ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনে ভিন্ন ভিন্ন ক্রিম কেন ইউজ করবেন?

ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনে ভিন্ন ভিন্ন ক্রিম কেন ইউজ করবেন?

1 (4)

যারা রেগুলার স্কিন কেয়ার করেন তারা জানেন, সকালে ও রাতের স্কিন কেয়ার রুটিনে কিছুটা পার্থক্য আছে। সকালে যে প্রোডাক্টটি ইউজ করা হয়, রাতে সাধারণত সেগুলো ব্যবহার করা হয় না। আবার রাতের প্রোডাক্টগুলো দিনে ইউজ করা হয় না। কারণ দুই সময়ের প্রোডাক্ট স্কিনে দুইভাবে কাজ করে। দিনের বেলায় স্কিনের সুরক্ষার দরকার হয়, আর রাতে স্কিনের সেলগুলো নিজ থেকে রিপেয়ার হওয়া শুরু করে। তাই তো রাতের ঘুমকে বলে বিউটি স্লিপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদিনের সুরক্ষা এবং রাতে স্কিন রিপেয়ারের জন্য আমরা নানা ধরনের ক্রিম ইউজ করি। অনেকেই একই ক্রিম সকালে ও রাতে ইউজ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন স্কিনে একই ক্রিম সকালে ও রাতে ইউজ করা ঠিক নয়? কারণ দুটো ক্রিম তৈরি করা হয় ডিফারেন্ট কনসার্নের উপর বেইজ করে। ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনে কেন ভিন্ন ভিন্ন ক্রিম ইউজ করবেন সেটা নিয়েই আজকের ফিচার।

ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনে ক্রিম কেন আলাদা? 

ত্বক ভালো রাখার জন্য সকালে ও রাতে স্কিন কেয়ার করা জরুরি। আর এ জন্য অবশ্যই ইউজ করা প্রোডাক্টগুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সকালের সব প্রোডাক্ট যেমন রাতে ইউজ করা যায় না, আবার রাতের সব প্রোডাক্ট সকালে ইউজ না করাই ভালো। কিন্তু কেন এ পার্থক্য? জেনে নেবো আজকের ফিচার থেকেই।

ডে ক্রিম কী?

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই ক্রিমটি দিনে ব্যবহারের জন্য। ডে ক্রিম সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, ধুলাবালি থেকে স্কিনকে রক্ষা করে। এগুলো সাধারণত হালকা ঘনত্বের হয়। এতে তেল চিটচিটে ভাব থাকে না এবং স্কিনের সাথে দ্রুত মিশে যায়। এটি স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং নরম ও কোমল করে তোলে।

ডে ক্রিম

ডে ক্রিমে এসপিএফ থাকে বলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক থাকে সুরক্ষিত। এটি এতটা লাইট যে মেকআপ অ্যাপ্লাইয়ের আগে প্রাইমার হিসেবেও ইউজ করা যায়। কিছু কিছু ডে ক্রিমে ভিটামিন সি, কোজিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই থাকে। সাধারণত শক্তিশালী উপাদান যেমন- আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এবং রেটিনল, যা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে, এমন উপাদান ডে ক্রিমে ব্যবহার করা হয় না।

SHOP AT SHAJGOJ

    যে কারণে ডে ক্রিম ব্যবহার করবেন

    ডে ক্রিমের বেশকিছু বেনিফিট রয়েছে, যার কারণে এটি স্কিন কেয়ারে ইনক্লুড করতে হবে। এই ক্রিমের বেনিফিটগুলো হচ্ছে-

    • ইউভি রে থেকে প্রোটেকশন দেয়
    • বলিরেখা অথবা রিংকেল প্রতিরোধ করে
    • এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে স্কিনকে প্রোটেক্ট করে
    • বাইরের ধুলাবালি থেকে স্কিনকে রক্ষা করে
    • শুষ্কতা রোধ করে স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখে
    ডে ক্রিমের জন্য আমি কিছু প্রোডাক্টের সাজেশন দিচ্ছি-

    YC Whitening & Anti Freckle Gold Caviar Day Cream

    Face Facts Hydrating Day Cream

    The Body Shop Drops Of Light Brightening Day Cream

    ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনে ক্রিম অ্যাপ্লাই

    নাইট ক্রিম কী?

    নাইট ক্রিম রাতে ব্যবহার করা হয়। কারণ এটির টেক্সচার ডে ক্রিমের তুলনায় কিছুটা ঘন হয়। নাইট ক্রিম ব্যবহারের পর এর কার্যকারিতা শুরু হয় রাতে ঘুমানোর পর থেকে। সাধারণত নাইট ক্রিমে অ্যান্টি এজিং উপাদান যেমন- রেটিনল থাকে যা সূর্যের রশ্মির সংস্পর্শে আসলে স্কিনে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই এটিকে রাতে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    কেন নাইট ক্রিম ব্যবহার করবেন?

    রাতে স্কিন রিপেয়ারের কাজ করে নাইট ক্রিম। স্কিন কেয়ারে এই ক্রিমের বেনিফিটগুলো হচ্ছে-

    • স্কিনকে সারারাত ধরে ময়েশ্চারাইজড রাখে
    • স্কিনের কোলাজেন বৃদ্ধি করে
    • নাইট ক্রিম ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়
    • স্কিন টোন ইভেন রাখে
    • বলিরেখা কমায়
    • ত্বক রুক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়
    • ত্বক নরম ও কোমল করে তোলে
    • ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে নিউ সেলস রিজেনারেট করতে সাহায্য করে

    নাইট ক্রিম

    নাইট ক্রিমের জন্য আমি কিছু প্রোডাক্ট সাজেস্ট করছি-

    Olay night cream complete

    Skin Academy Hydra Therapy Night Cream

    L’Oreal Aura Perfect Night Cream

    ডে ও নাইট ক্রিমের মধ্যে প্রধান কিছু পার্থক্য

    ১। ডে ক্রিমে ব্যবহৃত উপাদানগুলোর ঘনত্ব কম হয় এবং এটি হালকা ও নন-গ্রিজি হয়ে থাকে। যার কারণে ত্বকে খুব সহজে অ্যাবজর্ভ হয়ে যায় এবং ম্যাটিফায়িং লুক দেয়। নাইট ক্রিমে থাকা উপাদানগুলোর কারণে এটির টেক্সচার একটু থিক হয় এবং এটি অ্যাপ্লাই করার পর স্কিন অনেক সফট মনে হয়।

    ২। সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার জন্য ডে ক্রিমে এসপিএফ থাকে। অন্যদিকে নাইট ক্রিমে থাকে রেটিনল ও ভিটামিন সি। স্কিনকে ভেতর থেকে ব্রাইট করতে এই উপাদানগুলো বেশ কার্যকর।

    ৩। ধুলাবালি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়া, হাইড্রেশন প্রোভাইড করা, রিংকেলস ও ফাইন লাইনস প্রতিরোধ করতে হেল্প করে ডে ক্রিম। অপরদিকে নাইট ক্রিম স্কিনে নিউট্রিয়েন্টস প্রোভাইড করে; রিংকেলস, ফাইন লাইনস ও ডার্ক স্পটস কমায়; ব্লাড সার্কুলেশন ইমপ্রুভ করে এবং কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে, সাথে দেয় ডিপ ময়েশ্চারাইজেশন।

    ৪। ডে ক্রিম প্রাইমার হিসাবে মেকআপের আগে ব্যবহার করা যায়। নাইট ক্রিম প্রাইমার হিসাবে ব্যবহার করা যায় না।

    ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার রুটিনের জন্য ময়েশ্চারাইজার

    নাইট ক্রিম কি দিনে ব্যবহার করা যাবে?

    নাইট ক্রিমে সাধারণত ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, জোজোবা অয়েল, অলিভ অয়েল, অ্যাপ্রিকট অয়েল, রোজ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, শিয়া বাটার, জেসমিন, রেটিনল, অ্যামিনো অ্যাসিড, কোলাজেন ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু উপাদান সূর্যের সংস্পর্শে এসে স্কিনের ক্ষতি করতে পারে। তাই দিনের বেলায় নাইট ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে আপনার স্কিনে থিক ফিল হতে পারে। ডে অ্যান্ড নাইট স্কিনকেয়ার করা যেমন জরুরি, তেমনই স্কিনকেয়ার রুটিনে সঠিক ক্রিম সিলেকশনও জরুরি।

    সাধারণত ডে ও নাইট ক্রিমের মধ্যে প্রধান পার্থক্য এদের উপাদান ও টেক্সচারে। দুটো ক্রিমই স্কিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কিন টাইপ বুঝে স্কিনকেয়ার রুটিনে রাখতে হবে দুটোকেই। স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার ও মেকআপ রিলেটেড বিভিন্ন প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন সাজগোজে। অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম এবং চারটি আউটলেট- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      ছবিঃ সাজগোজ

      29 I like it
      1 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort