ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট | লক্ষণ ও চিকিৎসা জানেন কি?

ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট | লক্ষণ ও চিকিৎসা জানেন কি?

ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট

ওভারিয়ান সিস্ট এবং টিউমার দুটি আলাদা বিষয় হলেও অনেক সময় এ নিয়ে কনফিউশন থেকে যায়, যার ফলে নরমাল সিস্ট হলেও সঠিকভাবে বুঝতে না পারার জন্য রোগীরা দুঃচিন্তায় ভোগেন। শরীরে যদি কোন কারণে হরমোনের তারতম্য হয় তবে ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট বা ফিজিওলজিক্যাল সিস্ট তৈরি হতে পারে। এমন কিছু সিস্ট হচ্ছে ফলিকুলার এবং কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট।

ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট ও এর লক্ষণ

ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণ - shajgoj.com

Sale • Talcum Powder, Acne Treatment, Dull Skin Treatment

    ১) আ্যসিম্পটোমেটিক

    সাধারণত নরমাল অবস্থায় এরা  Asymptomatic (আ্যসিম্পটোমেটিক) হয়ে থাকে, অর্থাৎ কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। তবে কিছু  ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

    ২) ফলিকুলার

    বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্ট-এর মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট সবচেয়ে কমন, যা পলিসিস্টিক ওভারিতে হয়ে থাকে। মেয়েদের শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফুটন ব্যাহত হয়।  নিয়মিতভাবে ডিম্বস্ফুটন না হলে ডিমের এই আবরণী পরবর্তীতে ফলিকুলার সিস্ট-এ পরিণত হয়। যার ফলে রোগীরা অনিয়মিত মাসিক এবং বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগে থাকে। এছাড়া এই সিস্ট-এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য যে সমস্যাগুলো থাকতে পারে তা হচ্ছে- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, শরীরে অবাঞ্ছিত লোম, রক্তের ব্লাড সুগার বা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

    ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট ও এর ডায়াগনোসিস

    Low risk ও High risk ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট - shajgoj.com

    এই সিস্টের সাইজ  সাধারণত ৫-৭ সেমি হয়ে থাকে, ভিতরে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড/পানি থাকে- আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউমার মার্কার যেমন, CA-125 দিয়ে এর প্রকৃতি (Benign or malignant) সম্পর্কে ধারণা করা হয়।

    ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট ও এর চিকিৎসা

    অন্যান্য ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও ওভারিয়ান সিস্ট-এর চিকিৎসায় অপারেশন দরকার হয় না, হরমোনাল ওষুধ দেয়া যেতে পারে।  সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো চলে যায়। এসময় অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট-এর তত্বাবধানে থাকতে হবে।

    অপারেশন লাগতে পারে কখন?

    ১. ওভারিয়ান সিস্ট টুইস্ট/পেঁচিয়ে যায় অথবা Rupture (ফেটে যাওয়া) হয়। এক্ষেত্রে হঠাৎ করে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং ইমার্জেন্সি চিকিৎসা করাতে হয়।

    ২. দীর্ঘদিন ধরে একই রকম থাকলে অথবা ধীরে ধীরে সাইজ বড় হলে কিংবা টিউমারের কোন লক্ষণ দেখা দিলে।

    ৩. মহিলাদের  ৪০ বছরের পর  যেকোন ওভারিয়ান  সিস্ট/টিউমার গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা করাতে হবে, কারণ এক্ষেত্রে Malignancy বা ক্যান্সার হবার চান্স  থাকে।

    মনে রাখতে হবে, ওভারির ডারময়েড সিস্ট এবং চকলেট সিস্ট-এর নামকরণে সিস্ট থাকলেও এগুলো ফাংশনাল বা ফিজিওলজিক্যাল নয়। এগুলো ওভারির প্যাথলজিকাল টিউমার, তাই এর চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন।

    ছবি- সংগৃহীত: chiralbalance.com

    লিখেছেন- ডাঃ নুসরাত জাহান

    সহযোগী অধ্যাপক (অবস-গাইনী), ডেলটা মেডিকেল কলেজ, মিরপুর -১।

    চেম্বারঃ DPRC হসপিটাল, শ্যামলী।

    কনটাক্ট নম্বর- ০১৯২৪০৮৭৮৩১

    39 I like it
    3 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort