তিলের সঙ্গে জবার পাপড়ি জ্বাল দিন । এরপর ঠান্ডা হলে শুষ্ক ত্বকে লাগান । এটি শুষ্ক ত্বকের নিরাময় করে এবং যেকোন ধরণের ফাটা দূর করে ।

(৩) ত্বকের টক্সিন ও অতিরিক্ত তেল কমায়

সপ্তাহে ২ থেকে ৫ দিন ৬ টি জবার পাপড়ি পেস্ট করে এর সঙ্গে চালের গুঁড়ো ও  পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন । এই প্যাকটি সব ধরণের ত্বকের টক্সিন ও অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্তি দেয় ।

চুলের যত্নে জবা

(১) চুল ঘন করে

জবা ফুল ও কারি পাতার পাউডার নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল দিন । এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করুন । চুল পড়া কমে নতুন চুল গজাবে এবং ঘন হবে ।

৫ চামচ আমলকি পাউডার নিন । তাতে ৫ চামচ জবা পাতা বেটে মিশিয়ে নিন । এই মাস্কটি চুলে দিয়ে রাখুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট । এরপর ধুয়ে ফেলুন । আমলকি পাউডার এর পরিবর্তে আমলকি বাটা ব্যবহার করতে পারেন । এভাবে মাসে ২ থেকে  ৩ বার ব্যবহারে চুল হবে মজবুত ও ঘন ।

৫ বা ৬ টি পাতা বেটে নিয়ে তাতে দুই টেবিল  চামচ মধু ও চার টেবিল চামচ টক দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন । চাইলে এর সাথে দুধ ও মেশাতে পারেন । মিশ্রণটি ৪০ মিনিট মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন । এই মাস্কটি ব্যবহারে চুল মোলায়েম হয় ও চুল পড়া কমে ।

(২) খুশকি সমস্যা রোধে

খুশকি কমাতে জবা ফুল দারুন কার্যকর । প্রথমে অল্প পরিমাণ মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন । এরপর এর সাথে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল ও জবা ফুলের তেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন । মিশ্রণটি ভালো করে পুরো মাথায় লাগান । তা শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে তিন দিন করুন । দেখবেন খুশকির সমস্যা দূর হয়ে গেছে ।

এক মুঠো জবা পাতা আর সমপরিমান মেহেদি পাতা পেস্ট করে নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট । এরপর ধুয়ে ফেলুন ।

১০ চা চামচ জোজবা তেলের সাথে অর্ধেক চা চামচ করে জবা , গাদা এবং তুলসি তেল মিশিয়ে চুলে ব্যাবহার করুন । ২০ মিনিট রেখে মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন ।

FHG3O40HMMFC8LF.MEDIUM

(৩) স্কাল্পের চুলকানি কমায়

জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , সি যা স্কাল্পের চুলকানি কমায় । এছাড়া স্কাল্পের যেকোন সমস্যা রোধে জবা ফুলের বিকল্প নেই । অল্প পানিতে জবা ফুল সিদ্ধ করে নিন । সেই পানি ঠান্ডা হলে চুলে লাগাতে হবে । এর ফলে দেখবেন স্কাল্পের চুলকানি কমে গেছে ।

(৪) অকালে চুল পাকা রোধ

বর্তমানে বায়ু দূষণের কারণে অনেকেরই চুল অসময়ে পেকে যায় । এই সমস্যা সমাধানে জবা ফুল কার্যকরী । প্রথমে কয়েকটি জবা ফুল বেটে নিতে হবে । এর সাথে টক দই , জবা ফুলের তেল এবং এই পেস্ট মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে । কিছু সময় রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে । নিয়মিত এই ট্রিটমেন্ট করলে অকালে চুল পাকা রোধ হবে।

(৫) চুলের আদ্রতা বজায় রাখে

জবা ফুলের তেলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আমলকি পাউডার ও লেবুর রস  মিশিয়ে স্কাল্পে লাগাতে হবে । আধ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ।

(৬) চুলের আগা ফাটা রোধ

নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলে ২ টি জবা ফুল মিশিয়ে গরম করুন। ফুটাবেন না । এই তেল নিয়মিত চুলের আগায় ব্যাবহার করলে আগা ফাটা সমস্যা কমে যাবে ।

(৭) মাথা ঠান্ডা রাখতে

৫-৬ টি জবা পাতা নিয়ে ২০ বা ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন । তারপর পাতাগুলো পিষে কিছুক্ষণ হাত দিয়ে পানিতে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন । যা থেকে খুব পিচ্ছিল একটা দ্রবণ তৈরি হবে । এই দ্রবণটি মাথায় দিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট । এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে শাইনি ,  কালো এবং মাথা থাকবে ঠান্ডা ।

 জবা ফুলের উপকারিতা  তো জানলেন । তো এবার বাড়ির আঙিনায় আজই লাগিয়ে ফেলুন একটি জবা ফুলের গাছ। এবং জবা ফুলের গুণে সুস্থ থাকুন । চুলকে করুন ঘন , কালো ও ঝলমলে ও ত্বক হোক সুন্দর । তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন ফুলটি হতে হবে লাল জবা ।

লিখেছেন - জোহরা হোসেন

]]>
26117 2017-05-29 11:35:07 2017-05-29 05:35:07 open open %e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a3%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিলি চিকেন রেসিপি http://www.shajgoj.com/2017/05/26123/ Sun, 28 May 2017 10:45:31 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26123 উপকরণ

(১) চিকেন, (থাই এবং ব্রেস্ট) কিউব করে কাটা (২৫০ গ্রাম) (২) বাটন মাশরুম (২৫ গ্রাম ছোট করে কাটা, এক মাশরুম কে ৪ টুকরো করতে পারেন) (৩) নর (knorr) নাগেটস মিক্স (৪) ভেজিটেবল অয়েল (৫) কাঁচা মরিচ (৮ গ্রাম, ইরেগুলার পিস করে কেটে নিতে পারেন) (৬) কালো গোল মরিচ গুঁড়ো ( আধা টেবিল চামচ) (৭) গ্রিন ক্যাপসিকাম (৫০ গ্রাম ছোট কিউব করে কাটা) (৮) রেড ক্যাপসিকাম (৩০ গ্রাম ছোট কিউব করে কাটা) (৯) লেটুস (১০) শুকনো মরিচ গুঁড়ো/ চিলি ফ্লেকস (২ টেবিল চামচ) (১১) সয়া সস (১ টেবিল চামচ) (১২) রেড চিলি সস (৪ টেবিল চামচ) (১৩) লবন স্বাদ মতো

  প্রণালী -       সবটা চিকেন কিউবের সাথে ৬ টেবিল চামচ নর নাগেটস মিক্স মিক্স ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। -       চিকেন এবার ৩০ মিনিট মেরিনেট করুন। -       একটা ফ্রাইং প্যানে ৪ টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল দিন। -       তেল গরম হয়ে গেলে এবার এতে মেরিনেটেড চিকেনটা দিয়ে দিন -       চিকেনে সুন্দর সোনালি রঙ আসার জন্য ১০ মিনিট ফ্রাই করুন। -       চিকেন হয়ে গেলে সেটা একটা বোলে তুলে আলাদা রেখে দিন -       এবার একি ফ্রাইং প্যানে মাশরুম, রেড এবং গ্রিন ক্যাপসিকাম দিয়ে একটু নাড়ুন -       গোলমরিচ গুঁড়োটা দিয়ে দিন -       সয়াসস এবং স্বাদমত লবন দিন, আমি আড়াই গ্রামের মতন লবন দিয়েছি। -       ফ্রাইং প্যানের ভেজিটেবল গুলো ৫ মিনিট নেড়ে চেড়ে সিদ্ধ করুন। -       এবার ফ্রাইং প্যানে আগে ফ্রাই করে রাখা চিকেন কিউব পুরোটা দিয়ে দিন। -       প্যানে ৪ টেবিল চামচ রেড চিলি সস দিয়ে দিন -       কেটে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। -       চিলি ফ্লেকস অ্যাড করুন। -       এবার ১০ মিনিট মতন নেড়ে চেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। -       লেটুস দিয়ে গারনিশ করে পরিবেশন করুন। ব্যস, খুব সহজেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ঝাল ঝাল চিলি চিকেন। হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।      ]]>
26123 2017-05-28 16:45:31 2017-05-28 10:45:31 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিকেন কেসাদিয়া http://www.shajgoj.com/2017/05/26135/ Mon, 29 May 2017 07:54:32 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26135 ইফতারির আয়োজনে ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলতে পারেন মজাদার চিকেন কেসাদিয়া। নাম শুনে আবার ভেবে বসবেন না কঠিন কিছু তৈরি করার কথা বলছি । রেসিপিটি দেখে নিন আর  খুব সহজেই তৈরি করে ফেলুন।

[picture]

উপকরণ

(১)  চিকেন ছোট ছোট টুকরা করে কাটা (১৪০ গ্রাম)

(২)  তেল ৩০ মিলি

(৩) পেঁয়াজ ৭০ গ্রাম

(৪)  কাঁচা মরিচ (২০ গ্রাম )

(৫) কালো গোলমরিচ ২ গ্রাম

(৬) বাটার অয়েল (ঘি)২০ মিলি

(৭) কর্ণ ফ্লাওয়ার ২০ গ্রাম

(৮) ময়দা ১৫০ গ্রাম

(৯) মোজেরেলা চিজ ৭৫ গ্রাম

(১০) লবন ৪.৫ গ্রাম

(১১) পানি ৬০+৪০ মিলি

(১২) টমেটো ১০০ গ্রাম

(১২) গ্রিন ক্যাপসিকাম ৩০ গ্রাম

(১৩) আদা ৭ গ্রাম

(১৪) টাবাস্ক সস ৭.৫ মিলি

(১৫)  নর (knorr) নাগেটস মিক্স

টরটিলা তৈরির প্রণালী

- একটি বড় পাত্রে ময়দা , কর্ণ ফ্লাওয়ার , কালো গোলমরিচ , লবন তেল এবং পানি নিয়ে নিন ।

 - সব উপকরণ ভালোভাবে মিক্স করে নরম ডো তৈরি করে কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন ।

- একটি ডো নিয়ে সমান ৬ ভাগে ভাগ করে বা কেটে নিয়ে ছোট ছোট বল আকারে তৈরি করুন।এবার বল আকারে তৈরি করে রাখা ময়দার ডো এর উপর সামান্য শুকনো ময়দা ছিটিয়ে দিন । তারপর রুটি আকারে বেলে নিন।

কেসাদিয়া তৈরির প্রণালী

- চিকেন , ক্যাপসিকাম , পেঁয়াজ , টমেটো কাঁচামরিচ সবগুলো ধুয়ে ছোট ছোট কিউব আকারে কেটে নিন ।

- এরপর একটি পাত্রে চিকেনের টুকরোর সাথে নর নাগেটস মিক্স মিক্স করে ১০ মিলি পানি দিয়ে ভালো করে মিক্স করে ৩০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করে রাখুন ।

- একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এতে একে একে মেরিনেট করা চিকেন , টাবাস্ক সস , আদা দিয়ে ৫ মিনিট ফ্রাই করুন । এরপর এতে টমেটো এবং পানি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন ।

- এবার ক্যাপসিকাম পেঁয়াজ , কাঁচামরিচ দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

- বেলে রাখা রুটি / টরটিলার উপর সামান্য ঘি ব্রাশ করে  নিয়ে তাতে চিকেনের মিশ্রণটি  দিয়ে তার উপর চিজ দিয়ে দিন। এবার এর উপরে আরেকটি টরটিলা দিয়ে কাভার করে দিয়ে সাইডগুলো চেপে চেপে বন্ধ করে দিন।  একই স্টেপ পরের বার ফলো করুন।

- সবশেষে ফ্রাই প্যানে ঘি দিয়ে তাতে কুয়েসাডিলা দিয়ে দিন । দুই সাইড ভাজুন যতক্ষণ না পর্যন্ত গোল্ডেন ব্রাউন কালারে পরিণত হয়। হয়ে এলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।  ]]>
26135 2017-05-29 13:54:32 2017-05-29 07:54:32 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
গ্লোয়ি/ ডিউয়ি মেকাপ লুক http://www.shajgoj.com/2017/05/26149/ Tue, 30 May 2017 13:37:42 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26149 আজকাল মেকাপের গ্লোয়ি/ ডিউয়ি লুকটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কীভাবে এই লুকটা আনতে হবে তা জানা থাকলে ট্রাই করা যেত! তাই ভাবছেন তো। তাহলে আর দেরি কেন ? মেকাপ আর্টিস্ট হিবা মোহাম্মদের এই ভিডিও টিউটোরিয়ালটি দেখে শিখে নিন, কীভাবে গ্লোয়ি/ ডিউয়ি মেকাপ লুকটি করতে হয়।

ছবি ও  টিউটোরিয়াল -  অ্যারাবিয়ান পিক্সি 

]]>
26149 2017-05-30 19:37:42 2017-05-30 13:37:42 open open %e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a7%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6814 psultanakhulna@gmail.com 162.158.46.65 2017-05-31 12:39:05 2017-05-31 06:39:05 1 0 0 akismet_history akismet_history akismet_result
চিকেন পিকাটা রেসিপি http://www.shajgoj.com/2017/05/26152/ Tue, 30 May 2017 13:38:39 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26152 চিকেন পিকাটা অনেকটা চিকেন কাটলেটের মতোই তবে এর সাথে নর (knorr) নাগেটস মিক্স অ্যাড করে স্বাদে আনতে পারেন ভিন্নতা। বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু উপকরণ হাতের কাছে থাকলে নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন সুস্বাদু এই চিকেন পিকাটা । দেখে নিন -

উপকরণ

(১) পেঁয়াজ  ১০ গ্রাম

(২) ডিম ১ টি

(৩) সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো ১.৫ টেবিল চামচ

(৪) চিকেন ব্রেস্ট ২ টা

(৫) ময়দা ১০০ গ্রাম

(৬) তেল ৬ টেবিল চামচ

(৭) নর নাগেটস মিক্স

(৮) হলুদ সরিষা গুঁড়ো ৫ টেবিল চামচ

(৯) শুকনো পুদিনা ২ গ্রাম

প্রণালী

-     প্রথমে চিকেনের ব্রেস্টগুলো থেঁতলে নিন।

-     পেঁয়াজ ধুয়ে কুঁচি করে নিন।

-     একটি পাত্রে ডিম ফেটে নিন ।

-     এবার একটি পাত্রে চিকের ব্রেস্টগুলো নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স (১/২ প্যাকেট) , পেঁয়াজ কুঁচি , হলুদ সরিষা গুঁড়ো , সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো , শুকনো পুদিনা এবং বিট করা ডিম দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।

-     এভাবে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।

-     আরেকটি পাত্রে ময়দা নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স (বাকি ১/২ প্যাকেট) দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করুন।

-     এবার মেরিনেট করে রাখা চিকেন পিসগুলো ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে দু’পাশ কোট করে নিন।

-     ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে গরম হয়ে আসলে কোট করে রাখা চিকেন পিসগুলো তেলে ছেড়ে দিন।  ১০ মিনিট ভাজুন ।

-     চিকেন পিসগুলো যখন ডিপ ফ্রাই হয়ে যাবে তখন গরম গরম পরিবেশন করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।  ]]>
26152 2017-05-30 19:38:39 2017-05-30 13:38:39 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সুস্বাস্থ্য আর সৌন্দর্যচর্চায় সুগন্ধি মশলা দারুচিনির যত গুণ http://www.shajgoj.com/2017/05/26160/ Wed, 31 May 2017 05:47:17 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26160 আমাদের প্রায় সবার রান্নাঘরেই উপস্থিত থাকে এ দারুণ সুগন্ধি আর ঔষধি গুণযুক্ত মশলাটি - যার নাম দারুচিনি। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Cinnamon.

মাংস রান্নায় হোক , খিচুড়ি রান্নায় হোক, পায়েশ বা অন্য কোন ডেজার্ট রান্নায় হোক , কিংবা একটু লিকার চা করতে হোক, এক টুকরো দারুচিনি কিন্তু আমাদের লাগেই । রান্নাঘরের এই অতি প্রয়োজনীয় মশলাটির ঔষধি গুণের কথা ও কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দারুচিনির কি কি ভূমিকা আছে -

(১) টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক 

দারুচিনি ইনসুলিন রেসিসট্যান্স কমায় এবং ফাস্টিং ব্লাড সুগার লেভেল প্রায় ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম বলে গবেষণায় জানা গিয়েছে। দারুচিনি সরাসরি মাসল সেলগুলোতে কাজ করে এবং রক্তপ্রবাহ থেকে চিনিকে সরাতে বাধ্য করে।

[picture]

(২) রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে 

দারুচিনিতে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টস। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে রক্তকে পরিশোধিত করতে সহায়তা করে। এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

(৩) ওজন কমাতে সহায়ক 

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আধা গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। দারুচিনি রক্তের ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে, খারাপ কোলেস্টেরলকে কমায় এবং আপনার মেটাবোলিজমকে বাড়িয়ে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।

tea_cinnamon_drink_70063_2560x1600

 (৪) আলঝেইমার্স এবং পার্কিনসন রোগের চিকিৎসায় সহায়ক 

দারুচিনি নিউরনকে সচল হতে সাহায্য করে এবং মোটর ফাংশনকে ত্বরান্বিত করে, তাই আলঝেইমার্স এবং পার্কিনসন রোগীদের ডায়েটে দারুচিনি রাখা ভালো বলে গবেষণায় জানা গিয়েছে।

(৫) দারুচিনিতে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল,অ্যান্টি-ভাইরাল প্রোপার্টি

দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এমনকি অ্যান্টি-ভাইরাল প্রোপার্টি, যার ফলে আপনি যখন রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার করবেন তখন খাবারের মাধ্যমে এ জাতীয় কারণগুলো থেকে হওয়া অসুখবিসুখগুলো ছড়াতে পারবে না। সোজা কথায় বলতে গেলে, দারুচিনি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

(৬) দারুচিনি ব্যথা উপশমে সহায়ক 

মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, মাসল পেইন, মেয়েদের মাসিককালীন ব্যথা উপশমে দারুচিনি দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ দারুচিনিতে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটোরি উপাদান।

(৭) দাঁত আর মাড়ির ব্যথায় দারুচিনি 

যাদের দাঁত আর মাড়ির ব্যথার সমস্যা আছে তারা ব্রাশ করার সময় পেস্টের উপর এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে তারপর ব্রাশ করুন। ব্যথা কমে যাবে।

 (৮) নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে দারুচিনি

প্রতিদিন দু'বেলা ব্রাশ করার পর ও মুখে দুর্গন্ধ? এক টুকরো দারুচিনি চিবান, অথবা আধ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। খেতে না চাইলে শুধু গড়গড়া ও করতে পারেন। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ বিদায় হবে।

সৌন্দর্যচর্চায় দারুচিনি 

দারুচিনিতে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় সবার স্কিনে এটা স্যুট নাও করতে পারে। সাধারণভাবে স্কিনে দারুচিনির গুঁড়ো ব্যবহার করে হালকা জ্বলুনি (Sting) হতে পারে, তবে সেটা ৩০-৪০ সেকেন্ডের জন্য। তারপর স্বাভাবিক লাগার কথা। কিন্তু কারো যদি তার চেয়ে জ্বলুনি অনুভূত হয়, তাহলে সাথে সাথে স্কিনে পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক রূপচর্চায় দারুচিনি কীভাবে ব্যবহার করা যায়-

(১) ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে 

৩ চা চামচ খাঁটি মধু আর ১ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো (যেকোন সুপারশপে কিনতে পাবেন/ বাসায় ও আস্ত দারুচিনি বেটে নিতে পারেন) একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিক্স করে যে যে স্থানে একনে/ব্রণ হয়েছে সেসব স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ এবং ব্রণের দাগ আস্তে আস্তে কমে যাবে।

anti-acne-mask_171

(২) অ্যান্টি-জিং স্কিন মাস্ক তৈরিতে 

একটি ডিম আর ২ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে ফ্রিজে রেখে দিন কমপক্ষে আধা-এক ঘণ্টা। তারপর মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ দিয়ে একটি টিস্যু দিয়ে মুখঘষে চোখের চারপাশের অংশ বাদ দিয়ে আস্তে আস্তে পুরো মুখে চামচের সাহায্যে মাস্কটি লাগিয়ে নিন। দারুচিনির কারণে চামড়ায় সামান্য জ্বলুনি অনুভূত হতে পারে। এক ঘণ্টা পর পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন একবার করে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন। ডিম আপনার স্কিনের পোরগুলোকে ছোট করবে, আর দারুচিনি অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান একনে/ব্রণগুলোকে সারিয়ে তুলবে এবং স্কিনকে টাইটেন করবে। এই মাস্কটি একবার বানালে কমপক্ষে তিনদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

(৩) পায়ের যত্নে

১ মগ কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো, ৩-৪ ফোঁটা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। পা ধুয়ে ফেলার আগে স্ক্রাব করে নিন ব্রাশ এবং পিউমিস স্টোন দিয়ে। পা দু'টো ঝকঝকে হয়ে যাবে নিমেষেই।

Special-Focus-On-Raw-Honey-And-Ceylon-Cinnamon

(৪) চুলের যত্নে

৩ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, ২ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েলের (আমি স্কিন ক্যাফে ব্র‍্যান্ডের অর্গানিক অয়েলগুলো ব্যবহার করি, যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত SAPPHIRE এ পাবেন) সাথে ১ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে মাথার চুলসহ পুরো স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়া কমবে, খুশকি দূর হবে, আর ডীপ কন্ডিশনিং তো হবেই।

(৫) ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে

১ চা চামচ ভ্যাসেলিনের সঙ্গে ১ চিমটি দারুচিনি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। হালকা জ্বলুনি হতে পারে ঠোঁটে। তবে অতিরিক্ত জ্বলুনি হলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।

ছবি - হোমরেমিডিহ্যাকস ডট কম , রিয়েলফুডমিলস ডট কম

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
26160 2017-05-31 11:47:17 2017-05-31 05:47:17 open open %e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6846 riyabiswas154@gmail.com 172.68.141.191 2017-06-19 15:08:16 2017-06-19 09:08:16 1 0 0 akismet_history akismet_result akismet_history
চিকেন মাশরুম রোল http://www.shajgoj.com/2017/05/26168/ Wed, 31 May 2017 06:27:02 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26168 বাচ্চাদের টিফিনে বিকেলের নাস্তায় এমন কি ইফতারের টেবিলে রাখতে পারেন মজাদার চিকেন মাশরুম  রোল । কীভাবে তৈরি করবেন? দেখে নিন পুরো প্রণালী-

[picture]

উপকরণ

(১) চিকেন ১৭৫ গ্রাম

(২) মাশরুম

(৩) পেঁয়াজ ২৫ গ্রাম

(৪) তেল ১৫ মি লি

(৫) লাল ক্যাপসিকাম ৫০ গ্রাম

(৬) লবন ১ টেবিল চামচ

(৭) পানি ৪৫ মিলি

(৮) কাঁচা মরিচ ৮ গ্রাম

(৯) চিজ

(১০) নর নাগেটস মিক্স ৪ টেবিল চামচ

(১১) টাবাস্কো সস ১ টেবিল চামচ

(১২) কালো গোলমরিচের গুঁড়া  ১ টেবিল চামচ

(১৩) রসুন বাটা ৭ গ্রাম

(১৪) ময়দা ১৫০ গ্রাম

প্রণালী 

- প্রথমে পেঁয়াজ , কাঁচা মরিচ , লাল ক্যাপসিকাম ,  চিকেন , মাশরুম ধুয়ে  কুঁচি করে নিন ।

- এবার চিজগুলো লম্বা আকারে তিন টুকরো করুন।

- একটি পাত্রে চিকেন এর টুকরো নিয়ে তাতে ৪ টেবিল চামচ নর নাগেটস মিক্স দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিন । এভাবে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন ।

- ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে তাতে মেরিনেট করে রাখা চিকেন এর সাথে মাশরুম, রসুন বাটা, লবন ( ১ টেবিল চামচ) দিয়ে দিন। এভাবে ১০ মিনিট ফ্রাই করুন ।

- তারপর পেঁয়াজ , লাল ক্যাপসিকাম ও কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে তাতে টাবাস্কো সস দিয়ে ৫ মিনিট ফ্রাই করুন ।

- আরেকটি পাত্রে ময়দা , কালো গোলমরিচের গুঁড়া , লবন এবং তেল দিয়ে মিক্স করে নরম ডো তৈরি করে ২০ মিনিট রেখে দিন ।

- এবার ছোট ছোট ডো আকারে তৈরি করে রুটির মতো বেলে নিন ।

- তৈরি করা রুটির উপর চিকেন মিক্স এবং চিজ দিয়ে রোল তৈরি করে নিন ।

- ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে তাতে রোলগুলো বাদামি করে ভাজুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।  

]]>
26168 2017-05-31 12:27:02 2017-05-31 06:27:02 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ইফতারের সময় ভাজাপোড়ার বদলে চট করে বানিয়ে নিন চিকেন স্যান্ডউইচ ! http://www.shajgoj.com/2017/06/26177/ Thu, 01 Jun 2017 05:04:56 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26177 সারাদিন শেষে ইফতারের সময় ভাজাপোড়া না খেতে চাইলে চট করে বানিয়ে ফেলতে পারেন চিকেন স্যান্ডউইচ ! বেশি সময় লাগবে না এটি তৈরি করতে। দেখে নিন -

[picture]

উপকরণ

(১) ব্রাউন ব্রেড - প্রয়োজন মতো

(২) চিকেন কিমা - ১০০ গ্রাম

(৩) শশা - ৩০ গ্রাম

(৪) টমেটো - ৩০ গ্রাম

(৫) লেটুস পাতা - ৩০ গ্রাম

(৬) তেল - ৬ টেবিল চামচ

(৭) ডিম - ১ টি

(৮) নর নাগেটস মিক্স - ৩ টেবিল চামচ

(৯) সাদা গোল মরিচ গুঁড়া - ১/২ টেবিল চামচ

(১০) মধু - ১ টেবিল চামচ মধু

প্রণালী

- শশা , টমেটো  গোলাকার করে কেটে নিন।

- লেটুস পাতা পাউরুটির শেপে  কেটে নিন।

- একটি পাত্রে চিকেন নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স দিয়ে ভালো করে মিক্স করুন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে চিকেন মিক্স দিয়ে ১০ মিনিট ফ্রাই করে সরিয়ে রাখুন ।

- ভেজে রাখা মাংসের কিমাতে একটি ডিম , মধু , সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ,  তেল (৩ টেবিল চামচ) দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে রাখুন।

- এবার একটি পাউরুটির স্লাইসের উপর  একে একে টমেটো চিকেন মিক্স দিয়ে তার উপর শশা এবং বাঁধাকপির টুকরো দিয়ে সবশেষে আরেকটি পাউরুটি স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন।

- ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩ মিনিট বেক করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।  ]]>
26177 2017-06-01 11:04:56 2017-06-01 05:04:56 open open %e0%a6%87%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%a6 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
রমজানে ত্বক ও চুলের যত্ন নিবেন কীভাবে? http://www.shajgoj.com/2017/06/26182/ Thu, 01 Jun 2017 05:04:14 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26182 রমজান মাসে ঈদের ঠিক ২-৩ দিন আগে থেকে চুল আর ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য তাড়াহুড়ো লেগে পরে। কিন্তু সেটাতে কোনই লাভ হয়না । চুল আর ত্বকের যত্ন নেয়া খুবই ধৈর্য আর সময়ের বিষয়। তাই ঈদের এক মাস আগে থেকেই যত্ন করুন। ত্বক , চুলের অন্যান্য যত্ন এখন থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে নিলে ঈদের আগে আপনার ত্বক ও চুল প্রাণহীন দেখাবে না।

ত্বকের যত্নে

সারাদিন রোজা রেখে ত্বক কিছুটা প্রাণহীন হয়ে পড়ে । এ সময় যত্ন নেয়ার সময়টা তাই পাল্টাতে হয় । যেহেতু পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়।  তাই ইফতারের পর থেকে শুরু করতে পারেন ত্বকের যত্ন।

 [picture]

  • পানির অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে । তাই ইফতারের পর বা নামাজের পর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন । মুখে লোশন লাগিয়ে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা থাকুন । চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়বে না।
  • এ সময় সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধন এড়িয়ে চলুন । মেকআপ কম ব্যবহার করুন ।
  • অনেক সময় চোখের নিচে কালো হয়ে থাকে ক্লান্তির কারণে । তাই ঘুম ঠিক সময়মতো দরকার ।  আলু, টমেটো ও শসার রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন । এতে কালো দাগ দূর হবে।
  • ঘুমানোর আগে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন । আপনার ত্বকের সাথে যেসব ফেসপ্যাক সুট করে সেগুলো ব্যবহার করুন ।
  • এ সময় গরম বেশি থাকে । রোদের তাপে মুখে কালো দাগ হতে পারে ।  সেসব থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর ফেসপ্যাক । লেবু , মধু আর মুলতানিমাটি একসাথে মিশিয়ে মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন । গোলাপ জল আর শশা দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। এটি যেকোনো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
  • ঠোঁটের আলাদাভাবে যত্ন নিন ।  কারণ এ সময় ঠোঁট ফেটে যায়। রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে বিটরুট আর দুধ একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন । এছাড়া ঠোঁটের যত্নে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন ।
  • গরমে বডি-লোশন ব্যবহার করতে না চাইলে নিয়মিত ত্বকের উপযোগী ভালো কোন সাবান ব্যবহার করুন।
  • বাড়িতে এ সময় বিভিন্ন ধরনের খবার থাকে ।  রাতে কলা , পাকা পেঁপে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন সাথে শসার রস নিন এবং মুখে লাগিয়ে ২০ মিন রেখে ধুয়ে ফেলুন । ত্বক উজ্জ্বল হবে।
  • কড়া পারফিউমে ত্বকের ক্ষতি হয় অনেক সময়। তাই সেটা ব্যবহার না করাই ভালো।
  • রমজানে হালকা মেকাপের মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখুন । অথবা মেকআপ না করাই ভালো । ঘর থেকে বের হবার আগে সামান্য প্রেসড-পাউডার লাগাতে পারেন।
  • রোজায় ঠোঁটে কোন লিপস্টিক বা প্রসাধনী না লাগানোই ভালো।
  • পারলে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
  • রোজায় আমাদের ভাজাপোড়া খাওয়া শুরু হয়ে যায় । এসবের খারাপ প্রভাব পরে ত্বকের উপর ।  হালকা খাবার খাওয়া এ সময়ে সব থেকে ভালো।
  • ইফতারির একটি ভালো খাবার হলো সরবত। তাজা ফল, টক-দই বা দুধ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে। এতে ত্বক শক্তি ফিরে পাবে।

চুলের যত্নে

  • সারা দিন পানি পান করা হয় না। এতে অনেকের চুলও পড়ে যায়। ইফতারের পর পানি পান করতে হবে।এছারাও খেজুর, বিভিন্নশরবত, দই ইত্যাদি পানি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
  • চুলের যত্নে এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হবে। এ সময় হুট করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যায় এবং পানি কম খেতে হয়। এগুলো প্রভাব ফেলে চুলের উপর , চুল পড়ে এবং রুক্ষ হয়ে যায়। সপ্তাহে দু-তিন দিন ইফতারের পর চুলে তেল মালিশ করুন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হবে।
  • চুল নরম আর উজ্জ্বল করতে টক দই অথবা কলা লাগিয়ে ১০ মিন পর ধুয়ে ফেলুন।
  • মাথায় আলোভেরা জেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।
  • চুল ফেটে গেলে লেবুর রস লাগিয়ে রাখুণ ২০ মিনিট। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সারাদিনের রোজা থাকার ক্লান্তি আপনার ত্বক এবং চুলকেও নির্জীব করে ফেলে। তাই এ সময়ে এসবের সঠিক যত্নের প্রয়োজন।

লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ

]]>
26182 2017-06-01 11:04:14 2017-06-01 05:04:14 open open %e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95-%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ : দ্যা বডি শপ জিনজার অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু http://www.shajgoj.com/2017/06/26188/ Fri, 02 Jun 2017 03:48:02 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26188 খুশকি আমাদের চুলের প্রধান একটি সমস্যা । যতই কেয়ার করি না কেন ,  জেদি খুশকি কিছুতেই যেন যেতে চায় না । অনেকে সারাবছরই ভোগেন এই সমস্যা নিয়ে আবার অনেকে বছরের কিছুটা সময় ভোগেন।

গরমের তীব্রতা দিন যেন বাড়ছে ,  এ সময় খুশকি খুব ভালোমতোই ভোগাবে আপনাকে। মাথায় ঘাম জমবে আর মাথার স্কাল্পে চুলকানি হবে। যা খুবই অসহ্যকর ব্যাপার।তাই আজ এমন একটা প্রোডাক্টের রিভিউ দেব যেটা আপনার খুশকির সমস্যা থেকে অনেকখানি বাঁচাবে। আর সেটি হলো - দ্যা বডি শপ জিনজার অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু

[picture]

 প্যাকেজিং এবং টেক্সচার

প্রথমেই আসি প্যাকেজিং এর কথায়। এই শ্যাম্পুটি একটি প্লাস্টিকের বোতলে আসে। ফ্লিপ টপ ক্যাপ যুক্ত থাকে। প্যাকেজিং নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। ঠিক আছেই বলা যায়। বডিশপের  প্রায় প্রোডাক্টগুলোর প্যাকেজিং এই ধরণেরই হয়।

এবারে আসি টেক্সচারে। এই শ্যাম্পুটি জেল বেইসড।স্বচ্ছ । খুব ঘনও না আবার খুব পাতলা টেক্সচারেরও না।

The-Body-Shop-Ginger-Anti-Dandruff-Shampoo-swatch

 আমার অভিজ্ঞতা

সত্যি কথা বলতে কি, আমার অরগ্যানিক প্রোডাক্টের প্রতি সবসময়ই দূর্বলতা রয়েছে। আমার মনে হয় এগুলো কাজ ভালো করবে এবং হয়ও তাই।

বডিশপের শ্যাম্পুটা আমি প্রথম আমার রিলেটিভের বাসায় ব্যবহার করেছিলাম। আমার মাথায় সবসময়ই খুশকি থাকতো। তো প্রথম যখন আমি শ্যাম্পুর ফ্লিপ টপ ক্যাপটি ওপেন করি, এর জিনজারি স্মেল আমার বেশ ভালো লেগেছিলো। এরপরপরিমাণ মতো হাতে ঢেলে স্কাল্পে লাগাই। আমি আমার চুল ওয়াশ করে ড্রাই হওয়ার পর ফিল করি যে, আমার চুল বেশ ঝরঝরে হয়েছে এবং জিনজারি স্মেলটা হালকা রয়ে গেছে। স্কাল্প বেশ ক্লিন মনে হচ্ছিলো আমার কাছে। আর আমার স্কাল্পের অয়েলি ভাব দূর হয়ে গিয়েছিলো। তো প্রথম দিনেই আমি বেশ ইম্প্রেস হয়ে গেলাম। আমি টোটাল ২ দিন এটি ব্যবহার করেছিলাম। এরপর আমি নিজেই কিনে নেই। এটি ব্যবহার করার পর আমার খুশকি অনেক কমে গিয়েছে। আমার মাথায় গরমে প্রচুর চুলকানি হতো, সেটা আর এখন হয় না বললেই চলে।

এই শ্যাম্পুটার যে মেইন উপাদান, তা হলো জিনজার বা আদা । আর আমরা প্রায় সবাই চুলের যত্নে জিনজারের উপকারীতার কথা জানি। জিনজারে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টি রয়েছে। এছাড়াও এতে অরগ্যানিক হানি রয়েছে, যা স্কাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করে।

 20150723_105744

দ্যা বডিশপ জিনজার অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর যে দিকগুলো আমার ভালো লেগেছে -

১. খুশকির আধিক্য কমিয়ে আনে।

২. চুল পড়া কমায়।

৩. স্কাল্পকে ক্লিন রাখে এবং চুল ঝরঝরে করে তোলে।

৪. চুলে থাকা এক্সেস অয়েল সহজেই দূর করে।

৫. প্রথম কয়েক ওয়াশেই ড্যানড্রাফের পার্থক্য বুঝতে পেরেছি আমি।

৬. এই শ্যাম্পুটি অরগ্যানিক উপাদানে তৈরী।

দ্যা বডিশপ জিনজার অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর যে দিকগুলো আমার ভালো লাগেনি-

 - রেগুলার ব্যবহারে চুল একটু ড্রাই মনে হতে পারে।

- এক্ষেত্রে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

দাম

২৫০ মি.লি. বোতলের দাম পড়বে ৯০০ টাকা।

কোথায় পাবেন?  যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত স্যাফায়ার এ পেয়ে যাবেন এই প্রোডাক্টটি। চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে ও অর্ডার করে নিতে পারেন।

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
26188 2017-06-02 09:48:02 2017-06-02 03:48:02 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
৫টি সহজ ধাপে ঘরে বসে করে নিন হেয়ার স্পা http://www.shajgoj.com/2017/06/26202/ Sat, 03 Jun 2017 06:10:37 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26202 ইংরেজিতে bad hair day বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। অর্থাৎ চুলের শ্রী যেদিন অপ্রীতিকর থাকে সেদিন পুরো অ্যাপিয়ারেন্স-ই মলিন দেখায় , যত সুন্দর করেই সাজগোজ করি , কিংবা যত সুন্দর ড্রেস-ই পড়ি না কেন । সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল কিন্তু এক রাতের ভিতরেই পাওয়া যায় না । এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য এবং নিয়মিত যত্ন ।

হেয়ার স্পা শব্দটির সাথে এখন আমরা অনেকেই পরিচিত । ডেফিনেশন দিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে যে, চুলের স্বাস্থ্যোজ্জ্বল বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য, চুল পড়া কমানোর জন্য , চুলকে খুশকিমুক্ত রাখতে , চুলকে উজ্জ্বল , ঝলমলে , হেলদি আর বাউন্সি দেখানোর জন্য যে সার্বিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় , সেটাই হলো হেয়ার স্পা ।

বিভিন্ন পার্লারে হেয়ার স্পা করার সুব্যবস্থা আছে । কিন্তু সেটা অনেকের জন্য বেশ এক্সপেনসিভ , আবার অনেকের পার্লারে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময়ও হাতে থাকে না। খুব সহজে একটু সময় বের করলে অনেক অল্প খরচে আমরা সহজেই বাসায় বসে হেয়ার স্পা করতে পারি। চলুন তাহলে ঘরে বসে হেয়ার স্পা করার স্টেপগুলো দেখে নেয়া যাক।

[picture]

স্টেপ ১ : অয়েলিং

৪ চা চামচ কোকোনাট অয়েল, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, ২ চা চামচ আমন্ড অয়েল, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ৩০ সেকেন্ড গরম করে, অথবা স্টিলের বাটিতে ঢেলে চুলার উপরে ১৫ সেকেন্ড ধরে রেখে নামিয়ে নিন এবং এতে ২টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। এবার পুরো মাথার চুলকে কয়েক ভাগে ভাগ করে আস্তে আস্তে পুরো মাথার স্কাল্পে তেলটা লাগিয়ে নিন। সবশেষে পুরো চুলে ও আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। আস্তে আস্তে মাথার স্কাল্পটা ম্যাসাজ করতে থাকুন। এতে করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন হবে ভালোভাবে এবং স্কাল্পে তেলটা ভালো করে অ্যাবসর্ব হবে। এ অবস্থায় কমপক্ষে এক ঘণ্টা তেলটা মাথায় রাখুন।

castor-oil-for-hair-rain-lillie_grande

স্টেপ ২ : স্টিমিং 

হাতে যেকোন প্লাস্টিকের গ্লাভস পরে নিন। একটি বালতিতে গরম পানি ঢেলে তাতে একটি টাওয়েল ভিজিয়ে গ্লাভস পরা হাতে তুলে নিঙরে নিন এবং ঐ টাওয়েলটি দিয়ে পুরো মাথা এবং সব চুল ভালো করে পেঁচিয়ে নিন। এবার মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন।

 স্টেপ ৩ : শ্যাম্পুইং 

এবার টাওয়েলটি খুলে চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

স্টেপ ৪ : কন্ডিশনিং 

এবার কন্ডিশনার ব্যবহারের পালা। চুলের গোড়া বাদে পুরো চুলে ভালোভাবে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পুরো মাথা ধুয়ে নিন। এবং পুরোনো কোন টিশার্ট দিয়ে চেপে চেপে চুলের বাড়তি পানি ঝরিয়ে নিন।

Aloe-vera-and-honey

স্টেপ ৫ : হেয়ার মাস্ক ব্যবহার

১টা ডিম, ১টা মাঝারি সাইজের পাকা কলা, ৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ টকদই, ২ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক কোকোনাট অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো মাথার চুলে আগাগোড়া লাগিয়ে নিন। এবং শাওয়ার ক্যাপ পরে কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার আবার ও মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এবং শেষে এক মগ পানিতে ৪ চা চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে পুরোনো কোন টি শার্ট দিয়ে চুল মুছে ফ্যানের ঠাণ্ডা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কিন ক্যাফে ব্র‍্যান্ডের অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, সুইট আমন্ড অয়েল, অর্গানিক ক্যাস্টর অয়েল, অ্যালোভেরা ৯৮% জেলটা ব্যবহার করি। আর শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের মধ্যে আমার পছন্দের হলো ট্রেসেমি কেরোটিন স্মুদ শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার, দ্যা বডি শপ বানানা শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার, OGX ব্রাজিলিয়ান কেরোটিন স্মুদ শ্যাম্পু, OGX কোকোনাট ওয়াটার শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার। এ সবগুলো অরিজনাল প্রোডাক্ট দেশের বেশ কিছু বড় বড় কসমেটিক্সের দোকান, ফার্মেসিসহ যমুনা ফিউচার পার্ক এবং সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত Sapphire এ ও পেয়ে যাবেন। আর ডিম, কলা, টকদই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল তো কমবেশি আমাদের সবার বাসাতেই থাকে।

IMG_2113

ব্যস, দেখলেন তো, কত সহজে বাসায় বসেই অল্প খরচে এবং অল্প সময়ে হেয়ার স্পা করে নেয়া যায়? সপ্তাহে একদিন অন্ততপক্ষে নিজের জন্য সময় বের করে হেয়ার স্পা করে ফেলুন এবং চুলের অ্যাপিয়ারেন্সে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখুন। নিয়মিত হেয়ার স্পা করলে চুল পড়া কমবে, চুলের নিষ্প্রাণতা দূর হবে,  চুল হবে প্রাণবন্ত এবং ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

 ছবি - হোমরেমিডিহ্যাকস ডট কম , পিন্টারেস্ট ডট কম

 লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
26202 2017-06-03 12:10:37 2017-06-03 06:10:37 open open %e0%a7%ab%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ফিশ চপ http://www.shajgoj.com/2017/06/26218/ Sat, 03 Jun 2017 07:40:16 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26218 উপকরণ (১) পানি ৫০ মি.লি. (২) তেল ১০ মি.লি. (৩) ময়দা ৬০ গ্রাম (৪) আলু ৫ টুকরা (৫) মোজেরেলা চিজ ২০ গ্রাম (৬) কাঁচা মরিচ ১০ গ্রাম (৭) নর (knorr) নাগেটস মিক্স ৫ টেবিল চামচ (৮) কোরাল মাছ ১০০ গ্রাম প্রণালী   - আলু , কাঁচা মরিচ ধুয়ে কেটে নিতে হবে। - ফ্রাই প্যানে তেল নিয়ে কোরাল মাছ দিয়ে তাতে আলুর টুকরা এবং কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দিন। - এবার  নর (knorr) নাগেটস মিক্স দিয়ে ১০ মিনিট ভাজুন। - মিক্সটি ঠাণ্ডা হতে দিন। - এবার হাতের সাহায্যে আলুগুলো ম্যাশ করে নিন। - এতে মোজেরেলা চিজ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। - ছোট ছোট ফিশ চপ তৈরি করুন। - আরেকটি পাত্রে ৩ টেবিল চামচ নর নাগেটস মিক্স , ময়দা এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। - এবার ময়দার মিশ্রণে ফিশ চপগুলো  ডুবিয়ে নিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন। - বাদামি রং ধারণ করলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।          ]]> 26218 2017-06-03 13:40:16 2017-06-03 07:40:16 open open %e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b6-%e0%a6%9a%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id মোজেরেলা স্যান্ডউইচ http://www.shajgoj.com/2017/06/26222/ Sun, 04 Jun 2017 05:21:07 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26222 স্যান্ডউইচে চিকেনের সাথে সাথে একটু মোজেরেলা চিজ আর নর নাগেটস মিক্সের মেলবন্ধন কিন্তু অসাধারণ। তাহলে দেখে নিন মোজেরেলা স্যান্ডউইচের ইজি একটি রেসিপি -

