প্রেগন্যান্সি প্রতিটি মহিলার জন্য একটি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সকল নারী ঐ ম্যাজিকাল হেলদি প্রেগন্যান্সি উপভোগ করতে পারেন না। দেখা যায় অধিকাংশ মহিলাই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন যা গর্ভাবস্থায় চিন্তিত হবার মতই ঘটনা। অনেকেই সকালবেলা অসুস্থ ফিল করেন, গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস থেকে ব্যাকপেইন এবং অন্যান্য অসুস্থতা এবং আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা যখন স্পষ্ট এবং লক্ষণীয় হবে তখন রেগুলার আপনার ডাক্তারের সঙ্গে আপনার গর্ভাবস্থার অগ্রগতি চেক করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার নিশ্চিত করবেন যে আপনার রক্ত চলাচল এবং আল্ট্রাসাউন্ড ঠিকমতো হচ্ছে কিনা।
যদিও বেশিরভাগ প্রব্লেম যেগুলো কোন নারী প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন ফেইস করেন সেগুলো খুব কমন, কিন্তু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং সেই সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব না দিলে বিপদজনক কিছু একটা হয়ে যেতে পারে এখানে তিনটি সমস্যা সম্পর্কে বলা হলো। এই তিনটির একটিও যদি গর্ভকালীন সময়ে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিন্তিত হওয়া উচিত এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় চিন্তিত হবার ৩টি লক্ষণ
১) ডিহাইড্রেশন
কোন কোন নারী সকাল বেলায় কিছু অসুস্থতায় ভোগেন। একটা হলো এমন যে কিছুই খেতে পারেন না। এমন কি তাদের পেটে একটু পানিও রাখা সম্ভব হয় না। কিন্তু গর্ভে থাকা ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের পুষ্টি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে মায়ের খাওয়ার উপর। আর মা যদি ঠিকমতো পানি পান না করেন তাহলে গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য সেটা জীবনের হুমকিও হতে পারে। যদি আপনারও একই প্রব্লেম হয় যে আপনি পানি খেতে পারছেন না ঠিকমতো, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
২) গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা আবশ্যক। যদিও খুব কম সংখ্যক গর্ভবতী নারী যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস-এর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তারপরেও, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এমন একটা বিষয় যা আপনি এড়াতে পারবেন না। কিছু নারী তাদের শিশুদের জন্ম হলে ডায়াবেটিস থেকে পরিত্রাণ পান, আবার কেউ কেউ তাদের জীবনের বাকি অংশ ডায়াবেটিস নিয়েই কাটিয়ে দেন। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস শিশুর জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার ডায়াবেটিস থাকলে পরিমিত খাওয়া-দাওয়া করুন এবং সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৩) ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা যোনীতে রক্তপাত
গর্ভাবস্থায় যখনই আপনি কোন ধরনের রক্তপাতের সম্মুখীন হবেন, যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কারণ এটা প্রি-ম্যাচিউর লেবার বা মিসক্যারেজ-এর একটা সতর্কতা চিহ্ন হতে পারে। এটা ছাড়াও আপনি যদি তলপেটে ব্যথা বা খুব চাপ অনুভব করেন তাহলেও ব্যাপারটা সহজভাবে নেবেন না। যত দ্রুত সম্ভব কারও সাহায্য নিন এবং ডাক্তারের কাছে যান।
এগুলো ছাড়াও, আপনার গর্ভাবস্থায় সবকিছু সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া এবং স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। আর যতটা সম্ভব বিভিন্ন স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ এটা আপনি এবং আপনার বাচ্চা দুজনের জন্যই খুব ক্ষতিকর।
ছবি – সংগৃহীতঃ সাটারস্টক