উপকরণ

(১) ব্রাউন ব্রেড – প্রয়োজন মতো

(২) চিকেন কিমা – ১০০ গ্রাম

(৩) শশা – ৩০ গ্রাম

(৪) টমেটো – ৩০ গ্রাম

(৫) লেটুস পাতা – ৩০ গ্রাম

(৬) তেল – ৬ টেবিল চামচ

(৭) ডিম – ১ টি

(৮) নর নাগেটস মিক্স – ৩ টেবিল চামচ

(৯) সাদা গোল মরিচ গুঁড়া – ১/২ টেবিল চামচ

(১০) মধু – ১ টেবিল চামচ মধু

(১১) মোজেরেলা  চিজ - ৩০ গ্রাম

প্রণালী

- শশা , টমেটো  গোলাকার করে কেটে নিন।

- লেটুস পাতা পাউরুটির শেপে  কেটে নিন।

- একটি পাত্রে চিকেন কিমা নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স দিয়ে ভালো করে মিক্স করুন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে চিকেন মিক্স দিয়ে ১০ মিনিট ফ্রাই করে সরিয়ে রাখুন ।

- ভেজে রাখা মাংসের কিমাতে একটি ডিম , মধু , সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ,  তেল (৩ টেবিল চামচ) দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে রাখুন।

- এবার একটি পাউরুটির স্লাইসের উপর  একে একে টমেটো চিকেন মিক্স দিয়ে তার উপর শশা এবং বাঁধাকপির টুকরো এবং মোজেরেলা  চিজ  দিয়ে সবশেষে আরেকটি পাউরুটি স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন।

- ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩ মিনিট বেক করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26222 2017-06-04 11:21:07 2017-06-04 05:21:07 open open %e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%89%e0%a6%87%e0%a6%9a publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
কাপড়ের রং অটুট এবং দাগ মুক্ত করার কিছু কৌশল http://www.shajgoj.com/2017/06/26232/ Sun, 04 Jun 2017 05:17:14 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26232 কাপড়ের দাগ লাগাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ।এমন কোন ব্যাক্তি নেই যার কাপড়ে বিভিন্ন ভাবে দাগ লাগেনি  আর সেটি হয় পছন্দের কাপড় তবে মন তা যেন আরো খারাপ হয়ে যায় । সেই দাগ তুলতে না পারলে কাপড়টি বাতিল করে দিতে হয় । কাপড়ে দাগ লাগা ছাড়া আরেকটি ব্যাপার নিয়ে সবার ভয় থাকে সেটি হলো কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় । প্রথমবার ধোয়ার পর যদি কাপড়ের রং নষ্ট হয়ে যায় তবে সেটিও পরিধানের যোগ্য থাকে না । কিছু সতর্কতা বা কৌশল অবলম্বন করলে কাপড়ের রং ঠিক রাখা যায় ; কাপড় ও থাকে দাগ মুক্ত ।চলুন আজ আপনাদের কাপড়ে লেগে যাওয়া বিভিন্ন দাগ তোলার পদ্ধতি  এবং রং ঠিক রাখার কিছু উপায় জানিয়ে দেই ।

কাপড়ে লেগে যাওয়া দাগ তোলার উপায় 

(১) ঘাসের দাগ

মাঠে খেলা ধুলা গিয়ে  বা বসে আড্ডা দিয়ে ওঠার সময় খেয়াল করলেন কাপড়ে ঘাসের দাগ বসে গেছে । এই দাগ দূর করতে বেশ কসরত করতে হয় । এই দাগ দূর করতে দাগের উপর কিছুটা টুথপেস্ট নিয়ে ভেজা ব্রাশ নিয়ে দাগের উপর ঘষে নিতে হবে । যতক্ষণ না পুরোপুরি দাগ উঠে যাচ্ছে  ততক্ষণ এভাবে চেষ্টা করুন । এরপর সাধারনভাবে ধুতে ফেলুন ।

(২) রক্তের দাগ

হঠাৎ  কেটে গেলে বা কোন ক্ষত থেকে কাপড়ে রক্ত লাগতেই পারে যা শুকিয়ে গেলে পুরোপুরি উঠানো সম্ভব হয় না । দোকান থেকে থ্রি পারসেন্ট হাইড্রোজেন পার অক্সাইড যোগার করুন । প্রথমে দাগ লাগা কাপড়টি এতে ভিজিয়ে রাখুন । এরপর ছুরি বা ধারালো কিছু দিয়ে দাগের অংশটি ঘষে নিন এরপর আরো খানিক হাইড্রোজেন পার অক্সাইড  দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে । রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগে ধুয়ে ফেললে দাগ ভালোভাবে উঠে যায় । এছাড়া আরেকটি উপায় হচ্ছে দাগ লাগা কাপড়টি পানিতে ভিজিয়ে দাগের উপর লবন ছড়িয়ে দিন । ভালোভাবে ঘষে নিলে দাগ উঠে যাবে । এরপর সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলুন ।

(৩) ঘামের  দাগ

ঘামের  কারণে শার্ট বা কলারের হলদে দাগ হয়ে যায় । এই দাগ দূর করতে দারুন কার্যকর শ্যাম্পু । যেকোন শ্যম্পু দিয়ে কলারে লাগিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে । এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে ।

(৩) মেকআপের দাগ

মেকআপের  সময় অসাবধানতায় কাপড়ে দাগ বসে যেতে পারে । এজন্য একটি সাদা রুটি নিয়ে সাদা অংশ গুঁড়ো করে নিন । এরপর রুটির গুঁড়ো লিপস্টিকের বা  মেকপের দাগের উপর ঘষে নিতে হবে । একটা সময় দাগ পুরোপুরি উঠে আসবে । এরপর কাপড়ে লেগে থাকা গুঁড়ো ঝেড়ে ফেলুন ।

(৪) গ্রিজের দাগ

কাপড়ে গ্রিজ লেগে গেলে দাগের উপর কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে দিন । কিছুক্ষণ এভাবেই রাখুন যেন কর্নফ্লাওয়ার গ্রিজ শুষে নিতে পারে । তারপর কর্নফ্লাওয়ার ঝেড়ে ধুয়ে নিন ।

Use-Tooth-Paste-To-Remove-Blood-Stains

(৫) তেলের দাগ

মাথায় তেল দিয়ে ঘুমালে বা খাবার খাওয়ার সময় কয়েক ফোটা তেল পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায় । বালিশের কভারে ও কাপড়ে লেগে থাকা তেলের দাগ দূর করতে সাধারন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে ।

এছাড়া ও আরেকটি উপায় হল ৩ চা চামচ বেকিং সোডা ও ১ চা চামচ পানি মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এরপর দাগের স্থানটি সামান্য ভিজিয়ে নিয়ে তাতে মিশ্রণটি ঘষে ঘষে লাগান । এভাবে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । দাগ পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত আবার একইভাবে চেষ্টা করুন ।

[picture]

(৬) চকলেটের দাগ

এক্ষেত্রে প্রথমেই দাগ যতোটা সম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করুন । দাগ কিছুটা হালকা হলে স্যানিটাইজার মিশিয়ে কিছুক্ষণ  ভিজিয়ে রাখুন । এরপর ধুয়ে ফেলুন সাবান বা পাউডার দিয়ে ।

(৭) হলুদের দাগ

কাপড়ের যে স্থানে হলুদের দাগ লেগেছে সেখানে কিছুক্ষণ লেবু দিয়ে ঘষুন ।এরপর রোদে শুকাতে দিন । শুকিয়ে গেলে কাপড় ধুয়ে ফেলুন । এছাড়া গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। দাগের উপর গ্লিসারিন লাগিয়ে রাখুন । এক ঘনটা পর কাপড় ধুয়ে ফেলুন ।

(৮) মেহেদির দাগ

মেহেদির  দাগ  দূর করার জন্য দুধ বেশ কার্যকর । দাগ লাগা স্থানে দুধ দিয়ে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন ।এরপর ডিটাররজেন্ট পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । দেখবেন দাগ গায়েব ।

(৯) কালির দাগ

কলমের কালি কাপড়ে লেগেছে । এই কালি দূর করতে অ্যালকোহল ঘষে নিন  ।  তাছাড়া একটি স্পঞ্জ দুধে ভিজিয়ে স্পঞ্জটি দাগের উপর ঘষে নিলেও দাগ উঠে যাবে । তাছাড়া কাপড় সাদা হলে কালি লাগা অংশে লেবু দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন । তারপর সাবধানে ধুয়ে ফেলুন যেন কালি ছড়িয়ে না যায় । কালি লাগার পর যত দ্রুত সম্ভব এই পদ্ধতি অনুসরন করুন । দাগ লাগার পর একবার গুঁড়ো সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে দাগ উঠানো সম্ভব নয় । কালি লাগার পর কাপড় ইস্ত্রি করবেন না , এতে দাগ বসে যাবে ।

(১০) চায়ের দাগ

অসাবধানতায়  কাপড়ে চা পড়ে যেতে পারে তবে খানিকটা চিনি ব্যবহার করুন এতে দাগ চলে যাবে ।

(১১) টমেটো কেচাপের দাগ

দাগের উপর ভিনেগার দিয়ে ঘষুন এরপর ধুয়ে ফেলুন ।

Apple-cider-vinegar

(১২) বমির দাগ

ডিটারজেন্টের সাথে লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ লবন মিশিয়ে নিন । এই মিশ্রণে কাপড় ভিজিয়ে রাখুন এরপর ধুয়ে ফেলুন । দাগ উঠে যাবে ।

কাপড়ের রং ঠিক রাখার উপায় 

কাপড়ের রং ঠিক রাখার জন্য কিছু উপাদান রয়েছে, এই উপাদানগুলো কাপড় ধোয়ার সময় মেশালে কাপড়ের রং অনেকদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে ।

(১) ভিনেগার

ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ডিটারজেন্টের সাথে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে নিন । ভিনেগার কাপড়ের রং স্থায়ি হতে সাহায্য করে এবং ডিটারজেন্টের ক্ষতিকর প্রভাব হতে রক্ষা করে । ধোয়ার পর ভিনেগারের গন্ধ চলে যাবে ।

(২) লবন

নতুন সুতি কাপড় প্রথমবার ধোয়ার আগে এক বালতি পানিতে আধা কাপ লবন মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন । তারপর ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এতে কাপড়ের রং নষ্ট হবে না এবং রং ছড়িয়ে যাবে না ।

(৩) বেকিং সোডা

বেকিং সোডা কাপড়ের উজ্জ্বলতে বাড়ায় । কাপড় ধোয়ার সময় বালতিতে আধা কাপ বেকিং সোডা দিন । এতে রং ঠিক থাকবে।

কাপড়ের রং ঠিক রাখতে এই টিপসগুলো মেনে চলুন । আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কাপড় কখোনই কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না , এতে কাপড়ের রং খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় ।

উপররে টিপস মেনে চলুন আর আপনার  কাপড় থাকুক দাগ মুক্ত নতুনের মত উজ্জ্বল ।

ছবি - ক্লিনআইপিডিয়া ডট কম , হমইট ডট কম

লিখেছেন -  জোহরা হোসেন

]]>
26232 2017-06-04 11:17:14 2017-06-04 05:17:14 open open %e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%82-%e0%a6%85%e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%97-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এই গরমে রোজায় কিছু বিষয়ে রাখুন বিশেষ খেয়াল http://www.shajgoj.com/2017/06/26247/ Mon, 05 Jun 2017 04:37:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26247 ঈদের আগে এক মাস ধরে সিয়াম সাধনা শুরু হয়ে গেছে । ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দের আমেজের সাথে রোজার পুরো মাসেরও টুকিটাকি প্রস্তুতি চলে । বাজার-সদাই করে রাখা চাই আগে ভাগে । এবারের ইফতারে আগেকার বছরগুলির ধারাই চলবে নাকি খানিক ভিন্ন কিছু হবে , সেহেরির ভাতের সাথে তরকারিটা কেমন হলে ভালো হয় ? গিন্নিরা সেই চিন্তায় আছেন এখন থেকেই । চিন্তা যে একটুখানি বেশি এবার । গরমটা দেখেছেন তো ? এমন তাপদাহের দিনে দীর্ঘ একটা সময় না খেয়ে থাকবেন যারা , তাদের খাবারদাবারের একটু বিশেষ খেয়াল যে রাখতেই হবে!

এই প্রাণ ছটফট করা গরমে যে রোজকার দুইবেলার খাবারেই রুচি নেই অনেকের । দিনের দীর্ঘ একটা সময় রোজা রেখে তবে কেমন খাবার মুখে রুচবে ? শরীর ঠিক থাকবে তো এই কদিনে ? ভাবতে হবে সবকিছুই । কাজেই রমজান শুরু হতে হতেই ভেবে রাখুন আপনার করণীয় কী কী । কেমন ধারা চলবে এবার , কোনটা চলবে না একেবারেই । আপনার পক্ষে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ হতে পারে ।

[picture]

গরমের দিনে রোজা তো, ইফতার বলুন কিংবা সেহেরি, গরমকালের ফলের ঝুড়ি থাকা চাই খাবার টেবিলে । বাজারে টাটকা ফল মিলবে সেটা বলছি না । তবুও, যতোটাই সম্ভব হয় তাজা ফল সংগ্রহ করবেন এই মাসটার জন্য । ইফতারির আয়োজনে ভাজা খাবার যতো কম থাকবে আপনার টেবিলে , ততো বেশি থাকবে ফল । ফলের রস , শরবত , সালাদ সবকিছু খাবেন যতো বেশি পারবেন । শরীর অনেকটাই ফুরফুরে লাগবে । ক্লান্তি কমবে , গরমে প্রাণ জুড়োবে তো বটেই । পেটের খিদে মিটবে সাথে মনেরও ।

হালকা খাবারেই আহার সারুন । বিরিয়ানি , খিচুড়ি বা পোলাও , ভারী খাবারগুলি ঈদের দিনের জন্যেই তোলা থাকুক বরং ? মাংস দিয়ে অল্প তেলে বরং ফ্রায়েড রাইস করে নিতে পারেন চাইলে । সাথে থাকবে প্রচুর সবজি আর ডিমের স্বাদ । মূল কথা , সহজপাচ্য হতে হবে খাবারের উপাদান । তেলে-মশলায় কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে মাথা ঘুরে পড়বেন না যেনো ! এই ভুলখানা যেনো অনেকের না করলেই নয় ।

unnamed

মিষ্টি জাতীয় খাবার কিছু না কিছু অবশ্যই রাখবেন ইফতারের টেবিলে । সাথে সেহেরিতেও রাখুন মিষ্টান্ন , সম্ভব হলে । খেজুর তো রমজানে শরীরের ভীষণ বন্ধু এক খাবার । কাজেই ফল এবং মিষ্টি উপাদান হিসেবেও খেজুর বেছে নিন খাদ্য তালিকায়। দুধ-চাল আর বাদামের মিশ্রণে সাধারণ পায়েসও বেশ কাজের খাবার হবে আপনার ইফতারির আয়োজনে ।

কড়া পানীয়ের বদলে হালকা পানীয় চলুক না একটা মাস । চা ছাড়া দিন চলে না যাদের , লাল চায়ের অভ্যাস করুন না হয় । খুব ইচ্ছে হলে তবে এক কাপ দুধ চা , নয় বাদই রাখুন কয়েকটা দিন । এবং কোমল পানীয় মানে বাজারজাত পানীয় কিন্তু নয় , ঘরে তৈরি শরবত, ফলের রসের কথা বলছি ।

এবং সবশেষে যে কথাটি খুবই জরুরী , অবশ্যই সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করার বেলায় বেহিসেবি হবেন না । তাতে পেটের খিদে সাময়িক মিটলেও শরীরের কিন্তু বারোটাই বাজবে! স্বল্পাহারে সন্তুষ্ট থাকুন ইফতারে । রাতের খাবার এবং সেহেরিতে এটুকু পুষিয়ে নেয়া যাবে তো , তাই না ?

ছবি - ব্লগনিউজ ডট এএম লিখেছেন - মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
26247 2017-06-05 10:37:51 2017-06-05 04:37:51 open open %e0%a6%8f%e0%a6%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মাটন শাশলিক উইথ নর নাগেটস মিক্স http://www.shajgoj.com/2017/06/26253/ Mon, 05 Jun 2017 05:19:36 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26253 আজকের রেসিপি আয়োজনে রইল নর নাগেটস মিক্সের স্বাদে দারুণ মজাদার মাটন শাশলিক। দেরি না করে দেখে নিন মাটন শাশলিক তৈরি করার পুরো প্রণালী -

উপকরণ

(১) নর নাগেটস মিক্স ৫ গ্রাম (২) মাটন ১০ গ্রাম (৩) পেঁয়াজ ৫ গ্রাম (৪) রসুন ৩০ গ্রাম (৫) কাঁচা মরিচ ২০ গ্রাম (৬) স্টিক ৬ টি (৭) তেল ১২৫ মি.লি. (৮) পানি ২৫ মি.লি.

প্রণালী

- মাটন, পেঁয়াজ , কাঁচা মরিচ , রসুন ধুয়ে কেটে নিন ।

- একটি পাত্রে মাটন, পেঁয়াজ , কাঁচা মরিচ , রসুন নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে ৩০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করে রাখুন।

- এবারে একটি স্টিকে একে একে মেরিনেট করে রাখা মাটন, পেঁয়াজ , কাঁচা মরিচ , রসুন গেথে নিন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে মাটন, পেঁয়াজ , কাঁচা মরিচ , রসুন গেথে রাখা স্টিকগুলো দিয়ে ২০ মিনিট ভাজুন।

- এবার তেলে ভাজা স্টিকগুলো প্রিহিটেড ওভেনে ১০ মিনিট গ্রিল করুন।

- গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার মাটন শাশলিক ।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26253 2017-06-05 11:19:36 2017-06-05 05:19:36 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%89%e0%a6%87%e0%a6%a5-%e0%a6%a8%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%b8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
জেনে নিন, দরকারি কিছু সামার হেয়ার কেয়ার এবং টিপস সম্পর্কে http://www.shajgoj.com/2017/06/26266/ Tue, 06 Jun 2017 03:36:40 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26266 বাংলাদেশে ১২ মাসের প্রায় ৪ ভাগের প্রায় ৩ ভাগই গরম আবহাওয়া থাকে । যেহেতু গ্রীষ্মকাল চলছে , তাহলে তো এখন প্রচণ্ড গরম । আর এই গরমের প্রভাব তো আমাদের শরীরে পড়ছে । চুলও বাদ যাচ্ছে না গরমের খারাপ প্রভাব থেকে । এই গরমে চুল রুক্ষ হয়ে যায় , মাথার তালু ঘেমে চুল পড়া শুরু হয় ইত্যাদি আরো কতো কি!! তাই আজকে জানাবো কিছু  , যে কীভাবে এই প্রচন্ড গরমেও চুল সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে পারবেন ।

(১) গরমের সময়ে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় । বিশেষ করে রোদে গেলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় । আর যাদের চুল এমনিতেই ড্রাই , তাদের তো সমস্যার শেষ থাকে না । তাই চুলকে সুন্দর এবং ড্যামেজ ফ্রি করে তুলতে দরকার ডাবল কন্ডিশনিং করা । প্রতিবার শ্যাম্পু করার আগে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন । ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন । শ্যাম্পু করার পর , আবার কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন । চুলে ২ বার কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুলে এক্সটা কন্ডিশনিং হবে । যা আপনার ড্রাই এবং ড্যামেজ চুলকে অনেক সফট এবং স্মুদ বানিয়ে দেবে ।

[picture]

(২) গরমের দিনে যেকোনো ব্রেইড অথবা হেয়ার বানকে বন্ধু করে ফেলুন । চুল খোলা রেখে বাইরে না যাওয়াই ভালো । কারন, বাইরের কড়া রোদে খোলা চুল আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে ।

(৩) বাইরে রোদে গেলে চুলগুলো কোনো স্কার্ফ অথবা হ্যাট দিয়ে ঢেকে নিন । কারণ আপনি অবশ্যই চাইবেন না যে আপনার চুল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কবলে পড়ে নষ্ট হোক ।

rodent-sheriff-peppermint-oil

(৪) সবসময় চেষ্টা করবেন সন্ধ্যা অথবা রাতে চুল ওয়াশ করতে । কারণ সকাল বেলা যদি আপনি চুল ওয়াশ করে বাইরে যান , তো সারাদিনে আপনার চুলে অনেক ধরণের ময়লা , অয়েল জমা হবে । এবং আপনি সেই চুল নিয়েই রাতে শুয়ে পড়লেন । এতে সারারাত ধরে আপনার চুলে/স্কাল্পে ওই সকল ডার্ট এবং অয়েল অনেক বেশী ক্ষতি করবে এবং ইনফেকশন হয়েও যেতে পারে । তাই সবসময় চুল বাইরে থেকে ফিরে/রাতে ওয়াশ করার চেষ্টা করবেন । এতে সারারাত ধরে আপনার স্কাল্প ক্লিন থাকবে এবং হেয়ার গ্রোথও ভালো হবে ।

(৫) গরমকালে এমনিতেই চুল অনেক বেশী খারাপ হয়ে যায় । তাই এই গরমে হিট স্টাইলিং কিটগুলো একটু দূরে রাখুন । কারণ এতে চুল আরো ড্যামেজ হয়ে যায় । যদি ব্যবহারের খুবই দরকার পড়ে তবে আগে হিট প্রোটেক্টর স্প্রে লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না ।

(৬) এই গরমে মাথার স্কাল্পকে একটু রিফ্রেশমেন্ট এবং কুলিং ভাব দিতে, নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন কুলিং শ্যাম্পু। শ্যাম্পু করার সময় এর মধ্যে ১-২ ফোটা পেপারমিন্ট অয়েল মিক্স করে নিন । ব্যস । পেপারমিন্ট অয়েল আপনার স্কাল্পকে কুলিং ফিল দিবে এবং এটা স্কাল্পের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়িয়ে দিয়ে হেয়ার গ্রোথকে প্রোমোট করবে ।

Mix-it-up-with-Shampoo1

(৭) গরমকালে আর একটি বড় সমস্যা হলো খুশকি । যাদের খুশকি বেশী হয়, তারা চুলে তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকবেন । কারণ অপরিষ্কার মাথায় তেল ব্যবহার কিন্তু খুশকিকে বাড়তে সাহায্য করে । আর তেল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে, শ্যাম্পু করার ১ ঘন্টা আগে তেল ব্যবহার করবেন এবং এরপর ভালোভাবে চুল শ্যাম্পু করে নেবেন ।

(৮) বাইরে বের হওয়ার আগে কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট যত পারবেন, কম ব্যবহার করবেন । বিশেষ করে হেয়ার স্প্রে এবং ড্রাই শ্যাম্পু । বাইরে রোদের সংস্পর্শে গেলে চুলের গোড়া ঘামবে এবং কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টগুলোর সাথে ঘাম এবং অয়েল মিশে স্কাল্পের ক্ষতি করতে পারে ।

এই ছিলো গরমের সময়ে চুলকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখার কিছু টিপস । এই গরমেও আপনার চুল থাকুক সুন্দর এবং সামার প্রুফ ।

ছবি - ফ্রেশপ্যালেট ডট কম , রেমিডিজ অ্যান্ডহার্বস ডট কম

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
26266 2017-06-06 09:36:40 2017-06-06 03:36:40 open open %e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
বিফ চপ http://www.shajgoj.com/2017/06/26275/ Tue, 06 Jun 2017 04:37:28 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26275 ইফতারে প্রতিদিন কি একরকম আলুর চপ খেতে ভাল লাগে? চাইলে আজ বানিয়ে নিয়ে পারেন বিফ কিমার পুরে ভরা মজাদার আলুর চপ। দেখে নিন রেসিপিটি -

উপকরণ (১) গরুর মাংসের কিমা ২০০ গ্রাম (২) পানি ২৭৫ মি. লি. (৩) শুকনা মরিচ গুঁড়া ২ গ্রাম (৪) নর নাগেটস মিক্স ১৪.৫ মি. লি. (৫) ময়দা ৬৩ গ্রাম (৬) তেল ৬২৫ মি. লি.

প্রণালী

- গরুর মাংস ধুয়ে কিমা করে নিন।

- একটি পাত্রে গরুর মাংস নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স (৭.৫ গ্রাম) শুকনা মরিচ গুঁড়া এবং পানি (৩০ মি. লি.) দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করুন।

- সস প্যানে তেল (১২৫ )দিয়ে তাতে মেরিনেট করা মাংসের কিমা দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এরপর পানি (১৯০ মি. লি.) দিয়ে আরও ৩০ মিনিট রান্না করুন।

- রান্নার পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।

- ময়দা, নর ব্যাটার মিক্স (৭ গ্রাম) এর সাথে পানি (২৪৫ মি. লি.) মিশিয়ে নিন। ভালভাবে মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

- সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে ছোট ছোট বল আকার করে তাতে কিমার পুর ভরে দিন।

- এবার ময়দা নর নাগেটস মিক্সের ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম ডুবো তেলে ভেজে নিন।

- বাদামি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার বিফ চপ উইথ নর নাগেটস মিক্স।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26275 2017-06-06 10:37:28 2017-06-06 04:37:28 open open %e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ab-%e0%a6%9a%e0%a6%aa-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
প্রোডাক্ট রিভিউ: গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট স্পীড হোয়াইট ফেয়ারনেস ফেইসওয়াশ http://www.shajgoj.com/2017/06/26282/ Tue, 06 Jun 2017 10:41:46 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26282 হ্যালো, কিছুদিন আগেই গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট রেঞ্জের ডে অ্যান্ড নাইট ক্রিমের রিভিউ করেছিলাম... সেখানে বলেছিলাম, আমার স্কিনে সেই ক্রিম দুটি ডার্ক স্পট কমিয়ে আনতে পেরেছিল এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সেটা একটা নরমাল ডেইলি ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও বেশ ভালো। তো আজকে গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট রেঞ্জের আরেকটি প্রোডাক্ট, তাদের ‘ফেয়ারনেস’ ফেইসওয়াশটির রিভিউ করার ট্রাই করছি। দেখা যাক, গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশ, কেমন ছিল...

garnier-facewash-review- pic 1

দাম গার্নিয়ারের সব প্রোডাক্টের দামই কোয়ালিটির তুলনায় হাতের নাগালে থাকে, এই ফেইসওয়াশের বিষয়টাও একই, আমি কিনেছিলাম ৫০ গ্রামের টিউব আর দাম ছিল ১২৫ টাকা।

প্রাপ্তি স্থল যেকোনো বিশ্বস্ত কসমেটিক শপ অথবা সুপারশপ।

মেয়াদ টিউবের ক্রিম্পে ম্যানুফ্যাকচারের ডেট দেয়া আছে। প্রোডাক্টের মেয়াদ এই ডেট থেকে ৩৬ মাস বা ৩ বছর।

garnier-facewash-review- pic 2

ক্রিম্পে ১৯/৭/২০১৬ নাম্বার দিয়ে প্যাকেজিং ডেট বুঝানো হয়েছে।

উপাদান লিস্ট প্যাকেজিং এর নিচে পরিস্কারভাবে সম্পূর্ণ উপাদান লিস্ট এবং প্রোডাক্টের মেয়াদ দেয়া আছে । এতে থাকা পিউর লেমন এসেন্স ত্বকের গভীর থেকে ময়লা বের করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। এই ফেইসওয়াশটি সব ধরণের ত্বকের অধিকারীরা ডেইলি বেসিসে ইউজ করতে পারবেন।

garnier-facewash-review- pic 3

প্যাকেজিং ফেইসওয়াশটি টিউবে করে আসে। টিউবের কোয়ালিটি এবং ওপেনিং দুইই বেশ ভালো। অনেকদিন ইউজের পড়েও ফ্লিপ ক্যাপ ভেঙ্গে যাওয়া বা আলগা হয়ে যাওয়ার প্রবলেম দেখিনি।

garnier-facewash-review- pic 4

আর অনেকেই বাজেট প্রোডাক্টের authenticity নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আমাদের দেশে যে হারে প্রোডাক্ট নকল হয় চিন্তিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। মনে রাখবেন, গার্নিয়ার ডে এবং নাইট ক্রিম স্বচ্ছ প্লাস্টিক র‍্যাপারে সিল করা থাকে। ফেইসওয়াশ এবং সব ক্রিমের গায়েই প্রোডাক্টের বারকোড আছে। সিল বিহীন প্রোডাক্ট কিনবেন না। আর বারকোড, সিরিয়াল নাম্বার স্ক্যান করেও আশ্বস্ত হতে পারেন। এবং আপনি নিজে যখন ব্যবহার শেষে জার/টিউব ফেলে দিবেন তখন সেটা কোনভাবে নষ্ট করে (কেটে/ ফুটো করে) ফেলবেন। এতে ওগুলো যোগার করে নকল প্রোডাক্ট ভরে আবার আপনারই কাছে কেউ বিক্রি করতে পারবে না।

ব্যবহার বিধি প্রোডাক্টের ডিরেকশন হচ্ছে ভেজা মুখে একটু ম্যাসাজ করে এটা লাগানো। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা। কিন্তু আমি আগে হাত পরিস্কার করে হাতে প্রোডাক্ট ঘষে ফেনা তৈরি করে তারপর সেই ফেনা দিয়ে ভেজা মুখ খুব লাইটলি ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলি। আমার মনে হয় এতে মুখে ফেইসওয়াশের রেজিডিউ থাকার সম্ভবনা কমে যায়। যাদের মুখে ফেইসওয়াশ ঘষে ফেনা তৈরি করার হ্যাবিট আছে তারা  এই আর্টিকেলটি পড়ে সঠিকভাবে ফেসওয়াশ ব্যবহার শিখে নিতে পারেন।

আমার অভিজ্ঞতা ডে এবং নাইট ক্রিমের মতো ফেইসওয়াশ থেকেও হালকা কসমেটিক লেমন ফ্রেগর‍্যান্স পাওয়া যায়। যারা কসমেটিকে সুঘ্রাণ পছন্দ করেন তাদের খারাপ লাগবে না। আমার মতো যারা অযথাই ফ্রেগর‍্যান্স অ্যাড করা পছন্দ করেন না তারা ভয় পাবেন না। কিন্তু যাদের সিনথেটিক ফ্রেগর‍্যান্ন্সে অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই সাবধানে থাকবেন।

garnier-facewash-review- pic 9

আমি রোজ তিন বার মুখে ছবিতে দেখানো পরিমান ব্যবহার করেছি। ফেইসওয়াশটি অপেক/ অস্বচ্ছ সাদা রঙের। এবং একটু  pearlescent  … যারা ponds white beauty face wash ইউজ করেছেন তারা ওই ফেইসওয়াশ টির সাথে গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশের টেক্সচার এবং lather/ ফেনার মিল পাবেন। কিন্তু গারনিয়েরের কনসিসটেন্সি পন্ডস থেকে লাইট। গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশে সালফেট বেসড ডিটারজেন্ট থাকার কারণে স্বভাবতই প্রচুর ফেনা হয়।

garnier-facewash-review- pic 6

দেখছেন? চোখে পড়ার মত ফেনা তাই না? ফেইসওয়াশের পর পর স্কুইকি ক্লিন ফিল যারা ভালোবাসেন আমি তাদেরই দলে, সো সেই হিসেবে আমার গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশ ভালোই লেগেছে । আমার ত্বকে যখন সানস্ক্রিন / মেকাপ অথবা দুটোই ছিল আমি ক্লিনজিং অয়েল ইউজের পরে এই ফেইসওয়াশটি ইউজ করেছি। এবং ত্বকে রয়ে যাওয়া ক্লিনজিং অয়েলের রেজিডিউ, ধুলা, ময়লা একবারেই খুব ভালোভাবে ক্লিন হয়েছে। যার প্রমাণ আমি ক্লিনজিং এর পর কটন প্যাডে টোনার লাগানোর সময় খুব ভালোভাবেই পেয়েছি। কটন প্যাড ব্যবহারের পড়েও সম্পূর্ণ পরিস্কার ছিল!

গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশ ক্লেইমস- ময়লা দূষণ স্কিনকে ডাল করে তোলে। এর ফর্মুলা স্কিনের ভেতর থেকে এসব ইমপিওরিটিজ দূর করবে। হুম, এই ফেইসওয়াশ তা করে বৈকি। সো নো কমপ্লেইন। তবে মেকাপ এবং সানস্ক্রিন থাকলে শুধু ফেইসওয়াশ দিয়ে তা কখনই পুরোপুরি ক্লিন করতে পারবেন না। প্রমাণ চান? দেখুন-

garnier-facewash-review- pic 7

হাতে আইলাইনারের রেখা টানা আছে। লাইনারটি ওয়াটার প্রুফ নয়।

garnier-facewash-review- pic 8

উপরে ফেইসওয়াশের ফেনা দিলাম, এবং ঘড়ি ধরে এক মিনিট ধরে মোটামুটি মুখে যেভাবে ম্যাসাজ করি (স্কিনের ক্ষতি না করে) সেভাবে ম্যাসাজ করলাম।

garnier-facewash-review- pic last

পানি দিয়ে ফেইসওয়াশ ধুয়ে ফেললাম। তারপরেও প্রায় ৩০% আইলাইনার রয়েই গেল। ওয়াটার প্রুফ মেকাপ হলে সেটা আরও জেদি হত। ফেইসওয়াশের আগে অবশ্যই অয়েল ক্লিনজার/বাম দিয়ে মেকাপ সানস্ক্রিন ক্লিন করে না নিলে ফেইস ওয়াশ কখনই নিজের কাজ ঠিকভাবে করতে পারবে না, এটা মনে রাখবেন।

আমার স্কিন অয়েলি এবং সেনসিটিভ, এই ফেইসওয়াশ ইউজ করার পর স্কিন এই প্রচণ্ড গরমে বেশ কিছুক্ষন অয়েল ফ্রি থাকে। আর একটু টান টান লাগে। সো ফেস ওয়াশের সাথে সাথেই আমি টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার ইউজ করে ফেলি। ইউজ করা শুরু করার পর সবসময়ই আমি একই রেজাল্ট পেয়েছি। সুতরাং আমি বলব, খুবই তৈলাক্ত থেকে নরমাল স্কিনের জন্য এই ফেইসওয়াশটি সবচেয়ে ভালো হবে। কম্বিনেশন এবং ড্রাই স্কিনের অধিকারীরা এই ফেইসওয়াশ ইউজ করলে সাথে মনে করে অবশ্যই হাইড্রেটিং টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার ইউজ করবেন। এবং এখনই এটা বলা হয়ত ঠিক হচ্ছে না, কারণ শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় আমি এই ফেইসওয়াশ ইউজ করিনি, কিন্তু শীতকালে ড্রাই স্কিনে এই ফেইসওয়াশটি স্যুট করবে না বলেই আমার ধারণা। তাই কেউ যদি ড্রাই স্কিনের অধিকারী হন এবং এটা ইউজ করে থাকেন শীত কালে, কেমন লেগেছিল জানাবেন...

[picture]

তো, এবার এক নজরে দেখে নেই, এই ফেস ওয়াশের কোন দিকগুলো আমার ভালো লেগেছে-

- সাশ্রয়ী দাম, সুন্দর sturdy প্যাকেজিং। - অন্যান্য ড্রাগষ্টোর counter part এর তুলনায় লাইট texture, অয়েলি স্কিনের জন্য বেশি মানানসই। - অত্যন্ত ট্র্যাভেল ফ্রেন্ডলি - এই গরমে ডেইলি ইউজের জন্য ভালো। স্কিনে একবারেই ক্লিন করে। - স্কিনের ধুলা ময়লা, মেকাপ, সানস্ক্রিন এবং ক্লিনজিং অয়েলের রেজিডিউ পুরোপুরি পরিস্কার করে। - পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পড়ে স্কিনে ফেইসওয়াশের বিন্দুমাত্র উচ্ছিষ্ট থাকে না। - যারা ফেইসওয়াশে প্রচুর ফেনা এবং স্কিনে স্কুইকি ক্লিন ফিল পছন্দ করেন তারা এটা বেশ এঞ্জয় করবেন। - আমার মতে একটু কমবয়সীদের জন্য এই প্রোডাক্টটি সব চেয়ে ভালো হবে। যারা বাজেটের মধ্যে ডেইলি ইউজের জন্য একটা ফেইসওয়াশ খুঁজছেন। আর বেশি খরচ বা এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইছেন না।

যে দিকগুলো ভালো লাগেনি -

আমি এক্সপেক্ট করিনা এখনও ড্রাগ ষ্টোর কসমেটিক / ফেইসওয়াশের পি এইচের ইনফরমেশন আমি প্যাকেজিং-এ পাবো। আর যেহেতু আমার নিজের কাছেও পি এইচ টেস্ট করার উপকরণ নেই তাই রিভিউতে ফেইসওয়াশের পি এইচ কি সেটা জানিয়ে দিতে পারলাম না। ইন্টারনেটে অনেক খুজলাম, কিন্তু পেলাম না। আশা করি ভবিষ্যতে যেকোনো রিভিউ (সেটা যত সাশ্রয়ী বা দামি ব্র্যান্ডই হোক না কেন) তে প্রোডাক্টের পি এইচ কতো সেটা জানিয়ে দিতে পারব (অচিরেই একটা কিট কেনার ইচ্ছা আছে) স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের পি এইচ জানাটা যে কতো ইম্পরট্যান্ট সেটা নিয়েও লেখার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে।

সবশেষে, আমি শিওর নিজের স্কিন বোঝেন, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বোঝেন এমন সব ইউজারই এই ডেইলি ময়েশ্চারাইজার অথবা ফেইসওয়াশকে এটা যা তাই হিসেবেই দেখবেন, আর গার্নিয়ার হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশ হল একটা ভালো মানের বাজেট ড্রাগস্টোর ফোমিং/ সেকেন্ড স্টেপ ক্লিনজার । সব মিলিয়ে, যারা বাজেট রেঞ্জে ভালো প্রোডাক্ট খুঁজছেন তাদের জন্য গার্নিয়ারের হোয়াইট কমপ্লিট ফেইসওয়াশ একটা ভালো অপশন।

 লিখেছেন -  তাবাসসুম মুস্তারি]]>
26282 2017-06-06 16:41:46 2017-06-06 10:41:46 open open %e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%89-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিকেন ড্রামস্টিক http://www.shajgoj.com/2017/06/26298/ Wed, 07 Jun 2017 05:50:42 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26298 এই রোজায় কি বাসার ছোট সদস্যও কি রোজা রাখতে শুরু করেছে? তাদের কথাটাও মাথায় রেখে তো ইফতারির আইটেম সাজাতে হয়। তাহলে কিন্তু আজকের রেসিপিটা একদম পারফেক্ট! দেখে নিন -

উপকরণ

(১) চিকেন ড্রামস্টিক ৫০০ গ্রাম

(২) রসুন ১৫ গ্রাম

(৩) লেটুস পাতা ২০ গ্রাম

(৪) আদা ১৫ গ্রাম

(৫) নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স ৩০ গ্রাম

(৬) হলুদ গুঁড়া ১ গ্রাম

(৭) কালো গোলমরিচ গুঁড়া ১ গ্রাম

(৮) লেবুর রস ৫ মি.লি.

(৯) সয়া সস ১০ মি.লি.

(১০) অলিভ অয়েল ৩০ মি.লি.

(১১) মধু ২০ মি.লি.

(১২) পানি ৫০ মি.লি.

প্রণালী

-   রসুন লেটুস পাতা আদা ভালোভাবে ধুয়ে কেটে নিন।

-   চিকেন ড্রামস্টিকগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

-   একটি পাত্রে  চিকেন ড্রামস্টিক নিয়ে তাতে নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স , রসুন , আদা , হলুদ গুঁড়া , কালো গোলমরিচ গুঁড়া , লেবুর রস এবং সবশেষে সয়া সস দিয়ে মিক্স করে ২ ঘণ্টার জন্য মেরিনেট করুন।

-   একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম হতে দিন। গরম তেলে মেরিনেট করা চিকেন পিসগুলো দিয়ে দু’পাশ ভালো করে ১০ মিনিটের মতো ভেজে নিন।

-   এরপর মধু , পানি দিয়ে চিকেন সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

-   নামিয়ে লেটুস পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26298 2017-06-07 11:50:42 2017-06-07 05:50:42 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a1%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মুখের শেপ অনুযায়ী বেছে নিন হেয়ার কাট http://www.shajgoj.com/2017/06/26303/ Wed, 07 Jun 2017 06:17:43 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26303 সব সময় একঘেয়েমি চুলের কাট দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে যান অনেকেই । তাই নুতুন কিছু চুলের কাট দিতে চান যে কোনো বয়সের মানুষই । তবে অনেকেই আমরা জানি না যে আসলে আমাদের চুলে কোন হেয়ার কাট-টা মানাবে বা আমাদের মুখের শেপের সাথে কোন হেয়ার কাট-টা দেখতে বেশি ভালো লাগবে। চলুন জেনে নিই ,  কীভাবে বাছাই করবেন চুলের কাট-

অভাল শেপ

এই শেপের মুখে সব থেকে বেশি মানায় স্ট্রেট ব্যাঙ্কস কাট । তবে এটা মানায় যাদের চুল সোজা। চুল ছোট রাখতে চাইলে এই শেপে আজকাল বব কাট বেশ মানিয়ে যাচ্ছে ।

চুল কোঁকড়া হলে আর বড় রাখতে চাইলে লং-লেয়ার বা ভি কাট দিতে পারেন।

shutterstock_511488265

স্কোয়ের শেপ

চুল ছোট করতে চাইলে সর্ট-লেয়ার-বব কাট-এর সাথে সাইড ব্যাঙ্কস দিয়ে ফেলুন।

মাঝারী চুলের জন্য সোল্ডার-লেন্থ-লেয়ার কাটের সাথে সাইড ব্যাঙ্কস কাট দিন। এটা আপনার জ-লাইনকে ঢেকে দিতে সাহায্য করবে।

লম্বা চুলের জন্য সামনের দিকে চুল এমনভাবে কাটুন যাতে চুল আপনার চিকবোন পর্যন্ত থাকে। ফ্রন্ট লেয়ার কাট দিন যা বেশি ছোট করে কাটাবেন না অথবা স্লাইট-ব্যাঙ্কস কাট দিন।

shutterstock_511488313

রাউন্ড শেপ

গোল মুখের জন্য লম্বা চুল সব থেকে বেশি মানায়। সামনে বেশি ছোট করে চুল কাটবেন না, এতে মুখ বেশি ছোট আর গোল দেখাবে ।

সাইড-সোয়েপ্ট লং হেয়ার কাট সব থেকে ভালো এই শেপের মুখের জন্য ।

মিডিয়াম লেন্থ চুল রাখতে থুতনির নিচ থেকে লেয়ার কাট করতে পারেন। এতে মুখ লম্বা দেখাবে। কোঁকড়া চুলে এটা বেশি ভালো লাগবে।

shutterstock_511488244

হার্ট-শেপ

এই শেপটি সব থেকে টিপিকাল। এই শেপের মুখে কপাল বড় আর থুতনি সূচালো দেখায়। তাই এমন সব কাট দিন যাতে আপনার চোখের দিকে ফোকাস বেশি থাকে।

ছোট চুলের জন্য পিক্সি কাট দিন। আর মাঝারী চুলের জন্য কলারবোন-লেন্থ বা সোল্ডার-লেন্থকাট দিন।

এই শেপের মুখের সাথে চুল বড় রাখতে সামনের দিকে সোয়াপিং-ব্যাঙ্কস , ইউনিফর্ম-লেয়ার বা ফুল-ব্যাঙ্কস বেশ মানিয়ে যায়। এতে আপনার সূচালো থুতনি বা কপালের বদলে চোখে বেশি আকর্ষণ পরবে ।

কোঁকড়া বা সমান যে কোন চুলের সাথে এই কাটগুলো মানাবে।

না জেনেই মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা অনেক পরিশ্রম, সময় আর টাকা খরচ করি। তাই পুরো কষ্টটাই জলে যায়! আবার নিজেকে দেখতে ভালো না লাগলে মনটাও খারাপ হয়ে যায়। তাই একটু ভেবে চুলের কাটে নিজেকে বদলে নিন!মানায়। সামনে বেশি ছোট করে চুল কাটবেন না, এতে মুখ বেশি ছোট আর গোল দেখাবে । সাইড-সোয়েপ্ট লং হেয়ার কাট সব থেকে ভালো এই শেপের মুখের জন্য । মিডিয়াম লেন্থ চুল রাখতে থুতনির নিচ থেকে লেয়ার কাট করতে পারেন। এতে মুখ লম্বা দেখাবে। কোঁকড়া চুলে এটা বেশি ভালো লাগবে।

shutterstock_305712146

না জেনেই মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে আমরা অনেক পরিশ্রম, সময় আর টাকা খরচ করি। তাই পুরো কষ্টটাই জলে যায়! আবার নিজেকে দেখতে ভালো না লাগলে মনটাও খারাপ হয়ে যায়। তাই একটু ভেবে চুলের কাটে নিজেকে বদলে নিন!

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোর্শেদ

]]>
26303 2017-06-07 12:17:43 2017-06-07 06:17:43 open open %e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%aa-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6874 arrora.arohi@gmil.com 172.68.132.60 2017-07-04 00:31:07 2017-07-03 18:31:07 1 0 0 akismet_history akismet_result akismet_history akismet_as_submitted
ফেস মিস্ট , ফিক্সিং স্প্রে এবং সেটিং স্প্রে আসলে কী ? কোনটি আপনার জন্য উপযোগী? http://www.shajgoj.com/2017/06/26312/ Thu, 08 Jun 2017 04:03:57 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26312 উৎসব হোক কিংবা পার্টি, অফিস হোক কিংবা নিত্যদিনের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, সব জায়গাতেই সবাই নিজেকে সব সময় পরিপাটি রাখতে চায়। তাই ভারী হোক বা হালকা, একটু আধটু মেকআপ করতে তো সব নারীরা ভালোবাসেই। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে তিন মাস বাদে বাকি সারা বছর জুড়েই গরম থাকে সেখানে সারাদিন মেকআপ কি আর ঠিক রাখা যায়? মেকআপ করার এক দুই ঘন্টার মধ্যেই যেন গলে পড়তে শুরু করে। তাই মেকআপটা যাতে সারাদিন ঠিক থাকে তার জন্য চাই মেকআপ সেটিং স্প্রে।

মেকআপ শেষ করে একবার মেকআপ সেটিং স্প্রে লাগিয়ে নিলেই সারাদিনের মেকআপ ঠিক রাখার দুশ্চিন্তা আর করতে হয় না। কিন্তু বাজারে আজকাল অনেক ধরণের মেকআপ সেটিং স্প্রে পাওয়া যায়। কোন ধরণের মেকআপের সাথে বা কোন ধরণের ত্বকে কোন মেকআপ সেটিং স্প্রে ভালো হবে তা না জেনেই অনেকে যেকোন একটা কিনে ফেলেন। ফলে অনেকসময় ব্যয় করে যে মেকআপটা করলেন তা পুরোটাই মাটি হয়ে যায়। আজ আমি আপনাদের কিছু প্রচলিত মেকআপ সেটিং স্প্রে সম্পর্কে ধারণা দেব যাতে পরবর্তীতে মেকআপ সেটিং স্প্রে কিনতে গিয়ে কোন অসুবিধা না হয়।

[picture]

ফেস মিস্ট

ফেস মিস্ট মূলত ওয়াটার বেসড হয়ে থাকে যা আমাদের ত্বককে অনেক বেশী মসৃণ করে তোলে এবং ত্বকে একটা উজ্জ্বল আভা এনে দেয়। এটি লাগানোর পর ত্বকের সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যায় এবং ত্বকে যেন এক আর্দ্রতার পরত দিয়ে যায়। ফলে যারা শুষ্ক ত্বকের অধিকারী তাদের জন্য এটি অনেক বেশী উপযোগী। অনেকসময় ফেস মিস্টে বিভিন্ন ধরণের এসেনসিয়াল অয়েল যেমন, জোজোবা, টি ট্রি, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী । এটি মূলত মেকআপ শুরু করা আগে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায়, যারা অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের অধিকারী তারা মেকআপ করলে ত্বকে একটা পাউডারি ভাব চলে আসে । তারা ইচ্ছে করলে এটি মেকআপের উপরে ব্যবহার করতে পারেন । এতে মেকআপটা খুব ভালোভাবে বসে যাবে । তবে ফেস মিস্টে এমন কোন উপাদান থাকে না যা মেকআপকে সারাদিন ভালো রাখবে । হালকা মেকআপের ক্ষেত্রে এটি কিছুটা কাজ করলেও ভারী মেকআপের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করবে না ।

কিছু ভালো ফেস মিস্ট-এর নাম

MAC Prep+Prime Fix + Setting Spray

The Bodyshop Vitamin E Hydrating Face Mist

e.l.f. Studio Makeup Mist & Set 

img_9494

সেটিং স্প্রে

এটিও মূলত ওয়াটার বেসড হয়ে থাকে । তবে এতে বিভিন্ন বোটানিকাল অয়েলও মিশ্রিত থাকে । ফেস মিস্টের থেকে এর পার্থক্য হলো এটি অবশ্যই মেকআপ শেষ করার পরে ব্যবহার করতে হয় তার আগে নয় । সেটিং স্প্রে মেকআপের সবগুলো উপাদানকে খুব সুন্দরভাবে মিশে যেতে সাহায্য করে । এটি ফাউন্ডেশন , কনসিলার , সেটিং পাউডার , ব্লাস সবকিছুকেই ভালোভাবে মিশিয়ে দেয় যাতে পরবর্তীতে মেকআপ গলে না যায় । অনেক সময় পাউডার বেজড মেকআপ ব্যবহার করলে ত্বকের উপর সহজে বসতে চায় না । ফলে মেকআপ ত্বকে ভেসে থাকে । এদিক থেকে সেটিং স্প্রে আপনার বেশ কাজে লাগবে । তবে এতে খুব বেশী উপাদান নেই যা মেকআপকে সারাদিন ভাল রাখবে । হালকা থেকে মিডিয়াম কাভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারেন । তবে তা ৩-৪ ঘন্টার বেশী কাজ নাও করতে পারে।

কিছু ভালো সেটিং স্প্রে-এর নাম

MAC Fix+

NYX Matte Finish Setting Spray

Wet n Wild Photo Focus Setting Spray

prepprime-fix-setting-spray-ফিক্সিং স্প্রে

ফিক্সিং স্প্রে অ্যালকোহল বেজড হয়ে থাকে । এটি মেকআপকে সারাদিন ঠিক একই রকম ভালো রাখতে সাহায্য করে । ঠিক অনেকটা হেয়ার স্প্রে এর মতো । এটি মেকআপের একদম উপরের লেয়ারটাকে লক করে দেয় ফলে ধুলো ময়লা বা ঘাম মেকআপ নষ্ট করতে পারে না । যেকোন পার্টি মেকআপ বা ব্রাইডাল মেকআপের মতো ভারী মেকআপকে সারাদিন ঠিক রাখে ফিক্সিং স্প্রে । আগের দুইটির থেকে এটি অনেক বেশী সময় মেকআপ ভালো রাখতে সাহায্য করে । তবে এটি মেকআপকে ত্বকে মিশে যেতে সাহায্য করে না । এতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশী থাকায় ত্বককে অনেকটা শুষ্ক করে দিতে পারে । তাছাড়া অনেকসময় অ্যালকোহলের মাত্রা বেশী থাকলে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে । তাই শুধুমাত্র বিশেষ দিনে ভারী মেকআপের ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা ভালো ।

কিছু ভালো ফিক্সিং স্প্রে-এর নাম

Urban Decay All Nighter

Makeup Revolution Pro Fix Oil ControlMakeup Setting Spray

Maybelline Newyork Facestudio Master Fix Setting Spray

urban decay makeup setting sprayআশা করি এখন থেকে আর নিজের উপযোগী মেকআপ সেটিং স্প্রে খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না । তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, ত্বক থেকে অন্তত ১০ সেন্টি মিটার দূর থেকে স্প্রে করবেন এবং অবশ্যই চোখ ও মুখ বন্ধ রাখবেন যাতে ভেতরে চলে না যায়।

লিখেছেন - মুশরাত জাহান দোলা

]]>
26312 2017-06-08 10:03:57 2017-06-08 04:03:57 open open %e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6884 jannat@gmail.com 172.68.144.56 2017-07-11 12:52:01 2017-07-11 06:52:01 0 0 0 akismet_result akismet_as_submitted akismet_history
হট ডগ উইথ নর নাগেটস মিক্স http://www.shajgoj.com/2017/06/26318/ Thu, 08 Jun 2017 04:08:28 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26318 উপকরণ (১) চিকেন কিমা ৫০ গ্রাম (২) টমেটো ৩০ গ্রাম (৩) পেঁয়াজ ১০ গ্রাম (৪) লেটুস পাতা ৫ গ্রাম (৫) অলিভ অয়েল ৩০ (৬) নর নাগেটস মিক্স ১০ গ্রাম (৭) টমেটো সস ২০ গ্রাম (৮) কালো গোলমরিচ গুঁড়া ১ গ্রাম (৯) নর চিকেন সিজলার নুডলস (১০) বান ১০০ গ্রাম (৩ পিস) (১১) পানি ৩৫০ প্রণালী -    টমেটো পেঁয়াজ লেটুস পাতা এবং চিকেন ধুয়ে কেটে নিন। -    ফ্রাই প্যানে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে চিকেন কিমা দিয়ে একে একে নর নাগেটস মিক্স,  টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। -    এবারে এতে পানি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ , টমেটো সস , কালো গোলমরিচ গুঁড়া , নর চিকেন সিজলার নুডলস, টেস্ট মেকার দিয়ে ৪ মিনিট রান্না করুন। -   একে একে সব বান নিয়ে মাঝ বরাবর পুর ভরার মতো ডিপ করে কেটে নিন। -   বানের কাটা অংশে চিকেন নুডলস-এর পুর ভরে লেটুস পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।      ]]> 26318 2017-06-08 10:08:28 2017-06-08 04:08:28 open open %e0%a6%b9%e0%a6%9f-%e0%a6%a1%e0%a6%97-%e0%a6%89%e0%a6%87%e0%a6%a5-%e0%a6%a8%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id দারুণ মজাদার চিকেন চপ http://www.shajgoj.com/2017/06/26338/ Fri, 09 Jun 2017 03:42:32 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26338 ইফাতারে চাই সহজ কিন্তু টেস্টি কিছু ! আর হাতের কাছে যদি থাকে নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স তাহলে তো কথাই নেই। আজকে এমন একটি চিকেন চপের রেসিপি দেয়া হল যা তৈরিতেও সহজ এবং মজাদার।

উপকরণ

(১) পেঁয়াজ ১৫ গ্রাম

(২) আলু ১০০ গ্রাম

(৩) কাঁচা মরিচ ১০ গ্রাম

(৪) ধনেপাতা ১০ গ্রাম

(৫) রসুন ১০ গ্রাম

(৬) অলিভ অয়েল ৪০ মি. লি.

(৭) চিকেন কিমা ১০০ গ্রাম

(৮) নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স ৩০ গ্রাম

(৯) ব্রেড ৩০০ গ্রাম (৮ পিস)

(১০) পানি ৩০০ মি. লি.

প্রণালী

- পেঁয়াজ , আলু , কাঁচা মরিচ , ধনেপাতা এবং রসুন ধুয়ে জুলিয়ান স্টাইলে কেটে নিন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে চিকেন কিমা , নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স , পেঁয়াজ , আলু , রসুন দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।

- এবার কাঁচা মরিচ , ধনেপাতা দিয়ে আরও ২ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন।

- ব্রেডের ব্রাউন সাইড কেটে আলাদা করে নিন। ব্রেডের সাদা অংশটুকু আমাদের লাগবে।

- একটি পাত্রে ৩০ মি লি পানি নিয়ে তাতে একটি পাউরুটির স্লাইস নিয়ে হালকা করে ভিজিয়ে নিন।

- এবার এই পাউরুটির মাঝে রান্না করা চিকেন কিমা নিয়ে চেপে চেপে চপের মতো গোলাকার শেপ দিয়ে নিন। একই প্রক্রিয়ায় বাকিগুলো তৈরি করে নিন।

- বাকি নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স এ চপগুলো গড়িয়ে কোট করে নিন।

- এবার গরম ডুবো তেলে চপগুলো বাদামি কালার করে ভেজে নিন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26338 2017-06-09 09:42:32 2017-06-09 03:42:32 open open %e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a3-%e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
বাঁধাকপির পাকোড়া http://www.shajgoj.com/2017/06/26344/ Fri, 09 Jun 2017 03:42:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26344 ইফতারে চাই ঝটপট মজাদার কিছু! তাহলে আর দেরি কেন তৈরি করে ফেলুন নর নাগেটস মিক্স দিয়ে বাঁধাকপির পাকোড়া ফ্রাই ।

উপকরণ

(১) নর নাগেটস মিক্স - ৮ গ্রাম

(২) বাঁধাকপি - ১০০ গ্রাম

(৩) পানি - ২৪০ মিলি

(৪) ময়দা - ৬০ গ্রাম

(৫) তেল - ৫০০ মিলি

প্রণালী

- প্রথমে বাঁধাকপি ধুয়ে পরিষ্কার করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিন।

- একটি পাত্রে বাঁধাকপি নিয়ে তাতে নর নাগেটস মিক্স (৮ গ্রাম) ঢেলে ভালো করে মাখিয়ে নিন ।

- এরপর সস প্যানে ৫০০ মিলি তেল ঢেলে গরম করুন।

- মেরিনেড করা বাঁধাকপি গরম তেলে ছেড়ে দিন।

- সোনালি রংয়ের হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ক্যাবেজ পাকোড়া ফ্রাই।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26344 2017-06-09 09:42:51 2017-06-09 03:42:51 open open %e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a7%9c%e0%a6%be-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এবারের ঈদেও চিরায়ত কামিজ নাকি কুর্তি ? জেনে নেয়া যাক, ট্রেন্ড কী বলছে? http://www.shajgoj.com/2017/06/26354/ Sat, 10 Jun 2017 06:05:50 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26354 দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গেলো রমজান মাস। হাতে সময় আছে এক মাসেরও কম, তারপরেই অপেক্ষা করছে ঈদ । কতো আয়োজন চারদিকে, কতো প্রস্তুতি ! ঈদের পোশাকে এবার খানিক বৈচিত্র্য না আনলেই নয় যাদের , তাদের কপালে চিন্তারেখার জ্যামিতিক নকশা দাগ কেটে বসেছে প্রায় । চিরায়ত কামিজ , কুর্তি পাল্টে কি এবার অন্য ধাঁচের পোশাক গায়ে জড়ানো যায় ? ট্রেন্ড কী বলছে ? মানাবে তো অন্য রকম পোশাক এই সময়ে ?

[picture]

ট্রেন্ড আর যাই বলুক না বলুক এটা নিশ্চিতভাবেই বলছে যে ভিন্ন ধাঁচের পোশাক আপনি চোখ বুজে পরতে পারেন ঈদে, কেবল তা আপনাকে মানাতে হবে । আজকাল বিভিন্ন ধরণের স্কার্ট খুব পছন্দ করছে মেয়েরা । সময়টাও তো গরমকাল , ঈদ আসছে তার মাঝেই । এক বেলা পোশাক হিসেবে দিব্যি বেছে নিতে পারেন চমৎকার একটা স্কার্ট ।

গ্রীষ্মকালে ফুলেল নকশার কাপড় বেশ জনপ্রিয় ।  ঈদের দিন সকালটা স্বস্তিতে কাটাতে মিষ্টি নরম কোন রঙে ফ্লোরাল প্রিন্টের একটা স্কার্ট আপনার সাজের জন্য উপযুক্ত হতে পারে ।

TB1u0oqHVXXXXcIXVXXXXXXXXXX_!!0-item_pic

কয়েক পরতের এলোমেলো লম্বা স্কার্টটা আপনার হালকা সাজেও আভিজাত্য আনতে পারে । বাজার ঘুরে এমনটা না পেলে দর্জিবাড়িই ভরসা। জমকালো ভাব ফুটিয়ে তুলতে একেক পরতে একেক নকশার কাপড় ব্যবহার করুন রঙ মিলিয়ে। বিপরীত কোন রঙে পাড়ে বর্ডার দিতে পারেন।

T1NpR6FrJdXXXXXXXX_!!0-item_pic

সন্ধ্যা কিংবা রাতের দাওয়াতে পরতে পারেন লেহেঙ্গা ধাঁচের জমকালো স্কার্ট। কাপড়ে ভারী নকশা বেছে নিতে পারেন, পুরোটায় কিংবা কোন এক অংশে।

sirkt 3

দিনের কোন বেলায় আপনার সাজে চলতে পারে এমন একটা স্কার্টও। হালকা রঙ, কাজও হালকা অথচ কাপড়টাই উৎসবের ভাব এনে দিচ্ছে।

skirt 4

এইসব স্কার্টের সাথে ছোট টপ যেমন চলবে, তেমনি মানানসই শেরওয়ানি ধাঁচের বড় কুর্তিও। ইচ্ছে মতো মেলবন্ধনে সাজিয়ে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের কাপড় । হালকা ধাঁচের স্কার্টের সাথে টপ এবং জমকালো স্কার্টে লম্বা ভারী কাজের কুর্তি , এবারের ঈদটা তবে ভিন্নধারায় কাটুক আপনার !

 ছবি- লাইফস্টাইলবিডি ডট কম,  পিন্টারেস্ট  ডট কম

লিখেছেন - মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
26354 2017-06-10 12:05:50 2017-06-10 06:05:50 open open %e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9c publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
 ভেজিটেবল পাকোড়া http://www.shajgoj.com/2017/06/26366/ Sat, 10 Jun 2017 06:28:27 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26366 ইফতারের টেবিলে রাখুন মুচমুচে  ভেজিটেবল পাকোড়া। খুব সহজ এবং ছোটবড় সকলের কাছে  এই স্ন্যাক্সটি প্রিয়। দেখে নিন নর নাগেটস মিক্সের স্বাদে মুচমুচে  ভেজিটেবল পাকোড়ার রেসিপি -

উপকরণ

(১) নর নাগেটস মিক্স ৬ গ্রাম (২) পুঁইশাক ৭৫ গ্রাম (৩) ডিম ৪৫ গ্রাম (৪) ময়দা ৫০ গ্রাম (৫) কাঁচা মরিচ ১৩ গ্রাম (৬) আলু ৩০গ্রাম (৭) পুদিনা পাতা ২ গ্রাম

প্রণালী

- আলু পুঁইশাক এবং পুদিনা পাতা ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন।

- একটি পাত্রে পুঁইশাক, ডিম, ময়দা, কাঁচা মরিচ, আলু, পুদিনা পাতার সাথে নর নাগেটস মিক্স ভালো করে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।

- সস্প্যানে তেল গরম করে তাতে আলু পুঁইশাকের মিক্স দিয়ে ছোট ছোট বলের আকার করে ভেজে নিন।সোনালি রংয়ের হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26366 2017-06-10 12:28:27 2017-06-10 06:28:27 open open %e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%b2-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a7%9c%e0%a6%be-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সাসলিক উইথ নর নাগেটস মিক্স http://www.shajgoj.com/2017/06/26370/ Sat, 10 Jun 2017 07:11:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26370 বাড়িতে ইফতার পার্টি ! আয়োজনের শেষ নেই। আচ্ছা ইফতারের আইটেমগুলোর মধ্যে একটি সাসলিক  আইটেম থাকলে কিন্তু মন্দ হয় না। নান বা পরোটার সাথে দারুণ যায় এই সাসলিক। দেখে নিন মাটন সাসলিক তৈরি করার পুরো প্রণালী ।

উপকরণ

(১) নর নাগেটস মিক্স ৫ গ্রাম (২) মাটন ২৫০ গ্রাম (৩) পেয়াজ ৫ গ্রাম (৪) রসুন ৩০গ্রাম (৫) কাঁচা মরিচ ২০ গ্রাম (৬) পানি ২৫ মি.লি. (৭) তেল ১২৫ মি.লি. (৮) স্টিক ৬ টা

প্রণালী

- মাটন , পেঁয়াজ , রসুন , কাঁচা মরিচ স্লাইস করে নিন।

- একটি পাত্রে মাটন , পেঁয়াজ , রসুন , কাঁচা মরিচের সাথে নর নাগেটস মিক্স এবং পানি (২৫মিলি) ভালো করে মিশিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করুন।

- এবার সাসলিকের স্টিক নিয়ে তাতে একে একে মাটন, পেঁয়াজ , রসুন , কাঁচা মরিচ গেঁথে নিন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে স্টিকগুলো দিয়ে উল্টে-পাল্টে ২০ মিনিট ভাঁজুন।

- প্রি হিটেড ওভেনে সাসলিকগুলো দিয়ে ১০ মিনিট গ্রিল করুন। ব্যস হয়ে গেল সাসলিক উইথ নর নাগেটস মিক্স।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26370 2017-06-10 13:11:19 2017-06-10 07:11:19 open open %e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%89%e0%a6%87%e0%a6%a5-%e0%a6%a8%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
পুরনো ছবি থাকুক যত্নে ! http://www.shajgoj.com/2017/06/26375/ Sun, 11 Jun 2017 04:09:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26375 অতীতের আনন্দের মুহূর্তগুলো আশ্রয় নেয় ছবি হয়ে । সেসব স্মৃতি নিয়ে এগোতে হয় সামনের নতুন সময়ে । তবে আগের দিনে নেগেটিভ থেকে ছবি ওয়াস করে রাখা হতো । কেউ ফ্রেমবন্দি করে রাখতেন আবার কেউ পছন্দের অ্যালবামে জমিয়ে রাখতেন ।

এখন ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখাটা যেমন সহজ সেটা আগে ছিলো না । এখন ছবি ফ্রেমে বা অ্যালবামে রাখার থেকে সবাই ঘরের কম্পিউটার , ল্যাপটপ বা মোবাইলে রাখেন । হয়তো সময় হয়ে উঠে না স্মৃতিগুলোতে  আরেকবার চোখ বুলানোর ।

এই যুগে ব্যস্ততায় হয়তো সেই পুরনো ছবির আবেগ অনুভূতিগুলো আলমারির কোনো এক কোনায় পরে থাকে অযত্নে । হঠাৎ অনেক দিন পর সেসব ছবি অযত্নে দেখলে মন ঠিকই খারাপ হয়ে যায় ।

সুন্দর স্মৃতিগুলো যেন টিকে থাকে সব সময় এটাই সবাই চাই । তবে পুরানো দিনের নেগেটিভ আর ছবিগুলো ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে যেকোনো সময়।

[picture]

আপনার অবসর থেকে অল্প কিছু সময় বের করে পুরানো ছবি সংরক্ষণ করুন সঠিকভাবে।

  • ভালো দেখে ছবির অ্যালবাম কিনুন কিংবা আলাদা একটি বক্সে ছবি সংরক্ষণ করে রাখা সবচেয়ে নিরাপদ।
  • কখনো একটি ছবির সাথে আরেকটি ছবি মুখমুখি করে রাখবেন না । এভাবে বেশি দিন রাখলে ছবি দুটো আর আলাদা করা যায় না, ফলে নষ্ট হয়ে যায় ।
  • নেগেটিভগুলোর জন্য আলাদা জায়গা করে রাখুন । প্লাস্টিকের অ্যালবামে রাখার থেকে আলাদা ছোট বক্সে নেগেটিভ সংরক্ষণ করবেন।
lifestorage-how-to-store-old-photos-3
  • ছবি রাখতে ব্যবহার করতে পারেন কাগজের বক্স ।
  • নাম , তারিখ ইত্যাদি তথ্য ছবিতে লিখে রাখেন অনেকেই । ছবির সাথে ছবির তথ্য সংরক্ষণ করতে ছবির পিছনে পেন্সিল দিয়ে এসব তথ্য লিখুন। কলম ব্যবহার করবেন না । দরকার হলে অ্যালবামে ছবির সাথে আলাদা তথ্য কাগজে লিখে ছবির নিচে রেখে দিন।
  • অনেকের ছবি তোলার সখ থাকে কিন্তু বর্তমানে আর আগের মতো ছবি তোলা হয় না । আগের সেই শখের ছবিগুলোর আলাদাভাবে যত্ন নিন । সেগুলো আলাদা একটি অ্যালবামে করে রেখে দিন ড্রেসিং টেবিল বা ওয়্যারড্রবের উপর।
d50ba67d-2c1c-43aa-b954-3bd9c5dfc6db_image03
  • পুরনো খুব পছন্দের ছবিগুলো বসার ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারেন। চাইলে একটি পছন্দের ছবি বড় করে ওয়াশ করিয়ে রাখতে পারেন চমৎকার একটি ফ্রেমে । ছবিও যত্নে থাকবে আর আপনার দেখতেও ভালো লাগবে ।
  • ছবি কখনও বারান্দা কিংবা বেজমেন্টে সাজিয়ে রাখবেন না ।এসব জায়গা স্যাঁতস্যাঁতে হয় এবং সহজেই ছবির কাগজ নষ্ট হতে শুরু করে ।
  • বদ্ধ জায়গায় ছবি রাখবেন না । এতে ছবি নোংরা হবে আর নষ্ট হবে। শুষ্ক এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা আছে এমনস্থানে ছবি সংরক্ষণ করুন ।
  • ছবি খুব বেশি রোদ আসে এমন জায়গায় রাখাও ঠিক না । তীব্র রোদে ছবি নষ্ট হয়ে ফ্যাঁকাসে হয়ে যায় ।
  • ছবি যদি অনেকদিন একই জায়গায় থাকে তাহলে সেটার জায়গা পরিবর্তন করুন । বক্স বা অ্যালবামে নুতুন করে ছবি সাজিয়ে রাখুন ।
photo-album-631084_640-e1431973256528
  • ছবিতে স্কচটেপ বা আঠা জাতীয় কিছু ব্যবহার করবেন না । এসবের সাথে ছবির কাগজ ছিরে যেতে পারে।
  • ছবি সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল ব্যাকআপ রেখে দিন কয়েক কপি। সেটা হতে পারে আপনার পিসি বা ল্যাপটপ অথবা আপনার মেইলবক্স , ফেসবুকে আলাদা অ্যালবাম করে নিজের মতো প্রাইভেসি দিয়ে রাখুন ।
  • ছবি স্ক্যান করে আপলোড করে নিজের কাছে আলাদা ফোল্ডার করে রেখে দিন।
  • পুরনো দিনের ছবি সাজিয়ে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন সৌখিন মানুষরা। তাই নিজের ঘরে বা বসার ঘরের দেয়ালে কিংবা শকেসে ছবি ফ্রেমে সাজিয়ে রাখুন। ছবির জন্য ভালো ফটোফ্রেম ব্যবহার করুন এবং সেটা এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর পরিষ্কার করুন।

পুরনো স্মৃতি যেন মুছে না যায় একদমই। তাই পুরনো দিনের ছবিগুলোর যত্ন নিন ঠিকমতো।

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম , হোমস্টোরেজসল্যুশন ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ

]]>
26375 2017-06-11 10:09:19 2017-06-11 04:09:19 open open %e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%95-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মজাদার ক্রিস্পি প্রন ফ্রাই http://www.shajgoj.com/2017/06/26377/ Sun, 11 Jun 2017 04:09:44 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26377 উপকরণ   (১) চিংড়ি ২৫০ গ্রাম (২) নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স ১৩ গ্রাম (৩) ময়দা ৭২ গ্রাম (৪) ঠাণ্ডা পানি ৫০০ মি.লি. (৫) তেল – ৫০০ মি.লি. (৬) নরমাল পানি – ২.৫ মি.লি. প্রণালী - প্রথমে চিংড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন। - এরপর একটি পাত্রে ৫ গ্রাম নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্সেরসাথে  ২.৫ মি.লি.পানি দিয়ে মিক্স করে তাতে চিংড়িগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। - এরপর অন্য একটি পাত্রে ৭২ গ্রাম ময়দার সাথে আরও ৮ গ্রাম ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স মিশিয়ে নিন। - আরেকটি পাত্রে ৫০০ মি.লি. ঠাণ্ডা পানি নিয়ে রাখুন। - আগে থেকে মেরিনেট করা চিংড়িগুলো প্রথমে ড্রাই ময়দার মিক্সচারে গড়িয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে ডিপ করুন। এভাবে ঠাণ্ডা পানিতে ১০ সেকেন্ডের মতো ধরে রাখুন। - এবার উঠিয়ে কোটিং প্রসেসটি আরও একবার করুন। হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।]]> 26377 2017-06-11 10:09:44 2017-06-11 04:09:44 open open %e0%a6%ae%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id ৫টি সহজ ধাপে অর্গানিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসে করে নিন ঈদ পূর্ববর্তী ফেসিয়াল http://www.shajgoj.com/2017/06/26389/ Mon, 12 Jun 2017 06:31:34 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26389 সামনেই আসছে ঈদ । সবার ঈদের কেনাকাটাও নিশ্চয়ই শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে । সুন্দর পোশাকের সাথে সুন্দর সাজগোজটা কিন্তু তখনই পারফেক্টলি মানাবে যখন স্কিনে মেকআপটা ঠিকমতো বসবে । আর সমস্যামুক্ত মসৃণ ত্বক ফেসিয়ালের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব । রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে অনেকেরই আর বাসার বাইরে বের হতে মন চায় না । পার্লারে গিয়ে ঈদের আগে ফেসিয়াল করে আসতে পারলে খুবই ভালো হতো , কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই ? বাজেটে সমস্যা ? মন খারাপ করার কিছু নেই । যারা সময় বা বাজেটের কারণে পার্লারে যেতে পারছেন না তাদের জন্য খুব সহজে বাসায় বসে কীভাবে সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান দিয়ে ঈদের আগে ফেসিয়াল করে নিবেন , সেটা নিয়েই আজ লিখতে যাচ্ছি । চলুন তাহলে একে একে দেখে নেয়া যাক সব ধাপগুলো -

স্টেপ ১ : ক্লেনজিং

প্রথমে আপনার চুলগুলো ভালোভাবে বেঁধে নিন যেন মুখ বা গলার কাছে কোন চুল এসে না পড়ে । এবার শুরু করুন প্রথম ধাপ ক্লেনজিং দিয়ে । এর জন্য প্রথমেই আপনাকে সব মেকআপ তুলে ফেলতে হবে যদি ত্বকে কোন মেকআপ , ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ও দেয়া থাকে । আমার ব্যক্তিগত পছন্দের মেকআপ রিমুভার হচ্ছে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল । ছোট ছোট তুলোর বল ব্যবহার করে কোকোনাট অয়েলের সাহায্যে খুব সহজেই সব মেকআপ তুলে ফেলা যায় । তারপর মাইল্ড কোন ফেইসওয়াশ দিয়ে সার্কুলার মোশনে আঙুল ব্যবহার করে ধীরে ধীরে ফেইস ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিন । চাইলে ফেইসওয়াশের পরিবর্তে শুধু বেসন ও ব্যবহার করতে পারেন । হাতে পরিমাণমতো বেসন আর পানি নিয়ে পেস্টের মতো হয়ে আসলে ঐটা দিয়েই সহজে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন কোন সাইড ইফেক্টের ভয় ছাড়াই ।

[picture]

স্টেপ ২ : এক্সফোলিয়েশন

এবার পালা স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করার । ড্রাই স্কিনের জন্য এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব তৈরি করতে আপনি শুধু এক চা চামচ অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েলের সাথে তিন চা চামচ চিনি মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে ধীরে ধীরে স্কিনটাকে স্ক্রাব করতে থাকুন । অয়েলি স্কিনের জন্য ১ টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়ো , ১ টেবিল চামচ টকদই আর ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন । অথবা ১ টেবিল চামচ কফির গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টকদই আর ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন । যেকোন স্কিনের জন্যই চালের গুঁড়ো খুব ভালো এক্সফোলিয়েটর । ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টকদই আর কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিলে সেনসিটিভ স্কিনের জন্য খুব ভালো এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব তৈরি হয়ে যায় ।

DIY-Face-Masks16

স্টেপ ৩ : স্টিমিং অ্যান্ড এক্সট্রাক্টিং

এ ধাপের জন্য আপনি একটি হাড়িতে পানি ফুটিয়ে নিন । এবার ঐ ফুটন্ত পানিতে চাইলে কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল (জোজোবা/ল্যাভেন্ডার) বা গোলাপজল ও দিতে পারেন । এবার চোখ বন্ধ করে একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ঐ হাড়ির পানির দিকে মুখ করে নিচু হয়ে থাকুন এবং স্টিম (বাষ্প) টাকে স্কিনে ভালোভাবে প্রবেশ করার সময় দিন । ১০ মিনিট এভাবে থাকার পর ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যাবে , এবার মুখ সরিয়ে নিন এবং খুব সাবধানতার সাথে ব্ল্যাক হেডস এবং হোয়াইট হেডস রিমুভার স্টিক দিয়ে ওগুলো আস্তে আস্তে পুশ করে বের করে নিন । একনে-তে হাত না দেয়াই ভালো কারণ তাতে ইনফেকশন হয়ে একনেব্রেক আউটের ভয় থাকে ।

স্টেপ ৪ : ফেইস অ্যান্ড আই মাস্ক

ড্রাই স্কিনের জন্য ট্যান রিমুভাল গ্লোয়িং ফেইস মাস্ক বানাতে যা যা লাগবে -

  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ টকদই
  • ২ চা চামচ সুইট আমন্ড অয়েল

সবকিছু ভালোভাবে মিক্স করে চোখের চারপাশ বাদে সারা মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন , তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ।

chamomile

নরমাল এবং অয়েলি স্কিনের জন্য ট্যান রিমুভাল গ্লোয়িং ফেইস মাস্ক বানাতে যা যা লাগবে -

  • ২ চা চামচ মুলতানি মাটি
  • ১টা ডিমের সাদা অংশ
  • ১ টেবিল চামচ টকদই
  • অর্ধেকটা লেবুর রস
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

সবকিছু ভালোভাবে মিক্স করে চোখের চারপাশ বাদে সারা মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ।

আই মাস্কের জন্য -

২টি ব্যবহৃত গ্রীন টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিন ঘণ্টাখানেকের জন্য, এবার বের করে ঐ ফেইস মাস্কের অ্যাপ্লাইয়ের সাথেই দু চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট  অথবা অর্ধেকটা আলু কুড়িয়ে নিন । এবার ঐ কোড়ানো আলুর রস বের করে দুটো ছড়ানো তুলোর বলে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে দু'চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট । তারপর ফেইস মাস্ক ধোয়ার সময় আই মাস্ক ও ধুয়ে নিন ।

স্টেপ ৫ : টোনিং অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং

এবার পালা টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং এর । টোনিং এর জন্য মার্কেটে পাওয়া যায় এমন আপনার পছন্দের যেকোন টোনার ব্যবহার করতে পারেন । অথবা চাইলে ঘরে বানানো টোনার ও ব্যবহার করতে পারেন । ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার আর ২ চা চামচ পানি মেশালেই কিন্তু ঝটপট তৈরি হয়ে যায় সম্পূর্ণ ন্যাচারাল টোনার । তুলোর বলের সাহায্যে আলতো করে পুরো মুখে টোনার লাগিয়ে নিন এবং স্কিনটাকে শুকোতে দিন মিনিট দুয়েক ।

Useful-DIY-All-Natural-Toner3-500x332

এবার আপনার প্রিয় সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন । মার্কেটে অনেক ধরণের ফেসিয়াল সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায় । আপনার স্কিন টাইপ এবং বাজেটকে স্যুট করে এমন যেকোন সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন । Olay, The bodyshop, Neutrogena, Garnier, Lotus Herbal, Clinique, Estee Lauder, Aveeno, Burt's Bee, Cetaphil ইত্যাদি অনেক ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন স্কিন টাইপ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার আছে যেগুলো আপনি সহজেই বেছে নিতে পারেন ।

দেখলেন তো , কত সহজেই মাত্র পাঁচটি ধাপে ঘরে বসে ফেসিয়াল স্পা করে নেয়া যায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ? তাহলে এখন থেকে পার্লারে যাওয়ার সময় বা বাজেট কম থাকলে আর মন খারাপ না করে এই সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করে বাসায় বসেই ফেসিয়াল স্পা করে নিন আর নিজেকে আয়নায় দেখুন নতুন আরো দীপ্তিময় আভায় ।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - ন্যাচারালহোমরেমিডিজফরলাইফ ডট কম , মাদারআর্থলিভিং ডট কম , পিন্টারেস্ট ডট কম লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26389 2017-06-12 12:31:34 2017-06-12 06:31:34 open open %e0%a7%ab%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6835 nadiahossain70007@gmail.com 141.101.99.48 2017-06-12 12:44:55 2017-06-12 06:44:55 1 0 0 akismet_history akismet_history akismet_result
ইফতারে রুটির সাথে বা সেহেরিতে তৈরি করে নিতে পারেন সালাদ উইথ বেকড চিকেন পিসেস ! http://www.shajgoj.com/2017/06/26130/ Fri, 16 Jun 2017 05:19:06 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26130 গতবারের মতো এ বছরও রোযা গরমের সময় হওয়ায় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের একটু সতর্ক হতে হবে বৈকি ! তাই বেশি তেলে ভাজা খাবার না খেয়ে একটু স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আজ আপনাদের জন্য দারুণ একটি চিকেন আইটেম-এর রেসিপি দেয়া হলো যা ইফতারে রুটির সাথে বা সেহেরিতে তৈরি করে নিতে পারেন সালাদ উইথ বেকড চিকেন পিসেস !

উপকরণ

  • মুরগির বুকের / রানের হাড্ডি ছাড়া টুকরা মাংস ২ কাপ
  • মেয়োনিজ ১ টেবল চামচ
  • পাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ
  • গার্লিক পাউডার ১ চা চামচ ( রসুন বাটাও দিতে পারেন )
  • জিঞ্জার পাউডার ১ চা চামচ ( আদা বাটাও দিতে পারেন )
  • অক্স ( oxo স্টক কিউব ১ টি ) ( না পেলে বাদ দিয়ে করতে পারেন )
  • অল্প টেস্টিং সল্ট
  • সয়া সস ২ চা চামচ
  • টমেটো সস ১ চা চামচ
  • লেবুর রস ১ টেবল চামচ
  • স্বাদ অনুযায়ী লবন
[picture]

প্রণালী

- এবার একটা বাটিতে উপরের উপকরণ একসাথে মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ১ ঘন্টা ।

- এক ঘন্টা পর একটা বেকিং ট্রে-তে ফয়েল পেপার বিছিয়ে নিন , এর মধ্যে মেরিনেট করা মাংস টুকরাগুলো ছড়িয়ে দিন , কয়েকটুকরা টমেটো মাঝে মাঝে বিছিয়ে দিন আর এর উপর ১ চা চামচ পরিমান অলিভ অয়েল ছিটিয়ে ট্রে টি ফয়েল পেপার দিয়ে খুব ভালোভাবে মুড়িয়ে দিন যেন ভেতর থেকে ভাপ কোনো ভাবেই বের না হতে পারে ।

- এখন ১৬০ ডিগ্রি তে প্রিহিট করা ওভেনে রান্না করুন ৩৫ মিনিট। - ৩৫ মিনিট পর ট্রে টি ওভেন থেকে বেরকরে নিন । খুব সাবধানে ফয়েল পেপারটি খুলে মাংসগুলোকে ঠান্ডা হতে দিন । - এখন প্লেটে আপনার পছন্দ মতো সালাদ সাজিয়ে তার সাথে রান্না করা মাংস পরিবেশন করুন ! - যারা ওভেন ছাড়া রান্না করতে চান সেক্ষেত্রে মেরিনেট করা মাংসগুলো অল্প পানি , টমেটো টুকরা দিয়ে একটা হাড়িতে ঢাকনা লাগিয়ে খুব ধিমি আঁচে রান্না করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট । হয়ে আসলে মাংস ঠান্ডা করে নিয়ে সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ

]]>
26130 2017-06-16 11:19:06 2017-06-16 05:19:06 open open %e0%a6%87%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b9%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
হারিয়ালি স্পাইসড বেকড চিকেন  http://www.shajgoj.com/2017/06/26211/ Mon, 12 Jun 2017 06:36:16 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26211 ইফতারির আয়োজনে  প্রতিদিন বুট ছোলা খেয়ে  একঘেমি চলে আসতেই পারে। তাই মাঝে মধ্যে এই আয়োজনে একটু ভিন্নতা আনা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাই চাইলে আজকের আয়োজনে  রাখতে পারেন হারিয়ালি স্পাইসড বেকড চিকেন ।

স্টেপ ১
  • ধনিয়া পাতা মিহি কুঁচি ১ কাপ
  • পুদিনা পাতা মিহি কুঁচি ১/৪ কাপ
  • রসুন কোয়া ৫ থেকে ৬ টি
  • আদা কুঁচি  ১ টেবল চামচ
  • কাঁচা মরিচ ২ টি ( ঝাল কম বেশি করতে পারবেন )
  • জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
  • দারচিনি গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
  • গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ
  • লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
  • লেবুর রস ২ টেবল চামচ
  • ঘন টক দই ২ টেবল চামচ
  • লবন স্বাদমতো
এবার উপরের সব উপকরণগুলো ব্লেন্ডারে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন । 
[picture] স্টেপ ২ মেরিনেশন এ লাগছে
  • মুরগি হাড় ছাড়া ছোট টুকরা ৩০০ গ্রাম / হাড্ডি সহ মুরগির মাংসের পিস ৪ টি ( ৩০০ গ্রাম পরিমান , মাংসের পিসগুলো কেচে নিতে হবে না হলে মশলা ঢুকবে না )
  • গ্রীন পেস্ট
এখন মুরগির পিসগুলোর সাথে পিষে রাখা পেস্ট ভালোভাবে মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখুন কমপক্ষে ২ ঘন্টা । স্টেপ ৩ - মেরিনেট করা মাংসের পিসগুলো কাবাব এর কাঠিতে গেথে নিয়ে চুলায় ৪ টেবল চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ভেজে তুলতে পারেন । - হাড়সহ পিসগুলোও ঠিক একইভাবে ভেজে নিতে পারেন । - যদি হেলদি অপসন চান তাহলে ওভেনে বেক করতে পারেন সেক্ষেত্রে মেরিনেট করা মুরগির মাংসের হাড্ডি ছাড়া পিসগুলো একইভাবে কাবাব এর কাঠিতে গেথে নিয়ে একটা ওভেনপ্রুফ ট্রে-তে ফয়েল বিছিয়ে নিয়ে এর উপর কাবাবগুলো বিছিয়ে নিন , তার উপর ছিটিয়ে দিন এক টেবল চামচ পরিমাণ তেল । - এবার প্রিহিট করা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে রান্না করুন ৩৫ মিনিট । - যদি হাড়সহ মাংস দিয়ে করেন তবে ঠিক একইভাবেই করতে পারবেন - হয়ে আসলে নান কিংবা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন ।
 
]]>
26211 2017-06-12 12:36:16 2017-06-12 06:36:16 open open %e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%a1-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%a1-%e0%a6%9a%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিকেন বার্গার http://www.shajgoj.com/2017/06/26398/ Tue, 13 Jun 2017 07:10:10 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26398 বার্গারপ্রেমীরা রেডি তো ! বাড়ির ছোট সদস্যদের প্রায়ই বায়না থাকে বার্গার খাবার। সময় আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে না করতে বাধ্য হতে হয় । ঝামেলা মনে হলেও আজকের রেসিপি ফলো করে সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন । তাহলে দেখে নিন -

উপকরণ

(১) নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স ১৮ গ্রাম

(২) স্কিন-সহ চিকেন ২৫০ গ্রাম

(৩) ময়দা ২৫০ গ্রাম

(৪) তেল ২০০০ মি.লি.

(৫) ঠাণ্ডা পানি ৫০০ মি.লি.

(৬) বার্গার বান ১০০ গ্রাম (৩ পিস)

(৭) গ্রেটেড মোজেরেলা চিজ ২০ গ্রাম

(৮) লেটুস পাতা ৫০ গ্রাম

প্রণালী

- চিকেন ধুয়ে কেটে নিন ।

- একটি পাত্রে চিকেন এর সাথে ৯ গ্রাম নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স ভালো করে মিশিয়ে ২ ঘণ্টার জন্য মেরিনেট করে রাখুন ।

- আরেকটি পাত্রে ৯ গ্রাম নর ক্রিস্পি ফ্রাইড চিকেন মিক্স, ময়দা মিশিয়ে নিন। এতে মেরিনেট করা চিকেন দিয়ে কোট করে নিন।

- তেল ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম করে নিন। কোটেড চিকেন ঠাণ্ডা পানিতে ১০ সেকেন্ড ডিপ করুন ।

- আবার ড্রাই  ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিন।

- প্রিহিটেড ডুবো তেলে এবার চিকেনগুলো দিয়ে ডিপ ফ্রাই করুন সোনালি রং ধারণ করা পর্যন্ত । - বার্গার বানের অর্ধেকটা নিয়ে তাতে চিজ ছড়িয়ে দিন ।এতে ভেজে রাখা ফ্রাইড চিকেন দিয়ে তাতে লেটুস পাতা দিয়ে দিন। উপরে বানের বাকি অংশটুকু দিয়ে দিন।

- ওভেনে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৩ মিনিট বার্গার বেক করে নিন।

- ব্যস , হয়ে গেল মজাদার চিকেন বার্গার ।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন।

]]>
26398 2017-06-13 13:10:10 2017-06-13 07:10:10 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
আপনার স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার রেজিমেনে যোগ করুন গ্রিন টি http://www.shajgoj.com/2017/06/26403/ Tue, 13 Jun 2017 08:12:28 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26403 গ্রিন টি এখন আমাদের প্রায় সবার কাছেই একটি সুপরিচিত নাম। চা গাছের সতেজ সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেঁকে গ্রিন টি প্রস্তুত করা হয়। এর রং হালকা হলদে সবুজ। এই চায়ে আছে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামের দুটো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা চা তৈরির পরও অক্ষুন্ন থাকে।

গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় । নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, হজমে সহায়তা করতে এবং অকালবার্ধক্যকে ও দূরে রাখে গ্রিন টি।

এ তো গেল স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা। এবার আসি ত্বক এবং চুলের যত্নে গ্রিন টি এর অনন্য ব্যবহারের প্রসঙ্গে । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আপনার স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার রেজিমেনে কীভাবে গ্রিন টি যোগ করতে পারেন।

(১) স্কিন ব্রাইটেনিং মাস্ক

দুটো ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ কেটে তার ভিতর থেকে গ্রিন টি বের করে নিন। এবার তার সাথে দেড় চা চামচ মধু আর দেড় চা চামচ লেবুর রস মিশান। এই মাস্কটি পুরো মুখে, গলায় লাগিয়ে নিন এবং ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ব্রাইট দেখাবে।

[picture]

(২) চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতে

দুটো ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিন ঘণ্টাখানেকের জন্য। বের করে দু'চোখ বন্ধ করে দু'চোখের উপর রেখে রিল্যাক্সড মুডে শুয়ে থাকুন মিনিট বিশেক। এবার টি ব্যাগ সরিয়ে চোখেমুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। গ্রিনটিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস এবং ট্যানিন, যা ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুইবার এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।

(৩) অ্যান্টি এইজিং মাস্ক

৩ টেবিল চামচ টক দই, ১ চা চামচ গ্রিন টি গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখ গলায় লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি স্কিন বেশি ড্রাই হয় তাহলে এই মাস্কের সাথে ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল যোগ করতে পারেন। গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল স্কিনের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালস-কে নিউট্রিলাইজ করে এবং স্কিন এইজিং প্রসেসের গতিকে কমিয়ে দেয়। ফলে এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কুঁচকানো ভাব কমবে, বলিরেখা কমবে এবং স্কিন টাইটেন করবে।

anti-acne-mask_171

(৪) ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কমাতে

এক কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে একটি গ্রিন টি ব্যাগের মুখ কেটে গ্রিন টি টা ঢেলে পানিটা চুলায় রেখে শুকিয়ে নিন, এক কাপ পানি যখন ১/৪ কাপ হয়ে আসবে তখন চুলা নিভিয়ে দিন এবং ঐ চাটাকে ঠাণ্ডা হতে দিন। হালকা গরম অবস্থায় তাতে তুলোর বল ভিজিয়ে তার সাহায্যে ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন এবং ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টি এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটোরি উপাদান ব্রণ সারিয়ে তোলে এবং ব্যথা কমায়। এবং নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ ও আস্তে আস্তে কমে যায়।

(৫) টোনার হিসেবে

সেনসিটিভ ত্বকের জন্য খুব ভালো টোনার এটা। ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে ২টা গ্রিন টি ব্যাগ রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে তাতে কয়েক ফোঁটা তিলের তেল মিশিয়ে একটা পরিষ্কার খালি স্প্রে বোতলে রেখে দিন। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে মুখের কাছ থেকে ৭-৮ ইঞ্চি দূরত্বে রেখে সরাসরি স্প্রে করতে পারেন অথবা পরিষ্কার তুলোর বলের সাহায্যে মুখে ও লাগাতে পারেন।

(৬) রোদে পোড়া ত্বক সারাতে

গ্রিন টিতে উপস্থিত ট্যানিন, পলিফেলন এবং থিওব্রোমাইন উপাদানগুলো সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিতে ত্বকের যে ড্যামেজ হয় সেটা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। এক কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে ১ টি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে ঠাণ্ডা হবার জন্য রেখে দিন।এরপর টি ব্যাগ তুলে সেটা আইসকিউব ট্রেতে করে ডীপ ফ্রিজে রেখে দিন। এবার বাইরে রোদ থেকে ফিরলে একটা গ্রিন টি আইসকিউব বের করে মুখে ঘষে নিন।সানট্যান দূর হবে এবং ত্বকের জ্বলুনি ও দূর হবে।

(৭) স্কিন এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব তৈরিতে

২টা ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগের মুখ কেটে গ্রিন টি বের করে নিন। এবার তাতে দেড় টেবিল চামচ চিনি / ব্রাউন সুগার , এক চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আর এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন। এটা আপনি ফেইস এবং ফুল বডি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে, স্কিনের ডীপ ক্নিনজিং হবে এবং স্কিন গ্লো করবে।

UAUBZhaGN

(৮) চুল পড়া কমাতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে

৩ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে ৪টা গ্রিন টি ব্যাগ দিয়ে ঢেকে ঠাণ্ডা হবার জন্য রেখে দিন। এবার ঠাণ্ডা হলে চা টা একটা পরিষ্কার খালি স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন। গোসলের আগে চুলের আগা-গোড়াতে ঐ চা টা স্প্রে করে নিন এবং আধা ঘণ্টা পর স্বাভাবিক নিয়মে চুল ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে গ্রিন টি চুল পড়া কমাবে, চুলের ড্যামেজড ভাব দূর করবে এবং চুলকে শাইনি করে তুলবে।

তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক কাপ করে গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এবং সেই সাথে স্কিন আর হেয়ার কেয়ার রুটিনে ও গ্রিন টি যোগ করুন আর চুল ও ত্বককে করে তুলুন হেলদি, শাইনি এবং গ্লোয়িং।

Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - হ্যালোম্যাগাজিন ডট কম , ভাইরালস্পট ডট কম

লিখেছেন -ফারহানা প্রীতি

]]>
26403 2017-06-13 14:12:28 2017-06-13 08:12:28 open open %e0%a6%86%e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a7%9f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিলি চিকেন নুডলস http://www.shajgoj.com/2017/06/26410/ Tue, 13 Jun 2017 08:59:39 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26410 আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে দারুণ মজাদার চিলি চিকেন নুডলস । ইফতার আয়োজনে বা ইফতারের পরেও হালকা স্ন্যাক্স হিসেবে কিন্তু মন্দ নয়। দেখে নিন -

উপকরণ

(১) নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস ২ প্যাকেট

(২) নর নাগেটস মিক্স ১১.২৫গ্রাম

(৩) চিকেন ১৫০ গ্রাম

(৪) রসুন ১৫ গ্রাম

(৫) লাল ক্যাপসিকাম ৩০ গ্রাম

(৬) সবুজ ক্যাপসিকাম ৫০ গ্রাম

(৭) মাশরুম ৫০ গ্রাম

(৮) লবন ১ গ্রাম

(৯) তেল ৫ মি.লি.

(১০) কালো গোলমরিচ গুঁড়া ০.৫ গ্রাম

(১১) সয়া সস ৫ মি.লি.

(১২) রেড চিলি ফ্লেকস ১.৫ গ্রাম

(১৩) চিলি সস ২০ মি.লি.

(১৪) টাবাস্কো সস ৫ মি.লি.

(১৫) কাঁচা মরিচ ১২ গ্রাম

(১৬) পানি ১৬০০ মি.লি.

(১৭) টমেটো ১ টা

প্রণালী

- মাশরুম , ক্যাপসিকাম , চিকেন এবং রসুন ধুয়ে কেটে নিন ।

- চিকেন এর সাথে নর নাগেটস মিক্স ভালো করে মেখে ৩০ মিনিট মেরিনেট করুন।

- পানি গরম করে তাতে নুডলস (টেস্ট মেকার ছাড়া) সিদ্ধ করুন ৩ মিনিট। বাড়তি পানি ফেলে দিয়ে নুডলস ঝেড়ে নিন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে চিকেন মাশরুম রসুন টাবাস্কো লবন কালো গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

- এরপর পানি , চিলি সস রেড চিলি ফ্লেকস টেস্ট মেকার দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।

- সবুজ এবং লাল ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ এবং নুডলস দিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না করুন ।

- টমেটো দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন ।

]]>
26410 2017-06-13 14:59:39 2017-06-13 08:59:39 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%a1%e0%a6%b2%e0%a6%b8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ক্রিমি চিকেন পাস্তা http://www.shajgoj.com/2017/06/26420/ Thu, 15 Jun 2017 03:24:03 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26420 মজা করে ক্রিমি চিকেন পাস্তা রান্না করতে অনেকেই হিমশিম খান । হাতের কাছে যদি থাকে  নর-এর নুডলস তাহলে কিন্তু ঝামেলা অনেকটা কমে যাবে আর স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। দেখে নিন নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস দিয়ে কীভাবে ক্রিমি চিকেন পাস্তা তৈরি করবেন।

উপকরণ

(১) নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস ২ প্যাকেট

(২) চিকেন ৮০ গ্রাম

(৩) সয়া সস ১৫ মি.লি.

(৪) সুগার ১০ গ্রাম

(৫) সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ গ্রাম

(৬) মেয়োনিজ ৪০ মি.লি.

(৭) লেটুস পাতা ১৫ গ্রাম

(৮) বাটার ১০ গ্রাম

(৯) গরম পানি  ১০০০ মি.লি.

প্রণালী

- ১০০০ মি.লি. ফুটন্ত পানিতে নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস দিয়ে ৩ মিনিট রান্না করুন। এরপর বাড়তি পানিটুকু ফেলে দিন।

- চিকেন ধুয়ে জুলিয়ান শেপে কেটে নিন।

- ফ্রাইপ্যানে বাটার গরম করে তাতে চিকেন দিয়ে ৪ মিনিট ভাজুন।

- এতে সিদ্ধ করা নুডলস , সয়া সস , সুগার দিয়ে ৪ মিনিট রান্না করুন।

- শেষে সাদা গোলমরিচের গুঁড়া , টেস্ট মেকার  এবং মেয়োনিজ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন।

- চাইলে উপরে কিছু স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে নিন।

- সবশেষে লেটুস পাতা এবং টমেটো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন ।

]]>
26420 2017-06-15 09:24:03 2017-06-15 03:24:03 open open %e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ক্রিম অব কর্ণ অ্যান্ড মাশরুম স্যুপ http://www.shajgoj.com/2017/06/26426/ Wed, 14 Jun 2017 06:08:13 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26426 সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে গরম গরম স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী । কিন্তু চাই ইয়ামি একটি স্যুপ রেসিপি ! স্বাস্থ্যের কথা রেখে খেতে মজাদার এমন একটি রেসিপি আজকে শেয়ার করা হল।

উপকরণ

(১) নর ক্লাসিক চিকেন কর্ণ স্যুপ ২ প্যাকেট

(২) ময়দা ৫০

(৩) ফ্রেশ ক্রিম (ডানো) ১৫ গ্রাম

(৪) লবন ২ গ্রাম

(৫) সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ২ গ্রাম

(৬) বাটার ৩০ গ্রাম

(৭) পানি ৫০০ মি.লি.

(৮) গরম পানি ৫০০ মি.লি.

(৯) গুঁড়া দুধ ৫০ গ্রাম

(১০) স্ট্রো মাশরুম ৫০ গ্রাম

প্রণালী

- মাশরুম গরম পানি এবং লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে কেটে নিন ।

- গরম পানিতে গুঁড়া দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন।

- হালকা আঁচে ফ্রাইপ্যানে বাটার গলিয়ে নিন। এতে ময়দা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৬ থেকে ৮ মিনিট হালকা আঁচে রান্না করুন।

- তারপর এতে দুধ ও মাশরুম দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ নাসব উপকরণ ভালোভাবে মিক্স হয়ে যাচ্ছে।

- এবার ওই মিশ্রণে লবন , সাদা গোলমরিচের গুঁড়া , পানি  , ফ্রেশ ক্রিম এবং নর চিকেন কর্ণ স্যুপ দিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রান্না করুন ।

- উপরে অল্প ক্রিম দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন ।

]]>
26426 2017-06-14 12:08:13 2017-06-14 06:08:13 open open %e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%ac-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b6 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সানট্যান দূর করার ৬টি ঘরোয়া পদ্ধতি http://www.shajgoj.com/2017/06/26429/ Wed, 14 Jun 2017 07:01:35 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26429 গ্রীষ্মের তীব্র রোদে ঘর থেকে বাইরে পা ফেলাই দায়। দরজা খুলে এক পা বের হলেই ত্বক যেন পুড়ে যায়।তাই বলে কি বাইরে যাওয়া বন্ধ করা সম্ভব ? ফলাফল ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া।তবে সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও আছে । আজ সানট্যান সমস্যার কিছু ঘরোয়া সমাধান নিয়েই আলোচনা করব।

টকদই ও টমেটো

টকদই এবং টমেটো দুটোতেই প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান আছে। এজন্য সানট্যান দূর করতে এদের জুড়ি নেই। এক টেবিল চামচ টকদই আর এক টেবিল চামচ টমেটো বাটা একসাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। একটানা সাতদিন করলেই দেখবেন ট্যান তো দূর হয়েছেই, সেই সাথে ত্বকের রংও কিছুটা হালকা হয়ে গেছে।

[picture]

বেসন, লেবুর রস ও টকদই

বেসন প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে। আর লেবুর রস এবং টকদই ব্লিচিং এর মাধ্যমে ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে সানট্যান দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা সাফ হয়ে যাবে। এর জন্য এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ টকদই ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ট্যানড ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে । ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করতে হবে ।

মসুর ডাল বাটা , টকদই ও হলুদ

এই তিনটি উপাদানই ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এদের নিয়মিত ব্যবহারে অনেক কড়া ট্যানও আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটা নিন। এর সাথে মিশান এক চামচ টকদই ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো । এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এরপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। হলুদ গুঁড়োটা যেন খাটি হয়। বাজারের যেনতেন নকল হলুদ গুঁড়ো ব্যবহারে উল্টো ফল হতে পারে।

Yogurt-Lemon-and-Tomato-Juice

চন্দন , বেসন ও লেবুর রস

এক চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো , এক চা চামচ বেসন আর এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ট্যান আস্তে আস্তে কমে যাবে।

অ্যালোভেলা জেল ও লেবুর রস

এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে হাফ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। প্যাকটি হালকা শুকিয়ে আসলে হাত দিয়ে আলতোভাবে মিনিট দুই ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। এই প্যাকটি দেবার এক ঘন্টার মধ্যে রোদে বের হবেন না বা চুলায় রান্না করবেন না। তাহলে ত্বক আরো পুড়ে যাবে।

step-1-mix-aloe-vera-gel-and-lemon-juice-for-skin-care-with-aloe-vera-skin-lightening-mask

আলুর রস ও লেবুর রস

সমপরিমাণ আলু ও লেবুর রস মিশিয়ে ট্যানড ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই প্যাকটি লাগিয়ে দেখুন। ট্যান কমবেই।

ছবি - ফ্যাশনলেডি ডট ইন , হ্যালোগ্লো ডট কো, হেলদি গাইড ডট কম

লিখেছেন - সাদিয়া রিফাত

]]>
26429 2017-06-14 13:01:35 2017-06-14 07:01:35 open open %e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a7%82%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a7%ac%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%8b publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
হট অ্যান্ড স্পাইসি শ্রিম্প নুডলস http://www.shajgoj.com/2017/06/26438/ Wed, 14 Jun 2017 07:14:57 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26438 নুডলস অল্প সময়ে ঝটপট রান্না করা যায় এবং বলেই কিন্তু অনেকে বেশ পছন্দ । ইফতারের টেবিলে বা তারপরে পেটে হালকা ক্ষুধা চাড়া দিয়ে উঠলেই  কিন্তু তৈরি করে ফেলতে পারেন গরম গরম স্পাইসি শ্রিম্প নুডলস ।

উপকরণ

(১) নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস ২ প্যাকেট

(২) রসুন ২০ গ্রাম

(৩) আদা ৭ গ্রাম

(৪) স্প্রিং অনিয়ন ১০ গ্রাম

(৫) চিংড়ি মাছ ১২৫ গ্রাম

(৬) লেবুর রস ২০ গ্রাম

(৭) সুইট চিলি সস ২৫ গ্রাম

(৮) রেড চিলি ফ্লেকস ১০ গ্রাম

(৯) তেল ২৫ মি.লি.

(১০) লবন ১ গ্রাম

(১১) পানি ১৬০০ মি.লি.

প্রণালী

- ১৫০০ মিলি গরম পানিতে নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস দিয়ে দিন।৩ মিনিট রান্না করুন। এক্সট্রা পানি ফেলে নুডলস ঝরিয়ে রাখুন।

- রসুন , আদা , স্প্রিং অনিয়ন এবং চিংড়ি মাছ ধুয়ে কেটে নিন।

- ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে চিংড়ি এবং লবন দিয়ে ১ মিনিট ভাজুন।

- এরপর এতে রসুন , আদা , রেড চিলি ফ্লেকস, টেস্ট মেকার দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।

-  এবার এতে লেবুর রস, পানি (১০০ গ্রাম) , সস স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।

- নুডলস এর উপর চিংড়ি গ্রেভি ঢেলে পরিবেশন করুন।

]]>
26438 2017-06-14 13:14:57 2017-06-14 07:14:57 open open %e0%a6%b9%e0%a6%9f-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সৌন্দর্যচর্চায় টমেটোর জাদুকরী গুণ http://www.shajgoj.com/2017/06/26443/ Thu, 15 Jun 2017 03:23:17 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26443 টমেটো মূলত শীতকালীন রঙিন সবজি হলেও আমাদের দেশে এখন সারাবছরই টুকটুকে লাল সুন্দর এবং স্বাদে গুণে অতুলনীয় এ সবজিটি পাওয়া যায়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও সবজি হিসেবেই সারা বিশ্বে টমেটো পরিচিত। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড এবং প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এতে আছে পটাসিয়াম, মাসল ক্র্যাম্পের জন্য উপকারী এই পটাসিয়াম। টমেটোতে এই উপাদান থাকায় যাদের রক্তে হোমোসিস্টেনের মাত্রা (এক ধরনের অ্যাসিড) বেশি তাদের জন্য টমেটো উপকারী। তাছাড়া বাতের ব্যথা নিরাময়ে, হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে, চোখের জ্যোতি বাড়াতে, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে বাড়তি ওজন ঝড়াতে ও সহায়ক এই সুপারফুড টমেটো।

[picture]

সুস্বাস্থ্য রক্ষায় টমেটোর জুড়ি নেই, আর সৌন্দর্যচর্চায় ও কিন্তু অনন্য লাল টুকটুকে এ দারুণ সবজিটি। স্কিনকেয়ার হোক, বা হেয়ারকেয়ার, এক টুকরো টমেটো কিন্তু চট করে অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয় একদম প্রাকৃতিকভাবে কোন প্রকার সাইড ইফেক্টস ছাড়াই। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, আপনার স্কিনকেয়ার এবং হেয়ারকেয়ার রুটিনে কীভাবে টমেটো ব্যবহার করতে পারেন -

 (১) রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক ও উজ্জ্বল করতে 

একটি টমেটো মাঝখান থেকে কেটে দু টুকরো করুন। এবার টমেটোর অর্ধেক করা টুকরোটির উপরে অল্প লেবুর রস চিপে সরাসরি ত্বকের রোদে পোড়া অংশে আস্তে আস্তে সার্কুলার মোশনে লাগাতে থাকেন। এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন রসটা স্কিনে ভালোভাবে বসে অ্যাবসর্ব হওয়ার জন্য। এবার পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টমেটো এবং লেবুর ন্যাচারাল ব্লিচিং প্রোপার্টি রোদে পোড়া ত্বককে ঠিক করবে এবং প্রাকৃতিকভাবেই এর উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

(২) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফেইসপ্যাক 

১ টেবিলচামচ টকদই, ৩ চা চামচ টমেটোর রস, দুই চিমটি হলুদ মিশিয়ে ফেইসপ্যাক বানিয়ে নিন। এবার এটি মুখে, গলায় ভালোভাবে মেখে আধা ঘণ্টা পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কোনরকম সাইড ইফেক্টস ছাড়াই এই ফেইসপ্যাকটি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে।

(৩) টোনার হিসেবে 

৩ টেবিল চামচ টমেটোর রস আর ৩ টেবিল চামচ শসার রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার তুলোর বলের সাহায্যে মুখে, গলায় লাগিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে আপনার স্কিনে কাজ করবে। একনে প্রোন সেনসিটিভ ত্বকের জন্য খুবই ভালো সমাধান।

Mint-and-Cucumber-Face-Pack

(৪) অ্যান্টি এইজিং রিমেডি 

বরফ জমানোর ট্রে-তে (ice cube tray) সমপরিমাণ টমেটোর রস, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে (১:১:১) ঢেলে রাখুন এবং ডীপ ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে একটি করে আইস কিউব বের করে মুখে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের বলিরেখা ধীরে ধীরে কমতে শুরু হবে এবং ত্বকের কোলাজেন তৈরি হবে।

(৫) ব্রণের দাগ দূর করতে 

৩ চা চামচ মুলতানি মাটি, অর্ধেক টি টমেটোর রস, ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল (ফ্রেশ পাতা থেকে বের করা, অথবা স্কিন ক্যাফে অ্যালোভেরা জেল), সামান্য গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে স্কিনে লাগিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের জেদি দাগগুলো ও আস্তে আস্তে দূর হবে।

(৬) ত্বকের রোমকূপগুলো সংকুচিত করতে (Shrinking the Skin Pores)

আমাদের অনেকেরই ত্বকের রোমকূপ বড় হওয়ার সমস্যাটা আছে। এ সমস্যার সমাধানে ও দরকার টমেটো। ১ টেবিল চামচ টমেটোর রসে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তুলোর বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা পর প্রথমে কুসুম গরম পানি, তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। পোরগুলো সংকুচিত হয়ে আসবে।

 (৭) খুশকিমুক্ত উজ্জ্বল ঝলমলে চুল পেতে 

একটি টমেটো ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে মাথার স্কাল্পসহ ভালোভাবে ঐ টমেটো পেস্ট লাগিয়ে নিন। ৫-৭ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। টমেটোর অ্যান্টি ফাংগাল প্রোপার্টি  মাথা থেকে খুশকি তাড়াবে এবং চুলকে করে তুলবে ঝলমলে উজ্জ্বল।

তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আর দেরি না করে এখনই প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একটি করে টমেটো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সৌন্দর্যচর্চায় ত্বক আর চুলের যত্নে এই অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদানটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।

ছবি - গার্লসকসমো ডট কম , পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26443 2017-06-15 09:23:17 2017-06-15 03:23:17 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%9f%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চুলের যত্ন করতে গিয়ে আসলে চুলের ক্ষতি করে বসছি না তো? http://www.shajgoj.com/2017/06/26448/ Fri, 16 Jun 2017 05:16:56 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26448 আমার মা একটা কথা বলে,

" মুখের সৌন্দর্য দাঁতে, আর মাথার সৌন্দর্য চুলে।"

কথাটা কিন্তু ভুল না। সুন্দর চুল যে কোনো নারীর সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। তাই তো সুন্দর চুল পেতে কতো যত্ন এবং কতো কিছুর পেছনে দৌড়াতে থাকি আমরা। কিন্তু চুলের ভালো করতে গিয়ে, কিছু ভুল করে ফেলার ফলে আবার চুলের ক্ষতি করে ফেলি !

(১) চুল আঁচড়ানো,  একটা খুবই কমন ব্যাপার।  চুল সুন্দর, জটহীন রাখতে চুল আঁচড়ানোবা কম্ব করাকে আমরা সবথেকে গুরুত্ব দেই। অনেকেই বলে থাকেন, চুল আঁচড়াতে গেলেই খুব চুল পড়ে। এর কারণ আছে। আপনি নিশ্চয়ই চুল গোড়ার দিক থেকে আঁচড়ানো শুরু করেন। যার ফলে, উপর থেকে জটাগুলো চুলের আগা পর্যন্ত যেতে থাকে। আর শেষমেশ,  নিচের সব জটাগুলো একসাথে ছাড়িয়ে নিতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। চুল ভাঙতে এবং ছিড়তে থাকে। এজন্যে চুল সব সময় আগার দিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে কম্ব করে করে উপরের দিকে উঠতে হবে। এতে খুব বেশী জটা জমা হবে না এবং চুলও ভাঙবে/ছিড়বে কম। একবার ট্রাই করেই দেখুন না!!

[picture]

(২) হেয়ার স্টাইল করতে গেলে হিট, আয়রন, কার্লার ইত্যাদির দিকে চোখ যায় আমাদের।  এগুলো দিয়ে স্টাইল করা অনেক সহজ এবং দেখতেও তো সুন্দর লাগে। কিন্তু এর ফলে যে চুলের কতো ক্ষতি করছেন, সে খেয়াল কি আছে?

যতসম্ভব এই সকল প্রোডাক্ট থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। নেট সার্চ করলে হিটলেস অনেকে হেয়ার স্টাইলের টিউটোরিয়াল পাবেন। সেগুলো ট্রাই করবেন। আর যদি এসব প্রোডাক্ট ব্যবহারই করতে হয়, তবে, হিটওয়ালা প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে পুরো চুলে হিট প্রোটেক্টর স্প্রে লাগিয়ে নিতে কিন্তু ভুলবেন না।

(৩) চুলের যত্নের জন্যে যে অপশনটি আমাদের সবার চোখে পড়ে, তা হলো চুলে তেল ব্যবহার করা।  না না!!  তেল ব্যবহার করতে নিষেধ করবো না আমি। চুলে তো তেল ব্যবহার করবেনই। তবে, সেটা নিয়ম মাফিক।  খুব বেশী তেল ব্যবহার করা কিন্তু ঠিক নয়। সপ্তাহে ১-২ বারের বেশী তেল না ব্যবহার করাই ভালো। কারন, অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলেই কিন্তু আপনার চুল ঘন হয়ে যাবে না বরং তাতে খুশকি বাড়ার চান্স থাকে। এছাড়াও তেল ব্যবহারের পর যদি ভালোভাবে শ্যাম্পু না করা হয়, তবে কিন্তু চুল পড়তে পারে। তাই একটু বিশেষ খেয়াল কিন্তু রাখতেই হবে।

toweldrying-hair

(৪) অনেককেই দেখা যায়, চুলের গ্রোথের জন্যে হেয়ার গ্রোথ পিল খেতে। কিন্তু এটা শুধুমাত্র চুল লম্বাই করবে। তবে, এসব পিল খাওয়া স্বাস্থ্যকর খুব একটা নয়। তাই রিস্ক না নেওয়াই ভালো।

(৫) চুল ধোয়ার পর টাওয়ালটা দিয়ে জোরে জোরে চুল ঘষে পানিটা শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। কিঠিক বলেছি তো !অনেকেই করেন এই কাজটা তাই না?

কিন্তু এতে যে চুলের আগা ফেটে যাচ্ছে, তার খবর কি রাখেন?

তাই চুল সবসময় টাওয়াল দিয়ে আস্তে চেপে চেপে চুলের পানিটুকু শুষে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। জানি, এতে চুল শুকাতে সময় বেশী লাগবে। কিন্তু চুলের ভালোর জন্যে এটুকু তো করতেই হবে।

(৬) রেডিমেইড হেয়ার মাস্ক, সিরাম ইত্যাদি তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। কিন্তু এগুলো কিছু সময়ের জন্যে চুল সুন্দর করলেও এতে  থাকা ক্ষতিকর কেমিক্যাল কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে পারে। তাই চুলের যত্নে যতটা সম্ভব হোমমেইড এবং ন্যাচারাল উপাদান ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

(৭) সুন্দর স্টাইল পেতে চুল টিজ করা বন্ধ করুন। মানেন আর না মানেন, টিজ করা চুল দেখতে সুন্দর লাগলেও যখন টিজ করা চুলগুলো খুলতে যাবেন তখন কিন্তু প্রচুর চুল পড়ার সম্মুখীন হবেন। এছাড়া টিজ করা চুল ঠিক রাখতে যদি ব্যবহার করেন হেয়ার স্প্রে, তাহলে তো ষোল কলা পূর্ণ। তাই, এই সকল স্টাইলে যত পারবেন কম যাবেন। আজকাল তো মার্কেটে চুল টিজ না করেও ফোলানোর অনেক এক্সেসেরিজ আছে। চাইলে, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে,  চুলও ভালো থাকলো, স্টাইলও হলো!

1500x1500_th_jpg_hair-teasing-tips-step-0

(৮) চুল প্রচুর আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন, এতে মনে হতে পারে, আপনার চুল স্কাল্পের সাথে লেপ্টে আছে। দেখতেও ভালো লাগে না। তবে রুটিন করে সকালে এবং রাতে অবশ্যই চুল আঁচড়াবেন।

(১০) চুল বেঁধে রাখতে আমরা রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম রাবারের তৈরী চিকন ব্যান্ডসগুলো থেকে চুলকে দূরে রাখলেই ভালো করবেন। কারণ এসব ব্যান্ড চুলের স্বাস্থ্য এর জন্যে খুব একটা ভালো নয়। তাছাড়া,  যখন ব্যান্ড চুল থেকে খুলতে যাবেন, তখন দেখবেন এই ইলাস্টিক ব্যান্ডের সাথে অনেক গুলো চুল ছিঁড়ে চলে এসেছে। তাই, কাপড়/ উলের তৈরী ব্যান্ডগুলো ব্যবহার করবেন।

968562-900c5264105d2224c68daa0d6afd5c1b

এই ছিল চুলের যত্নের ব্যাপারে কিছু খুঁটিনাটি কিছু বিষয়।আশা করছি চুলের যত্নের ব্যাপারেও এখন থেকে সতর্ক থাকবেন। কারণসমস্যা জিনিসটা একবারে শুরু হয় না। বিভিন্ন ভুলের মাধ্যমেই কিন্তু আস্তে আস্তে সমস্যার জন্ম হয়।

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম , স্টাইলক্রেজ ডট কম

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
26448 2017-06-16 11:16:56 2017-06-16 05:16:56 open open %e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6864 dassumana1989@gmail.com 162.158.165.11 2017-06-25 19:05:14 2017-06-25 13:05:14 1 0 0 akismet_result akismet_history akismet_history 6865 dassumana1989@gmail.com 162.158.165.11 2017-06-25 19:05:48 2017-06-25 13:05:48 1 0 0 akismet_history akismet_result akismet_history
শ্রিম্প থাই স্যুপ http://www.shajgoj.com/2017/06/26461/ Thu, 15 Jun 2017 03:24:27 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26461 অনেকেই জানেন সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে ঠাণ্ডা কিছু দিয়ে শুরু করার থেকে গরম গরম কিছু দিয়ে শুরু করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি । তাই আজকে আরেকটি স্যুপ আইটেমের রেসিপি দেয়া হল।

উপকরণ

(১) নর ক্লাসিক থাই স্যুপ ২ প্যাকেট

(২) চিকেন ১২০ গ্রাম

(৩) চিংড়ি ১৫০ গ্রাম

(৪) স্প্রিং অনিয়ন ২০ গ্রাম

(৫) পেঁয়াজ ৮০ গ্রাম

(৬) লাল ক্যাপসিকাম ৩০ গ্রাম

(৭) সবুজ ক্যাপসিকাম ৫০ গ্রাম

(৮) লেমন গ্রাস ২ ৫ গ্রাম

(৯) তেল ৫ মি.লি.

(১০) লবন ৪ গ্রাম

(১১ ) কালো গোল মরিচের গুঁড়ো ১ গ্রাম

(১২) সুইট অ্যান্ড চিলি সস ৩০

(১৩) কাঁচা মরিচ ৮ গ্রাম

(১৪) ক্রুটন ২০ গ্রাম

(১৫) পানি ১৪০০ মি.লি.

প্রণালী

- চিকেন স্প্রিং অনিয়ন পেঁয়াজ ক্যাপসিকাম লেমন গ্রাস এবং চিংড়ি ধুয়ে কেটে নিন ।

- প্যানে তেল দিয়ে গরম করে তাতে চিংড়িগুলো দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন ।

- এতে ১০০০ মি.লি. পানি , কালো গোল মরিচের গুঁড়ো , সস দিয়ে ২০ মিনিট রান্না করুন ।

- আলাদা একটি পাত্রে নর ক্লাসিক থাই স্যুপ ৩০০ মি.লি. পানিতে মিক্স করে স্যুপের প্যানে ঢেলে দিন। এরপর ক্যাপসিকাম অ্যাড করে ১০ মিনিট রান্না করুন ।

- এবার কাঁচা মরিচ , লেমন গ্রাস , স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন ।

- শেষে ক্রুটন দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ক্রুটন তৈরির নিয়ম

- ২টা ব্রেড পিস নিয়ে কিউব (২০ গ্রাম) আকারে কেটে নিন।

- প্যানে বাটার (৫ গ্রাম) গরম করে তাতে ব্রেড কিউব দিয়ে ৫ মিনিট ভেজে নামিয়ে নিন।

হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন ।

]]>
26461 2017-06-15 09:24:27 2017-06-15 03:24:27 open open %e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য রোজ সকালে ব্রেকফাস্টে রাখুন স্মুদি http://www.shajgoj.com/2017/06/26468/ Sat, 17 Jun 2017 05:39:53 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26468

কর্মব্যস্ত এ জীবনে আমরা সবাই যান্ত্রিক হয়ে পড়ছি। জাংক ফুড খাওয়ার প্রবণতা  এবং কায়িক শ্রমের অভাবে ওজনটাও অনেকেরই হয়তো মনের মতো নেই। ওজন কমাতে চাই কিন্তু হাতে সময় নাই এই কথা ভেবে আমরা অনেকেই কিন্তু আজ না কাল, কাল না পরশু এমন করে খাওয়া-দাওয়ায় চেক দেয়া স্টার্ট করতে পারছি না। খুব সহজে বানিয়ে ফেলা যায় এমন কিছু ব্রেকফাস্ট স্মুদির রেসিপি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি,সপ্তাহের একেক দিন একেকটা বানাবেন যেন একঘেয়েমি না লাগে খেতে। এই স্মুদিগুলোর সাথে একটা সেদ্ধ ডিম, সাথে বড়জোর এক পিস ব্রাউন ব্রেড বা হাতে বানানো লাল আটার রুটি হলে একদম পারফেক্ট একটা ব্রেকফাস্ট মিল (breakfast meal) হওয়া সম্ভব, যেটা খেলে আপনি অনেক এনার্জি পাবেন, অনেকক্ষণ পেট ভরা লাগবে, বারবার ক্ষিধে পাবে না এবং নিউট্রিশনে তো ভরপুরই। আর আপনি যত হেলদি খাবেন, শরীরের ভিতরে ইনপুট দিবেন, আপনার আউটলুক অর্থাৎ চুল, ত্বক এগুলো ও ততটা ভালো আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখাবে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক স্মুদির রেসিপিগুলো।

[picture]

শনিবার সকাল 

(১) ১টা কলা

(২) আধা বাটি পাকা পেঁপের টুকরো

(৩) এক বাটি টক দই

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চটজলদি বানানা অ্যান্ড পাপায়া স্মুদি (Banana & Papaya Smoothie)।

GL0809_Papaya-Banana_Smoothie.jpg.rend.hgtvcom.616.462

রবিবার সকাল 

(১) ১টা কমলা (খোসা ছাড়ানো)

(২) এক বাটি স্পিনাচ / পালং শাক

(৩) ১টা শসা

(৪) এক বাটি টক দই

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চটজলদি স্পিনাচ অ্যান্ড কিউকাম্বার স্মুদি উইথ অরেঞ্জ (Spinach & Cucumber Smoothie with Orange)।

smoothie_zielone_warzywa_awokado_ogorek_jablko_kiwi_szpinak_jarmuz_witaminy

সোমবার সকাল

(১) ২টা কাঁচা আম (ফ্রোজেন হতে পারে)

(২) ১টা শসা

(৩) কয়েকটা পুদিনা পাতা

(৪) ১টা কাঁচামরিচ

(৫) এক বাটি টক দই

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চটজলদি গ্রীন ম্যাংগো অ্যান্ড কিউকাম্বার মিন্টি স্মুদি (Green Mango & Cucumber Minty Smoothie)।

cucumber-smoothie01

মঙ্গলবার সকাল

(১) এক বাটি পাকা পেঁপের টুকরো

(২) ১টা পাকা আম (ফ্রোজেন হতে পারে)

(৩) ১ কাপ দুধ (লো ফ্যাট হলে ভালো)

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চটজলদি পাপায়া অ্যান্ড ম্যাংগো স্মুদি (Papaya & Mango Smoothie)

shutterstock_382586317.jpg.638x0_q80_crop-smart

বুধবার সকাল

(১) ১টা পাকা কলা

(২) এক বাটি ওটস

(৩) এক বাটি টক দই

(৪) কয়েকটা কাঠবাদাম এবং কিশমিশ

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চটজলদি মজাদার ওটস অ্যান্ড বানানা স্মুদি (Oats & Banana Smoothie) ।

Fresh made Banana smoothie on wooden background

বৃহস্পতিবার সকাল 

(১) ১টা আপেল

(২) ১টা গাজর

(৩) এক বাটি টক দই

সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যাপল অ্যান্ড ক্যারট স্মুদি (Apple & Carrot Smoothie)

feeling-tired-lately-it-might-be-time-for-a-kidney-detox-juice1

শুক্রবার সকাল

আজকের দিন টা Cheat Day! ইচ্ছেমতো খাওয়া-দাওয়া করুন। কিন্তু অতিরিক্ত যেন না হয়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত কমপক্ষে আধ ঘণ্টা করে হাঁটুন। শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - ফুড নেটওয়ার্ক ডট কম , জাম্বা জুস ডট কম,  হাফিংটনপোস্ট ডট কম

লিখেছেন  -ফারহানা প্রীতি

]]>
26468 2017-06-17 11:39:53 2017-06-17 05:39:53 open open %e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a4-%e0%a6%93%e0%a6%9c%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ইফতারে রাখতে পারেন মুচমুচে চিকেন প্যাটিস http://www.shajgoj.com/2017/06/26481/ Sat, 17 Jun 2017 06:15:01 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26481 ইফতারে বা বাচ্চার টিফিনের জন্য তৈরি করতে পারেন মজাদার চিকেন প্যাটিস । সহজে যাতে ঘরে বসেই এই মজার আইটেমটি তৈরি করতে পারেন সেজন্য  দেখে নিন পুরো প্রণালী ।

উপকরণ

খামির -  প্রয়োজন মতো ( আমি প্যাটিস র‍্যাপ সুপার মার্কেট থেকে নিয়েছি )

[picture]

পুরের জন্য -

  • চিকেন কিমা - ১ কাপ
  • পেঁয়াজ কুঁচি - ৩ টি
  • হলুদ গুঁড়া - ১/৪ টেবিল চামচ
  • কাবাব মসলা - ১/৪ টেবিল চামচ
  • কাঁচামরিচ কুঁচি  - ৪ টি
  • গোল মরিচ গুঁড়া - সামান্য
  • আদা বাটা - সামান্য
  • লবন - পরিমান মতো
  • তেল - ৪ টেবিল চামচ
  • ধনেপাতা কুঁচি  - ২ টেবিল চামচ
  • গরম মশলা গুঁড়া - সামান্য
  • ডিম - ১ টি
  • সাদা তিল - সামান্য

প্রণালী

- প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। চিকেন কিমা দিয়ে একে একে সব মশলা দিয়ে মৃদু আঁচে নাড়তে হবে।

- সামান্য পানি দিতে হবে।পানি শুকিয়ে এলে ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ  দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

- ডিম ফেটে নিয়ে পেটিসের উপরে ব্রাশ করে দিতে হবে।এবং সাদা তিল উপরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

এবার পেটিস শিট পছন্দ মতো আকার কেটে ভিতরে পুর দিয়ে ওভেনে ৩৫০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০/২৫ মিনিট বেক করে নিয়ে পরিবেশন করুন।

বিঃ দ্রঃ বাদামি রঙ না হলে আরো ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

ছবি ও রেসিপি - নুসাইবা নিঝুম

]]>
26481 2017-06-17 12:15:01 2017-06-17 06:15:01 open open %e0%a6%87%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%96%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%ae publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এবারের ঈদ ট্রেন্ডে চলছে যেসব কালার http://www.shajgoj.com/2017/06/26488/ Sun, 18 Jun 2017 03:44:19 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26488 আগুন ছড়ানো বদমেজাজি সূয্যিমামা মধ্য আকাশে। প্রখর রোদের ঝাঁজে চোখ মেলে তাকিয়ে থাকাও মুশকিল। আর এমন একটি  সময়েই ঈদ এসে পড়ল। আচ্ছা ভাবুন তো ! রাস্তায় হাঁটছেন আর হুট করেই চোখের সামনে কেউ একজন এসে দাঁড়ালো, কটকটে গোলাপি জামা তার গায়ে, তাতে আবার জরি-চুমকি বসানো। কেমন লাগবে তখন? চোখ তো ঝলসাবেই, সাথে মাথাটাও ঝিমঝিম করে উঠবে। মনেমনে বলেও ফেলতে পারেন, পোশাকের কী ছিরি বাপু!

একথা ঠিক যে মানুষের পছন্দ-অপছন্দ একেক রকম হবেই। কারো হালকা রঙ প্রিয় তো কেউ আবার গাঢ় , উজ্জ্বল সব রঙ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। ভালো লাগার রকমফের সব জিনিসেই থাকে , থাকবেও । তবে ফ্যাশন বলে যে বস্তুটা রয়েছে, যে সব ধারণার ভিত্তিতে মানুষজন তাদের আলমারির সংগ্রহ সাজায়, সেই ফ্যাশনের ধারা কিন্তু একথাও বলে যে সময়টা খুব বড় একটা ব্যাপার। যে সময়ে যা সহনীয় , তার কাছাকাছি থেকেই পোশাক-পরিচ্ছদ বেছে নেয়া ভালো।

[picture]

রঙের বেলাতেও তাই সময়ের একটা ভূমিকা এসেই পড়ে। সময়টা যখন গরমকাল তখন এই ঈদে পোশাকের রঙে প্রাধান্য পাবে চোখে আরাম দেয়া মিষ্টি রঙগুলি। খুব কড়া ঝকমকে রঙের ব্যবহার আংশিক চললেও পুরো পোশাকে মানাবে না এমন দিনে। তার চেয়ে বরং নরম ধাঁচের উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন পরিধেয় হিসেবে। অন্যের চোখেও শান্তি আসবে, স্বস্তি আসবে নিজের মনেও।

গ্রীষ্মজুড়ে পোশাকে কোন রঙগুলি প্রাণবন্ত দেখাবে, দেখে নেয়া যাক এক নজর।

আসমানি

আকাশের মন ভালো করে দেয়া যে মিষ্টি নীল রঙখানা আছে, তার নাম আসমানি। নীলের এই শেড দারুন মানানসই গরমের দিনের পোশাকে। আকাশ থেকে নেয়া বলেই বুঝি এই রঙ চমৎকার মেলবন্ধন তৈরি করে মেঘের সব রঙের সাথে। ধবধবে সাদা হোক, হোক ধূসর কিংবা লালচে-কমলা আভা মাখানো, আকাশির সাথে মানিয়ে যাবে মেঘের সব রঙ।

পিচ

পিচ রঙের ভীষণ চাহিদা বিশ্বজুড়ে গরমের ফ্যাশনে। রঙের দুনিয়ায় একে বেশ অভিজাত বলেই মান্য করা হয়। প্রাণ হাঁসফাঁস করা উত্তপ্ত দিনে এই মিষ্টি নরম রঙটা কেবল চোখ নয়, মন জুড়িয়ে দেয়। পিচ রঙের সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো, এটা মানিয়ে যায় সব রকমের পোশাকের সাথে। অনুষ্ঠানের শাড়ি থেকে নিয়ে অফিসের স্যুট পর্যন্ত আপনি বেছে নিতে পারেন এই পিচ রঙে।

eid 3 f

সী-গ্রীন

সাগরের স্বচ্ছ পানির রঙের বিশ্বে সমাদৃত নাম এইটা। নীল নয়, নয় পরিপুর্ণ সবুজও। তবে রঙটা অসাধারণ। চোখ ফেরাতে মন চায় না, এতো দারুণ এক রঙ এটা। পিচের মতো এই সাগর-সবুজ রঙখানাও ভীষণ অভিজাত। মানিয়ে যায় প্রায় সব ধরণের পোশাকে। প্রখর গ্রীষ্মে সারাদিন বাইরে থাকার কাজ যাদের, এই রঙের পোশাকে সাগরের শীতলতা না মিললেও খানিক শান্তি পেতেই পারেন তারা।

ছাই

ছাই রঙকে দূর ছাই করার কোন উপায় নেই এই গরমে। সাদা, লাল, নীল, কমলা এই রঙগুলির সাথে আকর্ষণীয় মেলবন্ধন করা ছাই রঙের পোশাক হতে পারে আপনার গ্রীষ্মকালের স্বস্তি। পরেও শান্তি পাবেন আর দেখেও চোখ জুড়াবে।

3cb377d1751032a56c56b23787d68ace-24

পেস্তা

সবুজাভ শেডের পেস্তা হচ্ছে আরেকটা গরম উপযোগী রঙ। কালচে লাল, কমলা কিংবা পিচ রঙের সাথে দারুণ মানায় পেস্তা রঙের পোশাক। নীলের সাথেও বেশ ভালো লাগে এই রঙকে। গাঢ় বাদামি রঙ আর পেস্তার মিশেলে পোশাক বেছে নিতে পারেন এই সময়ে পরার জন্য। হালকা রঙে স্বস্তিও রইলো, তার সাথে গাঢ় রঙের আকর্ষণ।

18813865-10154520495220373-7668737941355071372-n

বাদামি

বাদামি রঙটা বেশ সুবিধাজনক এক রঙ, অন্যান্য প্রায় সকল রঙের সাথেই তার ভাব জমে যায়। স্বভাবে নরম অনেক , দেখলে শান্তি আসে। তাই গরমের বন্ধু হিসেবে এই রঙকেও রাখা চাই পোশাকে। সবুজ, লাল, কালোর সাথেও মিলেমিশে আপনাকে চমৎকার সব পোশাক দিতে পারে বাদামি রঙ।

ছবি - প্রথমআলো ডট কম , ডেইলিটাইমসটুয়েন্টিফোর ডট কম , যমুনানিউজটুয়েন্টিফোর  ডট কম

লিখেছেন -  মুমতাহীনা মাহবুব

]]>
26488 2017-06-18 09:44:19 2017-06-18 03:44:19 open open %e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%88%e0%a6%a6-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%af publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
টুনা প্যাটিস http://www.shajgoj.com/2017/06/26495/ Sun, 18 Jun 2017 04:18:27 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26495  চিকেন প্যাটিস এর রেসিপি নিশ্চয়ই জানা হয়ে গেছে। একই রকমভাবে তৈরি করতে পারবেন টুনা দিয়ে তৈরি  প্যাটিস ।  যারা  চিকেন খেতে খেতে বিরক্ত তারা পুর হিসেবে টুনা  রাখতে পারেন।

উপকরণ

  • খামির / পেস্ট্রিশিট  -  প্রয়োজন মতো ( আমি পেস্ট্রিশিট সুপার শপ থেকে নিয়েছি )

পুর এর জন্য লাগছে

  • টুনা টিন ২ টি ৩০০ গ্রাম পরিমাণ
  • পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ কাপ
  • ধনিয়া পাতা মিহি কুঁচি ২ টেবিল চামচ
  • সুইটকর্ন  ১/৪ কাপ
  • মেয়োনিজ ৩ টেবিল চামচ
  • টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
  • গ্রেট করা চিজ ( চেডার চিজ ) হাফ কাপ
  • স্বাদ মতো লবন
[picture]

প্রণালী

- টুনার টিন থেকে পানি / তেল ভালোভাবে ঝরিয়ে নিন ।

- তারপর উপরের সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন ।

পুর তৈরী -

- এখন প্যাটিস বানাতে আমি রেডি মেড পাফ প্যাস্ট্রিশিট ব্যবহার করেছি ( যা কিনা বাইরে থেকে কেনা আমি কখনো বানাইনি আর বানাতেও পারি না ,  এই পেস্ট্রিশিট কীভাবে বানাতে হয় তার অনেক অনেক ভিডিও ইউটিউব-এ খুঁজে পাবেন)

- রেডিমেড পেস্ট্রিশিট-টাকে ৬ ভাগ করে তিনকোণা আকারে তার ভেতর পুর ভোরে কাঁটা চামচ এর সাহায্যে সিল করে নিন।

- প্যাটিস এর উপর ডিম ব্রাশ করে নিন , কিছু তিল ও ছিটিয়ে দিয়ে পারেন।

- এবার প্রিহিট করা ১৮০ ডিগ্রি ওভেনে বেক করুন ১৫ থেকে ১৮ মিনিট।

- বাদামি হয়ে আসলে ওভেন থেকে বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন ।

ছবি ও রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ

]]>
26495 2017-06-18 10:18:27 2017-06-18 04:18:27 open open %e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
কার জন্য কেমন উপহার মানানসই ? http://www.shajgoj.com/2017/06/26518/ Mon, 19 Jun 2017 05:07:58 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26518 উৎসবে কিংবা নানা অনুষ্ঠানে সব জায়গাতে যাওয়ার সময় প্রথমেই যা মাথায় আসে তা হলো উপহার । ম্যারেজ ডে , জন্মদিন বা পার্টির মতো ছোট-বড় হাজারো অনুষ্ঠানে সবার আগেই থাকে উপহার দেওয়ার বিষয়টি । যখন কারো জন্য উপহার কেনার পালা আসে তখন সেই উপহার নির্বাচন করা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি ।

কীভাবে উপহার দেবেন , যার জন্য কিনবেন তার সেটা পছন্দ হবে কিনা , তার কাজে লাগবে কি না , কী ধরণের উপহার দেবেন , কোথা থেকে কিনবেন সবকিছুই চিন্তার বিষয় । আবার বাজেটের হিসাবটাই ভুলে যাওয়া চলবে না , কেননা হুট করে হাতে বেশি টাকাও থাকে না । তাই উপহার ঠিক করার আগে কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ রাখুন। যা আপনাকে উপহার কিনতে সাহায্য করবে ।

পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার

  • পরিবারের সদস্যদের পছন্দ-অপছন্দ জানা সহজ । তাই সেগুলো চিন্তা করেই উপহার নির্বাচন করুন।
  • পরিবারের বড়দের জন্য যেটা সব থেকে পছন্দের হয় সেটা হলো বাড়ি সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী যেমন-শোপিস, ল্যাম্পশেড, ডেকোরেটিভ ক্যান্ডেল ইত্যাদি কিনে দিতে পারেন । আবার ঘরের কোন একটা জিনিস যা আগে থেকে পছন্দ করা কিন্তু কেনা হয়নি বা তাদের কোন একটা পছন্দের জিনিস যদি হুট করে দরকার হয় তাহলে তো কথাই নেই , সেটাই কিনে দিয়ে চমকে দিতে পারেন সহজেই ।
  • ভাই-বোনের জন্য উপহার কেনার সময় তাদের পছন্দের কথা অবশ্যই মাথায় রাখুন । তাদের ব্যক্তিগত পছন্দের জিনিসগুলো জানলে সেগুলো দেয়াই ভালো । যেমন - যদি বই পড়তে পছন্দ করে তাহলে সেটাই কিনে দিন, আর বই সহজেই যে কোন জায়গায় পাওয়া যায় । সেটা অল্প খরচেই হয়ে যাবে ।
  • স্বামী বা স্ত্রীকে কিছু উপহার দেয়াটা যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ হওয়াই ভালো । এছাড়া ঘরোয়াভাবে অল্প সময়ে সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে পারেন । যেমন- শুধু কেক কিনে আনুন আর পছন্দের মধ্যে ছোট কিছু কিনে ফেলুন ।
[picture]

বন্ধুর জন্য

  • বন্ধুদের অনেককিছুই উপহার দেয়া যায় ।
  • যদি ছোটবেলার বন্ধু হন তাহলে আপনাদের দুজনের পুরোনো কোনো ছবি থাকলে তা ফ্রেমে বাঁধিয়ে উপহার দেয়াটা সব থেকে ভালো । চাইলে কয়েকটি ছবি নিজের মতো সাজিয়ে একসাথে করে নিতে পারেন ।
  • বন্ধুর পছন্দ মাথায় রেখে উপহার ঠিক করুন । ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস যেমন চাবির রিং, ডায়েরি, ব্যাগ ইত্যাদি তাকে দিতে পারেন। সুন্দর কোনো মগের সাথে তার পছন্দের ফ্লেভারের চা বা কফি উপহার দিতে পারেন। এছাড়া পছন্দের লেখকের বই বা তার প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিসও তার জন্য চমত্‍কার উপহার হতে পারে।

সহকর্মীর জন্য

  • কর্মসূত্রে অফিসের সহকর্মীর সাথে পরিচয় , তাই ব্যক্তিগত উপহার না দেয়াই ভালো । দিতে চাইলেও তা পছন্দ হওয়া নিয়ে সংশয় থেকে যাবে।
  • কোনো অনুষ্ঠান হলে শোপিস,ফুল বা ঘড়ি খুব ভালো উপহার।
  • এছাড়ায় পারফিউম চট করে কিনে ফেলা যায়, সময়ও কম লাগে।
  • কাউকে উপহার দিতে গেলে নিজের পছন্দটা না ভেবে যাকে উপহার দিচ্ছেন তার পছন্দ চিন্তা করতে হয়। আর খুব বেশি বড় বড় উপহার দেয়ার থেকে কম সময়ে আর অবশ্যই আপনার বাজেট অনুযায়ী উপহার কিনে ফেলুন।
ছবি - ইউটিউব ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোর্শেদ

]]>
26518 2017-06-19 11:07:58 2017-06-19 05:07:58 open open %e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
পুর ভরা ব্রেড পুলি ! http://www.shajgoj.com/2017/06/26521/ Mon, 19 Jun 2017 05:42:44 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26521 ঘরে যদি পাউরুটি থাকে তাহলে খুব সহজেই বানাতে পারেন পুর ভরা ব্রেড পুলি !  ইফতার বা বিকেলের নাশতায় চা এর সাথে গরম গরম খেতে কিন্তু দারুণ লাগবে। 

উপকরণ 

  • পাউরুটি পিস - ৫ টি
  • কুকি কাটার - ১ টি
  • চিজ / রান্না করা মাংস ঝুরি/ কিমা - পরিমাণ মতো
  • পানি - অল্প পরিমাণে
  • ডিম  ২ টি
  • ব্রেডক্রাম্ব - ৩ - ৪ টেবিল চামচ
  • তেল
[picture]

প্রণালী 

- পাউরুটি রোলিং পিন দিয়ে রোল করে নিন , পছন্দ মতো সাইজে কুকি কাটার দিয়ে কেটে নিন কিংবা চারকোণাও রাখতে পারেন !

- পছন্দ মতো ফিলিং / পুর ভরে নিন (ঘরের রান্না করা মাংস কিংবা চিজ দিয়েও করা যেতে পারে পুর) , হালকা পানি দিয়ে ভিজিয়ে কোণাগুলো সিল করে নিন !

- এবার আলতোভাবে ডিমে ডুবিয়ে , ব্রেডক্রাম্ব কিংবা টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়োতে গড়িয়ে নিন !

- সেট হতে ফ্রিজে রেখে দিন কিছুক্ষণ !

- মিডিয়াম আঁচের গরম তেলে ভেজে চা এর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন !

ছবি ও রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ

]]>
26521 2017-06-19 11:42:44 2017-06-19 05:42:44 open open %e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a1-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
স্কিন এবং হেয়ার কেয়ারের এসেনশিয়াল প্রোডাক্ট কোকোনাট অয়েল তৈরির আদ্যোপান্ত  http://www.shajgoj.com/2017/06/26533/ Tue, 20 Jun 2017 05:30:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26533 কোকোনাট অয়েল। সহজ বাংলায় নারিকেল তেল। যুগযুগ ধরে চুল আর ত্বকের যত্নের জন্য কোকোনাট অয়েলের ব্যবহার হয়ে আসছে । বিশেষ করে সাউথ এশিয়া এবং ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টে কোকোনাট অয়েল একটি অত্যন্ত প্রচলিত হেয়ার অ্যান্ড স্কিন কেয়ার এসেনশিয়াল প্রোডাক্ট। অনেক দেশে রান্নায় ও কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করা হয়, শ্রীলঙ্কা-তেই তো অনেক ডিশই কোকোনাট অয়েল দিয়ে রান্না করা হয়। কোকোনাট অয়েলের উপযোগিতার কথা লিখে শেষ করা যাবে না। স্কিন এবং মাথার স্কাল্পকে ভিতর থেকে পুষ্টি যুগিয়ে প্রাণবন্ত করে তোলে কোকোনাট অয়েল। নিয়মিত কোকোনাট অয়েল ম্যাসাজের ফলে ভালোভাবে ব্লাড সার্কুলেশন হয়, ডেড স্কিন সেলস (ত্বকের মৃত কোষ) দূর হয়, চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেকআপ রিমুভার হিসেবে এবং ঠোঁটকে নারিশ করার জন্যও কোকোনাট অয়েলটাকেই বেশি প্রেফার করি। চুলের ডীপ কন্ডিশনিং হোক, আর স্কিনের ড্যামেজড সেল রিপেয়ারিং-ই হোক, কোকোনাট অয়েলের চেয়ে নিরাপদ এবং সহজলভ্য অপশন আর নেই।

কীভাবে তৈরি হয় কোকোনাট অয়েল (Production of Coconut Oil)

নারিকেল গাছ থেকে তেল তৈরির জন্য নারিকেল সংগ্রহ করা হয়। কোয়ালিটি ভেদে ২-২০ মাস পর্যন্ত নারিকেলগুলো তেল তৈরির উপযোগী হওয়ার মতো ভালো থাকে । তবে খুব কচি নারিকেল হলে সেখান থেকে তেল তৈরি করাটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই নারিকেলের পারফেক্ট ম্যাচিউরিটি ও জরুরী।

টেকনিকালি যদি বলতে হয়, তাহলে পৃথিবীর সব কোকোনাট অয়েলই প্রাকৃতিকভাবেই রিফাইন্ড, কারণ তেলটা আমরা সরাসরি গাছ থেকে পাই না, নারিকেল থেকে এক্সট্রাক্ট করে বের করতে হয়। মূল পার্থক্যটাই হলো এই extraction procedure এ। সাধারণভাবে বলতে গেলে কোকোনাট অয়েল দুই রকম - রিফাইন্ড এবং আনরিফাইন্ড। রিফাইন্ড কোকোনাট অয়েলটাই বাণিজ্যিকভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রস্তুত করা হয়। এ ক্ষেত্রে দু'রকম পদ্ধতি আছে -

[picture]

(১) ড্রাই প্রসেস

এ পদ্ধতিতে নারিকেল থেকে শাঁস বের করে সেটা তাপ প্রয়োগ করে শুকানো হয় এবং নারিকেলের শুষ্ক শাঁস (Copra) প্রস্তুত করা হয়। এই তাপ প্রয়োগের জন্য সূর্যের প্রখর রোদ, আগুন অথবা বিশেষ ওভেন (kilns) ব্যবহার করা হয়। তারপর এই নারিকেলের শুষ্ক শাঁস থেকে মেশিনের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে কোকোনাট অয়েলটা বের করে নেয়া হয়।

(২) ওয়েট প্রসেস

এ পদ্ধতিতে নারিকেলের তাজা শাঁস ব্যবহার করা হয়। এবং তেল আর পানির ইমালশান তৈরি করা হয়। তারপর তেল আর পানিকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলাদা করা হয়। এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য।

আনরিফাইন্ড ভার্জিন কোকোনাট অয়েল

ভার্জিন কোকোনাট অয়েলটা কোল্ড প্রেসিং পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়, যাতে তেলের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো তেমন একটা নষ্ট হয় না। কোল্ড প্রেসিং পদ্ধতিতে নারিকেলকে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে তার মধ্যে থেকে তেলটা বের করা হয়, কোন প্রকার তাপ ব্যবহার না করে।

বাড়িতে বসে নারিকেল তেল তৈরি

ছোটবেলায় আমার দাদীকে দেখতাম নারিকেল কুড়িয়ে তার সাথে আধ লিটার পানি মিশিয়ে সেটা কড়াইয়ে চুলার তাপে অনেকক্ষণ ধরে নাড়তেন এবং তারপর সেই পানির উপরে আস্তে আস্তে তেলটা ভেসে উঠতো। তারপর উনি পাতলা সুতি কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে তেলটা আর শাঁসটা আলাদা করে নিতেন। তিনি বলতেন তিনি তার দাদীর কাছ থেকে শিখেছিলেন। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে কিন্তু সব ক্ষেত্রে কোকোনাট অয়েলের প্রোডাকশন এবং ব্যবহার হয়ে আসছে। বাড়িতে বসে এবং বাণিজ্যিকভাবেও।

কোকোনাট অয়েলের প্রোডাকশন প্রসেস যেটাই হোক না কেন, পুষ্টিগুণ কমবেশি ও হোক না কেন,কোকোনাট অয়েলের বিকল্প কিন্তু সত্যিই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আপনার স্কিন এবং বিশেষ করে চুলের ন্যাচারাল ডীপ কন্ডিশনিং এর জন্য কোকোনাট অয়েলের বিকল্প নেই। আমি যেদিন কোকোনাট অয়েল মাসাজ করে তারপর শ্যাম্পু করি, সেদিন যদি সময়ের অভাবে কন্ডিশনার স্কিপ ও করি, তেমন একটা অসুবিধে হয় না। কোকোনাট অয়েল ড্রাই এবং এইজিং স্কিনের জন্য মিরাকল প্রোডাক্ট বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এটা স্কিনকে সফট এবং স্মুদ করে তোলে, বলিরেখা কমায় এবং স্কিনকে ভেতর থেকে ডীপ নারিশমেন্ট জোগায়। খুব কম খরচের সবচেয়ে ইফেক্টিভ এবং সাইড ইফেক্ট বিহীন মেকআপ রিমুভারের নাম নিতে গেলেও কোকোনাট অয়েলের নামটাই সবার আগে আসে।

তাই এখন থেকেই এই অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনার চুল এবং ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা শুরু করুন এবং কোন প্রকার সাইড ইফেক্টস ছাড়া স্বল্প খরচে পান গ্লোয়িং স্কিন এবং শাইনিং হেয়ার।

ছবি - বিউটিহ্যাকস ডট কম

লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26533 2017-06-20 11:30:30 2017-06-20 05:30:30 open open %e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%8f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6880 sunjidatamanna2612@gmail.com 108.162.219.35 2017-07-05 21:10:33 2017-07-05 15:10:33 1 0 0 akismet_as_submitted akismet_history akismet_result akismet_history
ইফতারে বানিয়ে ফেলুন ডায়েট ফ্রেন্ডলি চিকেন ওটস হালিম http://www.shajgoj.com/2017/06/26536/ Tue, 20 Jun 2017 05:55:37 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26536 রোজার দিনে অনেকেরই ওজনের কাটা-টা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। দেখা যায়, সারাদিন রোজা রাখার পর হুড়মুড় করে একসাথে অনেক ইফতার খাওয়া হয়ে যায়, এবং সেখানে ভাজাপোড়ার অংশটাই বেশি থাকে। কিন্তু এভাবে উল্টাপাল্টা খেলে কিন্তু হজমে সমস্যা, ওজন বাড়া এই সমস্যাগুলো চলতেই থাকবে। তাই আজকে আপনাদের সাথে ইফতারের খুব সহজ একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটা অনেক বেশি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর, সেটা হলো চিকেন ওটস হালিম। চিনি বাদে লেবুর শরবত বা ডাবের পানি, সাথে ৩-৫টা খেজুর আর এই চিকেন ওটস হালিম বানিয়ে ফেললেই কিন্তু খুব ভালো একটা পরিপূর্ণ ইফতার হয়ে যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিনস, মিনারেলস যা আপনার সারাদিনের দৈহিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আপনার দেহকে অনেক বেশি শক্তি দিবে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক চিকেন ওটস হালিম বানাতে আমাদের কী কী লাগবে -

(১) মুরগির বুকের মাংস (২০০ গ্রাম)

(২) দেড় কাপ ওটস

(৩) দেড় কাপ সমপরিমাণ মুগ, মসুর, কলাই এর ডাল মিক্স

(৪) দুটো মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ

(৫) ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা

(৬) আধা টেবিল চামচ আদা বাটা

(৭) ৩ চা চামচ হালিম মশলা অথবা ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, এক চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, ১ চা চামচ ভাজা জিরের গুঁড়ো, ১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/৩ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।

(৮) লবন (স্বাদানুযায়ী)

(৯) কাঁচামরিচ ২-৩টা

(১০)  ধনেপাতা

(১১) লেবু

(১২) ১ টেবিল চামচ তেল (অলিভ অয়েল/ রাইস ব্র‍্যান অয়েল/ সানফ্লাওয়ার অয়েল)

(১৩) আধা লিটার পানি

[picture]

যেভাবে বানাবেন

প্রথমে কড়াইয়ে তেল গরম করে ২ টি কুচানো পেঁয়াজ লালচে করে ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে নিন। এবার ঐ তেলে ছোট ছোট টুকরো করে লবনমাখিয়ে রাখা মুরগীর টুকরোগুলো ভেজে নিন ১০ মিনিট ধরে মাঝারি আঁচে। তারপর মুরগীর টুকরোগুলো তুলে নিয়ে ঐ তেলে একে একে সব মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন এবং সব ডাল তার মধ্যে দিয়ে পরিমাণ মতো লবন আর পানি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ডাল সিদ্ধ করে নিন, মোটামুটি আধ ঘণ্টা পর ঢাকনা তুলে তাতে ওটস, কাঁচামরিচ আর ভেজে রাখা চিকেন দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরো মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। এবার নামিয়ে নিন। কুঁচি করে কেটে রাখা ধনেপাতা, কাঁচামরিচ আর লেবুর রস চিপে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর চিকেন ওটস হালিম।

আশা করি সবাই বাসায় বানাতে চেষ্টা করবেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - ইয়েসআইক্যানকুক ডট কম

রেসিপি -ফারহানা প্রীতি

]]>
26536 2017-06-20 11:55:37 2017-06-20 05:55:37 open open %e0%a6%87%e0%a6%ab%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মাউথওয়াশের কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার http://www.shajgoj.com/2017/06/26562/ Wed, 21 Jun 2017 05:43:59 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26562 নিয়মিত সকাল-রাত দুই বেলা করে ব্রাশ করার পর ও মুখের দুর্গন্ধ কমছে না ? আপনার প্রয়োজন একটি ভালো মানের মাউথওয়াশ ।

মাউথওয়াশ হলো ওষুধ সমৃদ্ধ একটি অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ, যা কুলি করার জন্য ব্যবহৃত হয় । মুখ ও মুখগহ্বরের সংক্রমণ রোধে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে । বিশেষ করে যখন দাঁত ব্রাশ করা সম্ভব হয় না বা সমস্যা হয় । যেমন, অপারেশনের পর যখন কোনো রোগী পূর্ণ বিশ্রামে থাকে, সে সময় মাউথওয়াশ দাঁত ব্রাশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । অ্যান্টিসেপটিক বা অ্যান্টিপ্ল্যাক মাউথওয়াশ মুখের সেসব জীবাণু ধ্বংস করে যার কারণে মুখের ভেতরে প্ল্যাক, মাড়ির প্রদাহ বা মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে । মাউথওয়াশ শুধু কিন্তু মুখের দুর্গন্ধই দূর করে না, একে আরো নানান কাজে ব্যবহার করা যায় । চলুন তাহলে মাউথওয়াশের এরকম কিছু অজানা ব্যবহার দেখে নেয়া যাক।

মাউথওয়াশের কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার -

১. পেঁয়াজ , রসুন , মাছ ইত্যাদি কাটার পর অনেক সময়ই আমাদের হাতে গন্ধ থেকে যায় , অনেক সময় সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুলেও ঐ গন্ধ সহজে যেতে চায় না । এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী একটি সমাধান হলো মাউথওয়াশ । অল্প কয়েক ফোঁটা মাউথওয়াশ দুই হাতে নিয়ে ভালো করে মেখে হাত ধুয়ে নিন । ব্যস, দুর্গন্ধ গায়েব ।

২. একটি পাতলা রুমাল জাতীয় কাপড় হালকা ভিজিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মাউথওয়াশ নিয়ে দুই পায়ে ঘষুন, তারপর পা ধুয়ে ফেলুন । পা দীর্ঘসময় দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে ।

৩. ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ মাউথওয়াশ একটি পাত্রে নিয়ে মিক্স করুন । গোসলের সময় আপনার রেগুলার শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধোয়ার পর ঐ মিশ্রণটি শুধুমাত্র মাথার তালুতে আস্তে আস্তে লাগান । ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন । মাউথওয়াশে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রোপার্টি মাথার খুশকি এবং ফাংগাল ইনফেকশন দূর করবে ।

৪. আজকাল মশা কামড় দিলে দেখবেন খুব দ্রুত ঐ জায়গাটা ফুলে যায় , লাল হয়ে যায় এবং খুব চুলকায় । বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব বেশি হয় এটা যেহেতু তাদের স্কিন খুব সেনসিটিভ । মশার কামড় দেয়া স্থানে মাউথওয়াশে ভেজানো একটা তুলোর বল কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন । ফোলা ভাব এবং চুলকানো দুটোই কমে যাবে ।

৫. যদি আপনার বাসায় ফেসিয়াল টোনার শেষ হয়ে যায়, এবং কিনতে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় না থাকে, তাহলে মাউথওয়াশকেই টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন । এজন্য একটি তুলোর বলকে মাউথওয়াশে ভিজিয়ে পুরো মুখ আলতো হাতে মুছে নিন । আপনার স্কিনে থাকা অবশিষ্ট মেকআপ এবং বাড়তি তেল পরিষ্কার হয়ে যাবে । তবে আপনার স্কিন যদি কেমিক্যাল সেনসিটিভ হয়ে থাকে তাহলে এ পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভালো ।

৬. যদি আপনি সদ্য নাক/কান/শরীরের অন্য কোন অঙ্গে পিয়ার্স (ফোঁড়ানো) করিয়ে থাকেন, আর যদি বাসায় অন্য কোন অ্যান্টিসেপটিক না থাকে, তাহলে মাউথওয়াশ এক্ষেত্রেও আপনার কাজে দিবে । একটি কটন বলে মাউথওয়াশ লাগিয়ে ফোঁড়ানো স্থানটি দিনে দুই-তিনবার আলতো করে মুছুন । এতে করে ইনফেকশন হবে না এবং জায়গাটা দ্রুত শুকাবে ।

৭. ৪ টেবিল চামচ মাউথওয়াশ আর ৪ টেবিল চামচ পানি মিক্স করে মাথার তালুতে তুলোর বল দিয়ে ঘষে ঘষে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন । তারপর মাথা ধুয়ে ফেলুন। উকুন দূর হবে ।

৮. যেকোন প্লাস্টিক/কাঁচের বোতল বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে তা কেমন যেন দুর্গন্ধময় হয়ে যায় । ২ চা চামচ মাউথওয়াশ আর আধা কাপ পানি বোতলে ঢেলে বোতলের মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে সারারাত রেখে দিন । সকালে উঠে বোতলটি ধুয়ে ফেলুন । ব্যস , দুর্গন্ধ গায়েব ।

৯. এক মগ পানিতে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার , কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু আর কয়েক ফোঁটা মাউথওয়াশ মিক্স করে তারমধ্যে মেকআপ ব্রাশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন । সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন । আপনার মেকআপ ব্রাশগুলো একই সাথে ঝকঝকে আর জীবাণুমুক্ত হবে ।

১০. আপনার চশমা, কাঁচের যেকোন জিনিস, আয়নাকে ঝকঝকে করে তোলার জন্য ব্যবহার করুন মাউথওয়াশ । একটি ভেজা সুতি রুমালে কয়েক ফোঁটা মাউথওয়াশ লাগিয়ে চশমা/আয়না/গ্লাস আইটেমে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা । তারপর ঐ রুমালটি ধুয়ে চিপে জিনিসটি মুছে নিন । একদম নতুনের মতো চকচক করবে ।

দৈনন্দিন জীবনযাপনের অনেক ক্ষেত্রেই এসব ছোটখাটো টিপস কাজে লাগে । এরকম আরো টিপস পেতে সাজগোজের সাথেই থাকুন।

ছবি - ন্যাচারালঅয়েঅফহেলথ ডট কম লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26562 2017-06-21 11:43:59 2017-06-21 05:43:59 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a5%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ম্যাজিকাল হেয়ার গ্রোথ মাস্ক http://www.shajgoj.com/2017/06/26565/ Wed, 21 Jun 2017 06:16:20 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26565 ভিডিও টিউটোরিয়াল -  সাজগোজ ডট কম ]]> 26565 2017-06-21 12:16:20 2017-06-21 06:16:20 open open %e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a5-%e0%a6%ae publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id মাত্র ১ ঘণ্টায় একদম সাশ্রয়ী উপায়ে ৪টি সহজ ধাপে নিজেই করে নিন হেয়ার কালার http://www.shajgoj.com/2017/06/26580/ Thu, 22 Jun 2017 10:29:03 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26580 আর কিছুদিন পরই আসছে ঈদ। সবার কেনাকাটা ও নিশ্চয়ই শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। ঈদের দিনটিতে নিজেকে সুন্দর এবং পারফেক্ট দেখানোর ইচ্ছে সবারই থাকে।এবং এই পারফেকশনের জন্য ঈদের আগে সবাই-ই  কমবেশি নিশ্চয়ই স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার নিয়ে খুব ব্যস্ত। আমার কাছে আমার চুল  এবং চুলের অ্যাপিয়ারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ,  কারণ আমার চুল যখন সুন্দর দেখায় না তখন  আমি লক্ষ্য করেছি আমি অনেক সময় নিয়ে মেকআপ করলেও, বা আমার পছন্দের রঙের  জামাটি পড়লেও কেমন  যেন অসম্পূর্ণ দেখায়। এবার ঈদের আগে আমি আমার চুলটা রঙ করাতে চেয়েছিলাম  এবং ট্রিম ও  করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার পার্লারে যাওয়ার মতো সময় একেবারেই নেই। তাই বলে কি চুল রঙ করবো না? অবশ্যই করেছি। সেটা  ঘরে  বসেই এবং নিজের হাতে মাত্র এক ঘণ্টায়। হেয়ার  কালারিং এখন অনেকের কাছেই শখ এবং সময়ের প্রয়োজন দুটোই।চুলের রঙটা  নতুন করে  করলে চুল তো সুন্দর দেখায়ই, সেই সাথে আজকাল অনেকেরই অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা আছে যেটা অনেকেরই ভালো নাও লাগতে  পারে, তাই হেয়ার কালারিং করতে হয়।পার্লারগুলোতে সুন্দর করে হেয়ার কালার করা যায়। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ  এবং অনেকের কাছেই ব্যয়বহুল। আমি  আমার  চুলের দৈর্ঘ্যের কথা যদি  বলি তাহলে  পার্লারে বেসিক হেয়ার কালার করাতেই  আমাকে কমপক্ষে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার  টাকা গুণতে হবে।আজকে আমি নিজে যেভাবে ঘরে  বসে হেয়ার কালার করি, সেটাই স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে একনজরে  দেখে  নেয়া  যাক, বাসায়  বসে চুলকে সম্পূর্ণ নতুন একটা লুক দিতে হেয়ার কালারিং  করতে  চাইলে আপনার কী কী লাগবে –

 [picture]

(১) হেয়ার কালার (আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডের  এবং  চুলের  দৈর্ঘ্য  অনুযায়ী ,  আমি  গার্নিয়ার  কালার  ন্যাচারালসের  ৩.১৬ বার্গেন্ডি শেইড-টা ব্যবহার  করেছি,  মূল্য ১২৯/- টাকা মাত্র)

(২) আয়না

(৩) মোটা এবং চিকন দাঁতের চিরুনি

(৪) অনেকগুলো হেয়ারক্লিপ

(৫) পুরাতন টি শার্ট এবং তোয়ালে

(৬) একটি নন মেটালিক বাটি/প্লাস্টিকের অথবা কাঁচের বাটি

(৭) চুলে রঙ করার উপযোগী ব্রাশ এবং একটি পুরোনো পরিষ্কার টুথব্রাশ

(৮) ওয়েট ওয়াইপস / ভেজা টিস্যু

(৯) ভ্যাসেলিন

(১০) শ্যাম্পু

(১১) কন্ডিশনার

তো সব উপকরণ হাতের কাছে নিয়ে রেডি? তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

স্টেপ ১ : পূর্ব প্রস্তুতি

আমি আগের রাতে আমার চুল শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম, কন্ডিশনার দেইনি, কারণ পরিষ্কার চুল ছাড়া চুলে ভালোভাবে কালার বসবে না। আমার  চুল কোমর অব্দি লম্বা।আমি  তাই গার্নিয়ার কালার ন্যাচারালস এর ৩.১৬ বার্গেন্ডি শেইডের দুটো প্যাকেট কিনে এনে রেখেছিলাম।প্যাকেটের ভিতর ইন্সট্রাকশন মেন্যুসহ চারটি জিনিস আছে - ডেভেলপার, কালারেন্ট, কন্ডিশনার এবং এক জোড়া হ্যান্ডগ্লাভস। আমি  হেয়ারলাইন, কানের পাশে ভ্যাসেলিন দিয়ে নিলাম কোটিং এর জন্য যেন হেয়ার কালার থেকে আমার স্কিন-টা প্রোটেক্টেড থাকে। আমি পুরোনো একটা টিশার্ট পড়ে নিয়েছিলাম আগেই যাতে রঙ লেগে গেলেও অসুবিধে নেই। সেই সাথে তার উপর ভালোভাবে একটা পুরাতন তোয়ালেও জড়িয়ে নিয়ে গলার কাছে ছোট একটা  পাঞ্চক্লিপ দিয়ে আটকে  দিলাম এবং হাতে  হ্যান্ডগ্লাভগুলো পরে নিলাম।

garnier hair color 3

স্টেপ ২ : হেয়ার কালার প্রিপেয়ারিং

এবার আমি একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্যাকেটের ভেতরে থাকা ডেভেলপার এবং কালারেন্ট এর টিউব খুলে ভালোভাবে হেয়ার কালারিং ব্রাশের সাহায্যে মিক্স করে নিলাম।এবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে তারপর চিকন দাঁতের  চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট হেয়ারক্লিপ দিয়ে আটকে নিলাম।

garnier hair color 2

garnier hair color 1

স্টেপ ৩ : হেয়ার কালার অ্যাপ্লায়িং

আমি পেছন থেকে সামনের দিকে কালারিং করাটা প্রেফার করি, তাই পেছনের চুল থেকে স্টার্ট করলাম। ছোট ছোট সেকশনে চুল নিয়ে হেয়ার কালারিং ব্রাশে হেয়ার কালার লাগিয়ে আস্তে আস্তে চুলের গোড়ার কাছ থেকে আগা পর্যন্ত কালার করতে শুরু করলাম।মাথার স্কাল্পে যেন হেয়ার কালার না লাগে সেদিকে সতর্ক  থাকতে  হবে। এভাবে ছোট ছোট সেকশনে অল্প অল্প করে চুল নিয়ে সব চুল আস্তে আস্তে কালার করে  নিলাম। আমার সামনের চুলগুলো লেয়ার করে কাটা, তাই  সামনের  চুল  বেশি  দেখা  যায়  বলে  আরেকবার  কালার  অ্যাপ্লাই  করলাম ।  সেই  সাথে  চুলগুলো চিরুনি দিয়ে সোজা করে আঁচড়ে নিলাম। এক আধটু কালার তো এদিক সেদিক স্কিনে লেগেছেই, সেগুলো ওয়েট ওয়াপস দিয়ে মুছে নিলাম। কালার করা শেষ হলে ঘড়ি ধরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

স্টেপ ৪ : ওয়াশিং অ্যান্ড কন্ডিশনিং

৩০ মিনিট শেষ হবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিলাম। এবার পালা কন্ডিশনার লাগানোর যেহেতু আমি আগেই বলেছি আমার চুল লম্বা, তো আমার কন্ডিশনার ও একটু বেশি লাগে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে গার্নিয়ারের আল্ট্রা ব্লেন্ড সিরিজের শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার  ব্যবহার করছি,  যেগুলো প্যারাবেন ফ্রি।এই মুহূর্তে ইউজ করছি ওদের রয়াল জেলি অ্যান্ড ল্যাভেন্ডার ফ্লেভারের অ্যান্টি   হেয়ার ফল  শ্যাম্পু  এবং  কন্ডিশনার।  তো চুলের  গোড়া বাদে  পুরো মাথার  সব চুলে  কন্ডিশনার লাগিয়ে নিলাম এবং ৭-৮  মিনিট  পর  ঠাণ্ডা  পানি দিয়ে  ভালোভাবে  চুল  ধুয়ে  নিলাম ।  তারপর  পুরানো  টিশার্ট  দিয়ে  চেপে  চেপে  চুল  মুছে  ফ্যানের  বাতাসে  চুল  শুকিয়ে নিলাম। All done!

আমার অভিজ্ঞতা :

  • আমার একটা ছোট বেবি আছে যাকে রেখে আমি কোথাওই যেতে পারি না ,  তাই  পার্লারে  গিয়ে  ঘণ্টাখানেক  সময়  নিয়ে  হেয়ার  কালার করাটা  আমার অপশনের  ভিতরেই পড়ে না। তাই বাসায় বসে হেয়ার  কালারিং  আমার  কাছে খুব  কনভেনিয়েন্ট একটা অপশন।
  • মার্কেটে অনেক ব্র্যান্ডেরই এবং অনেক শেইডের হেয়ার কালার আছে, আপনার বাজেট এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী  আপনার কাছে যেটা  ভালো মনে হবে আপনি ইচ্ছেমতো সেটা কিনে নিতে পারেন।  আমাদের দেশে এখন যে হেয়ার কালারগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর  মধ্যে  আমার  কাছে গার্নিয়ারের  কালার ন্যাচারালস রেইঞ্জের প্রোডাক্টগুলো কোয়ালিটি, অনেকগুলো শেইডের অ্যাভেইলেবিলিটি এবং প্রাইসের দিক থেকে বেশ ভালো মনে হয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলোতে অলিভ অয়েল এবং সুইট আমন্ড অয়েল যোগ করা  হয়েছে  যেন  চুলগুলো বেটার নারিশমেন্ট পায়। আমার  ব্যক্তিগত  পছন্দের হচ্ছে  বারগেন্ডি এবং মেহগনি শেইড দুটো।
  • সময় এবং খরচ দুটোই বেঁচে যাচ্ছে এবং আমি হেয়ার কালারিং, শ্যাম্পুইং এবং কন্ডিশনিং এর জন্য আমার পছন্দের প্রতিটা প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারছি যা আমার হেয়ার  টাইপকে স্যুট করে। এ মুহূর্তে আমার গার্নিয়ারের হেয়ার কেয়ার  রেইঞ্জের প্রোডাক্টগুলো বেশ স্যুট  করছে এবং ওগুলো একদমই  বাজেট ফ্রেন্ডলি। যেহেতু হেয়ার কালারিং-র পর প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী, এবং হেয়ার কালারিং এর কারণে চুল পড়ার প্রবণতা ও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে,  তাই বাড়তি  সতর্কতা  হিসেবে আমি নিয়মিত স্কাল্পে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ম্যাসাজ করছি, মাঝেমাঝে ডীপ কন্ডিশনিং হারবাল  প্রোটিন  প্যাক  (ডিম+টকদই+কলা)  লাগাচ্ছি এবং গার্নিয়ার আল্ট্রা ব্লেন্ডস রয়াল জেলি অ্যান্ড  ল্যাভেন্ডার অ্যান্টি হেয়ারফল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার  ব্যবহার করছি।

দেখলেন তো? কত অল্প সময় এবং স্বল্প খরচে বাসায় বসে সহজেই হেয়ার কালারিং এবং তারপর চুলের নিয়মিত যত্ন  নেয়া যায়? শুধু প্রয়োজন  একটু  ধৈর্য  আর  একটু  সময় ।  তবে  আপনার  চুল  যদি  অনেক  ভঙ্গুর  আর  ড্যামেজড  হয় ,  এবং আপনার যদি হেয়ার কালারে  অ্যালার্জি  থাকে  তাহলে  হেয়ার  কালার  না  করাই  শ্রেয় ,  কানের  পেছনের  স্কিনে  কটনবাডে অল্প হেয়ারকালার লাগিয়ে আগে দেখে নিবেন কোন প্রকার ইরিটেশন হচ্ছে কিনা,  না হলে নিশ্চিন্তে   ব্যবহার করতে পারেন।

তো এই ঈদের আগে আপনারা ও কিন্তু বাসায় বসে এটা ট্রাই করতে পারেন, এবং ঈদে নতুন রাঙানো ঝলমলে উজ্জ্বল  চুলে সবাইকে  তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। আপনার চুল আপনার পুরো লুকটাকেই বদলে দিবে that's for sure!

Stay Beautiful, Stay Gorgeous. লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি  ]]>
26580 2017-06-22 16:29:03 2017-06-22 10:29:03 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a7%a7-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6873 heronsumi2017@gmail.com 108.162.219.77 2017-06-29 06:09:03 2017-06-29 00:09:03 1 0 0 akismet_history akismet_history akismet_as_submitted akismet_result
ঘরে তৈরি মাঠা http://www.shajgoj.com/2017/06/26588/ Thu, 22 Jun 2017 09:14:57 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26588 এসেছে পবিত্র রমজান, এই গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর দেহের প্রথম এবং প্রধান প্রয়োজন হচ্ছে হাইড্রেশন। আর তাই প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজনে রাখুন পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু ঘরে তৈরি মাঠা। খুব অল্প উপাদানে তৈরি এই আইটেমটি হোক আপনার গ্রীষ্মের রোজার সঙ্গী...

ভিডিও টিউটোরিয়াল -  সাজগোজ ডট কম 

]]>
26588 2017-06-22 15:14:57 2017-06-22 09:14:57 open open %e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a7%88%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
আচ্ছা, চুলে নারিকেল তেল দেয়া কী খুবই জরুরী? (পর্ব - ০১) http://www.shajgoj.com/2017/07/26613/ Sun, 02 Jul 2017 09:46:04 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26613 প্রশ্নটা বেসিকালি ১৩-৩০ বছর বয়সের নারী পুরুষের... কেন? মা বাবা চুলের লালচে আঠালো ভাব , আর ফেটে চৌচির হওয়া আগা দেখে রোজ ২-৩ বার বলবেন , কেন একটাবার মাথায় তেল দিচ্ছ না ? আর নিশ্চয়ই বারবার এটা শুনে বিরক্ত হননি এমন পাঠক খুব কমই আছেন? “আরেহ, আমার ক্লাস আছে, অফিস আছে, বাইরে যেতে হয় ,  তেল দিয়ে চপচপে হয়ে গেলে মানুষ হাসবে না ? উফ ১০ বার শ্যাম্পু করলেও তেল যায় না বাবা ! ”

অনেককে সরাসরি বলতেও শুনেছি ,

“তেল মেখে খ্যাত (!) হয়ে থাকতে ভালো লাগে না, আমার চুল থাকবে সিল্কি, ফুরফুরে... ”

আমি তো টিন এইজের অনেকটা সময় এই মাইন্ড সেট নিয়েই ছিলাম... আমার মা ধরে বেধেও মাথায় এক ফোঁটা নারিকেল তেল দিয়ে দিতে পারতেন না... নিশ্চয়ই অনেকেই আছেন আমার মতো তাই না ? “খ্যাত” হতে না চাওয়া একজন হিসেবে তাই প্রশ্ন করছি... নারিকেল তেল দেয়ার কি আসলেই দরকার আছে ? নাকি এটা শুধুই একটা মিথ... প্রাচীন কালের ভুল ধারণা ? তেল চপচপে না হয়েও সিল্কি ঘন কালো লম্বা চুল পাওয়ার কোন পরীক্ষিত শর্ট কাট কি আছে ? চলুন দেখি-

[picture]

ডিসক্লেইমার: আজকের লেখায় জ্ঞান দেব অনেক বেশি, আমি নিজে যেসব জিনিস বুঝতে পেরে খুব বিস্মিত হয়েছি, সেগুলো পাঠকদের জানানোই এর উদ্দেশ্য । জানি অনেকেই আসেন টিপস এবং শর্টকাটের জন্য । কিন্তু আমার মনে হয় , অন্ধভাবে কিছু ফলো না করে “কি করছি” ‘কেন করছি’ জানাটা আমাদের সবারই দরকার... আশা করি হেল্প হবে কিছুটা...

আজকের ব্যস্ত যুগের খুব পপুলার একটা জিনিস হচ্ছে , হেয়ার সিরাম , অনেক ব্র্যান্ড ড্রাই অয়েল নামেও বিক্রি করে এই জিনিস । ইন শর্ট , হেয়ার সিরাম প্রমিস করে , শ্যাম্পুর পরে একটু ভেজা চুলে ২-৩ ফোঁটা সিরাম আপনাকে দেবে সিল্কি চুল , যা সত্যিই হয় বটে , চুলের চেহারাই চেঞ্জ হয়ে যায় তাই না ? আমি ১৫-১৯ বছর বয়স পর্যন্ত টানা প্রতিবার শ্যাম্পুর পরে হেয়ার সিরাম ইউজ করেছি... আমাকে একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের খুব লয়াল কাস্টমার বলতে পারেন... বলাই বাহুল্য এত বছর আমি ভুলেও মাথায় তেল দেইনি... স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার নিয়ে একটু গভীরভাবে পড়াশোনা করার পর আমি বুঝতে শিখলাম - সিরাম , ড্রাই অয়েল, অনেক গুল ৫ মিনিট হেয়ার মাস্ক (মানে যা যা আমি দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নারিকেল তেলের শর্ট কাট হিসেবে ব্যবহার করেছি, সেগুলো আসলে কীভাবে কাজ করে , জানতে চান?

কীভাবে কাজ করে সিরাম/ ড্রাই অয়েল/ অন্যান্য তেলের সাবস্টিটিউট ?

সত্যি কথা বলি, আমরা যত যাই বলি না কেন, সবারই মনে আশা থাকে টাকা দিয়ে একটা কসমেটিক কিনে ইউজ করে কিছু না কিছু একটা রেজাল্ট দেখা... হাজার টাকা খরচ করে ২-৩ বার ইউজ করে চুলে কোন চেঞ্জই দেখলাম না । মন খারাপ করার মতো একটা বিষয় । আপনি কি এমন প্রোডাক্ট দ্বিতীয় বার টাকা দিয়ে কিনবেন? – না ।

এখন বলুনতো এক্ষেত্রে কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলো কি করবে ? মুনাফা করার জন্য তাদের দরকার এমন কোন প্রোডাক্ট , যা ২-৩ বার ইউজ করেই আপনি একটা রেজাল্ট দেখবেন ... ফলাফল, দ্বিতীয় বার দোকানে গিয়ে আবার ওটাই কিনবেন... কাস্টোমার ধরে রাখাটাই ব্যাবসার চ্যালেঞ্জ । তাই না?

আপনি কি চান? – সিল্কি, ফুরফুরে চুল...

আপনি কি চুলের বাহ্যিক চেহারার উন্নতি করার জন্য কয়েক ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন ? – না

এখন আসি ব্র্যান্ডের কথায়-

২-৩ বার ইউজে দর্শনীয় সিল্কি চুল পেলে কি আপনি আবারো তাদের প্রোডাক্টই কিনবেন - হ্যাঁ

৪-৫ বছর পর আপনার চুলের কি অবস্থা হল সেটা নিয়ে কি চিন্তা করার দরকার ব্র্যান্ডের আছে- না

এখন , উপরের উত্তরগুলো সত্যি হলে- কমসময়ে কাজ করে, কিন্তু দীর্ঘ দিন ব্যবহারের উপযোগী নয় , এমন কোন উপাদান কি ব্র্যান্ড তাদের হেয়ার সিরাম ড্রাই অয়েলে ইউজ করতে পারে ?

হ্যাঁ, ৪-৫ বছর পর আপনার চুলের স্বাস্থ্যের বারোটা বাজলেও মোস্ট লাইকলি, আপনি ভুলেও আপনার বিশ্বস্ত সিরাম-কে দোষ দেবেন না, তাই না ? এত দিনে তো আরও কতকিছুই হতে পারে । আর আপনার দেহের জন্য এসব উপাদান ক্ষতিকর নয়... সুতরাং, দোষ কি? ‘তেল মাখলে তুমি খ্যাত, তেল মাখলে স্মার্ট হওয়া যাবে না, ৩-৪ ঘণ্টা তেলের পেছনে না দিয়ে ৫ মিনিটে সিরাম/শ্যাম্পু/মাস্ক মেখে টিভি কমার্শিয়ালের মতো চুল পেয়ে যাও’- এসব হেডিং এর অ্যাড দেখিয়ে আপনার কাছে তেলের সাবস্টিটিউট বিক্রি করলে?

আপাত দৃষ্টিতে কোন দোষ নেই...তাই ভেবেছি, যতদিন তেলের বদলে, অমুক সিরাম, তমুক হেয়ার মাস্ক মেখেছি...  তেলের সাবস্টিটিউট হিসেবে বিখ্যাত কিছু ব্র্যান্ড অনেক প্রোডাক্টই মার্কেটে এনেছে, আমার নিশ্চয়ই নাম ধরে কিছু বলার দরকার নেই, বুঝতেই পারছেন...

এসব প্রোডাক্টের মেইন উপাদান মূলত দুটি- (১) সিলিকন  ,  (২) মিনারেল অয়েল, সিলিকনের পরিমাণই থাকে প্রচুর পরিমাণ... সিলিকন কি? – খুব সহজে বুঝিয়ে বলতে গেলে , এটা অনেকটা প্লাস্টিকের মতো । হাতের উপর প্লাস্টিকের গ্লোভস পরে যেমন হাত ভেজানো যায় না তেমনি সিলিকন খুব দ্রুত চুলের উপরে একটা নিশ্ছিদ্র আবরণ তৈরি করে যা ভেদ করা যায় না...

মিনারেল অয়েলও বেসিকালি সেইম কাজই করে, মিনারেল অয়েল এসব সিরামে কাজ করে বাহক হিসেবে, এতে খুব সহজে, বিভিন্ন সিলিকন যৌগ মিশিয়ে দেয়া যায়... বলাই বাহুল্য, দুটো উপাদানের দামই খুব কম । সো, প্রোডাক্ট তৈরিতে খরচ হয় না খুব বেশি...

একটু কাছ থেকে ব্যাপারটা বোঝা যাক - নিচের ছবিটি , মানুষের চুলের সেকশন, চুলের তিনটি অংশের নাম জেনে নিন-

coconut-oil pic 1

চুলের সবচেয়ে বাইরের অংশটার নাম হচ্ছে ‘কিউটিকল’ এর কাজ কি ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন। আর নিচের ছবিটি একটি সাধারন চুলের, যাতে তেল, সিরাম কিছুই দেয়া হয়নি।

coconut-oil pic 2

চুলের বাইরের মাছের আঁশের মতন জিনিসগুলোই কিউটিকল... দেখতে কি এবড়োথেবড়ো লাগছে না? বলুনতো, এমন এবড়ো থেবড়ো একটা জিনিসের উপর, যেমন ধরি গাছের গুড়ি, তার উপরে আলো পড়লে কি আলো প্রতিফলিত হবে ? – না হবে না । কখনও হয় না । কিন্তু, জিনিসটা যদি খুব স্মুদ হয় ? যেমন- সিল্কের কাপড়/ কাঁচ ? কি আলো ঠিকরে চলে আসবে ? – হ্যাঁ । সিল্কের কাপড়ে সবসময় একটা চকচকে ভাব থাকে তাই না ?

আমরা কি চাইছিলাম মনে আছে তো ?

– চুলটা চকচক করুক তাই তো? সেটাকেই তো সিল্কি বলে... যা দেখতে সিল্কের মতন...

কি মনে হচ্ছে ? কোনভাবে যদি এবড়ো থেবড়ো কিউটিকল-গুলো সমান করে দেয়া যায় তাহলেই তো চুল চক চক করবে... রাইট? – হ্যাঁ, অবশ্যই । এই কাজটা করার একটা সহজ উপায় হল -

চুলের উপরে পলিথিনের মতো কিছু একটা জড়িয়ে দিলাম... সেটাও স্মুদ । কিউটিকল গোল্লায় যাক... তার লাইনে আশার দরকার নেই। আমার চুল সিল্কি হলেই হল । তাই তো?

আমি সেটাই করলাম... চুলে ২-৩ ফোঁটা সিরাম মেখে নিলাম । চুলের উপরে সিলিকনের একটা আস্তর পড়ে গেল... খুবই মসৃণ আস্তর । চুলে এখন আলো পড়লেই তা ঠিকরে যাবে । চুল লাগবে সিল্কি... খুব সহজ সমাধান... আরও মজার ব্যাপার- এবড়ো থেবড়ো সুতা ফেলে রাখলে তাতে জটা তো পাকাবেই তাই না ? কিন্তু সুতা গুলো যদি সিল্কের হয় ? খুব স্মুদ হওয়ার কারণে জটা তেমন লাগে না । পিছলে পিছলে যায় তাই না ? আর এটা চুলের জন্যও সত্যি । চুলটাকে পিচ্ছিল বানিয়ে ফেললে চুলে জটা লাগাও কমে যাবে তাই না ? –ঠিক তাই? এক ঢিলে দুই পাখি... সিলিকনের লেয়ার দেয়া চুলের অবস্থাটা হয় এরকম-

coconut-oil pic 3

আগের থেকে স্মুদ না ? সিলিকনের কোটিং এ কিউটিকলের আঁকাবাঁকা হওয়ার জো নেই...

কতো হেয়ার সিরামের অ্যাড দেখেছেন, চুলে চিরুনি পিছলে যাচ্ছে এমন দেখাচ্ছে বলুনতো? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সিরাম মাখার পর আমার চুলে খোপা করেও রাখা যেত না । চুল এতই সিল্কি যে খোপা খুলে যেত (!!) আমি তো মহাখুশি... !!!

কি পরিচিত লাগছে ? এমনটা অনেকেই দেখেছেন নিশ্চয়ই?

মজার ব্যাপার হল , কিছুদিন যখন আপনি পরপর এসব সিলিকনে ভরা সিরাম ইউজ করেন , একটা ঘটনা ঘটে , সেটা হল- একবার শ্যাম্পুতে সব সিরাম ধুয়ে যায় না ... এবড়োথেবড়ো কিউটিকলের ফাঁকে তারা আটকা পড়ে থাকে... আর আমরা সপ্তাহে ৩-৪ বার শ্যাম্পু করে সিরাম মাখি... প্রতিবারই সিলিকন জমা হতে থাকে এভাবে জমতে জমতে চুলের বাইরে মোটামুটি পার্মানেন্ট একটা সিলিকন লেয়ার পড়ে যায়...

আর তখন কিছু ঘটনা ঘটে- ১। চুলের উপরে রেইনকোট চলে আশায় , চুলে পানি ঢুকতে পারে না,  এমনকি যখন গোসল করছেন তখনো না ।

coconut-oil pic 4 নরমাল চুলে এমনটা হয়, চুলের ভেতরে কিছু পানি থাকে, যখন আপনি গোসল করেন বাইরে থেকে পানি এসে চুলের আদ্রতা বজায় রাখে... আর চুলের উপরে সিলিকন আর মিনারেল অয়েলের আস্তর পড়ে থাকলে কি হয় দেখি-

coconut-oil pic 5

সবুজ কণাগুলো সিলিকন, কি করছে সে দেখতে পাচ্ছেন? কিউটিকলের ফাঁকায় চলে গিয়ে বাইরে থেকে পানি আসার পথ বন্ধ করে দিচ্ছে...

২। ফলাফল, চুলের ভেতরে আদ্রতা না ঢুকতে পারার কারণে চুলের ভিতরের ‘কর্টেক্স’ অংশ শুকাতে থাকে, এবং দুর্বল হতে শুরু করে । চুলের কিউটিকল-গুলো আগে একটু এবড়ো থেবড়ো হয়ে থাকতো, এখানে সেখানে সিলিকন জমে এখন সে পুরই উদ্ভ্রান্ত হয়ে যায়... এই অবস্থাকে আমরা বলি,  ‘চুলটা রুক্ষ হয়ে গেছে’

৩। এমনকি মাথার নিজের তৈরি করা সেবাম, যা চুলের কিউটিকল গুলো গুছিয়ে রেখে চুলকে সত্যিই স্মুদ করে, সেটাও চুলকে ছুঁতেও পারে না... দীর্ঘদিন এসব প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর চুলের চেহারা হয় নিচের ছবির মতো -

coconut-oil pic 6 কি? অবস্থাটা কি আগের থেকে ভালো নাকি খারাপ?

চুলের অবস্থা যখন এমনটা হয় তখন কি কি হয় জানেন?

ধরুন আপনি এসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, একদিন শ্যাম্পু করলেন, কিন্তু শ্যাম্পুর পরে সেদিন সিরাম দিলেন না, তখন চুল শুকানোর সাথে সাথে দলা পাকিয়ে যাবে... কোন ভাবেই দলা ছাড়াতে পারবেন না। চুলের মধ্যে আঙ্গুল দিলে আঙ্গুল আটকে যাবে এমন অবস্থা... চুল ছাড়া রেখে বাইরে গেলে তো সর্বনাশ, বাতাসে চুল এলোমেলো হয়ে গেলে একবার সেই ভুতের মতো চুলের জটা ছাড়াতে চুল টেনে টেনে ছেড়া ছাড়া গতি থাকবে না...

এই চুলের আমাদের দেশে একটা স্পেশাল নাম আছে, তা হল- চুল আঠা হয়ে যাওয়া। উপসর্গগুলো চেনা চেনা লাগছে? রোজ কতো প্রশ্ন দেখি, ‘আপু, চুল আঠা আঠা হয়ে থাকে, কতো যত্ন নেই... কিন্তু চুলে চিরুনি দিলেই চুল ছেড়ে, চুল পড়ে...’ – আপনার নিজের কি কখনও এই কথাগুলো মনে হয়েছে?

একবারে অনেক বেশি কথা বলে ফেলছি... লেখার প্রথম পর্ব শেষ করব কিছু সহজ প্রশ্ন দিয়ে, আচ্ছা, আমরা তেল, হারবাল ঘরোয়া মাস্ক মাখি কেন আসলে? ওই জিনিসে থাকা পুষ্টিগুলো যেন চুলের মধ্যে গিয়ে চুল শক্ত, মজবুত করতে হেল্প করে তাই না ?

স্কিনের ডাক্তাররা বলেন- এসব জিনিস চুলের উপরের লেয়ারটা স্মুদ করে, চুলের ভেতরে গিয়ে শক্তি দেয়... কীভাবে? সেটা নিয়ে পরের পর্বে আলাপ করব...

কিন্তু এখন বলুনতো- আমার চুলের উপরে একটা প্লাস্টিকের লেয়ার পড়ে আছে, এসব ঘরোয়া মাস্ক/ তেল/ পানি কি আমার চুল ছুঁতে পারবে? যদি ছুঁতে না পারে, তাহলে প্লাস্টিকে মোড়ানো চুলে মেহেদি, ডিম, কলা, আমলকী মাখা কি উলুবনে মুক্তা ছড়ানো হয়ে যায় না?

লিখেছেন - তাবাসসুম মিম

আচ্ছা, চুলে নারিকেল তেল দেয়া কী খুবই জরুরী? (পর্ব - ০২)

]]>
26613 2017-07-02 15:46:04 2017-07-02 09:46:04 open open %e0%a6%86%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a6%be-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%a6%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6876 Shumi1035@yahoo.com 162.158.165.17 2017-07-04 00:41:27 2017-07-03 18:41:27 1 0 0 akismet_history akismet_as_submitted akismet_result akismet_history 6878 http://www.shajgoj.com/2017/07/26651/ 172.68.254.13 2017-07-05 11:52:28 2017-07-05 05:52:28 trash pingback 0 0 akismet_as_submitted akismet_result akismet_history _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time akismet_history
ফুল কভারেজ মেকাপ মাত্র ৫ টি প্রোডাক্টেই ! http://www.shajgoj.com/2017/07/26628/ Mon, 03 Jul 2017 04:13:33 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26628 ইন্টারনেটে যখন আমরা মেকাপ টিউটোরিয়ালগুলো দেখি, তখন অনেকেই ভাবি, "বাব্বাহ!  মেকাপ করতে এতো কিছু লাগে! "

আসলে পারফেক্টভাবে মেকাপ করতে অনেক কিছুই দরকার হয় । যদি একটু বুদ্ধি খাটানো যায় তাহলে মাত্র ৫ টি প্রোডাক্ট দিয়েও সুন্দরভাবে মেকাপ কম্পলিট করা সম্ভব ।  কীভাবে?? চলুন জেনে নিই ।

পারফেক্ট-ভাবে মেকাপ করে নিতে হলে যে ৫ টি প্রোডাক্ট প্রয়োজন পড়বে তা হলো -

(১) ফুল কভারেজ কনসিলার (২) ফেস পাউডার (৩) ন্যাচারাল/ নিউট্রাল / নুড শেডের আইশ্যাডো প্যালেট (৪) মাশকারা (৫) লিপস্টিক

[picture]

এবারে চলুন জেনে নিই , কীভাবে মেকাপটা করবেন ?

১. মেকাপের শুরুতেই লাগিয়ে নিবেন ফুল কভারেজ কনসিলারটি । ব্রাশ/ বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে চেপে চেপে কনসিলারটি  ব্লেন্ড করে নিবেন পুরো ফেস এবং  গলায় । ফুল কভারেজ বলেছি এই কারণে যে , ফুল কভারেজ কনসিলার ফেস এর ইম্পারফেকশন-গুলো সুন্দরভাবে ঢেকে দেবে এবং সুন্দর একটা বেইজ তৈরি করবে । কনসিলারটি স্কিন শেডের থেকে মাত্র এক শেড লাইট কিনবেন । এতে হাইলাইটিং এর কাজ ও হয়ে যাবে । যেহেতু আমরা পরে কন্টুরিং করবো ।  সেহেতু  দেখতে খুব একটা খারাপ লাগবে না এবং ফিক্স করে ফেলা যাবে।

২. কনসিলার লাগানোর পর সেটা সেট করে নিতে ব্যবহার করুন, ফেইস পাউডার। একটা ব্রাশের সাহায্যে পাউডার লাগিয়ে নিন ফেইস এবং গলায়।

৩. এবার কন্টুরিং-এর পালা। আর এটা করবো  আইশ্যাডো প্যালেট দিয়ে। আইশ্যাডো প্যালেটটির আইশ্যাডোগুলো ন্যাচারাল/ নিউট্রাল ধরণের হয়। সেটা দেখে কিনবেন। যেমন - ব্রাউন , ব্লাক , শিমারী গোল্ডেন , শ্যাম্পেইন এই ধরণের কালারগুলো যেন থাকে সেটা খেয়াল রাখবেন।

আইশ্যাডো প্যালেটের ব্রাউন/ডার্ক ব্রাউন কালারটি একটি ব্রাশে নিয়ে আপনার চিক বোনের নিচে , কপালে হেয়ার লাইনে , নাকের দু'পাশে , থুঁতনির নিচের দিকে লাগিয়ে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এই ব্রাউন আইশ্যাডো-টিই কন্টুরিং পাউডার হিসেবে কাজ করবে।

৪. এবার ব্লাশ লাগাতে হবে।  কিন্তু লিস্ট-এ তো কোনো ব্লাশ অন-এর কথা লিখিনি। তাহলে কী করে!!!

চিন্তা কি ? আপনার লিপস্টিকটি তো আছে। লিপস্টিক কিনবেন এমন কালারের , যেটা ব্লাশ অন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যেমন- পিংক , কোরাল , পিচ , মভ ইত্যাদি। একটুখানি লিপস্টিক নিয়ে গালে লাগান এবং হাতের সাহায্যেই ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস।

sleek-midsummers-dream-palette-tutorial

৫. এবার সময় হয়েছে পাউডার হাইলাইটিং করার। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করবেন আপনার আইশ্যাডো প্যালেটটি। প্যালেটে থাকা শ্যাম্পেইন / রোজ গোল্ড টাইপের শিমারী কালারগুলো দিয়েই হাইলাইটিং করতে পারবেন। একটি ব্রাশে আইশ্যাডো নিয়ে আপনার চিক বোন , নাকের উপরের হাড়ে , কপালে , আইব্রো বোন , চোখের ইনার কর্নার , থুতনিতে লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ড করে ফেলুন।

৬. ফেইস মেকাপ তো শেষ। এবার চলে যাওয়া যাক , আই মেকাপে। আইমেকাপের শুরুতেই আইব্রো এঁকে নিতে হবে। এজন্য  আইশ্যাডো প্যালেটের ডার্ক ব্রাউন এবং ব্লাক কালারটি মিক্স করে একটি চিকন অ্যাঙ্গেল্ড ব্রাশ নিয়ে তার সাহায্যে ছোট ছোট স্ট্রোকের একে আইব্রোগুলো শেপ করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, ব্লাক কালারটি যেন খুব অল্প পরিমানে ব্যবহার করা হয়।

৭. এবার আইশ্যাডো প্যালেট দিয়ে চোখে পছন্দ মতো আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন।

৮. এরপর আই লাইনার লাগাতে হবে। এজন্য ব্লাক আইশ্যাডোটিই সেই অ্যাঙ্গেল্ড ব্রাশে নিয়ে চোখে লাইনারের মতো করে লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া মাশকারা  তো আছে। মাশাকারা ওয়ান্ড থেকে অল্প একটু মাশকারা নিয়ে সেই একই ব্রাশের সাহায্যে আই লাইনিং করে নিন চোখে। এটা আইলাইনারের মতোই কাজ দিবে।

৯. এরপর চোখে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নিবেন। ব্যস, চোখের মেকাপ ও কমপ্লিট।

১০. এবারে মেকাপের শেষ ধাপ। আর সেটা হলো, লিপস্টিক। এটিও ঠোঁটে লাগিয়ে নিয়ে আপনার পুরো মেকাপটি শেষ করুন।

জেনে নিলেন তো,  কীভাবে একগাদা মেকাপ প্রোডাক্ট না কিনেও মাত্র ৫ টি প্রোডাক্ট দিয়ে পারফেক্টভাবে পুরো মেকাপ কমপ্লিট করা যায়। একবার ট্রাই করেই দেখুন না!

ছবি - গ্লসিবক্স ডট কম , পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
26628 2017-07-03 10:13:33 2017-07-03 04:13:33 open open %e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%95%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a7%ab-%e0%a6%9f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
এগ অ্যান্ড ভেজিটেবল মোমোর সাথে পুদিনা পাতার মজাদার চাটনি http://www.shajgoj.com/2017/07/26634/ Mon, 03 Jul 2017 04:44:13 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26634 বাসায় হঠাৎ মেহমান এসেছে ? ঘরে তেমন কিছু নেই ? বাচ্চা ডিম , সবজি খেতে অনীহা প্রকাশ করে ? স্কুলের টিফিন মেন্যুতে নতুন কী দেয়া যায় খুঁজে পাচ্ছেন না ? হাতে সময় এবং উপকরণ দুটোই কম , কিন্তু একই সাথে টেস্টি আর হেলদি কিছু বানাতে চান ? আজকে এমনই খুব সহজ একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি যেটা ঝটপট বানানো যাবে , খুবই সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে , সেটা হলো এগ অ্যান্ড ভেজিটেবল মোমো । চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক, এটা বানাতে আমাদের কী কী লাগবে -

(১) ময়দা / আটা - ২ কাপ (২) পরিমাণ মতো লবণ (৩) আধ চা চামচ বেকিং পাউডার (৪) এক কাপ কোরানো গাজর (৫) এক কাপ কোরানো আলু (৬) এক কাপ কোরানো বাঁধাকপি (৭) আধ কাপ মটরশুঁটি (৮) দু'টো ডিম (৯) ২ টেবিল চামচ ভোজ্য তেল (১০) পৌনে এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি (১১) আধা চা চামচ আদা-রসুন বাটা (১২) ৩ - ৪ টা কাঁচামরিচ (১৩) ১ চা চামচ সয়াসস

কীভাবে বানাবো ?

- প্রথমে ময়দা/আটার সাথে বেকিং পাউডার আর লবণ দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো গরম পানি ঢেলে ময়ানটা ভালো করে মেখে ডো তৈরি করে নিন ।  মাখানো হলে ডো-টা ঢেকে চুলার পাশে হালকা গরম জায়গায় এক ঘণ্টার জন্য রেখে দিন ।

[picture]

- এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে ডিমটা ঝুড়িঝুড়ি করে ভেজে তুলে একটা বাটিতে রেখে দিন, তারপর কড়াইয়ে আরেকটু তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি , কাঁচামরিচ কুঁচি, আদা-রসুন বাটা, কোরানো আলু, গাজর, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি আর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে ১০ মিনিট নেড়েচেড়ে রান্না করে নিন । নামানোর আগে তাতে এক চা চামচ সয়াসস আর সেই ঝুড়িঝুড়ি করে রাখা ডিম মিক্স করে নিন ।

- এবার ডো থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে ছোট ছোট করে রুটি বেলে নিন । এবার তার ভিতরে ডিম আর সবজির পুরটা ভরে মোমোর শেইপে ভাঁজ করে আটকে নিন ।

- এবার স্টীম দেয়ার পালা ।  একটা বড় হাড়িতে পানি ফুটাতে দিন, পানি ফুটে উঠলে হাড়ির মুখে একটা স্টিলের চালুনি বসিয়ে তাতে সামান্য তেল ব্রাশ করে/আঙ্গুল দিয়ে মাখিয়ে একটা একটা করে মোমো বসিয়ে দিন । এবং উপরে একটা বড় স্টিল/অ্যালুমিনিয়ামের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন ।  ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মোমো তৈরি হয়ে যাবে । বিকল্প হিসেবে রাইস কুকারে ও বানাতে পারেন ।  রাইস কুকারের সাথে যে ছিদ্রওয়ালা ঢাকনা থাকে তার উপরে বসিয়ে দিয়ে রাইস-কুকারের ঢাকনা বন্ধ করলেও ঝটপট মোমো তৈরি করা যায় ।

03recipehealth_600-articleLarge

পুদিনা পাতার চাটনি বানাতে যা যা লাগবে -

(১) আধ কাপ পুদিনা পাতা (২) ৩ টা কাঁচামরিচ (৩) আধা চা চামচ চিনি (৪) ৩ চা চামচ তেতুলের রস (৫) পরিমাণ মতো বিটলবণ (৬) ১ চা চামচ রসুন বাটা

- সব উপকরণ বেটে নিয়ে অথবা ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার পুদিনা পাতার চাটনি।

মোমো বানিয়ে গরম গরম পরিবেশনের সময় সাথে পুদিনা পাতার চাটনিটা দিয়ে পরিবেশন করুন ।  আশা করি , বাসায় এই সহজ রেসিপিটি ট্রাই করবেন ।  সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন । ছবি - হাংরিফরএভার ডট কম লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি]]>
26634 2017-07-03 10:44:13 2017-07-03 04:44:13 open open %e0%a6%8f%e0%a6%97-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%ae%e0%a7%8b publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ত্বক ও চুলের যত্নে টি ট্রি অয়েলের অসাধারণ কিছু ব্যবহার http://www.shajgoj.com/2017/07/26641/ Tue, 04 Jul 2017 06:42:39 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26641 ত্বক এবং চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরণের অয়েলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা কমবেশী সবাই জানি। টি ট্রি অয়েল সৌন্দর্যের জগতে তেমনই একটি নাম। আর এই অয়েলের গুণ সম্পর্কেও আমাদের অজানা নয়। টি ট্রি অয়েলকে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং ন্যাচারাল অ্যান্টি সেফটিক বলা হয়। স্কিন এবং হেয়ার কেয়ারে এই অয়েলটি অনেক বেশি উপকারী এবং কার্যকরী। চলুন জেনে নিই, স্কিন এবং হেয়ার কেয়ারে টি ট্রি অয়েলের কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

ত্বকের যত্নে টি ট্রি অয়েল :

(১) ড্রাই স্কিন। যারা  এই ড্রাই স্কিনের অধিকারী,  তাদের তো স্কিন রুক্ষ  হয়ে যাওয়া একটা সাধারন সমস্যা। রাতে মুখ ধুয়ে নিয়ে রাতের ময়েশ্চারাইজারের সাথে ৩-৪ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন এবং এটা পুরো মুখে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে সফট সফট স্কিন পেয়ে যাবেন।

(২) ব্রণ সারাতে টি ট্রি অয়েল অনেক পরিচিত।  ব্রণ সারিয়ে তুলতে, একটি কটন প্যাড নরমাল পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে, এতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিন। এই অয়েলটা আপনার ব্রণের এড়িয়াতে লাগিয়ে নিন। ৪০ মিনিট পর মুখ ফেইসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে রেগুলার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এভাবে কয়েকদিন চালিয়ে যান।

[picture]

(৩) স্কিনের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে টি ট্রি অয়েল অনেক উপকারী। এজন্যেএকটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন, হাফ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, হাফ চা চামচ মধু এবং ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

(৪) নখের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে এবং নখের ড্যামেজ দূর করতে,একটি বাটিতে নরমাল পানি নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। এই মিশ্রণে আপনার হাতের নখগুলো ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

(৫) যেকোনো ধরণের স্কিন ইরিটেশনে টি ট্রি অয়েল বেশ কাজে দেয়।  একটু অ্যালোভেরা জেল নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ড্রপ টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। যেকোনো স্কিন ইরিটেশন, র‍্যাশ এড়িয়ায় মিশ্রণটি ম্যাসাজ করুন।

(৬) অয়েলি স্কিনের জন্যে বেশ ভালো ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে টি ট্রি অয়েল। ১ চা চামচ মধুর সাথে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে পুরো ফেইস-এ ম্যাসাজ করুন। ১ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ব্রণের জন্যেও বেশ ভালো কাজ করে।

(৭) শরীরকে এক্সট্রা ফ্রেশ এবং ঝরঝরে অনুভুতি দিতে আপনার শাওয়ার জেল এর সাথে ১-২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন এবং গোসল সেরে নিন। ব্যস।

(৮) স্কিন ব্লেমিশ থাকলে, তাকে ছুটি দিয়ে দিন এখনই। ৪-৫ ফোঁটা লেবুর রসে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিক্স করে এটা ব্লেমিশ এড়িয়াতে লাগিয়ে নিন। দিনে ১ বার এই রেমেডি ফলো করুন।

(৯) এই গরমে ফেসিয়াল মিস্ট অনেক কাজে দেয়। ফেসিয়াল মিস্ট মুখে একটা ফ্রেশ ফিলিং এনে দেয়। ফেসিয়াল মিস্ট বানাতে, একটি স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে নিন। এর মধ্যে ৬-৭ ড্রপ টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। বোতলটি ঝাকিয়ে মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। ব্যস, আপনার ফেসিয়াল মিস্ট রেডি।

(১০) স্কিনের দাগ-ছোপ দূর করতে,একটি বাটিতে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১ চা চামচ মধু এবং ৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে মিক্স করে পুরো ফেস এ লাগান। ১৫-২০ মিনিট বাদে মাস্কটি ধুয়ে ফেলুন।

tea-tree-oil_l চুলের যত্নে টি ট্রি অয়েল :

(১) চুলে উকুন আমাদের জন্যে একটি বড় সমস্যা। একবার এই উকুন ছড়ালে সহজে যেতেই চায় না এবং বংশ বৃদ্ধি করতেই থাকে। উকুন তাড়াতে টি ট্রি অয়েল বেশ কাজের। ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সাথে ৪-৫ ড্রপ টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এটা পুরো চুলে ম্যাসাজ করে রাতে শুয়ে পড়ুন। পরদিন ভালোমতো শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২ দিন এটি ফলো করুন।

(২) খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে  কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে স্কাল্পে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

(৩) হেয়ার গ্রোথ বৃদ্ধি এবং চুলকে স্ট্রং বানাতে, টেবিল চামচ কুসুম গরম অলিভ অয়েলের সাথে ৫-৬ ড্রপ টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই  তেলটি রাতে মাথার স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। এই অয়েলে থাকা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপার্টিজ স্কাল্পের যে  কোনো ইনফেকশন দূর করে স্কাল্পের হেয়ার গ্রোথকে প্রোমোট করতে সাহায্য করবে।

 এই তো জেনে নিলেন, স্কিন এবং হেয়ার কেয়ারে টি ট্রি অয়েলের অসাধারণ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে। ভালো থাকুন।

 ছবি - অথোরিটিরেমিডিজ ডট কম, পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন - জান্নাতুল মৌ

]]>
26641 2017-07-04 12:42:39 2017-07-04 06:42:39 open open %e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95-%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিকেন অ্যান্ড মাশরুম পট পাই http://www.shajgoj.com/2017/07/26646/ Tue, 04 Jul 2017 07:21:20 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26646 লাঞ্চে রাখতে পারেন চিকেন অ্যান্ড মাশরুম পট পাই। কি নামটা পড়ে মনে হচ্ছে খুব কঠিন কিছু! পাফ পেস্ট্রি সিট ঘরে বানানো আমার কাছে খুবই কঠিন লাগে তাই আমি রেডিমেড দিয়েই করি ! ঘরে বসে সহজে নিজেই যেন তৈরি করতে পারেন তার জন্য দেখে নিন পুরো প্রণালী।

চিকেন অ্যান্ড মাশরুম পট পাই তৈরি করতে যা যা লাগবে-  

  • মুরগির মাংস ছোট কিউব / কিমা - ১ কাপ
  • মাশরুম ছোট কিউব - ২ কাপ
  • পেঁয়াজ কিউব - ২ কাপ
  • গোলমরিচ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
  • সিঙ্গেল ক্রিম - ২ টেবল চামচ( না দিয়েও করতে পারেন )
  • তেল - ২ টেবল চামচ
  • লবন স্বাদ মতো

[picture]

যেভাবে তৈরি করবেন -

- প্যান এ তেল দিয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কিউব দিন , হালকা নাড়াচাড়া করে মুরগির পিস/ কিমা দিন ( আমি এখানে কিমা দিয়েই করেছি ) সাথে দিন গোলমরিচ গুঁড়ো , মাশরুম কিউব আর ক্রিম দিয়ে ঝোলটা টেনে আসলে লবন স্বাদ মতো দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন ।

- আমি এখানে রেডিমেড পাফ পেস্ট্রি সিট দিয়ে পাই করেছি । এখন একটা ননস্টিক বেকিং প্যান / পাইরেক্স এর কাঁচের বাটিতে রান্না করা মিশ্রণটি নিন , বাটির / প্যানের চারদিকে ডিম লাগিয়ে নিন আর প্যানের সাইজ অনুযায়ী এবার রেডিমেড পাফ পেস্ট্রি সিটটা কেটে নিয়ে প্যানের উপরে সিল করে দিন।

- পাফ পেস্ট্রি সিট এর ঠিক মাঝ বরাবর ছুরি দিয়ে হালকা কেটে দিন যেন স্টিম বের হতে পারে । এবার পাফ পেস্ট্রি সিট এর উপর ডিম এর প্রলেপ দিয়ে ১৮০ডিগ্রি প্রিহিট করা ওভেনে বেক করুন ১২থেকে ১৫মিনিট ।

- হয়ে এলে নামিয়ে স্লাইস এর আকারে কেটে নিন সাথে কিছু স্টিম ভেজিটেবল দিয়ে পরিবেশন করুন।

ছবি ও রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ

]]>
26646 2017-07-04 13:21:20 2017-07-04 07:21:20 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%ae-%e0%a6%aa%e0%a6%9f-%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
আচ্ছা, চুলে নারিকেল তেল দেয়া কী খুবই জরুরী? (পর্ব - ০২) http://www.shajgoj.com/2017/07/26651/ Wed, 05 Jul 2017 05:52:26 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26651 ... গোঁড়ায় গলদ

এই পর্ব শুরু করার আগে বলে নেই, কোন প্রোডাক্টকে খারাপ প্রমাণ করা এই লেখার উদ্দেশ্য না। কি ইউজ করলে আসলে আপনার হেয়ারে কি ইফেক্ট পড়বে, সেটা আমি পড়াশোনা করে যা বুঝেছি সেটাই খুব সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করছি... ‘কি হবে’ তা নিয়ে তো সাজগোজে প্রচুর টিপস দেয়া হয়... আমি না হয় একটু, কীভাবে হবে, তা নিয়ে কথা বলি...

সিল্কি ঝলমলে চুলের মুল কাহিনী খুবই সহজ... চুলের উপরের লেয়ারটা (কিউটিকল) যতটা পারা যায় সমান করে রাখা... যার কিউটিকল যত বেশি মসৃণ, তার চুল তত ঝলমলে...

গত পর্বে, আমরা এই কাজটা করার খুব সহজ শর্টকাট সিলিকন-যুক্ত প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলেছি। সেগুলো কীভাবে কাজ করে জেনেছি...

যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই স্টার্ট করি?

তো, আপনি রোজ চুলে ৫ মিনিট মাস্ক, সিরাম, তেলের অল্টারনেটিভ লাগিয়ে অভ্যাস করে ফেলেছেন... একদিন শ্যাম্পু করে এগুলো কোনটাই ইউজ করলেন না, ফলে চুল আঠালো হয়ে গেল, জটা ছাড়াতে গিয়ে একগাদা চুল ছিঁড়ে গেল...

এখন আপনি কি করবেন?

চুলে মেহেদি দেবেন? সাজগোজেই চুলের মাস্কের হাজার হাজার রেসিপি আছে, কোনটা খুঁজে বের করে কোনটা ট্রাই করবেন?

কিন্তু কি বলেছিলাম? চুলের প্লাস্টিকের লেয়ার ভেদ করে চুলে হাত দিতে পারবে একটা মাস্কও? – না...

অনেকে নিজেই বুঝে গিয়েছেন তাই না?

এক্ষেত্রে আঠালো চুলের হাত থেকে মুক্তি পেতে আপনার যা যা করার আছে তা হল-

১। হয় অপেক্ষা করা... কয়েকমাস ধরে চুল শ্যাম্পু করে করে সিলিকনের লেয়ার ধুয়ে চুলের আসল চেহারা সামনে নিয়ে আসা। (আসল চেহারা কেমন ছিল মনে আছে তো? )

কিন্তু? এত ধৈর্য আমার থাকলে কি আর আমি সিরাম আর ৫ মিনিট মাস্কের প্রেমে পড়ে তেলের অল্টারনেটিভ কিনে আনি? অবশ্যই আমার এই ধৈর্য হয়নি...

২। পরের বার শ্যাম্পু করেই সিরাম মেখে ফেলা। এবং বুঝে যাওয়া, সিরাম/ সিলিকনে ভর্তি কন্ডিশনার মাস্ক না মাখলেই চুল আঠালো হয়ে যাবে... সুতরাং, স্পেশাল অকেশনে মাঝে মাঝে যে জিনিসটা ইউজ করার কথা ছিল- এখন আপনি এক সপ্তাহে ৩-৪ বার সেটা মাখছেন...

ফলাফল, চুলের উপরের কেমিকাল লেয়ার আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকা...

যেহেতু, বেশিরভাগ মানুষ ২ নাম্বারটাই বেছে নেবেন, সেহেতু যে ঘটনাটা ঘটবে তা হল-

-   আপনি পুরোপুরি সিরাম, সিলিকনে ভরা কন্ডিশনার, ১০০% মিনারেল অয়েলযুক্ত ড্রাই অয়েলের উপরে নির্ভরশীল হয়ে যাবেন... ২-৩ মাসে একটা করে প্রোডাক্ট কিনবেন... কসমেটিক  ব্র্যান্ড খুব কম খরচে লয়াল একজন কাস্টোমার পেয়ে যাবে... যে বারবার নিজের ক্ষতি করে নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে বোতল ভর্তি প্লাস্টিক (রূপক) কিনে নিয়ে যাচ্ছে...

[picture]

এখানে আপনার লাভ কি? 

কোন লাভ নেই...

আপনার লোকসান কি?

-   টাকা, একে তো ওই জিনিসগুলোই বারবার কিনবেন... দ্বিতীয়ত চুলের ড্যামেজ সারবে বলে এখন তেল, ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক এসব কিনে এনেছেন... অজথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাখার... কিন্তু রেইনকোট ভেদ করে বৃষ্টি যেমন গায়ে লাগে না, আপনার শখের মাস্ক, এক্সট্রা ভার্জিন তেলও সেভাবে চুল ছোঁয়ার চেষ্টা করেও পারে না... সো দুইভাবে আপনি হাজার হাজার টাকা জলে ফেলছেন... অনেকে তো পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট আরও কি কি যেন করাতে চলে যান... হিসাবটা বুঝতে পারছেন?

-   চুল, পানি, পুষ্টির অভাবে চুলের অবস্থা একে তো করুন... আঁচড়াতে গিয়ে একগাদা চুল ছিঁড়ে যাচ্ছে... এই সময়ে চুল ফাটাও শুরু হয়... ফাটা চুল লম্বা করা যায় না। আবার সিলিকন-যুক্ত শ্যাম্পু ইউজ করে স্কাল্পেও সিলিকনের লেয়ার পড়ে যায়... শুরু হয় খুশকি... চুলের গোঁড়ায় একই সাথে সিলিকন, খুশকি, এতে আটকা পড়া ময়লা ইত্যাদির যন্ত্রণায় ঘটে যায় সর্বশেষ ঘটনাটা,

চুলের ফলিকল-টা মরে যায়... আর চুলটা পড়ে যায়... এতদিন শুধু চুল আঠালো আর রুক্ষ ছিল... এখন চিরুনি ছোঁয়ালেই গোঁড়া থেকে চুল উঠে আসবে...

অনেকে চুলের গোঁড়ায় সাদা দানা মতো দেখেন... ওটা হচ্ছে, হেয়ার সেবামের পুটুলি... আপনার শখের শ্যাম্পু সিরামের যন্ত্রণায় যে রোমকূপ থেকে বেরই হতে পারেনি... দলা পাকিয়ে উল্টা চুলটাকেই গলা টিপে মেরে ফেলেছে...

তো এই হল, মোটামুটি তেলের বিকল্প শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, মাস্ক আর সিরামের পুরো কার্যকারিতা......

খুব নিশ্চিন্ত হয়ে বলতে পারছি এটাই হবে কারণ দীর্ঘ ৫-৬ বছর হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিদেশি প্রোডাক্ট ইউজ করে আমি আমার কোমর ছাড়ানো চুলের অর্ধেকের মতো হারিয়েছি... এবং আমি নিশ্চিত আমি একা নই, যে হঠাৎ করে দেখেছে, গাদা গাদা চুল অকারণে পড়ে যাচ্ছে... চুলের গোছা পাতলা হয়ে খুলি দেখা যাচ্ছে...

কয়জন এই ঘটনার দোষ পানি, পলিউশন এসবের উপরে চাপাতে চেয়েছেন বলুনতো? নিশ্চিত বলতে পারি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কালপ্রিট আপনার শখের নারিকেল তেলের সাবস্টিটিউট  ১০-১২ ধরণের সুন্দর সুন্দর নাম ওয়ালা চকচকে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের বোতলগুলো...

কিন্তু, এসব  প্রোডাক্টে তো লেখা থাকে এরা নারিকেল তেলের বদলে শ্যাম্পু কন্ডিশনারে ১০-১২ রকম তেল মিশিয়ে দেয় !! যা মাত্র ৫ মিনিটে চুলে পুরো হট অয়েল ম্যাসাজের ইফেক্ট দেয়!  কেন বলে?    

আচ্ছা ধরুন, আপনি একটা গাছ লাগিয়েছেন... গাছের গোঁড়াটা খুব ভালোভাবে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন... এখন আপনার ইচ্ছা গাছটাকে বড় করা, সুস্থ রাখা... অ্যান্ড বাজারে গিয়ে দেখলেন অনেক ধরণের নতুন সার, খুব কমপ্লেক্স নামযুক্ত কীটনাশক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে... আপনি শখের চারাটার জন্য অনেক টাকা দিয়ে ১০-১৫ ধরণের সার কিনে আনলেন... রোজ গাছে পানি দেন, সার কীটনাশক দেন... কিন্তু হঠাৎ দেখলেন ১০-১২ দিন পড়ে চারাটা মরে গেল... !

কেন এটা হল ? নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? সুদুর প্রাচ্যের ক্যামেলিয়া অয়েল, ম্যাজিকাল আরগান অয়েল... অর্গানিক নারিকেল তেল তখনি আপনার চুলকে পুষ্টি দেবে যখন আপনি এই অসাধারণ উপাদানগুলো আসলেই চুলে লাগাবেন... কিন্তু আপনি এমন কিছু প্রোডাক্ট ইউজ করছেন, যারা নিজেরাই আপনার চুলে একটা প্লাস্টিকের লেয়ার ফেলে দিয়ে আবার নিজেরাই ৭-১০ রকমের তেলের ম্যাজিক দেখানোর কথা বলছে... আর আপনি মিথ্যা সিলিকনের পর্দায় আলোর ঝলকানি দেখে ভাবছেন--- বাহ !! তেল না দিয়েও কেমন সিল্কি চুল পেয়ে গেলাম...!

আপনি যদি না জানেন, এইসব প্রোডাক্ট আসলে আপনার চুলে কি করছে, আপনি কি খুশি মনে বছরের পর বছর এসব প্রোডাক্ট ইউজ করবেন না? যদি করেনই, ব্র্যান্ডগুলো আপনাকে কেন এসব শর্ট কাট মেথড বিক্রি করে নিজেরা মুনাফা করবে না... ?

They aren’t here to educate you !  They are here to sell!

তারা আপনাকে দেবে-

WHAT YOU WANT…  NOT WHAT YOU NEED 

দুটোর মধ্যে কিন্তু তফাৎ আছে...

আর ৩-৪ বছর পর নিজের পাতলা ফিনফিনে চুলের গোছা নিয়ে আমার মতো হা-হুতাশ করছেন...

সরি, যা লিখছি ব্যাক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স থেকে লিখছিতো, আপনাদের হয়ত অনেক বেশিই বোর লাগছে...

আসুন আমরা চলে যাই নেক্সট টপিকে-

তাহলে, আমার দরকার তেল...

কিন্তু তেল এমন কি করে যা আধুনিক শ্যাম্পু কন্ডিশনার পারে না?

আপনার চুল বা ত্বক দুটোই কিন্তু ভেদ করা যায়... যদি কোন উপাদানের অনু এত ছোট হয় যে সে রোমকূপ বা চুলের কিউটিকল এর মাঝের ফাকা থেকেও ছোট... তাহলে কিন্তু সে ওই ফাকা দিয়ে ভেতরে চলে যেতে পারবে...

আসুন কয়েকটা উপাদানের নাম জেনে নেই যারা আসলেই এই কাজটা পারে-

১। পানি-

যখন আপনি চুল ভেজাবেন সে চুলের মধ্যে গিয়ে আদ্রতা দেবে... এতে চুল রুক্ষ হবে না/ ভাঙে না... এজন্য রোজ গোসল করাটা জরুরী... আমরা সবাই এটা জানি তাই না? নোংরা জটা বাধা চুল তো গোসল না করলেই হয় রাইট?

২। তেল-

সব তেল নয়... কিছু কিছু তেল... সবচেয়ে ছোট অনু যাদের তারাই প্রতিটি চুলের ভেতরে আদ্রতা এবং পুষ্টি নিয়ে যেতে পারে... যেহেতু গোসলের উপকারিতা আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়... এই তেলগুলো নিয়েই আমরা কথা বলব...

যেসব তেল চুল এবং স্ক্যাল্পের স্কিন সবচেয়ে ভালো পেনেট্রেট করতে পারে তারা হচ্ছে-

-   নারিকেল তেল

-   অ্যাভোকাডো অয়েল

-   তিলের তেল

এখন অনেকেই বলবেন, অ্যাভোকাডো/ তিলের তেল যোগার করব কোথা থেকে? তাদের জন্য- আমি কিন্তু নারিকেল তেলের কথাও বলেছি... আমাদের অভ্যাস হচ্ছে ঘরে সোনা রেখে বাইরের পিতলের পেছনে ছোটার... তাই বরং বাজারে পাওয়া যায় না, গেলেও হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হয় এমন উদ্ভট তেলের পিছনে না ছুটে একদম বেসিক থেকেই শুরু করি? কেমন?

নিশ্চয়ই ৪০-৫০ টাকার নারিকেল তেল সবার বাসাতেই আছে...

আসুন দেখি শুধু নারিকেল তেল দেয়ার সাথে সাথে চুলে কি কি হয়-

-   নারিকেল তেল চুলের ডগার কিউটিকল ভেদ করে ভেতরে চলে যায় ...

Untitled

নারিকেল তেলের ক্ষমতা আছে কিউটিকল ভেদ করে একদম কর্টেক্স পর্যন্ত গিয়ে আদ্রতা দেয়ার... ফলে কি হয়? কর্টেক্স দুর্বল হয়ে চুল ভাঙ্গে না... আর সব চুল যখন প্রায় সমান লম্বা হবার সুযোগ পায় তখন কি হয় জানেন? চুল ঘন দেখায়...

-   নারিকেল তেল কিউটিকল স্মুদ করে

প্রতিবার গোসলের আগে যখন আপনি তেল দিয়ে নেবেন তখন পানির ধারা আপনার চুলের কিউটিকল এলোমেলো করে ফেলতে পারে না... একঢিলে আপনি দুই পাখি মারছেন... আপনি চুল পরিষ্কারও করতে পারছেন, আবার তেলের কল্যাণে স্মুদ কিউটিকল অথবা সিল্কি চুল নিশ্চিত করছেন...

-   নারিকেল তেল স্কাল্পের রোমকূপ ভেদ করে ত্বকের গভীরে চলে যায়

আপনার প্রি্য় তেলের সাবস্টিটিউট শ্যাম্পু কি করে মনে আছে? চুলের রোমকূপ সিলিকন দিয়ে বন্ধ করে দেয়... কিন্তু তেলের অনু খুব ছোট তাই সে রোমকূপ দিয়ে ভেতরে চলে যায়... নারিকেল তেলের থাকে ন্যাচারাল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা... সে মাথার ত্বকের জীবাণু  দূর করে রোমকূপের স্বাভাবিক সেবাম ফ্লো নিশ্চিতকরতে হেল্প করে... আর এক্সট্রা যে তেলটা মাথার ত্বকে রয়ে যায়... তা খুব সহজে ১ বার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলা যায়... এবং এই পুরো ব্যাপারটিতে মাথার ত্বকে এক্সট্রা কোন লেয়ার পড়ে না ... ফলে চুলের গোঁড়ায় সিলিকন, যাচ্ছেতাই কেমিক্যাল জমে চুলটার মৃত্যু হয় না...

সারাজীবন তেল ব্যাবহার করে আমার মায়ের চুল এখনো আমার থেকে বেশি... আর আমি ৫-৬ বছর স্মার্ট হেয়ার কেয়ার ইউজ করে চুল ফিনফিনে করে কি নিজেকে খুব স্মার্ট প্রমাণ করতে পারলাম? না

অনেক গদাইলস্করি চালে লিখছি বলে এই পর্বটাও লম্বা হয়ে গেল... কিন্তু জানি সবাই চান নিজের শখের চুলের যত্নে একটু লাক্সারিইয়াস প্রোডাক্ট, তেল, সিরাম এসব ইউজ করতে... আর টিভি খুললে শ্যাম্পুর অ্যাডের মডেলের কম্পিউটার জেনারেটেড চুল থেকে চোখ ফেরানোই তো মুশকিল...

কিন্তু কি জানেন? ৫০ টাকার নারিকেল তেল যতই আনস্মার্ট লাগুক না কেন... ১০০০ টাকার বিদেশি কন্ডিশনারের চেয়ে তার ক্ষমতা কিন্তু খুব একটা কম না...

আর আমার অন্তত এতটুকু শিক্ষা হয়েছে যে আমি আর এই জীবনে তেলের সাবস্টিটিউট ৫ মিনিট সলিউশন নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কিনব না... ২ ঘণ্টা মাথায় তেল মেখে নয় একটু খ্যাতই হলাম...

কিন্তু মিছরির ছুরির কোন প্রয়োজন আমার আর নেই...

অন্তত ৫ বছর পর আমার চুলগুলো তো মাথায় থাকবে তাই না... ?

আশা করি আজকের লেখাটা ভালো লেগেছে...

খুব শীঘ্রই হারবাল হেয়ার অয়েল কী? এবং কীভাবে কাজ করে তা একটু ডিটেলে লিখব...  হেয়ার কেয়ারের বিভিন্ন স্টেপ কীভাবে কাজ করে জানতে চাইলে আস্ক করতে পারেন... ভবিষ্যতে বুঝিয়ে লেখার ট্রাই করব...

ভালো থাকবেন...

লিখেছেন - তাবাসসুম মিম

আচ্ছা, চুলে নারিকেল তেল দেয়া কী খুবই জরুরী? (পর্ব – ০১)]]>
26651 2017-07-05 11:52:26 2017-07-05 05:52:26 open open %e0%a6%86%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a6%be-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%a6%e0%a7%87-2 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id 6879 http://www.shajgoj.com/2017/07/26613/ 172.68.254.13 2017-07-05 11:54:20 2017-07-05 05:54:20 trash pingback 0 0 akismet_history akismet_as_submitted akismet_result _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time akismet_history
বৃষ্টির দিনে চায়ের সাথে ঝাল ঝাল ভাজা মুঠা পিঠা ! http://www.shajgoj.com/2017/07/26659/ Wed, 05 Jul 2017 03:40:25 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26659 ছোটবেলায় নানীর বাড়ি খাওয়া সেই মেরা / মুঠা পিঠা পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে ভাজা ভাজা । বৃষ্টির দিনে কখনও সকালের কিংবা বিকেলের নাশতায় গরম গরম চায়ের সাথে এভাবে নানী বানিয়ে দিত । এত মজা লাগত যা বলার বাইরে

উপকরণ

  • চালের গুঁড়ো
  • লবন
  • পানি
  • পেঁয়াজ কুঁচি
  • ধনিয়া গুঁড়ো

[picture]

প্রণালী - আন্দাজ করে করে নিবেন তাই পরিমান দেইনি। - হাড়িতে পানি ফুটতে দিন। এবার চালের গুঁড়ো দিয়ে ঠিক সিদ্ধ রুটির কাই এর মতো করে মথে বল বানিয়ে নিন। - এবার একটা বড় হাড়িতে বেশি পানি ফুটতে দিন । এবার এই বলগুলো খুব আলতোভাবে দিয়ে পানিতে ৭ - ৮ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে তুলে ফেলুন। বেশি সিদ্ধ করা যাবে না। না হলে গলে যাবে। - ঠান্ডা করুন ১ ঘন্টা। তারপর মাঝখানে কেটে তাওয়াতে মচমচে করে ভেজে নিন। - এবার একটা প্যান এ তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি দিন অল্প হলুদ গুঁড়ো , ধনিয়া গুঁড়ো  , লবন দিয়ে ভেজে নিন। এবার এতে পিঠাগুলো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিন।

ছবি ও রেসিপি – রোমান্টিক কিচেন স্টোরিজ

]]>
26659 2017-07-05 09:40:25 2017-07-05 03:40:25 open open %e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%9d publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
পাশ্চাত্য পোশাকের চাহিদা বাড়ছে, কমছে শাড়ির চাহিদা http://www.shajgoj.com/2017/07/26673/ Thu, 06 Jul 2017 07:16:46 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26673 আজকাল যেকোন অনুষ্ঠান , জাতীয় দিবস , ঈদ , পূজা এমন কি দৈনন্দিন কাজে; বাসা কিংবা অফিসে মেয়েরা শাড়ি পরছে না। সব জায়গাতে পাশ্চাত্য পোশাক বেছে নিচ্ছেন নারীরা। ফলে দেশীয় শাড়ির চাহিদা কমে যাচ্ছে , দেশে শাড়ির ব্যবসা এখন খারাপ।

দেশীয় শাড়ি বাদ দিয়ে পাশ্চাত্য পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় শাড়ি ব্যবহার করছেন মেয়েরা। শাড়িতে থাকছে ভারতীয় ডিজাইন!

আজকাল বিয়েতেও অনেকে দেশীয় শাড়ি বেছে নেন না। বিয়ের কনে থেকে শুরু করে অতিথিদের চাহিদা এখন বিদেশী পোশাকের দিকে। বিশেষ করে বিখ্যাত ডিজাইনার দিয়ে তৈরি পোশাক এখন মেয়েদের প্রথম চাহিদা। এমন কি বাঙালির বিভিন্ন সামাজিক উৎসবেও মেয়েরা বাঙালি  পোশাক বেছে নেন না, তারা পছন্দ করেন ভারতীয় শাড়ি কিনবা পাকিস্তানি সালওয়ার কামিজ।

এখন সব অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল , মসলিন , জামদানি , রাজশাহী সিল্ক এসবের জায়গায় ভারত , পাকিস্তান থেকে আসা ঝলমলে শাড়ি জায়গা দখল করে আছে ! আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে যেসব শাড়ি ঐতিহ্য ধরে রাখছে যেমন-সুতি শাড়ি , তাঁত , টাঙ্গাইল , কোটা , মসলিন , জামদানি , রাজশাহী সিল্ক , শিফন , জর্জেট , কাতান ইত্যাদি। আজকাল এসব দেশীয় শাড়ি সম্পর্কে ধারণাও অনেকে রাখেন না।

[picture]

টাঙ্গাইলের শাড়ি

টাঙ্গাইলের শাড়ির ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এখন এটাই যে মেয়েরা এখন দেশীয় শাড়ি পরে না। ফলে ব্যবসা ভালো চলছে না। কয়টা মেয়ে এখন শাড়ি পরে? সব জায়গাতেই পাশ্চাত্য ধাচের ড্রেস কিংবা গাউন পরছেন সবাই। শাড়ির থেকে ডিজাইনার গাউনের চাহিদা এখন বেশি। বয়স্করা দুই-একটার বেশি শাড়ি কিনেন না, তাই ব্যবসায়ীদের আশা থাকে তরুণীদের দিকেই।

টাঙ্গাইলে বর্তমানে তৈরি হচ্ছে হাফসিল্ক শাড়িও। এটিও সাধারণ রঙ আর ডিজাইনে তৈরি হয়। তবে বেশ জনপ্রিয় এখন। টাঙ্গাইল থেকে পাইকারি দামে এই শাড়ি অনেকেই কিনে থাকেন। তবে কম কেনার ফলে তেমন লাভজনক হয় না।

শাড়ির চাহিদা কমার ফলে শাড়ির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। টাঙ্গাইলে তিন ধরণের তাঁতের শাড়ি চলে। যার মধ্যে আছে পিটলুম, চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং বিদ্যুচ্চালিত তাঁত। এদের মধ্যে পিটলুম সব থেকে বিখ্যাত। কারণ এই শাড়ি হাতে বানানো হয়।একটি শাড়ি বানাতে লাগে ৬ থেকে ৭ দিন। এই কাজের সাথে যুক্ত কারিগরের সংখ্যা ২০ হাজারেরও কম। টাঙ্গাইলের শাড়ির অন্যতম ঐতিহ্য এই পিটলুম শাড়ি। যার উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে।

টাঙ্গাইলের শাড়ির মান খুব ভালো। বহরে ঠিক, বেশি ভারি হয় না , আরামদায়ক , দেখতেও সাধারণের মধ্যে চমৎকার লাগে! গরমে পরার জন্য বিশেষ উপযোগী হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়। ঘরে বাইরে যেকোন জায়গায় পরার মতো শাড়ি হলো টাঙ্গাইলের শাড়ি !

রাজশাহী সিল্ক

রাজশাহী সিল্ক সব সময়ই দামি শাড়ি হিসেবে জনপ্রিয়। দেখা যায়, আমাদের মা খালাদের কাছে এসব শাড়ি অনেক প্রিয় হয়ে থাকে।এই সিল্কে আরামের চেয়ে দেশীয় ডিজাইনের আভিজাত্যই বেশি ফুটে ওঠে। গুটিপোকা থেকে উৎপন্ন রেশম সুতা থেকে আগে সিল্ক কাপড় তৈরি করা হতো। এখন এভাবে সিল্ক তৈরি কমে গেছে। ফলে যান্ত্রিক তাঁতে শাড়ি বুনন করা হয় এখন।

আগে আধুনিক শাড়ি বলতে রাজশাহী সিল্কের জনপ্রিয়তা ছিলো অনেক বেশি!

bd634808e3fa591da0133ae3cf7f4f3e

মণিপুরি শাড়ি

মণিপুরি শাড়ির বুনন একটা বিশেষ সম্প্রদায় থেকে আসছে। বৈচিত্র্যময় নকশার এই শাড়ি কম পরে মেয়েরা। তাই এই শাড়ির নকশাকার বা তাঁতীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সিলেট শহরের পোশাকের দোকানগুলোতে মেলে মণিপুরি শাড়ি। বেশ অল্প দামেই মণিপুরি শাড়ি পাওয়া যাবে এখানে।  মণিপুরী শাড়ির রঙ ও নকশা দেখলেই বোঝা যাবে এটা মণিপুরী শাড়ি। কারণ এই শাড়ির পুরো জমিনেই কম-বেশি নকশার ছাপ থাকবে। মূলত এই শাড়ি এক বা দুই রঙের হয় না, বেশ কয়েকটি রঙ নিয়ে নকশা করা হয়।

জামদানি শাড়ি

জামদানির ক্ষেত্রে এর ঐতিহাসিক পটভূমি কাজ করছে। বর্তমানে ঢাকার আশপাশেই তাঁতশিল্পীদের বোনা জামদানি যেন হয়ে উঠেছে আভিজাত্য। জামদানি একান্তই ঢাকার নিজস্ব কাঁচামালের তৈরি। এই শাড়ির বুনন সময়সাপেক্ষ আর নকশা খুবই সুক্ষ হয়। পৃথিবীর আর কোনো দেশের তাঁতীদের পক্ষে এ শাড়ি তৈরি সম্ভব হয়নি। জামদানি শাড়ির দাম তাই বর্তমানে অনেক বেশি।

এ শাড়ির নকশা কেবল একজন তাঁতী দিয়ে শেষ করা যায় না , শাড়ি প্রস্তুত হওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে পারিবারিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।

জামদানি শাড়ির মূল আকর্ষণ এর নকশা।তাঁতিরা সরাসরি তাঁতে বসানো অবস্থায় নিজের মতো নকশায় শাড়ি বুনেন, মন থেকে ভিন্ন ভিন্ন নকশা আঁকেন। যা এই শাড়িকে সব থেকে অনন্যা করে তুলে।তাই একটি শাড়ির ডিজাইনের সাথে অন্যটির খুব বেশি মিলে না। একটি শাড়ি বুনতে সময় লাগে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস। জামদানি শাড়ির দাম নির্ভর করে শাড়ির কম বেশি ডিজাইনের উপর।

জামদানি শাড়ি আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে রাখতে পারে যেকোন অনুষ্ঠানে।

nare-1900x1529_c

কাতান

কাতান শাড়ি আগে মেয়েরা বিয়েতে পরতো।আমাদের মা খালাদের আমলে বেনারসি আর কাতান পরা হত বিয়েতে। হালকা কাজে বা এক কালারের সাথে গাঢ় পাড়ের কাতান শাড়ি ব্যবহার করে থাকতেন নারীরা। আর বিয়েতে ব্যবহার করতেন ভারি কাজের কাতান শাড়ি।

এক কালারের কাতান হলেও আঁচল আর পাড়ে বিভিন্ন নকশা করা থাকে। আজকাল চিকন পাড়ের কাতানও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। কাতান শাড়ির অন্যতম আকর্ষণ হলো এর উজ্জ্বলতা! যেটি খুব গর্জিয়াজ লুক দেয়!

এছাড়াও সাধারণের মধ্যে কোটা, মসলিন, শিফন, জর্জেট ইত্যাদি শাড়িও একইভাবে বাংলাদেশে ঐতিহ্যময়। যা একজন নারীকে সব থেকে অনন্যা করে রাখে।

বর্তমানে মেয়েরা যেসব পাশ্চাত্য পোশাকের ধারা নিয়ে আসছে তাদের তুলনায় দেশীয় শাড়িতে সাজা একটি মেয়ের সৌন্দর্য তিন গুণ বেড়ে যায়! নিজের দেশের ঐতিহ্যকে উপেক্ষা না করে সেটিকে নিজের অহঙ্কার হিসেবে বেছে নিন।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পাশ্চাত্য ধারার পোশাক ব্যবহার করছেন সবাই। না চাইতেও অনেক দামি পোশাক বেছে নিচ্ছেন বর্তমান যুগে চলতে। তাই বলে দেশীয় পোশাককে একেবারেই উপেক্ষা করা যায় কি! বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের অহংকারই তো শাড়ি!

ছবি - দেশেবিদেশে ডট কম, পিন্টারেস্ট ডট কম, একুশ আমার ডট কম

লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ

]]>
26673 2017-07-06 13:16:46 2017-07-06 07:16:46 open open %e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
চিকেন কোরমা http://www.shajgoj.com/2017/07/26679/ Thu, 06 Jul 2017 07:16:13 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26679 বাড়িতে মেহমানের আপ্যায়নে পোলাও এর সাথে কোরমা না হলে কিন্তু অপূর্ণতা রয়ে যায়।তাই সহজেই যেন ঘরে বসে চিকেন কোরমা রান্না করে নিতে পারেন সেজন্য আজকে রইল চিকেন কোরমা রেসিপি।

উপকরণ

  • চিকেন লেগ পিস - ৫ টুকরো
  • ঘি+তেল - ৩+২ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ বাটা - ১/২ কাপ
  • রসুন বাটা - ১ চাচামচ
  • আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ
  • পেঁয়াজ কুঁচি - ৪ টেবিল চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
  • গুঁড়ো মশলা(এলাচ-৪টি ,দারচিনি - ১ টুকরো ,জায়ফল-অর্ধেক,জয়ত্রী-অর্ধেক সব গুঁড়ো করে নেয়া)- ১ চা চামচ
  • পেস্তাবাদাম বাটা - ১/২ চা চামচ
  • দুধ - ১/২ কাপ
  • আলুবোখরা - ৪টি
  • কাঁচামরিচ - ৪/৫টি
  • লবন - ১/২ চামচ (প্রয়োজন মতো)
  • তেজপাতা - ২টি
  • টকদই - ৪ টেবিলচামচ
  • টমেটো কেচাপ - দেড় টেবিলচামচ
  • দুধ - পরিমাণ মতো

[picture]

প্রণালী

- প্রথমে মাংসের টুকরোগুলোকে সামান্য লবন মাখিয়ে তেলে এপিঠ-ওপিঠ হালকা ভেজে নিতে হবে।

- এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে নিয়ে এতে সব বাটা মশলা দিয়ে দিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে এতে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিতেহবে। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

- কষানো মশলায় এবার কেচাপ দই দিতেহবে। মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। এবারদুধ দিয়ে ফুটে ওঠা পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

- এবার আলুবোখরা এবং কাঁচামরিচ দিয়ে দিতে হবে। ঝোল শুকিয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন কোরমা।

ছবি ও রেসিপি -   নুসাইবা নিঝুম

]]>
26679 2017-07-06 13:16:13 2017-07-06 07:16:13 open open %e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ইন্দোনেশিয়ান ষ্টার ফ্রাইড রাইস http://www.shajgoj.com/2017/07/26688/ Fri, 07 Jul 2017 06:24:20 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26688 এই ডিশটি অনেকে নাসিগরেং হিসেবে জানেন । তবে এর আরেক নাম  ইন্দোনেশিয়ান ষ্টার ফ্রাইড রাইস। মজাদার এই রাইস আইটেমটি ঘরে বসে তৈরি করে ফেলুন খুব সহজেই। দেখে নিন এটি তৈরির পুরো প্রণালী। উপকরণ - ঠান্ডা ভাত (১ দিনের পুরানো হলে ভালো না হলেও প্রবলেম নাই ) - ৫ কাপ - তেল- ২ টেবিল চামচ - ডিম - ২ টি ফেটে নেয়া - বোনলেস মুরগির কুঁচি -  ১ কাপ - চিংড়ি - ১ কাপ - পেঁয়াজ কুঁচি করা - ১ টি - রসুন কুঁচি - ২ কোয়া - থাই আদা রুট (ganagal) কুঁচি   - ১ চা চামচ ( না থাকলে নরমাল আদা দিন) - লাল মরিচ কুঁচি - ৩ টি - শুকনো চিংড়ি পেস্ট - ১ চা চামচ - লবন - ১/২ চা চামচ - সয়াসস -১ টেবিল চামচ - ওয়েস্টার সস - ১ টেবিল চামচ - ফিস সস - ১ টেবিল চামচ [picture] প্রণালী একটি কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে ডিম একটি পাতলা ওমলেট করতে হবে তারপর তুলে নিতে হবে। তারপর একই কড়াইতে , অবশিষ্ট তেল দিয়ে এখন পেঁয়াজ , রসুন , মরিচ ও চিংড়ি পেস্ট , মুরগির কুঁচি এবং চিংড়ি দিয়ে হাই হিট এ ভাজতে থাকুন চিংড়ি আর চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে ভাত দিন সাথে লবন , সয়াসস , ফিস সস, ওয়েস্টার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্টার ফ্রাই করতে থাকুন তারপর আগে ভেগে রাখা অমলেট কুচি করে কেটে দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

ছবি ও রেসিপি –   সামিয়া’স হোম কিচেন 

]]>
26688 2017-07-07 12:24:20 2017-07-07 06:24:20 open open %e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
৪টি সহজ ধাপে অনুষ্ঠান আর পার্বণের পরের রূপচর্চা http://www.shajgoj.com/2017/07/26693/ Sat, 08 Jul 2017 06:17:13 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26693 মাত্রই ঈদ শেষ হল। ঈদের পরপর কিন্তু অনেক বিয়েশাদী, ফ্যামিলি গেট টুগেদার, ছোটখাটো দাওয়াত লেগেই থাকে। অনুষ্ঠান আর পার্বণের সময় আমরা অনেকেই বেশ মেকআপ করে থাকি, অনেক রকম হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্টস ব্যবহার করে থাকি। এবং দেখা যায় কি, ঐ সব প্রোগ্রাম অ্যাটেন্ড করে এসে অনেক সময়ই মেকআপটা সময় মতো রিমুভ করা হয়ে ওঠে না। বা রিমুভ করলেও সময় মতো আফটার কেয়ার-টা করা হয়ে ওঠে না। ফলে স্কিন , চুল  বেশ মলিন আর অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। পার্লারে গিয়ে স্কিন আর হেয়ার কেয়ার সার্ভিস নিয়ে আসা যায়। কিন্তু পার্লারে যাবার মতো সেই সময় বা সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না। তাহলে কী করবো? এখানে কথা হচ্ছে আমাদের অনেকেরই এ ধারণা আছে যে, এক্সপেনসিভ প্রোডাক্ট মাত্রই বেস্ট অপশন। কিন্তু হাতের কাছে থাকা বাজেট ফ্রেন্ডলি উপাদানগুলো দিয়েই কিন্তু আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ে আর স্বল্প খরচে ঘরে বসেই ত্বক আর চুলের যত্ন নিতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ঘরে বসে কীভাবে ৪টি সহজ ধাপে অনুষ্ঠান আর পার্বণের দিনগুলোর পরে ত্বক আর চুলের যত্ন নেয়া যেতে পারে সেটা দেখে নিই।

স্টেপ ১ : ক্লিঞ্জিং

এ ধাপে সবার আগে একটা বাটিতে ২ টেবিল চামচ  নারকেল তেল (এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল) ঢেলে নিন। এবার তাতে একটা একটা করে তুলোর বল ডুবিয়ে পুরো মুখ , ঘাড় এবং গলা ভালো করে মুছে নিন। এবার ঐ একই বাটিতে ২ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল আর ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পুরো মাথার চুলকে ছোট ছোট সেকশনে ভাগ করে নিয়ে স্কাল্প এবং চুলে ভালো করে তেল লাগিয়ে নিন এবং ভালোভাবে তেলটা স্কাল্পে ম্যাসাজ করে নিন।

স্টেপ ২  :  মাস্ক অ্যাপ্লায়িং

এবার চট করে রান্নাঘর থেকে একটু বেসন আর টক দই নিয়ে আসুন। সমপরিমাণে মিক্স করে ঘন পেস্ট আকারে বানিয়ে এই প্যাকটা পুরো মুখে, গলায় আর ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। আর অল্প আরেকটু টক দই এর সাথে একটা ডিম ফেটিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে সেটা পুরো মাথার স্ক্যাল্প আর চুলে লাগিয়ে নিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে হাতে আর পায়ে একটু পুরু করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন।

Resveralife-Types-of-Facial-Masks-Clay-Mask

 স্টেপ ৩ : স্টিমিং অ্যান্ড এক্সফোলিয়েটিং

এবার পালা স্টিম নেয়ার। একটা বড় হাড়িতে পানি গরম করে তাতে একটা তোয়ালে ভিজিয়ে নিঙরে সেই তোয়ালেটা মাথায় পেঁচিয়ে ফেলুন। এতে করে মাথায় দেয়া তেল এবং হেয়ার প্যাকটা স্কাল্পে ভালোভাবে অ্যাবজর্ব হবে। তারপর হাতে সামান্য পানি নিয়ে মুখে লাগানো প্যাকটা আস্তে আস্তে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করে এক্সফোলিয়েট করে নিন , স্কিনের ডেডসেলসগুলো দূর হবে। তারপর মুখ ধুয়ে হালকা করে মুছে নিয়ে কমপক্ষে ১০-১২ ইঞ্চি দূর থেকে হাড়ির দিকে ঝুঁকে মুখ আর গলায় স্টিম নিন। এতে করে রোমকূপগুলো খুলে যাবে। মিনিট দশেক স্টিম নেয়ার পর ব্ল্যাকহেডস রিমুভার স্টিক দিয়ে ব্ল্যাকহেডসগুলো পরিষ্কার করে নিন। এই টুল্টি বাসায় না থাকলেও অসুবিধে নেই, চুলে লাগানোর চিকন কালো ক্লিপের উল্টো পাশ দিয়ে চেপে চেপে ও একই কাজ করা যায়। মাথার তোয়ালে খুলে ফেলুন। অল্প একটু চিনি নিয়ে এসে অ্যালোভেরা জেল লাগানো হাত-পাগুলোও ভালোভাবে স্ক্রাব করে নিন। হাত-পায়ের ডেড স্কিনসেল-গুলো ও দূর হবে।krem-ot-pryshchej-49

স্টেপ ৪ : শাওয়ার অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং

এবার সোজা চলে যান গোসলে। আপনার রেগুলার সাবান/শাওয়ার জেল আর শ্যাম্পু-কন্ডিশনার দিয়ে গোসল করে এসে আপনার প্রিয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন।

AAEAAQAAAAAAAAgrAAAAJDBkYjgyMzdmLTZlZTItNDliNy04YWU0LWFlYjI2NWJmMjVjNQ

কি, ফ্রেশ লাগছে না? নিজেকে কিন্তু প্যাম্পার করা দরকার। নিজের জন্য এই সময়টুকু বের করে নিন। স্কিন আর হেয়ার কেয়ার তো হবেই, সেই সাথে আপনি আয়নার সামনে দাঁড়ালে দেখবেন মনটাও বেশ ভালো লাগছে। নিজেকে ভালোবাসুন. And Stay Beautiful, Stay Gorgeous.

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম , স্টাইলক্রেজ ডট কম, ফ্যাশননিউজএরা ডট কম

লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26693 2017-07-08 12:17:13 2017-07-08 06:17:13 open open %e0%a7%aa%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ডিম চিড়ার চপ http://www.shajgoj.com/2017/07/26701/ Sat, 08 Jul 2017 06:49:42 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26701 বিকেলের নাশতায় চায়ের সাথে রাখুন ডিম চিড়ার চপ। মজাদার এই চপটি তৈরিতে বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়বে না ।  রান্না ঘরে  থাকা উপকরণগুলো দিয়েই  সহজে তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই স্ন্যাক্সটি।

[picture]

উপকরণ

  • ডিম - ২টি সিদ্ধ করা
  • চিড়া -১কাপ পানিতে ভিজিয়ে নরম করে নেয়া
  • আলু - ২টি সিদ্ধ করা
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা - ১ কাপ
  • ধনেপাতা কুঁচি - ২ টেবিল চামচ
  • আদা কুঁচি - ১ চাচামচ
  • কাঁচামরিচ কুঁচি স্বাদমতো
  • লেবুর রস- ১ চাচামচ
  • টালা জিরার গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • গরম মশলার গুঁড়ো হাফ চাচামচ
  • ডিম - ২টি ফেটানো
  • টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়ো প্রয়োজন মতো
  • তেল - ভাজার জন্য

19260548_935499663257199_1814206106350895749_n

প্রণালী

সিদ্ধ ডিম , সিদ্ধ আলু ,  চিড়া ,  পেঁয়াজ বেরেস্তা, ধনেপাতা কুঁচি । কাঁচামরিচ কুঁচি , আদা কুঁচি , কাঁচামরিচ কুঁচি , লেবুর রস,টালা জিরার গুঁড়ো, লবন,গরম মশলারগুঁড়োসব এক সাথে মাখিয়ে নিন এইবার পছন্দ মতো শেইপ দিয়ে নিন।

ফেটানো ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়োয় গড়িয়ে নিন ।এরপর ২০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন এতে করে টোস্টের গুঁড়োসুন্দর মতো সেট হয়ে যাবে ,  এরপর ডুবো তেলে ভেজে নিন বাদামি করে। গরম গরম পরিবেশন করুন।

 ছবি ও রেসিপি –   সামিয়া’স হোম কিচেন 

]]>
26701 2017-07-08 12:49:42 2017-07-08 06:49:42 open open %e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%ae-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
মাত্র ২টি উপাদানে গর্জিয়াস চুল: ফার্মেন্টেটেড রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট http://www.shajgoj.com/2017/07/26713/ Sun, 09 Jul 2017 05:28:08 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26713 চুলে জট লেগে থাকা এখন কমবেশি সবারই সমস্যা। ধুলোবালি, কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টস এর ব্যবহার আর অত্যধিক তাপ আমাদের চুলের অবস্থা তো তেজপাতা বানিয়েই ফেলে। ফলাফল = চুল আঁচড়াতে বসলেই দেখা যায় একগাদা চুল ছিঁড়ে যায়। চুলকে সফট অ্যান্ড শাইনি করার জন্য আমরা কত পার্লারে যাচ্ছি, ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি। আবার হাজার হাজার টাকা খরচ করে কত রকমের প্রোডাক্টস কিনছি। কিন্তু আমরা কিন্তু অনেকেই জানি না চুলের যত্নের জন্য আমাদের সবার বাসাতেই খুব সহজলভ্য একটা উপাদান আছে, ইন ফ্যাক্ট সহজলভ্য বললেও কম হয়ে যাবে আসলে, সেটা হলো চাল! হ্যা, আমি ভাতের চালের কথাই বলছি। ভাবছেন চালের সাথে চুলের কি সম্পর্ক? আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম সহজ একটা হেয়ার কেয়ার টেকনিক শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটা আমি আমার নিজের চুলে করে থাকি। সেটা হল রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট!

[picture]

চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিই ফারমেন্টেটেড  রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্টের জন্য আমাদের কী কী লাগছে।
  • দেড় কাপ চাল
  • ১ লিটার পানি

কি অবাক হলেন তো? ব্যস এই দুটো জিনিসেই আপনার কাজ হয়ে যাবে! আর কিচ্ছু লাগবে না!

এবার ঐ দেড় কাপ চাল একবার ধুয়ে নিন। তারপর একটা মাঝারি সাইজের গামলায় ঐ এক লিটার পানি নিয়ে তাতে চালটুকু ভিজিয়ে নিন।

1-take-1-cup-organic-rice

এবার ভালো একটা ঢাকনা দিয়ে ঐ চালসহ পানিটুকু ঢেকে রেখে দিন, ২৪ ঘণ্টার জন্য। মাঝেমাঝে হাত দিয়ে চাল আর পানিটুকু নেড়েচেড়ে দিবেন। এখন এই ২৪ ঘণ্টায় ফার্মেন্টেশন ঘটবে, ফলে রাইস ওয়াটার টা কিছুটা অ্যাসিডিক হবে এবং এর pH লেভেল এমন লেভেলে যাবে যা আমাদের চুলের ন্যাচারাল pH লেভেলের ভারসাম্য ঠিক করে। সেই সাথে চালে থাকা ন্যাচারাল ভিটামিনস, মিনারেলস এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস পানিটায় ধীরে ধীরে ইনফিউজড হতে থাকবে। এবার গোসলের সময় আপনার রেগুলার শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।

2-wash-with-clean-water

তারপর ঐ রাইস ওয়াটারের গামলাটা থেকে ছাঁকনির সাহায্যে চালটা ছেঁকে নিন আর পানিটুকু আরেকটা গামলায় ঢেলে নিন। এবার ঐ রাইস ওয়াটারের গামলাটি পায়ের উপর রেখে মগের সাহায্যে আস্তে আস্তে আপনার মাথার স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে আস্তে আস্তে ঢালতে থাকুন। ঢালা শেষ হলে চুলের আগাটুকু ঐ রাইস ওয়াটারে ভিজিয়ে রাখুন, এতে করে চুলের আগাটুকু ডপ কন্ডিশনড হবে এবং আগা ফেটে যাওয়া চুলগুলো ও অনেকটাই ভদ্রস্থ দেখাবে। আধ ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং পুরোনো নরম টিশার্ট দিইয়ে আলতো হাতে চুল মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন ।

6-strain-the-rice-water

এই ফারমেন্টটেড রাইস ওয়াটার হেয়ার ফলিকলগুলোকে ডিপলি নারিশ করে, হেয়ারফল কমায়, চুলে জট বাঁধতে দেয় না এবং স্কাল্পকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে করে তোলে হেলদি, সফট, শাইনি আর গর্জিয়াস! একটানা কমপক্ষে দুই মাস, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটার চুলে ব্যবহার করেই দেখুন । তফাৎটা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন ।  Stay Beautiful, Stay Gorgeous. ছবি - টপটেনহোম রেমিডিজ ডট কম, কামট্রেন্ড ডট কম লিখেছেন -  ফারহানা প্রীতি]]>
26713 2017-07-09 11:28:08 2017-07-09 05:28:08 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a7%a8%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a7%9f publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
দেশি স্টাইলে আমেরিকান চপ সুয়ে http://www.shajgoj.com/2017/07/26721/ Sun, 09 Jul 2017 07:24:45 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26721 আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমেরিকান চপ সুয়ে 'র রেসিপি তবে দেশি স্টাইলে । তাহলে শুরু করা যাক -

সস এর উপকরণ: ১. মুরগির মাংস ছোটো কিউব করে কাটা ১ কাপ ২. চিংড়ি - ১ কাপ ৩. গাজর ঝুরি - ১/২ কাপ ৪. বাধাকপি ঝুরি - ১/২ কাপ ৫. আদা বাটা -  ১ টেবিল চামচ ৬.পেঁয়াজ কুঁচি -  ১/২ কাপ ৭. কালো গোল মরিচ  গুঁড়ো - সামান্য পরিমাণে ৮. লাল মরিচের গুঁড়ো - স্বাদ অনুযায়ী ৯. চিকেন স্টক - ১ কাপ ১০. লবন - স্বাদ মতো ১১. সয়া সস -  ১ টেবিল চামচ ১২. টমেটো সস -  ১ টেবিল চামচ ১৩. চিলি সস - ১ টেবিল চামচ ১৪. চিনি - সামান্য ১৫. ভিনেগার - ১ চা চামচ ১৬. তেল - পরিমাণ মতো ১৭. কর্ণফ্লাওয়ার -  ১ টেবিল চামচ

সস তৈরির প্রণালী: ১. একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ও আদা বাটা দিয়ে নাড়াতে হবে এবং বাদামী হয়ে এলে তাতে মুরগির মাংস ছোটো কিউব করে কাটা , গাজর ঝুরি ও বাধাকপি ঝুরি, ক্যাপসিকাম দিয়ে মিশিয়ে ৫ মিনিট এর জন্য ঢেকে দিতে হবে । ২. পাঁচ মিনিট পর তাতে চিকেন স্টক, এবং লবন মিশিয়ে আর ও কিছুক্ষণ নাড়াতে হবে । ৩. এবার তাতে টমেটো সস, সয়া সস, চিলি সস, চিনি, কালো গোল মরিচ গুঁড়ো এবং ভিনেগার মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং অল্প আঁচে ১০ মিনিট রাখতে হবে । ৪. একটি কাপে এক কাপ ঠান্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ করনফ্লাওয়ার মিশিয়ে তা সস এ মিশিয়ে ঢেকে দিতে হবে । ৫. সস ঘন হয়ে এলে নামাতে হবে ।

[picture]

নুডলস এর উপকরণ: ১. নুডলস ২. লবন ৩. তেল ৪. নুডলস এর মশলা

নুডলস তৈরির প্রণালী: ১. একটি পাত্রে পানি দিয়ে তাতে লবন দিয়ে নুডলস সেদ্ধ করতে হবে এবং নুডলস অতিরিক্ত সেদ্ধ করা যাবে না । ২. সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি ছেঁকে নিতে হবে ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পানি ঝরতে দিতে হবে । ৩. সেদ্ধ করা নুডলস এ সামান্য তেল মাখাতে হবে যাতে নুডলস লেগে না যায় ও নুডলস এ যে মসলা দেয়া থাকে তা মাখাতে হবে । ৪. পাঁচ মিনিট রাখার পর তেল গরম করে ডুবো তেলে নুডলস বাদামী করে ভেজে নিতে হবে এবং কিচেন টাওয়াল এ রাখতে হবে তেল শুষে নেয়া পর্যন্ত ।

পরিবেশন: চপ সুয়ে পরিবেশনের জন্য একটি বাটিতে অথবা প্লেটে ফ্রাই করা নুডলস নিতে হবে। নুডলস এর উপর থেকে সস গুলো ছড়িয়ে দিতে হবে এবং সস এর উপর ডিম পোচ ভাজা (ইচ্ছা) দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

]]>
26721 2017-07-09 13:24:45 2017-07-09 07:24:45 open open %e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%9a%e0%a6%aa publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
ঘরেই হোক হট অয়েল ট্রিটমেন্ট http://www.shajgoj.com/2017/07/26727/ Mon, 10 Jul 2017 02:42:06 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26727 এখনকার ব্যস্ত সময়ে নিজের জন্য আলাদা করে বের করার মত সময় অনেকের হাতেই থাকে না। ধুলোবালি, কেমিক্যাল, হেয়ার স্টাইলিং - সব মিলিয়ে চুলের অবস্থা বারোটা বেজেছে? অল্প কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজে এখন ঘরে বসেই করে ফেলুন হট অয়েল ট্রিটমেন্ট, আর একবার ব্যবহারেই দেখুন চুল আগের চেয়ে কতটা হেলদি,সফট, সিল্কি আর শাইনি হয়ে উঠেছে।

ভিডিও টিউটোরিয়াল -  সাজগোজ ডট কম 

]]>
26727 2017-07-10 08:42:06 2017-07-10 02:42:06 open open %e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a6%9f-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%ae%e0%a7%87 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
টাইম অ্যান্ড বাজেট ফ্রেন্ডলি আইটেম পোহা http://www.shajgoj.com/2017/07/26731/ Tue, 11 Jul 2017 03:51:02 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26731 বাড়িতে রান্নার দায়িত্বটি যার থাকে, রোজ রাতে ঘুমোতে যাবার আগে তার মাথায় একটাই লাইন ঘুরঘুর করে - কালকে সকালের নাশতায় কী বানানো যায়? রুটি-সবজি, ডিম-পরোটা, পাস্তা-নুডলস, খিচুড়ি, ব্রেড-বাটার সবই তো হয়ে গেল! একটু ডিফারেন্ট কিন্তু অল্প সময়ে বানানো যায় এমন কি রেসিপি আছে? আজকে এমনই একটি সহজ ব্রেকফাস্ট রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি, সেটা হলো - পোহা! এইটা একটা ইন্ডিয়ান ডিশ, স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে ভারতের মারাঠি কুজিনের ডিশ, কিন্তু আমি আমার সুবিধা মতো একটু মডিফাই করে বানাই আর কি! বানানো ভীষণ সহজ আর একদম টাইম অ্যান্ড বাজেট ফ্রেন্ডলি!

[picture]

চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক পোহা বানাতে আমাদের কী কী লাগবে -

১. দুই কাপ চিড়া (লাল/সাদা)

২. ২টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ

৩. সামান্য আদা কুঁচি

৪. ১টা ডিম

৫. ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

৬. আধ চা চামচ রাই সরিষা

৭. পরিমাণ মতো ধনিয়া পাতা

৮. ২টা কাঁচামরিচ কুঁচি

৯. অর্ধেকটা টমেটো/ক্যাপসিকাম (ঐচ্ছিক)

১০. লবন স্বাদানুযায়ী

১১. এক মুঠ চীনা বাদাম

১২. ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল

কীভাবে বানাবো?

চিড়া পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখি, তারপর ছাঁকনি দিয়ে পানিটা ছেঁকে নেই। একটা কড়াইয়ে সবার আগে তেল ঢেলে ডিমটা ঝুরি করে ভেজে একটা বাটিতে তুলে রাখি। এবার ঐ কড়াইয়ে আর সামান্য সরিষার তেল ঢেলে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুঁচি , আদা কুঁচি , মরিচ কুঁচি আর রাই সরিষা দিয়ে সামান্য লালচে করে ভেজে নেই। এবার তাতে এক মুঠ চীনাবাদাম ঢেলে দেই। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে কড়াইটায় চিড়েটুকু ঢেলে হলুদগুঁড়ো আর লবন দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেই। মিনিট দুয়েক পর ঢাকনা তুলে তাতে আধ কাপ চিকন করে কেটে রাখা টমেটো /ক্যাপসিকাম দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরো মিনিট দুয়েক ধীম আঁচে রান্না করি। এবার নামানোর আগে ধনিয়াপাতা কুঁচি  ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে গরম গরম প্লেটে সাজিয়ে এক টুকরো লেবুর সাথে পরিবেশন করি। এই মেজারমেন্টে দুজনের নাস্তা হয়ে যাবার কথা। আর সাথে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চা!  বানিয়ে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন কেমন লাগলো। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম

লিখেছেন - ফারহানা প্রীতি

]]>
26731 2017-07-11 09:51:02 2017-07-11 03:51:02 open open %e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id
সাধারণ কাপড়ের পোশাকে গর্জিয়াস লুক আনতে মিরর ওয়ার্ক http://www.shajgoj.com/2017/05/25579/ Tue, 02 May 2017 04:07:34 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25579 Untitled এরকম আরও অনেক চমৎকার ডিজাইন ইউটিউবে আছে । দেখে দেখে সহজেই করে ফেলতে পারবেন । ২. নিজে করতে না চাইলে রেডিমেড কিনে নিতে পারেন অথবা অর্ডার দিয়েও আজকাল অনেকেই বানিয়ে নিচ্ছেন । আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন । কোথায় পাবেন এবং দামদরটা কেমন হবে? বিভিন্ন লেইসের দোকানে পাবেন যেকোনো সাইজ আর আকারের মিরর । মিররের লেইসও পাওয়া যায় । এসব দোকানে ১০০ টা মিরর ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করে । বড়গুলো ৮০ থেকে ১৫০ করে । 28afcb383f47ef24e022eba51d56f70c নিউমার্কেট আর গাউসিয়াতে মিরর ওয়ার্কের সালওয়ার কামিজ স্টিজ এবং আনস্টিজ দুটোই পাওয়া যায় । বিভিন্ন রঙের কাপড়ের উপর কাজ করা অথবা ভেজিটেবল ডাইং করার পর মিরর বসানো , আবার ব্লকের উপর করা মিরর ওয়ার্কের ড্রেস পাওয়া যায় । ডিজাইন আর কাজ অনুযায়ী দাম পরবে ১২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা সেট । শুধু কামিজ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা । শুধু মিরর ওয়ার্কের ওড়না ৯০০ থেকে ১৫০০ । গর্জিয়াস হলে ৩০০০ টাকার ওড়নাও আছে । মিরর ওয়ার্কের রেডিমেড ব্লাউজ পাবেন গাউসিয়ার ২ তালায় । দাম পড়বে ৯০০ থেকে ৪০০০ । গোল কিংবা চারকোণা বিভিন্ন ডিজাইনের ছোট, বড় বা মাঝারী সাইজের মিরর বসানো রেডিমেড পোশাক পাবেন বসুন্ধরা , রাপা প্লাজা , সানরাইজ প্লাজাতে । দাম ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা । mirror-work-saree-blouse-ideas অনলাইনে বিভিন্ন পেইজেও এসব বেশ কেনাবেচা হচ্ছে এখন । অর্ডার করতে পারেন ঘরে বসেই । অর্ডার দিয়ে বানাতে চাইলে নিউমার্কেটের ২ এবং ৩ তলায় এসবের রমরমা কেনাবেচা চলে এখন । কারিগররা বিভিন্ন ডিজাইনের ভিত্তিতে অর্ডার নিয়ে থাকেন । ডিজাইন অনুযায়ী দামদর ৫০০ থেকে ২০০০ হয় । শাড়ি, ব্লাউজ, সালওয়ার কামিজ, ফতুয়া, কুরতি কিংবা কটিতে করে নিতে পারেন মিরর ওয়ার্ক । কারিগরদের ডিজাইন দিয়ে দিলে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে করে দেন । নিজের পছন্দের রঙ অনুযায়ী এখন কাপড় কিনে এসব পোশাক বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজেই! ছবি - পিন্টারেস্ট ডট কম, কীওয়ার্ডসাজেশন ডট কম, এলিগেন্টফ্যাশনওয়্যার ডট কম লিখেছেন - সোহানা মোরশেদ]]> 25579 2017-05-02 10:07:34 2017-05-02 04:07:34 open open %e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%8d trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_time _wp_trash_meta_status http://www.shajgoj.com/2017/05/25814/ Thu, 11 May 2017 04:15:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=25814 লিপস্টিক, আইশ্যাডো সব ঠিকঠাক ব্যবহার করলেন, এমনকি এর আগে ফাউন্ডেশন দিয়ে বেজ মেকআপটাও করে নিয়েছেন। তবুও মনে হচেছ কোথায় কিসের যেন কমতি। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে কনসিলার।চোখের নিচে কালো দাগ,ব্রণের দাগ বা বড় লোমকূপ ঢেকে দিতে ব্যবহার করতে পারেন কনসিলার।এটি ফাউন্ডেশনের মতোই,কিন্তুু একটু ঘন এবং ভারী কভারেজের।
 >  কত রকম কনসিলার: মূলত কনসিলারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।একটি রঙের অসামঞ্জস্যতা ঢাকার জন্য,যাকে বলা হয় কালার কারেকটিং কনসিলার,অন্যটি দাগ ঢাকার জন্য ভারী কভারেজ দেয় এমন কনসিলার।
 >  অনেকেরই মুখের বিভিন্ন অংশের যেমন চোখের নিচে,চিবুকে অথবা নাকের পাশে রঙের বিভিন্নতা দেখা দেয়।এরকম অসমঞ্জস্যতা ঢাকতে ব্যবহার করা হয় কালার কারেকটিং কনসিলার।এটি ব্যবহার করতে হলে কালার থিওরি এবং কালার হুইল সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে।এ কারণে কালার কারেকটিং কনসিলার মূলত পেশাদার রূপবিশেষজ্ঞরাই ব্যবহার করেন।
 >  সাধারণ কাভারেজ দেয় এমন কনসিলার ব্যবহার করা হয় ত্বকের ছোট বড় দাগ ঢেকে ফেলতে।এ ছাড়া এটা দিয়ে ব্রণ বা অন্য কোন দাগ ও ঢেকে ফেলা যায়।এ ধরনের কনসিলার গুলো নানা শেডের,নানা ঘনত্বের হয়ে থাকে।এগুলো তরল,ক্রিম বা স্টিক আকারে বাজারে পাওয়া যায়।চোখের নিচের পাতলা ও সংবেদনশীল চামড়ার জন্য প্রয়োজন হয় হালকা ঘনত্বের তরল অথবা ক্রিম কনসিলার।আর গাঢ় ব্রণের দাগের জন্য চাই বেশি কভারেজ দেয় এমন কনসিলার।
 >  কীভাবে কনসিলার বেছে নিবেন?
 >  কনসিলার এবং ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়ার নিয়ম একই।
 >  ১.দোকানে ব্যবহার করতে দেওয়া নমুনা কনসিলার নিজের ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
 >  ২.যখন ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন,তখন পর্যাপ্ত আলো আছে কিনা দেখে নিন।
 >  ৩.শুধু চোখের নিচে ব্যবহারের জন্য ত্বকের রঙের চেয়ে এক অথবা দুই শেড হালকা কনসিলার নিন।চোখের নিচে ত্বকের রঙ সাধারণত একটু কালচে হয়ে থাকে,এক বা দুই শেড হালকা কনসিলার এই রঙের পার্থক্য দূর করবে এবং চোখের নিচে হাইলাইটার হিসেবেও কাজ করবে।
 >  ৪.দৈনন্দিন ব্যবহার এর কনসিলার হতে হবে হালকা থেকে মাঝারি কভারেজের এবং কম ঘনত্বের।যেগুলো ত্বকের জন্য আরামদায়ক হবে এবং ত্বকের লোমকূপ আটকাবে না।কোন নির্দিষ্ট দাগ ঢাকার জন্য শুধু সেই জায়গায় ভারী কভারেজ দেয় এমন কনসিলার ব্যবহার করুন।
 >  ব্যবহার:
 >  কনসিলার ফাউন্ডেশনের আগে বা পরে যেকোন সময় ব্যবহার করা যায়।তবে সবচেয়ে ভালো হয়,যদি পরে ব্যবহার করেন,তাতে ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় কনসিলার ছড়িয়ে যাওয়ার বা বেশি ব্লেন্ড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।আর এটি হাতের আঙুলের সাহায্যে চেপে চেপে ত্বকে মিশিয়ে দেওয়া ভাল।আমাদের দেহের তাপমাত্রা কনসিলার ভালভাবে ব্লেন্ড হয়ে যেতে সাহায্য করে।অথবা যে কোন কোমল কনসিলার ব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন।কনসিলার লাগানোর পর তার উপরে প্রেসড,সেটিং বা যেকোন ধরনের পাউডার লাগিয়ে নিন,যাতে কনসিলার ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে বসে যায়।পাউডার ব্যবহার কনসিলারকে অনেক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে।]]>
25814 2017-05-11 10:15:30 2017-05-11 04:15:30 open open 25814 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time
http://www.shajgoj.com/2017/06/26418/ Tue, 13 Jun 2017 10:11:01 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26418 26418 2017-06-13 16:11:01 2017-06-13 10:11:01 open open 26418 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time ক্রিমি চিকেন পাস্তা http://www.shajgoj.com/2017/06/26456/ Wed, 14 Jun 2017 08:10:35 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26456 উপকরণ (১) নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস ২ প্যাকেট (২) চিকেন ৮০ গ্রাম (৩) সয়া সস ১৫ মি.লি. (৪) সুগার ১০ গ্রাম (৫) সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ গ্রাম (৬) মেয়োনিজ ৪০ মি.লি. (৭) লেটুস পাতা ১৫ গ্রাম (৮) বাটার ১০ গ্রাম (৯) গরম পানি  ১০০০ মি.লি. প্রণালী - ১০০০ মি.লি. ফুটন্ত পানিতে নর ক্লাসিক চিকেন নুডলস দিয়ে ৩ মিনিট রান্না করুন। এরপর বাড়তি পানিটুকু ফেলে দিন। - চিকেন ধুয়ে জুলিয়ান শেপে কেটে নিন। - ফ্রাইপ্যানে বাটার গরম করে তাতে চিকেন দিয়ে ৪ মিনিট ভাজুন। - এতে সিদ্ধ করা নুডলস , সয়া সস , সুগার দিয়ে ৪ মিনিট রান্না করুন। - শেষে সাদা গোলমরিচের গুঁড়া , টেস্ট মেকার  এবং মেয়োনিজ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। - চাইলে উপরে কিছু স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে নিন। - সবশেষে লেটুস পাতা এবং টমেটো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন । হাতের কাছের জেনারেল শপ থেকে শুরু করে সুপার শপগুলোতে পেয়ে যাবেন এই  স্যুপ , নাগেটস , নুডলস এর দারুণ সব নর মিক্সের সম্ভার। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করে পছন্দের নর মিক্স হাতের কাছেই রাখুন ।]]> 26456 2017-06-14 14:10:35 2017-06-14 08:10:35 open open %e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be trash 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time মাত্র এক ঘণ্টায় একদম সাশ্রয়ী উপায়ে ৪টি সহজ ধাপে ঘরে বসে হেয়ার কালার করে নিন এই ঈদে http://www.shajgoj.com/2017/06/26570/ Thu, 22 Jun 2017 05:21:51 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26570 স্টেপ :পূর্বপ্রস্তুতি   আমিআগেররাতেআমারচুলশ্যাম্পুকরেপরিষ্কারকরেরেখেছিলাম, কন্ডিশনারদেইনি, কারণপরিষ্কারচুলছাড়াচুলেভালোভাবেকালারবসবেনা।আমারচুলকোমরঅব্দিলম্বা।আমিতাই গার্নিয়ারকালারন্যাচারালসএর৩.১৬বার্গেন্ডিশেইডের দুটোপ্যাকেটকিনেএনেরেখেছিলাম।প্যাকেটেরভিতরইন্সট্রাকশনমেন্যুসহচারটিজিনিসআছে - ডেভেলপার, কালারেন্ট, কন্ডিশনারএবংএকজোড়াহ্যান্ডগ্লাভস। আমিহেয়ারলাইন, কানেরপাশেভ্যাসেলিনদিয়েনিলামকোটিংএরজন্যযেনহেয়ারকালারথেকেআমারস্কিন-টাপ্রোটেক্টেডথাকে।আমিপুরোনোএকটাটিশার্টপড়েনিয়েছিলামআগেইযাতেরঙলেগেগেলেওঅসুবিধেনেই।সেইসাথেতারউপরভালোভাবেএকটাপুরাতনতোয়ালেওজড়িয়েনিয়েগলারকাছেছোটএকটাপাঞ্চক্লিপদিয়েআটকেদিলামএবংহাতেহ্যান্ডগ্লাভগুলোপরেনিলাম।             স্টেপ :হেয়ারকালারপ্রিপেয়ারিং     এবারআমিএকটাপ্লাস্টিকেরবাটিতেপ্যাকেটেরভেতরেথাকাডেভেলপারএবংকালারেন্টএরটিউবখুলেভালোভাবেহেয়ারকালারিংব্রাশেরসাহায্যেমিক্সকরেনিলাম।এবারমোটাদাঁতেরচিরুনিদিয়েচুলেরজটছাড়িয়েতারপরচিকনদাঁতেরচিরুনিদিয়েচুলগুলোকেকয়েকভাগেভাগকরেছোটছোটহেয়ারক্লিপদিয়েআটকেনিলাম।                     স্টেপ :হেয়ারকালারঅ্যাপ্লায়িং     আমিপেছনথেকেসামনেরদিকেকালারিংকরাটাপ্রেফারকরি, তাইপেছনেরচুলথেকেস্টার্টকরলাম।ছোটছোটসেকশনেচুলনিয়েহেয়ারকালারিংব্রাশেহেয়ার কালারলাগিয়েআস্তেআস্তেচুলেরগোড়ারকাছথেকেআগাপর্যন্তকালারকরতেশুরুকরলাম।মাথারস্কাল্পেযেনহেয়ারকালারনালাগেসেদিকেসতর্কথাকতে হবে।এভাবেছোটছোটসেকশনেঅল্পঅল্পকরেচুলনিয়েসবচুলআস্তেআস্তেকালারকরেনিলাম।আমারসামনেরচুলগুলোলেয়ারকরেকাটা, তাইসামনেরচুলবেশিদেখাযায়বলেআরেকবারকালারঅ্যাপ্লাইকরলাম।সেইসাথেচুলগুলোচিরুনিদিয়েসোজাকরেআঁচড়েনিলাম।একআধটুকালারতোএদিকসেদিকস্কিনেলেগেছেই, সেগুলোওয়েটওয়াপসদিয়েমুছেনিলাম।কালারকরাশেষহলেঘড়িধরে৩০মিনিটঅপেক্ষাকরতেহবে।   স্টেপ :ওয়াশিংঅ্যান্ডকন্ডিশনিং   ৩০মিনিটশেষহবারপরঠাণ্ডাপানিদিয়েসুন্দরকরেচুলধুয়েনিলাম।এবারপালাকন্ডিশনারলাগানোর।যেহেতুআমিআগেইবলেছিআমারচুললম্বা, তোআমারকন্ডিশনারওএকটুবেশিলাগে।আমিবেশকিছুদিনধরে গার্নিয়ারেরআল্ট্রাব্লেন্ডসিরিজেরশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনারব্যবহারকরছি, যেগুলো প্যারাবেনফ্রি এইমুহূর্তেইউজকরছিওদের রয়ালজেলি অ্যান্ডল্যাভেন্ডারফ্লেভারেরঅ্যান্টিহেয়ারফলশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনার।তোচুলেরগোড়াবাদেপুরোমাথারসবচুলেকন্ডিশনারলাগিয়েনিলামএবং৭-৮মিনিটপরঠাণ্ডাপানিদিয়েভালোভাবেচুলধুয়েনিলাম।তারপরপুরানোটিশার্টদিয়েচেপেচেপেচুলমুছেফ্যানেরবাতাসেচুলশুকিয়েনিলাম। All done!   আমারঅভিজ্ঞতা :   আমারএকটাছোটবেবিআছেযাকেরেখেআমিকোথাওইযেতেপারি না, তাইপার্লারেগিয়েঘণ্টাখানেকসময়নিয়েহেয়ারকালারকরাটাআমারঅপশনেরভিতরেইপড়েনা।তাইবাসায়বসেহেয়ারকালারিংআমারকাছেখুবকনভেনিয়েন্টএকটাঅপশন।     মার্কেটেঅনেকব্র্যান্ডেরইএবংঅনেকশেইডেরহেয়ারকালারআছে, আপনারবাজেটএবংকোয়ালিটিঅনুযায়ীআপনারকাছেযেটাভালোমনেহবেআপনিইচ্ছে মতোসেটাকিনেনিতেপারেন।আমাদেরদেশেএখনযেহেয়ারকালারগুলোকিনতেপাওয়াযায়সেগুলোরমধ্যেআমারকাছে গার্নিয়ারেরকালারন্যাচারালস রেইঞ্জেরপ্রোডাক্টগুলোকোয়ালিটি, অনেকগুলোশেইডেরঅ্যাভেইলেবিলিটিএবংপ্রাইসেরদিকথেকেবেশভালোমনেহয়েছে।এইপ্রোডাক্টগুলোতেঅলিভঅয়েলএবংসুইটআমন্ডঅয়েলযোগকরাহয়েছেযেনচুলগুলোবেটারনারিশমেন্টপায়।আমারব্যক্তিগতপছন্দেরহচ্ছেবারগেন্ডিএবংমেহগনিশেইডদুটো।   সময়এবংখরচদুটোইবেঁচেযাচ্ছেএবংআমিহেয়ারকালারিং, শ্যাম্পুইংএবংকন্ডিশনিংএরজন্যআমারপছন্দেরপ্রতিটাপ্রোডাক্টব্যবহারকরতেপারছিযাআমারহেয়ারটাইপকেস্যুটকরে।এমুহূর্তেআমারগার্নিয়ারেরহেয়ারকেয়াররেইঞ্জেরপ্রোডাক্টগুলোবেশস্যুটকরছেএবংওগুলোএকদমইবাজেটফ্রেন্ডলি।যেহেতুহেয়ারকালারিং-এরপরপ্রতিবারশ্যাম্পুকরারপরকন্ডিশনারব্যবহারকরাঅত্যন্তজরুরী, এবংহেয়ারকালারিংএরকারণেচুলপড়ারপ্রবণতাওকিছুটাবৃদ্ধিপেতেপারে, তাইবাড়তিসতর্কতাহিসেবেআমিনিয়মিতস্কাল্পেঅর্গানিকএক্সট্রাভার্জিনকোকোনাটঅয়েলম্যাসাজকরছি, মাঝেমাঝেডীপকন্ডিশনিংহারবালপ্রোটিনপ্যাক (ডিম+টকদই+কলা) লাগাচ্ছিএবংগার্নিয়ারআল্ট্রাব্লেন্ডসরয়ালজেলিঅ্যান্ডল্যাভেন্ডারঅ্যান্টিহেয়ারফলশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনারব্যবহারকরছি।   দেখলেনতো? কতঅল্পসময়এবংস্বল্পখরচেবাসায়বসেসহজেইহেয়ারকালারিংএবংতারপরচুলেরনিয়মিতযত্ননেয়াযায়? শুধুপ্রয়োজনএকটুধৈর্যআরএকটুসময়।তবেআপনারচুলযদিঅনেকভঙ্গুরআরড্যামেজডহয়, এবংআপনারযদিহেয়ারকালারেঅ্যালার্জিথাকেতাহলেহেয়ারকালারনাকরাইশ্রেয়, কানেরপেছনেরস্কিনেকটনবাডেঅল্পহেয়ারকালারলাগিয়েআগেদেখেনিবেনকোনপ্রকারইরিটেশনহচ্ছেকিনা, নাহলেনিশ্চিন্তেব্যবহারকরতেপারেন।   তোএইঈদেরআগেআপনারাওকিন্তুবাসায়বসেএটাট্রাইকরতেপারেন, এবংঈদেনতুনরাঙানোঝলমলেউজ্জ্বলচুলেসবাইকেতাকলাগিয়েদিতেপারেন।আপনারচুলআপনারপুরোলুকটাকেইবদলেদিবে that's for sure!   Stay Beautiful, Stay Gorgeous.   লিখেছেন - ফারহানাপ্রীতি            ]]> 26570 2017-06-22 11:21:51 2017-06-22 05:21:51 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time http://www.shajgoj.com/2017/06/26571/ Thu, 22 Jun 2017 05:26:49 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26571 স্টেপ :পূর্বপ্রস্তুতি   আমিআগেররাতেআমারচুলশ্যাম্পুকরেপরিষ্কারকরেরেখেছিলাম, কন্ডিশনারদেইনি, কারণপরিষ্কারচুলছাড়াচুলেভালোভাবেকালারবসবেনা।আমারচুলকোমরঅব্দিলম্বা।আমিতাই গার্নিয়ারকালারন্যাচারালসএর৩.১৬বার্গেন্ডিশেইডের দুটোপ্যাকেটকিনেএনেরেখেছিলাম।প্যাকেটেরভিতরইন্সট্রাকশনমেন্যুসহচারটিজিনিসআছে - ডেভেলপার, কালারেন্ট, কন্ডিশনারএবংএকজোড়াহ্যান্ডগ্লাভস। আমিহেয়ারলাইন, কানেরপাশেভ্যাসেলিনদিয়েনিলামকোটিংএরজন্যযেনহেয়ারকালারথেকেআমারস্কিন-টাপ্রোটেক্টেডথাকে।আমিপুরোনোএকটাটিশার্টপড়েনিয়েছিলামআগেইযাতেরঙলেগেগেলেওঅসুবিধেনেই।সেইসাথেতারউপরভালোভাবেএকটাপুরাতনতোয়ালেওজড়িয়েনিয়েগলারকাছেছোটএকটাপাঞ্চক্লিপদিয়েআটকেদিলামএবংহাতেহ্যান্ডগ্লাভগুলোপরেনিলাম।   স্টেপ :হেয়ারকালারপ্রিপেয়ারিং     এবারআমিএকটাপ্লাস্টিকেরবাটিতেপ্যাকেটেরভেতরেথাকাডেভেলপারএবংকালারেন্টএরটিউবখুলেভালোভাবেহেয়ারকালারিংব্রাশেরসাহায্যেমিক্সকরেনিলাম।এবারমোটাদাঁতেরচিরুনিদিয়েচুলেরজটছাড়িয়েতারপরচিকনদাঁতেরচিরুনিদিয়েচুলগুলোকেকয়েকভাগেভাগকরেছোটছোটহেয়ারক্লিপদিয়েআটকেনিলাম।   স্টেপ :হেয়ারকালারঅ্যাপ্লায়িং   আমিপেছনথেকেসামনেরদিকেকালারিংকরাটাপ্রেফারকরি, তাইপেছনেরচুলথেকেস্টার্টকরলাম।ছোটছোটসেকশনেচুলনিয়েহেয়ারকালারিংব্রাশেহেয়ার কালারলাগিয়েআস্তেআস্তেচুলেরগোড়ারকাছথেকেআগাপর্যন্তকালারকরতেশুরুকরলাম।মাথারস্কাল্পেযেনহেয়ারকালারনালাগেসেদিকেসতর্কথাকতে হবে।এভাবেছোটছোটসেকশনেঅল্পঅল্পকরেচুলনিয়েসবচুলআস্তেআস্তেকালারকরেনিলাম।আমারসামনেরচুলগুলোলেয়ারকরেকাটা, তাইসামনেরচুলবেশিদেখাযায়বলেআরেকবারকালারঅ্যাপ্লাইকরলাম।সেইসাথেচুলগুলোচিরুনিদিয়েসোজাকরেআঁচড়েনিলাম।একআধটুকালারতোএদিকসেদিকস্কিনেলেগেছেই, সেগুলোওয়েটওয়াপসদিয়েমুছেনিলাম।কালারকরাশেষহলেঘড়িধরে৩০মিনিটঅপেক্ষাকরতেহবে।   স্টেপ :ওয়াশিংঅ্যান্ডকন্ডিশনিং   ৩০মিনিটশেষহবারপরঠাণ্ডাপানিদিয়েসুন্দরকরেচুলধুয়েনিলাম।এবারপালাকন্ডিশনারলাগানোর।যেহেতুআমিআগেইবলেছিআমারচুললম্বা, তোআমারকন্ডিশনারওএকটুবেশিলাগে।আমিবেশকিছুদিনধরে গার্নিয়ারেরআল্ট্রাব্লেন্ডসিরিজেরশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনারব্যবহারকরছি, যেগুলো প্যারাবেনফ্রি এইমুহূর্তেইউজকরছিওদের রয়ালজেলি অ্যান্ডল্যাভেন্ডারফ্লেভারেরঅ্যান্টিহেয়ারফলশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনার।তোচুলেরগোড়াবাদেপুরোমাথারসবচুলেকন্ডিশনারলাগিয়েনিলামএবং৭-৮মিনিটপরঠাণ্ডাপানিদিয়েভালোভাবেচুলধুয়েনিলাম।তারপরপুরানোটিশার্টদিয়েচেপেচেপেচুলমুছেফ্যানেরবাতাসেচুলশুকিয়েনিলাম। All done!   আমারঅভিজ্ঞতা :   আমারএকটাছোটবেবিআছেযাকেরেখেআমিকোথাওইযেতেপারি না, তাইপার্লারেগিয়েঘণ্টাখানেকসময়নিয়েহেয়ারকালারকরাটাআমারঅপশনেরভিতরেইপড়েনা।তাইবাসায়বসেহেয়ারকালারিংআমারকাছেখুবকনভেনিয়েন্টএকটাঅপশন।     মার্কেটেঅনেকব্র্যান্ডেরইএবংঅনেকশেইডেরহেয়ারকালারআছে, আপনারবাজেটএবংকোয়ালিটিঅনুযায়ীআপনারকাছেযেটাভালোমনেহবেআপনিইচ্ছে মতোসেটাকিনেনিতেপারেন।আমাদেরদেশেএখনযেহেয়ারকালারগুলোকিনতেপাওয়াযায়সেগুলোরমধ্যেআমারকাছে গার্নিয়ারেরকালারন্যাচারালস রেইঞ্জেরপ্রোডাক্টগুলোকোয়ালিটি, অনেকগুলোশেইডেরঅ্যাভেইলেবিলিটিএবংপ্রাইসেরদিকথেকেবেশভালোমনেহয়েছে।এইপ্রোডাক্টগুলোতেঅলিভঅয়েলএবংসুইটআমন্ডঅয়েলযোগকরাহয়েছেযেনচুলগুলোবেটারনারিশমেন্টপায়।আমারব্যক্তিগতপছন্দেরহচ্ছেবারগেন্ডিএবংমেহগনিশেইডদুটো।   সময়এবংখরচদুটোইবেঁচেযাচ্ছেএবংআমিহেয়ারকালারিং, শ্যাম্পুইংএবংকন্ডিশনিংএরজন্যআমারপছন্দেরপ্রতিটাপ্রোডাক্টব্যবহারকরতেপারছিযাআমারহেয়ারটাইপকেস্যুটকরে।এমুহূর্তেআমারগার্নিয়ারেরহেয়ারকেয়াররেইঞ্জেরপ্রোডাক্টগুলোবেশস্যুটকরছেএবংওগুলোএকদমইবাজেটফ্রেন্ডলি।যেহেতুহেয়ারকালারিং-এরপরপ্রতিবারশ্যাম্পুকরারপরকন্ডিশনারব্যবহারকরাঅত্যন্তজরুরী, এবংহেয়ারকালারিংএরকারণেচুলপড়ারপ্রবণতাওকিছুটাবৃদ্ধিপেতেপারে, তাইবাড়তিসতর্কতাহিসেবেআমিনিয়মিতস্কাল্পেঅর্গানিকএক্সট্রাভার্জিনকোকোনাটঅয়েলম্যাসাজকরছি, মাঝেমাঝেডীপকন্ডিশনিংহারবালপ্রোটিনপ্যাক (ডিম+টকদই+কলা) লাগাচ্ছিএবংগার্নিয়ারআল্ট্রাব্লেন্ডসরয়ালজেলিঅ্যান্ডল্যাভেন্ডারঅ্যান্টিহেয়ারফলশ্যাম্পুএবংকন্ডিশনারব্যবহারকরছি।   দেখলেনতো? কতঅল্পসময়এবংস্বল্পখরচেবাসায়বসেসহজেইহেয়ারকালারিংএবংতারপরচুলেরনিয়মিতযত্ননেয়াযায়? শুধুপ্রয়োজনএকটুধৈর্যআরএকটুসময়।তবেআপনারচুলযদিঅনেকভঙ্গুরআরড্যামেজডহয়, এবংআপনারযদিহেয়ারকালারেঅ্যালার্জিথাকেতাহলেহেয়ারকালারনাকরাইশ্রেয়, কানেরপেছনেরস্কিনেকটনবাডেঅল্পহেয়ারকালারলাগিয়েআগেদেখেনিবেনকোনপ্রকারইরিটেশনহচ্ছেকিনা, নাহলেনিশ্চিন্তেব্যবহারকরতেপারেন।   তোএইঈদেরআগেআপনারাওকিন্তুবাসায়বসেএটাট্রাইকরতেপারেন, এবংঈদেনতুনরাঙানোঝলমলেউজ্জ্বলচুলেসবাইকেতাকলাগিয়েদিতেপারেন।আপনারচুলআপনারপুরোলুকটাকেইবদলেদিবে that's for sure!   Stay Beautiful, Stay Gorgeous.   লিখেছেন - ফারহানাপ্রীতি            ]]> 26571 2017-06-22 11:26:49 2017-06-22 05:26:49 open open 26571 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time মাত্র এক ঘণ্টায় একদম সাশ্রয়ী উপায়ে ৪টি সহজ ধাপে ঘরে বসে হেয়ার কালার করে নিন এই ঈদে http://www.shajgoj.com/2017/06/26572/ Thu, 22 Jun 2017 06:29:24 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26572 26572 2017-06-22 12:29:24 2017-06-22 06:29:24 open open %e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%98%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%a6%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d-2 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time http://www.shajgoj.com/2017/06/26575/ Thu, 22 Jun 2017 06:35:30 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26575 26575 2017-06-22 12:35:30 2017-06-22 06:35:30 open open 26575 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time http://www.shajgoj.com/2017/06/26576/ Thu, 22 Jun 2017 06:50:09 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26576 26576 2017-06-22 12:50:09 2017-06-22 06:50:09 open open 26576 trash 0 0 post 0 _edit_last _wp_trash_meta_status _wp_trash_meta_time চুল তো বুঝলাম! কিন্তু ত্বকের যত্নে নারকেল তেল আসলে কতটুকু কার্যকরী http://www.shajgoj.com/2017/07/26744/ Tue, 11 Jul 2017 07:26:50 +0000 http://www.shajgoj.com/?p=26744 সাজগোজে চোখ বোলানো হচ্ছে তো। যারা নিয়মিত পাঠক তারা তো ইতোমধ্যেই জেনে গিয়েছেন চুলের যত্নে নারকেল তেলের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। তবে চুলের পাশাপাশি যে ত্বকের যত্নেও এই তেলের গুণ সম্পর্কে আমরা কজন জানি। স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে রূপচর্চায় (চুল থেকে ত্বকের যত্নে ) এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। আজকের লেখনিতে ত্বকের যত্নে নারকেল তেলে উপকারিতা সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমেই মাথায় যে ব্যাপারটি আসে তা হল, ত্বকে তেল ব্যবহারের করলে তো ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাবে এবং পোরগুলো বন্ধ হয়ে ব্রণ বেড়ে যাওয়ার কথা ! কিন্তু নারকেল তেলের ব্যবহারের ফলে ব্রণ উল্টো কমে যায়! কীভাবে ? যেহেতু এই নারকেল তেলের অনু খুব ক্ষুদ্র সেহেতু এটি সহজেই রোমকূপের গভীরে প্রবেশ করে ভেতরের ময়লা বের করে আনে এবং এতে বিদ্যমান ভিটামিন ই ত্বককে হাইড্রেড এবং সেবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হাতের কাছে থাকা এই মিরাকেল প্রোডাক্টটির থেকে বেস্ট আউটপুট কিন্তু নির্ভর করে ডায়েট, স্কিন কেয়ার সর্বোপরি আপনার লাইফ স্টাইলের উপর । অনেকের ক্ষেত্রেই যখন প্রথম প্রথম এই নারকেল তেল ত্বকে ইউজ করা শুরু করবেন তখন স্কিনে ব্রণ উঠতে দেখে ভয় পেয়ে ব্যবহার করা বন্ধ করবেন না। ততক্ষণে নারকেল তেল কিন্তু কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। সে আপনার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে ইম্পিউরিটিজ-গুলো বের করে দিচ্ছে। অল্প কিছুদিন সময় দিন ধীরে ধীরে ব্রণ কমতে শুরু করবে এবং পরবর্তীতে ব্রণ উঠা বন্ধ হবে।

আগেই বলেছিলাম যে নারকেল তেলের অনু এতোটাই ক্ষুদ্র যে তা খুব সহজেই রোমকূপের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। কাজেই স্কিনে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শুষে নেয় এবং ত্বকে স্মুদ ফিলিং এনে দেয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন। এবার হাতে সামান্য (কয়েক ফোঁটা) নারকেল তেল নিয়ে হালকা ঘষে স্কিনে লাগিয়ে নিন রাতের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। মনে রাখবেন, খুব কম পরিমাণে নিয়ে সারা শরীরে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

হাতের কাছে এক বোতল নারকেল তেল থাকলে তাক ভর্তি কসমেটিকের প্রয়োজন পড়ে না। এই তেলের ক্লিঞ্জিং ক্ষমতা সম্পর্কে তো একটু আগেই জেনেছেন। এটা যে ভারি মেকাপ তুলতেও দারুণ কার্যকরী তা কি জানা আছে? সুপার ম্যাট লিপস্টিক থেকে শুরু করে ওয়াটার প্রুফ মাশকারা , কাজল , আইলানার তুলতে কয়েক বোতল মেকাপ রিমুভার শেষ! খরচের খাতা থেকে মেকাপ রিমুভার বাদ দিয়ে হাতে তুলে নিন নারকেল তেলের বোতল। কটন বল-এ তেল নিয়ে চোখে ঠোঁটে এবং পুরো মুখে আলতো করে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। নারকেল তেলের নিজস্ব ধর্ম ত্বকের গভীর থেকে সবটুকু মেকাপ তুলে আনবে এবং এর উপাদানগুলো ত্বককে ড্রাই না করে স্মুদ করে তুলবে।

নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ব্রণ-এর সমস্যা কমানোর সাথে সাথে পোরগুলোতে ময়লা জমতে দেয় না। এবং এতে থাকা প্রাকৃতিক ভিটামিন ই পাওয়ারফুল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে যার ফলে ত্বকের বলি রেখা পড়তে দেয় না।

এতে থাকা উপাদানগুলো সানট্যান দূর করতে বেশ কার্যকরী। রোদ থেকে এসে ১ চা চামচ নারকেল তেলের সাথে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস এবং ২ চা চামচ চালের গুঁড়ো , কাঠবাদাম পেস্ট বা গুঁড়ো , ১ চা চামচ এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক সাথে মিক্স করে রোদে পুরে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট তারপর সার্কুলার মোশনে হালকা করে ঘষে তুলে ফেলুন । সপ্তাহে ৩ দিন এই প্যাক অ্যাপ্লাই করুন সানট্যান গায়েব হওয়ার সাথে সাথে ত্বক টানটান এবং উজ্জ্বল দেখাবে।

দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নারকেল তেলের একটি রেসিপি দিচ্ছি যা নরমাল টু ড্রাই স্কিনের অধিকারীরা অ্যাপ্লাই করে দেখুন -

  • ২ টেবিল চামচ মসুর ডাল
  • ২ চা চামচ নারকেল তেল
  • ১ চা চামচ মধু
  • সামান্য হলুদ
  • ১ চা চামচ দুধ
  • কয়েক ফোঁটা লেমন অয়েল
4.-Yogurt-And-Turmeric-Pack

সব উপকরণ একসাথে মিক্স করে মুখে , হাতে-পায়ে এবং গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা ঘষে গরম টাওয়েল দিয়ে চুলে ফেলুন। এতে করে বন্ধ পোরগুলো খুলে যাবে। ত্বকের গভীরের ময়লা উঠে আসবে এবং ত্বক উজ্জ্বল সফট হয়ে উঠবে। শেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ওপেন পোরগুলো সংকুচিত হয়ে যাবে।

তাহলে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা কি করবেন? এই রেসিপিটি শুধু আপনাদের জন্য -

  • ১/২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ টক দই
  • ১/২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
  • ১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস

mask001উপকরণগুলো মিক্স করে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা জানেন ব্রণ নিয়ে কত সমস্যায় পড়তে হয় তবে এই প্যাকটি নিয়মিত অ্যাপ্লাইয়ে তৈলাক্ত ত্বকের গভীর ময়লা জমবে না । যার ফলে ব্রণের সমস্যা থেকে সহজেই পরিত্রান মিলবে।

সবশেষে একটা কথাই বলব, হাজার হাজার নামিদামি ব্র্যান্ডের ক্লিঞ্জার ফেইসওয়াশ না কিনে খুব সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য এই একটি জিনিস দিয়েই কিন্তু বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব। সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল থাকুন।

ছবি – পিন্টারেস্ট ডট কম , স্টাইলক্রেজ ডট কম

লিখেছেন - মরিয়ম আকতার

]]>
26744 2017-07-11 13:26:50 2017-07-11 07:26:50 open open %e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%9d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95 publish 0 0 post 0 _edit_last _thumbnail_id